Logo
শিরোনাম

বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করছে মিয়ানমার বাহিনী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনে সশস্ত্র সরকারবিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন অন্তত ২৮ জন পুলিশ ১০ জন সেনা সদস্য মঙ্গলবার এএ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত এক যুদ্ধ শেষে এই পুলিশ সেনা সদস্যরা তাদের অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানা গেছে

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন অবশ্য সেদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যকেপ্রোপাগান্ডাবলে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তারা পুরো দেশকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে এবং কারণেই এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তবে ঘটনার পরের দিন বুধবার রাখাইনের রাজধানী সিটওয়েতে কারফিউ জারি করেছে জান্তা। সিটওয়ের বিভিন্ন সড়কে ট্যাংক চলাচল করেছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন

আরাকান আর্মি বহু বছর ধরে রাখাইনের আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের জন্য যুদ্ধ করছে আরাকান আর্মি। গত মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (নাগ) অন্যতম সদস্য এই গোষ্ঠীটি। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সেনা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে লড়াই শুরু হয়েছে নাগের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর। এসব গোষ্ঠীর মধ্যে আরাকান আর্মিও রয়েছে

তিন সপ্তাহের এই সংঘাতে মিয়ানমারের কিছু শহর এবং সামরিক স্থাপনা দখল করেছে জান্তাবিরোধী জোট নাগের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী, যা ২০২১ সালে অভুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা আসা জান্তাকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মধ্যে ফেলেছে

মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে জাও মিন তুন জানান, বর্তমানে মিয়ানমারের শান, রাখাইন কায়াহ রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই চলছে সেনা পুলিশ সদস্যদের। সেসব লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদ্রোহী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন জান্তা মুখপাত্র

বাস্তব পরিস্থিতি অবশ্য তার দাবিকে তেমন সমর্থন করছে না কারণ চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী প্রদেশ চিনে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধের এক পর্যায়ে রণে ভঙ্গ দিয়েছেন মিয়ানমারের সেনবাহিনীর সদস্যরা

শুধু তা নয়, এই সেনা সদস্যদের মধ্যে অন্তত ৪৩ জন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে পালিয়ে গেছেন


আরও খবর



হিজবুল্লাহর ভয়ে লেবানন ছাড়ছে ইসরায়েলিরা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

হিজবুল্লাহর হামলার ভয়ে লেবানন সীমান্তবর্তী শহর ও বসতির ইসরায়েলিরা নজিরবিহীনভাবে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল-মায়াদিন নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, আল-জালিল-আল-আলা অঞ্চল থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদর দফতর পর্যন্ত সমস্ত শহর ও উপ-শহর হিজবুল্লাহর হামলার আশঙ্কায় খালি হয়ে গেছে। অসংখ্য ইসরায়েলি দক্ষিণের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি অবস্থানে হিজবুল্লাহর হামলার শুরু থেকেই লেবানন সীমান্তের দখলদার বাসিন্দারা বাসা-বাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু আল-জালিল এলাকার সব শহর খালি করে এভাবে পলায়নের ঘটনা নজিরবিহীন। গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলার জবাবে লেবাননের হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২৮ হাজারের মতো ইহুদি তাদের বসতি ছেড়ে পালিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পাশবিক বিমান হামলা শুরু করার পর ৮ অক্টোবর থেকেই উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহ আলাদা আলাদা বিবৃতিতে এসব হামলার কথা জানায়। ইসরায়েলের মেটুল্লা সামরিক ঘাঁটিতে মোতায়েন দুটি মারকাভা ট্যাংকের ওপর গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রথম হামলাটি চালানো হয়। এ আক্রমণে ট্যাংকে থাকা ইসরায়েলি সেনারা হতাহত হয়েছে।

