Logo
শিরোনাম

বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ |

Image

প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। ডায়রিয়া প্রতিরোধে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে খাবার পানির সাথে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সকল এলাকায় ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পাচ্ছে না শিশু ও নারীরাও। সময়মতো চিকিৎসা না দিতে পারলে এটি মারাত্মক হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। কেননা বড়দের চেয়ে শিশুদের শরীরের কোষের বাইরের পানি বা এক্সটা সেলুলার ফ্লুইড বেশি থাকে। ফলে ডায়রিয়া হলে সহজেই তাদের শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। পানিশূন্যতা তীব্র হলে শিশু অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। কখনো কিডনী বিকল হতে পারে।

আইসিডিডিআরবি’র সূত্রমতে, সম্প্রতি যে সংখ্যক ডায়েরিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যাই বেশি। গরমকালে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। ঠিকভাবে পানি ও লবণ পূরণ করা হলে, এটি কখনো গুরুতর আকার ধারণ করে না। বেশিরভাগ ডায়রিয়া এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইন খাওয়া, এমনকি এর চিকিৎসা নিয়ে এখনো রয়ে গেছে কিছু ভুল ধারণা।

বিশেষজ্ঞদের মতে উচ্চ রক্তচাপ আছে, এমন রোগীরা ডায়রিয়ার আক্রান্ত হলে ওরস্যালাইন খেতে বিভ্রান্তিতে ভোগেন। কেননা, স্যালাইনে লবণ আছে, তাদের আশঙ্কা ওরস্যালাইন খেলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এটি ভুল ধরাণা। প্রতিবার পাতলা পায়খানার সংগে শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। তা যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে, রোগীর পানিশূন্যতা, লবণশূন্যতা এমনকি রক্তচাপ কমে গিয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে, মৃত্যুও হতে পারে। ওরস্যালাইনে চিনি বা গ্লুকোজ থাকে, তাই ডায়েবেটিস রোগীরা খেতে ভয় পান।

অনেকে মনে করেন, ওরস্যালাইন খাওয়ার পরে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ওরস্যালাইনে যে সামান্য চিনি বা গ্লুকোজ আছে, তা অন্ত্রে লবণ শোষণের কাজে ব্যয়িত হয়। সুতরাং ডায়রেরিয়ার সময় ডায়েবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে ওরস্যালাইন খেতে পারবেন।

