Logo
শিরোনাম

বান্দরবানে পর্যটকদের সর্বোত্তম যানবাহন সেবা প্রদানের আহ্বান পার্বত্য মন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ২৭৫জন দেখেছেন

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি যানবাহন চালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সকল যানবাহন চালককে ট্রাফিক আইন মেনে সড়কে চলাচল করতে হবে। যানবাহনের ফিটনেস নিশ্চিত হয়েই গাড়ি রোডে নামাতে হবে। বান্দরবানে বেড়াতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সর্বোত্তম নিরাপদ যানবাহন সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল রাতে বান্দরবান জেলা সদরের হিলভিউ কনভেনশন সেন্টারের অডিটোরিয়াম হলে মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর নবনির্বাচিত কার্যকরি কমিটির সদস্যদের অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বান্দরবান শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যদের কাজের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, বান্দরবানের যানবাহন চালকরা বরাবরই ভালো। তারা সকল পর্যটকদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকে। তাছাড়া এখানকার শ্রমিক ইউনিয়ন খুবই একটিভ। একটি দেশের কৃষ্টি কালচার ও পরিচয় বহন করে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে। মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের জন্য নিরলসভাবে কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততোদিন দেশের মানুষের কল্যাণ করে যাবে এবং এ ধারা আগামিতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।

পরে মন্ত্রী বান্দরবান মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর নবনির্বাচিত কার্যকরি কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান ও সংশ্লিষ্টদের নিবন্ধন সনদ বিতরণ করেন।

বান্দরবান মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাফর ইকবাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য জেরা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. লুৎফর রহমান, পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাস, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, বান্দরবান শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মো. .আব্দুল কুদ্দুছ, বান্দরবান মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উপস্থিত ছিলেন।

মো. রেজুয়ান খান

জনসংযোগ কর্মকর্তা

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়


আরও খবর



নওগাঁয় র‍্যাবের অভিযানে কিশোর গ্যাং লিডার আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছীতে শিক্ষার্থীদের পথরোধ করে চাঁদাবাজী করার অভিযোগে নাঈম হোসেন (২১) নামে কিশোর গ্যাং এর এক লিডারকে  আটক করেছে র‌্যাব। শনিবার পূর্বরাত পৌনে ২ টার দিকে উপজেলার গোবরচাঁপা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত নাঈম উপজেলার সন্নাসতলা (দূর্গাপুর) এলাকার সোহেল এর ছেলে। 

সত্যতা নিশ্চিত করে র‍্যাব জানায়, আটককৃত নাঈম তার সহযোগী নয়নসহ আরো ৪-৫ জনকে নিয়ে ঐ এলাকায় অনেক দিন ধরে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তায় আটকিয়ে মোবাইল, টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছিল। গত ৮মে এসএসসি পরীক্ষা দিতে আসা দু'জন পরীক্ষার্থীর টাকা-পয়সা, মোবাইল কেড়ে নেয়া ও মোটর সাইকেলের চাবি নিয়ে চাঁদা দাবী করার জের ধরে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরবর্তীতে ১০ মে আবারো তাদের আটকিয়ে টাকা ও মোবাইল কেড়ে নিলে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গোপরচাপা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত কিশোর গ্যাং এত লিডার নাঈমকে আটক করা হয়।

শনিবার দুপুরে আটককৃত নাঈম কে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করেন বদলগাছী থানা পুলিশ।


আরও খবর



নওগাঁয় বালতির পানিতে পড়ে দু' বছর বয়সি শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় গোসল খানায় রাখা বালতির পানিতে পড়ে দু' বছর বয়সী শিশু কন্যা ওয়াসিফা আক্তারের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে তাদের নিজ বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নাটশাল গ্রাম এমর্মান্তিক শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।

ওয়াসিফা আক্তার মহাদেবপুর উপজেলা সদরের নাটশাল গ্রামের মাওলানা জয়নাল আবেদীন এর মেয়ে।

নিহত ওয়াসিফ এর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১ টার দিকে তার মেয়ে ওয়াসিফকে পরিবারের লোকজন খুঁজে পাচ্ছিলেন না । খোঁজা খুঁজির পর্যায়ে গোসল খানার রাখা পানির বালটিতে ডুবে থাকা অবস্থায় ওয়াসিফকে দেখতে পা‌ওয়া যায় । স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়াসিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে সকালে বাড়ির লোকজন গোসল করার জন্য গোসল খানায় একটি বড় বালতিতে পানি ভর্তি করে রাখেন। পরিবারের লোকজনের অজান্তে বালতির ভিতরে মাথা ডুবে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছে শিশুটি। 

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি মর্মান্তিক, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন সাধারণ ডায়েরি বা অভিযোগ দায়ের করেননি।


আরও খবর



শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

আজ ১৭ মে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩ তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে নর ঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতক গোষ্ঠী।

বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমনি ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বকে ভয় পায় ঘাতক গোষ্ঠী। খুনি সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব; ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথেশেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম

দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।

সে দিন বিকেল সাড়ে চারটায় আকাশে যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখা যায় তখন সকল নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে যায়। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। জনতা একেবারেই বিমানের কাছে চলে যায়। বহু চেষ্টার পর জনতার শ্রোতকে কিছুটা সরিয়ে ট্রাকটি ককপিটের দরজার একেবারে সামনে নেয়া হয়। এই সময়ে শেখ হাসিনা ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন।

বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা। এ সময় ঝড় বৃষ্টিতে নগর জীবন প্রায় বিপন্ন। রাস্তাঘাট স্বাভাবিক জীবন যখন ব্যাহত তখন এখানে অপেক্ষা করে কয়েক লাখ মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন।

১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।

তিনি আরও বলেছিলেন, আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যখন প্রবঞ্চক বিশ্বাসঘাতক খুনি দেশদ্রোহীরা প্রিয় মাতৃভূমিকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলেছিল আমাদের জাতীয় জীবন যখন জাতিদ্রোহীদের অত্যাচারের প্রচন্ড দাবদাহে বিপর্যস্ত তখন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল শ্রাবণের বারিধারার মতো পাহাড় সমান বাঁধা জয়ের অনন্ত অনুপ্রেরণা। সে দিন বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অশ্রু-বারিসিক্ত জন্মভূমিতে সঙ্কটজয়ের বীজ রোপিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত অগ্নিশপথের রৌদ্রালোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল বাঙালি জাতি।

ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তাঁর অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাঁকে তাঁর পথ থেকে টলাতে পারেনি এক বিন্দু । শত প্রতিকূলতাতেও হতোদ্যম হননি কখনো। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বার বার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন, আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে।

আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তালাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সততা, মেধা, দক্ষতা ও গুণাবলিতে সমসাময়িক বিশ্বের অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। আপন কর্ম মহিমায় হয়ে উঠেছেন-নব পর্যায়ের বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা; হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কান্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার বাঙালির আশা-আকাক্সক্ষার বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথি। বিশ্ব রাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা-আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পিছিয়ে পড়া দেশ-জাতি জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র হিসেবে বিশ্বনন্দিত নেতা। বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা নীলকণ্ঠ পাখি মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী মানবতার মা, আত্মশক্তি-সমৃদ্ধ সত্য-সাধক। প্রগতি-উন্নয়ন শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল-মোহনা। এক কথায় বলতে গেলে সাগর সমান অর্জনে সমৃদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন।

শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৪২ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এ পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিলনা ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাঁকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। জনগণের ভালবাসায় অভিষিক্ত হয়ে টানা তৃতীয় বারসহ চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অগাধ প্রেম এবং অক্ষয় ভালোবাসাই হলো তাঁর রাজনৈতিক শক্তি। 


আরও খবর



দশমিনায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের প্রশিক্ষণ ও সনদ বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন দশমিনা(পটুয়াখালী) :

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় প্রশাসণের সার্বিক তত্ত¦াবধানে এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের দশদিন ব্যাপি প্রশিক্ষনের পর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় পরিষদ অডিটোরিয়াম হল রুমে সনদ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা এমপি।

বিশেস অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ সামছুন্নাহার খান ডলি, প্রশিক্ষক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাফর আহমেদ, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতিকুর রহমান, স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন প্রমূখ।

 সভাপতি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন উপজেলায় মোট আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওয়াতায় ২৬০ টি ঘর নির্মান করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আশ্রয়ন প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের সাভলস্বি করার লক্ষে জীবন মানউন্নয়নে  হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু, ছাগল, শাখ-সবজি, স্বাস্থ্য ও সেবা সহ দশদিন ব্যাপি বিভিন্ন বিষয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সনদ বিতরন করেন।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে ৬ কেজি গাজাসহ নারায়নগঞ্জের যুবক আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৬ কেজি গাঁজাসহ নারায়নগঞ্জের রাব্বি মৃধা (২১) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।  

 সোমবার (২৯ মে) রাত ৮ টার দিকে ভাইজোড়া শিশু হাসপাতালের মোড় থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। রাব্বি নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার কাশিপুর গ্রামের চুন্নু মৃধার ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।তার কাছে থাকা কাপড়-চোপড় বহনের একটি লাগেজের মধ্য হতে ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত গাঁজার স্থানীয় বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বলেন, রাব্বি মৃধা গাঁজার একটি বড় চালান নিয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে রাব্বি মোরেলগঞ্জ নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড থেকে ভাইজোড়ার দিকে যাবার পথে শিশু হাসপাতালের মোড়ে পুলিশের একটি দল তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 


আরও খবর