অধিকৃত লেবাননের তারবিখা শহরে ইসরায়েলের একটি পদাতিক বাহিনীর ওপর দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হয়। এ হামলায়ও একাধিক ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়েছে। উত্তর ইসরায়েলের আরও কয়েকটি অবস্থানে বৃহস্পতিবার হামলা চালায় লেবাননের হিজবুল্লাহ।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১০,৮১২ জনে দাঁড়িয়েছে। যাদের মধ্যে ৪,৪১২ জন শিশু ও ২,৯১৮ জন নারী রয়েছেন। গাজা উপত্যকার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে অন্তত ১৫ লাখ বেসামরিক লোক হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনারা গাজার পাশাপাশি দক্ষিণ লেবাননেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ যুদ্ধ হচ্ছে।

 সূত্র : আল-জাজিরা, প্রেস টিভি, আল-মায়াদিন


আরও খবর



জলবায়ু মোকাবিলায় ৫ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু বাস্তুচ্যুতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের চলাফেরায় যে প্রভাব পড়ছে তা মোকাবিলায় পাঁচটি পরামর্শ দেন তিনি।

২৮ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর সদর দপ্তরে তিন দিনব্যাপী ১১৪তম অধিবেশনে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব: সমাধানের জন্য বৈশ্বিক আহ্বান শীর্ষক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বেশিরভাগ জলবায়ু স্থানচ্যুতি জাতীয় সীমানার মধ্যে এবং কিছু ভয়ানক পরিস্থিতিতে সীমান্তের ওপারে ঘটে। এ ধরনের পরিস্থিতি যাতে মানবিক সংকটে পরিণত না হয় সে জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ও সংহতি প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা বাস্তুচ্যুত বা আটকে পড়েছেন তাদের মৌলিক পরিষেবা, সামাজিক সুরক্ষা এবং জীবিকার বিকল্পগুলোতে প্রবেশাধিকার থাকা দরকার। তাদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের ওপর বিরূপ প্রভাবগুলোও একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতিতে মোকাবিলা করা দরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, এটি অনুমান করা হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তন ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২১৬ মিলিয়ন লোককে বাস্তুচ্যুত করতে পারে, এর মধ্যে ৪০ মিলিয়ন এককভাবে দক্ষিণ এশিয়ার। বাংলাদেশে আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, ঘন ঘন বন্যা এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড় তাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এ ধরনের স্থানচ্যুতি আমরা যা ভাবি তার চেয়ে দ্রুত গতিতে ঘটছে বলে সতর্ক করেন তিনি।

বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এখন মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আগত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান করছে। এই লোকেদের মধ্যে কিছু লোক পাচার নেটওয়ার্কের শিকার হয় যার সঙ্গে সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। এ ধরনের মিশ্র অভিবাসন প্রবাহ জলবায়ু গতিশীলতার সমস্যাটিকে আরও বেশি সমস্যাযুক্ত করে তোলে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আন্তর্জাতিক আলোচ্যসূচিতে উচ্চ স্থান দেওয়া উচিত বলেও তিনি যোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিষয়টির কার্যকর সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে আইওএম এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে। আমি নিশ্চিতবোধ করছি যে অনেক ছোট দ্বীপের উন্নয়নশীল দেশগুলোও এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা সন্তুষ্ট যে কপ-২৮, জিএফএমডি, এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরাম এটিকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে সরকার সম্পদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ শুরু করেছে। আমার অগ্রাধিকারভিত্তিক আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাস্তুচ্যুত ৪,৪০০ পরিবারকে নিরাপদ আবাসন প্রদানের জন্য আমরা কক্সবাজারে ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করছি।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের চলাফেরায় যে প্রভাব পড়ছে তা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচটি পরামর্শ হলো

প্রথমত, আমাদের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অধিকার-ভিত্তিক পদ্ধতিতে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, জলবায়ু অভিবাসীদের অভিঘাত এবং ক্ষতির প্রসঙ্গে-নির্দিষ্ট সমাধান খুঁজে বের করার জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার আলোকে আমাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে।

তৃতীয়ত, অভিবাসনকে জলবায়ু অভিযোজন কৌশল হিসেবে দেখার জন্য আমাদের স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রস্তুত হতে হবে যেখানে এটি সর্বোত্তম সম্ভাব্য সমাধান হিসাবে প্রমাণিত হবে।

চতুর্থত, জলবায়ু অভিবাসী, বিশেষ করে নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মান পর্যালোচনা করতে হবে।

