Logo
শিরোনাম

বিএনপি এলে হতে পারে পুনঃতফসিল

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে প্রয়োজনে আইন দেখে ভোটের সময় বাড়ানোর বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে নির্বাচন কমিশন তাদের স্বাগত জানাবে। ভোটের সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আইন মেনে তাদের জন্য নির্বাচনে আসার পথ তৈরি করা হবে।

২০ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার শরিকরা। অন্যদিকে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের মিত্ররা তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা করেছেন।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে তারা। এ অবস্থায় তফসিল ঘোষণা হলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হলে নির্বাচনের স্বার্থে ভোটের তারিখ পেছানোর বিষয়টি কমিশন ভেবে দেখবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে আইন দেখে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। ভোটের তারিখ পেছানোর প্রয়োজন হলে ভেবে দেখবে কমিশন।


আরও খবর



মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) জানিয়েছেন, মাদকের গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তাদের এ নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

উপদেষ্টা বলেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে সাফল্যের ওপর নির্ভর করে অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, দুর্নীতি না কমাতে পারলে এ সরকারের সাফল্য আসবে না। তিনি এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুস, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। উপদেষ্টা বলেন, মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

উপদেষ্টা আরও বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ইউনিফর্ম আছে কিন্তু অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই। তাই সফল অভিযান পরিচালনার স্বার্থে তাদেরকে অস্ত্র দেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া যেসব অভিযান পরিচালনার সময় হামলার আশঙ্কা রযেছে, সেখানে পুলিশসহ অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি পরামর্শ প্রদান করেন

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি প্রমুখ


আরও খবর

লিগ্যাল নোটিশ

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




এক মাস অতিবাহিত হলেও দিরাইয়ে মুতিয়া হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার হয়নি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : :


৫ সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরও সুনামগঞ্জের দিরাই থানায় বিধবা মুতিয়া বিবি (৮০) হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এ অভিযোগ জানান, দিরাই থানার জগদল ইউনিয়নের পুকিডহর গ্রামের মৃত আসাদ খান ও নিহত বিধবার পুত্র মোঃ ফরমান খান। নিহত মুতিয়া বিবির পুত্র ফরমান খান (৫৯) একই দিন প্রতিপক্ষের বন্দুকের গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হন।


সেদিন ছিল সোমবার ২৯ জুলাই বিকেল ৩ ঘটিকা। ওইদিন পুকিডহর গ্রামে প্রতিপক্ষরা গ্রামের দুদিক থেকে ঘেরাও করে দা,লাঠি,রামদা,ছুলফিসহ দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুক দ্বারা গুলি করে ফরমান খানসহ তার পরিবারের মোট ২১ জনকে আহত করে। আহতদেরকে ঘটনার পরপরই দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে সিলেটস্থ এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।


সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরমান খানের বিধবা মাতা মুতিয়া বিবি (৮০) একইদিন রাত ১১টায় মারা যান। এ ঘটনায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার নায়নগর গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের পুত্র দুলাল মিয়া (৪১) এবং পুকিডহর  গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের পুত্র শেলাল আহমদ,গুল আহমদ ও আবদাল নূর,মৃত রছদ খানের পুত্র নজমুল খান ও সুয়েব খান,আব্দুল আওয়ালের পুত্র মনাফ,রুপ উদ্দিন,খোকন ও ছাইদ উল্লা,মৃত মাহমুদ খানের পুত্র কামাল খান,এলমান খানের পুত্র নুহান খান,ছমরু খানের পুত্র আনছার খান ও দরছত খান,নাজির খানের পুত্র রুপন খান ও ইছাক খান,মৃত শফিক উল্লার পুত্র সৈয়দ উল্লাহ,মুছন উল্লা ও শরিফ উল্লাহ এবং মৃত আমিন খানের পুত্র আবুবকর সায়েদ খান ও সালামত খানসহ মোট ৩৭ জনকে আসামী করে ফরমান খান দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪ (জিআর ১২০/২৪) তাং ১৬/০৮/২০২৪ইং।