স্যালাইন কতোটুকু খেতে হবে তা নির্ভর করবে কতবার পাতলা পায়খানা হচ্ছে বা কতটুকু পানি হারাচ্ছেন তার ওপর। ডায়রিয়ার কারণে একজন মানুষ মাত্র কয়েক ঘণ্টায় এক থেকে দেড় লিটারের বেশি পানি হারাতে পারেন। সহজ কথা হলো, প্রতিবার পায়খানা হওয়ার পর স্যালাইন খাওয়া এবং অল্প করে সারা দিন বারবার খাওয়া। এর বাইরে সারাদিন পানি ও তরল খাবার যেমন-স্যুপ, ডাবের পানি ইত্যাদি খেতে হবে। অনেক সময় ফুড পয়জনিংয়ের কারণে বমি বা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। মানুষ স্বভাবতই ফার্মেসি থেকে বমি বা পাতলা পায়খানা দ্রুত বন্ধের জন্য ওষুধ খান, যা একেবারেই ঠিক নয়। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ খাওয়া ঠিক না, কারণ পয়জনিংয়ের ক্ষেত্রে বরং কিছু সময় বমি ও পাতলা পায়খানার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ পয়জন বের হয়ে যায়। সব ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়েটিক ওষুধ খাওয়া জরুরি নয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজন দেহের লবণ ও পানিশূন্যতা পূরণ করা। দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বারবার পাতলা পায়খানা করার ফলে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এর ফলে রোগী পানি শূন্য হয়ে পড়ে। সে কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। ডায়রিয়া শুরু হলে আধা সের/লিটার বিশুদ্ধ পানিতে এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন ভালোভাবে মিশিয়ে রোগীকে খাওয়াতে হবে। বয়স দুই বছরের নিচে হলে তাদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চা চামচ, দুই বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৪০ চা চামচ করে যতবার পাতলা পায়খানা হবে ততবারই খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। যে কোনো ওষুধ এবং পানের দোকানেও আজ খাবার স্যালাইনের প্যাকেট পাওয়া যায়। বানানো খাবার স্যালাইন ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত খাওয়ানো যায়। এরপর প্রয়োজন হলে আবার নতুন করে খাবার স্যালাইন বানাতে হবে। শিশুর ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ বেশি করে খাওয়াতে হবে। এছাড়া বড়দের স্বাভাবিক সবধরণের খাবার খাওয়াতে হবে। তবে তরল জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ভাতের মাড়, ডাবের পানি, চিড়ার পানি, লবণ-গুড়ের শরবত, খাবার স্যালাইন, বিশুদ্ধ খাবার পানি খাওয়াতে হবে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের জন্য পৃথক ইউনিট খোলা হয়েছে। সেখানে রোগীদের বিশেষভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বন্যা ও বর্ষণ জনিতরোগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বর্তমান মৌসুমে আমাদের দেশে সাধারণত তিন মাস থেকে ১২ বছরের শিশুরা ডায়রিয়া, কলেরা, জ্বর, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, আমাশয় ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়। কারণ একদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তন, অন্যদিকে অপ্রত্যাশিত বন্যা ও বর্ষণ। নিম্ন আয়ের পরিবারের লোকদের মধ্যে এ রোগ বেশী হয়ে থাকে। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারনে গরিব মা-বাবা শিশুদের প্রতি যত্নে দায়িত্বশীল হতে পারেন না। সঠিক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারে না। ফলে মারা যায় অনেক শিশু।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, হাত না ধুয়ে কোনো কিছু খেলে বা বাসি, পঁচা খাবার খেলেও ডায়রিয়া হতে পারে। অনেকেই ওয়াসার সরবরাহকৃত লাইনের পানি পান করে। পানির মাধ্যমে ডায়রিয়ার জীবাণু বেশি ছড়ায়। তাই পানি ফুটিয়ে পান করা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। আবার কেউ-কেউ রাস্তা-ঘাটে খোলা খাবার এবং শরবত খেয়েও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। বারবার পাতলা পায়খানা হলে, বমি হলে, ঝুঁকি না নিয়ে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীকে ভর্তি হতে হবে।

ডায়রিয়া একটি সাধারণ রোগ। আজকাল ডায়রিয়া বা কলেরায় মৃত্যুর হার খুবই কম। কিন্তু আক্রান্ত হলে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে, কার্যক্ষমতা কমে যায়। তাই সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমেরও উচিত ডায়রিয়া প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং টাটকা খাবার খেতে হবে। পঁচা ও বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। বাজারের খোলা খাবার খাওয়া যাবে না। বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রতি বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। এ সময় শিশু ও বৃদ্ধদের আটসাট পোশাক না পরে ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। পোশাক সুতির হলে বেশি ভালো হয়। মনে রাখতে হবে ’প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর।


সূত্র : বাসস


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে দিনমজুর পরিবারকে হত্যার উদ্যোশে গভীর রাতে বসতঘরে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে দিনমজুর মো. শাহীন হাওলাদারের বসতঘরে গভীর রাতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নিকটস্ত ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

  অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের দিনমজুর মো. শাহীন হাওলাদার প্রতিদিনের ন্যায় স্ত্রী নাজমা বেগমসহ শিশুদের নিয়ে রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে দিকে ঘরের মধ্যে ধোয়ায় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি হইলে আমার সন্তানেরা কাশি দিতে থাকে তখন স্ত্রীর ঘুম ভেঙ্গে যায়। পিছনের দিকে আগুন জ্বলতে দেখে ডাৎকচিকার দিলে আমিসহ পিতা ও স্থানীয়রা ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে নেয়। কাঠের বেড়া কেটে ১ ছেলে ও ২ মেয়েকে নিয়ে রের হই।  