পঞ্চমত, সংকীর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে এটির জন্য একটি গঠনমূলক অবস্থান তৈরিতে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিষয়ে আমাদের উন্নত গবেষণা ডেটা এবং প্রমাণের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা উচিত।

এ বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্পটি স্থানীয় মাছ ধরা, পর্যটন এবং বায়ু শক্তি কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সূত্র: বাসস

 


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শীতে শুধু ত্বকের সমস্যা নয়, সর্দি-কাশি, জ্বরেও কাবু হয়ে পড়েন অনেকে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। অন্য দিকে, গোটা শীতকাল জুড়ে থাকে নানা উৎসবের আয়োজন। এসব উদযাপন করতে হলে শারীরিক ভাবে ফিট থাকা প্রয়োজন। এজন্য খাওয়াদাওয়ায় একটা বাড়তি নিয়ম মেনে চলতে হবে। গোটা শীতকাল যাতে সর্দি, কাশি আর গলাব্যথায় না কেটে যায়, তার জন্য নিয়ম করে কয়েকটি খাবার খেতে হবে। যেমন-

১. শরীরে ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে সাইট্রাসজাতীয় ফলের জুড়ি নেই। পাতিলেবু, মোসম্বি ও কমলা যেমন জোগান দিতে পারে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর, তেমনই মেটাতে পারে ফাইবারের ঘাটতি। পেয়ারাতেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত এসব ফল খান।

২.অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ও ক্যানসার প্রতিরোধী গুণে সমৃদ্ধ পালং শাক শীতকালে সত্যিই হয়ে উঠতে পারে সুপার ফুড। ভিটামিন ও খনিজ তো রয়েছেই, তার সঙ্গে বাড়তি ওজন কমাতেও অত্যন্ত কার্যকর সবুজ পালং শাক।

৩. শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজি পাওয়া যায়। বিট, গাজরের মতো শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে ও খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।


আরও খবর

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৬০০ ছাড়ালো

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




বুধবার থেকে আসছে টানা অবরোধ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

পঞ্চম দফায় আবার ৪৮ ঘণ্টার টানা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। এক দফা দাবিতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আগামী বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ফের ৪৮ ঘণ্টা রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে তারা।

তবে জনস্বার্থে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) থাকবে না এ কর্মসূচি। সোমবার বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিবৃতির মাধ্যমে নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা আসবে।

বিএনপির একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


আরও খবর



১৭ দিনে ১৩ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশে ডলারের তীব্র সংকট চলছে। ফলে ব্যাংকগুলো নিয়মিত ঋণপত্র (আমদানি-এলসি) খুলতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে বেশি দামে প্রবাসী আয় রেমিট্যান্স কেনার সুযোগ পাচ্ছে ব্যাংকগুলো। এতে করে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি নভেম্বরের প্রথম ১৭ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১১৮ কোটি ৭৭ হাজার ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রার যার পরিমাণ ১৩ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১১ টাকা ধরে)। সে হিসেবে দৈনিক আসছে ৬ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ১৭ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৭ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অ‌ক্টোব‌রে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে কমেছিল। ডলার সংকটের কারণে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ে বড় হোঁচট খায়। ওই মাসে গত সাড়ে ৩ বছর বা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় আসে বাংলাদেশে, যা পরিমাণে ১৩৪ কোটি ডলার। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত মার্চের পর থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে সংকট আরও প্রকট হয়। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন-অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এর ওপর। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় তারা সভা করে ডলারের রেট নির্ধারণ করে আসছে।

সবশেষ ব্যাংকগুলোর ঘোষণা অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনার ক্ষেত্রে ডলারের ঘোষিত দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজকে আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১১ টাকা। তবে কোনো ব্যাংকের প্রয়োজনে চাইলে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ সর্বোচ্চ দাম হবে ১১৬ টাকা। তবে আমদানিকারকদের কাছে ব্যাংকগুলোকে ১১১ টাকায় বিক্রি করতে হবে; এর বেশি নেওয়া যাবে না।

কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১২৫ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১২৫ টাকা পর্যন্ত।


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