কিন্তু ঘটনার ২৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যা মামলার কোন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি। বাদী ফরমান খান বলেন, আমার চাচাতো ভাই সাবাজ খান আর ভাতিজা আলম খান ছাই দিয়ে হাওরে মাছ ধরতে গেলে প্রতিপক্ষরা নৌকাযোগে দলবেধে তাদের কাছে গিয়ে মাছ ধরতে নিষেধ করে। এতে মৌখিক বাদানুবাদের জের ধরে আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে প্রভাবশালী ইউপি সদস্য দুলাল মিয়ার নির্দেশে তারা একতরফাভাবে আমাদের বসতবাড়ীর দুদিকে ঘেরাও করত: অতর্কিত হামলা চালায়। মায়ের খুনের ঘটনায় দুলাল মিয়াকে প্রধান আসামী করে মোট ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আমি দিরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।


কিন্তু পুলিশ প্রধান আসামী দুলাল মিয়াকে বাধ দিয়ে গত ১৬ আগস্ট মামলাটি এফআইআর করেছে। জানা  গেছে, পুকিডহর গ্রামের প্রবাসী আরজু খান ও হোসেন খানের মধ্যে জমিজমা ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। দু’পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও রয়েছে। গত বছরের ২৫শে অক্টোবর দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে আরজু খানের পক্ষের দুলাল মিয়া নামের এক যুবক খুন হন।


দিরাই থানার ওসি মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,বিদেশী টাকার গরমে পুকিডহর গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ আছে। তবে বৃদ্ধা মুতিয়া বিবি খুনের অভিযোগের বিষয়টি সঠিক বলেই আমরা তদন্ত জেনেছি এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করেছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দিরাই থানার এসআই মোঃ রাজু মিয়া বলেন, আমরা হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।



আরও খবর



নানকের বাসায় তল্লাশি, পাওয়া গেল গুরুত্বপূর্ণ নথি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


বিডি ডেস্কঃ

 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে শিক্ষার্থী ও সেনাবাহিনী।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার শ্যামলী রিং রোড সংলগ্ন টিক্কা পাড়ার হাজী চিনু মিয়া লেনের আটতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলায় বুধবার সন্ধ্যায় ৭টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিলেন। 

সেখানে উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বাসা তালাবদ্ধ বা সিল করার জন্য তারা পুলিশকে ফোন করেছেন কিন্তু পুলিশ রিসিভ করেনি। উৎসুক জনতা ভিড় করায় নিরাপত্তার স্বার্থে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেননি।

শিক্ষার্থীরা উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর পর তল্লাশি শুরু হয়। সকালে ও দুপুরে কয়েকটি গাড়িতে বস্তা থেকে শুরু করে অনেক কিছু নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা সন্দেহ করি কিছু থাকতে পারে। সে জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমরা তল্লাশি শুরু করি।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, নানকের বাসা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বা টাকা-পয়সা পাওয়া যায়নি।  আমরা অনেক বাড়ির দলিল পেয়েছি, যেগুলো অন্যের নামে। চাকরির ক্ষেত্রে তিনি এবং আওয়ামী লীগের লোকজন যে সুপারিশ করতেন, সেই প্রমাণ আমরা তার বাড়ি থেকে পেয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের টাকা-পয়সা কোথায় থেকে আসত, কোথায় যেত এবং কার কাছে কত টাকা যেত সেই লিস্ট ভেতরে পাওয়া গেছে।

তারা আরও বলেন, প্রতিটি কাগজ আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখেছি, লকারে কিছু পাওয়া যায়নি। মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের কিছু ছবি পাওয়া গেছে বাসার ভেতরে। 

ভবনের নিরাপত্তাকর্মী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধানমন্ডির একটি বাসায় থাকতেন নানক। মাঝে মাঝে মোহাম্মদপুরের এই অ্যাপার্টমেন্টে আসতেন। তবে গত ৫ আগস্টের পরে আর আসেননি। গত নির্বাচনের সময় ওই ফ্ল্যাটটি মোহাম্মদপুর আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ক্যাম্প অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ইসরায়েলের সামরিক ব্যারাকে সরাসরি হামলার দাবি হিজবুল্লাহর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image