দিনমজুর মো. শাহীন হাওলাদার বাদি হয়ে মো. আলমগীর গাজী, মো. রবিউর খানকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

দিনমজুর মো. শাহীন হাওলাদার ও স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, প্রতিবেশী মো. আলমঙ্গীর গাজীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ইতোপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ, থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে আলমঙ্গীর গাজীকে বিবাদী করে অভিযোগ দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করার পায়তারা করে আসছে। আমার স্বামীকে বিভিন্ন সময়ে মারধরও করেছে। তারই জের ধরে গভীর রাতে হত্যার উদ্যেশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দিনমজুর পরিবারের দাবি।  

এ বিষয়ে আলমঙ্গীর হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

   এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, শাহীন হাওলাদার ও আলমঙ্গীর গাজীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বসতঘরে আগুনের বিষয়টি শুনেছেন এবং সরেজমিনে গিয়েছিলেন।  

   এ বিষয়ে সন্ন্যাসী ফাঁড়ির এএসআই মাসুদুল আলম বলেন, টহলরত অবস্থায় ওই রাতেই শুনেছি বসতঘরে আগুন লাগার খবর। ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি কেরোসিনের বোতল উদ্ধার করেছি। 


আরও খবর



অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোবিপ্রবি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ |

Image

মো: সিনান তালুকদার, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি :

অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আসন্ন আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীরা জানান, নোবিপ্রবির ভলিবল দল গত  ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত  আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্ট বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে উঠার গৌরব অর্জন করে।দলটিকে সুযোগ দেওয়া হলে তারা আরোও ভালো করবে। অর্থের কারণ দেখিয়ে একটি সম্ভাবনাময় দলকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া অযৌক্তিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোবিপ্রবি  ভলিবল দলের এক খেলোয়াড় বলেন-আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে আগ্রহী এবং ভালো কিছু করার জন্য প্রস্তুত আছি।আর্থিক সংকট ও খেলার বাজেট না থাকার কারণে আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে পারছি নাহ,আমরা চাই প্রশাসন আমাদেরকে সহযোগীতা করে,যেন আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে পারি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন,গতবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্ট এ নোবিপ্রবি সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে,অথচ এইবার অংশগ্রহনে অনিশ্চিত।যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।

এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালক মো. রুবেল মিয়া বলেন - খেলা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা এইবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করবো না,এই বছর আমরা খেলার মাঠ সংস্কার ও পিচ বানানোর কাজ করায় আর্থিক সংকট এর কারনে এই সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়।এখন থেকে প্রতিবছর আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সবগুলো টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহণ নাহ করে আমরা রোটেশন করে তিন থেকে চারটি টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করবো।

উল্লেখ্য , আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফাইনালে অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে  আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্ট স্থগিত রয়েছে।


আরও খবর



ইসরায়েলে লেবাননের রকেট হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। লেবানন থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে।এক বিবৃতিতে হামাসের লেবানন শাখা জানিয়েছে, কিরিয়াত শমোনা এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্স। বলা হয়েছে, লেবানন থেকে ২০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।

আইডিএফ জানিয়েছে, হামাসের ছোড়া অধিকাংশ রকেট আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। কিছু রকেট খোলা জায়গায় পড়েছে। তাছাড়া পাল্টা হামলা চালানো হচ্ছে বলেও জানায় ইসরায়েলি বাহিনী।

এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় প্রায় প্রতিটি ভবন, স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে সাড়ে তিন কোটি টনের বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এক দুই বছরে এসব ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন এজেন্সি বলছে, এসব ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিতে এক দশকের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।

গাজায় এখনো যুদ্ধবিরতি নিয়ে সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। হামাস বা ইসরায়েলি বাহিনী এ বিষয়ে একমত হতে না পারায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধ শেষ হলে এসব ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি নাগরিকের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করাটাই হয়ে উঠবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এরই মধ্যে সেখানে ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আল-জাজিরা


আরও খবর



নাবিকদের নিয়ে আমিরাতের বন্দরে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ |

Image

সোমালিয়ান জলস্যুদের হাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯ দিন পর অবশেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়া বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভেড়ে জাহাজটি।

এসময় নাবিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর। এছাড়াও ১৫ সদ্যের প্রতিনিধি দলে আছেন কেএসআরএম (কবির) গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান আরাফাত।

এর আগে, রোববার (২১ এপ্রিল) এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছিল। কিন্তু বন্দরে জায়গা না থাকায় জাহাজটির বন্দরে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়।

কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। কিন্তু এই মুহুর্তে তারা চাইলে বাইরে আসতে পারবেন না। কারণ, আরব আমিরাতে প্রবেশের জন্য এখনও তাদের ভিসা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ভিসার জন্য আবেদন করা হবে।

জাহাজের মালিকপক্ষ জানায়, এখন জাহাজের কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর নতুন করে কার্গো ভর্তি করার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

এদিকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির আজমান প্রদেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজে ‍উঠে নাবিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় নিয়ে যেতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে সুবিধাজনক স্থানে জাহাজটি নোঙর করায় দস্যুরা। এরপর মুক্তিপণের বিষয়ে দেনদরবার শুরু হয়। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেলে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি তারা ছেড়ে দেয়।


আরও খবর



২০২৪ কোপায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল প্রতিপক্ষ কে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন : কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে গ্রুপ পর্বে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষই পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ‘এ’ গ্রুপে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিলি ও পেরুকে পেয়েছেন লিওনেল মেসিরা। গ্রুপের অপর দল  কানাডা।

আর ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়েকে। সঙ্গে যোগ দেবে কোস্টারিকা । আজ মায়ামিতে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ড্রয়ে এই গ্রুপিং চূড়ান্ত হয়।জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ফুটবলে সর্বোচ্চ এ প্রতিযোগিতা। টুর্নামেন্টের ৪৮তম এ আসরে খেলবে ১৬টি দল। দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) ১০ সদস্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের (কনক্যাকাফ) ৬ দল।


ড্রয়ে দলগুলোকে এমনভাবে ভাগ করা হয়েছে, যাতে একটি গ্রুপে চার দলই কনমেবলের না হয়, আর কনক্যাকাফের ৩ দল না হয়। গ্রুপিংয়ে আর্জেন্টিনা সঙ্গে পেয়েছে কনমেবলের পেরু ও চিলিকে। এ দুটি দলই ২০২৬ বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইয়ে খারাপ সময় পার করছে। ১০ দলের মধ্যে ৬ ম্যাচ শেষে চিলি ৮ নম্বরে ও পেরু ১০ নম্বরে অবস্থান করছে। 

এ ছাড়া উরুগুয়ে ‘সি’ গ্রুপে এবং ব্রাজিল ‘ডি’ গ্রুপে হওয়ায় এ দুটি দলের বিপক্ষে ফাইনালের আগে দেখাও হবে না আর্জেন্টিনার। গ্রুপে চতুর্থ দল হিসেবে কনক্যাকাফের কানাডা কে পাবেন মেসিরা। এখানকার ফেবারিট মেক্সিকো প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ইকুয়েডর, ভেনেজুয়েলা ও জ্যামাইকাকে। ‘সি’ গ্রুপে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। উরুগুয়ে ও বলিভিয়ার সঙ্গে আছে কনক্যাকাফের পানামা। ‘ডি’ গ্রুপে কিছুটা কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে ব্রাজিলও। 

এখানে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আছে কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে। কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার কাছে হেরেছিল ব্রাজিল। এ মুহূর্তে আঞ্চলিক বাছাইয়ে ব্রাজিল ৬ নম্বরে, কলম্বিয়া ৩ নম্বরে। অন্য গ্রুপসঙ্গী প্যারাগুয়ের অবস্থান সাতে। ব্রাজিলের সঙ্গে ‘ডি’ গ্রুপে যুক্ত হয়েছে কোস্টারিকা ।

২০ জুন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আর্জেন্টিনা খেলবে কানাডার বিপক্ষে। মায়ামিতে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জুলাই।


আরও খবর