Loaded13.91%
Remaining Time 9:37

ইসরায়েলের সামরিক ব্যারাকে সরাসরি হামলার দাবি করেছে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রামোত নাফতালি অঞ্চলে সামরিক ব্যারাকে কাতিউশা রকেট দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি হিজবুল্লাহর। সেইসঙ্গে অধিকৃত গোলান মালভূমির জাউরাতে বেশ কিছু আর্টিলারি সাইটেও হামলা চালানো হয়েছে। 

হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়ছে, বুধবার রাতে এসব অঞ্চলে হামলা চালানো হয়েছে। তবে হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে- সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

এ ছাড়া এসব হামলা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। 

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সেইসময় হিজবুল্লাহ হুঁশিয়ারি দেয়, গাজায় হামলা বন্ধ না হলে ইসরায়েলের প্রতি পাল্টা হামলা চালিয়ে যাবে তারা। এরপর থেকে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত আছে


আরও খবর



দুর্নীতির অপর নাম প্রকৌশলী জাহেদুল, বদলির দাবি কর্ণফুলী ছাত্র-জনতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী’র বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এমনকি উপজেলা এলজিইডি অফিসের কার্য সহকারি মো. জসিম উদ্দিন ও মো. শেখ নাছির উদ্দিনকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন তিনি একটি বেপরোয়া লুটপাট সিন্ডিকেট।

এই এক প্রকৌশলী ও দুই সহকারি মিলে সরকারি উন্নয়নমূলক নানা প্রকল্পে গোপনে পছন্দনীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদারদের কাজ ভাগ বন্টন করে দিয়ে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরি করে সরকারি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এমনকি ঠিকাদারদের থেকে উপরি নিয়ে নিম্নমানের উন্নয়ন কাজ করিয়ে একই প্রকল্প কাগজে কলমে একাধিকবার দেখিয়েছেন বলেও স্থানীয়দের মন্তব্য পাওয়া গেছে।

কেননা, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের সাথে এই তিনজনের এতটাই সখ্যতা ছিলো যে শত অনিয়ম করলেও কোন জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ তোলার সাহস পায়নি। তারা যেটাই বলেছেন সেটাই সফল করেছেন। ফলে, গত ৮ বছরে অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা কোন সন্তোষজনক প্রকল্পের দেখা পাননি।

সূত্রের দাবি, এই এলজিইডি প্রকৌশলী জাহেদুল আলম কর্ণফুলী উপজেলায় যোগদানের পর থেকে অতীত রেকর্ড ভেঙে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। তার হাল আমলের গত ১৬ মাস ও বিগত অর্থ বছরের পিআইসি ও আরএফকিউ প্রকল্প তালিকা যাচাই-বাছাই করলে সব দুর্নীতি অনিয়ম পরিলক্ষিত হবে। পাশাপাশি এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বদলি চেয়েছেন কর্ণফুলীর অধিকাংশ লোকজন ও ছাত্র জনতা।

যদিও উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কর্ণফুলীতে যোগদানের দেড় বছরের অধিক সময় হলেও বাকি দুই কার্য সহকারি জসিম ও নাছির একই উপজেলা কর্ণফুলীতে বিগত ৬ বছর যাবৎ কর্মরত রয়েছেন। এরা উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগি হিসেবে প্রকল্পে লুটপাটের নেপথ্য নায়ক ছিলেন বিগত বছরে।

কিন্তু উপজেলা সৃষ্টির গত ৮ বছরে কর্ণফুলী এলজিইডি অফিসে হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি। এর মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এসব ঘটনাকে লুটপাটের মহোৎসব হিসেবে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব অপকর্মের নেপথ্যে ছিল উপজেলা চেয়ারম্যান, বিগত ও বর্তমান সময়ের এলজিইডি প্রকৌশলী ও গুটিকয়েক অফিস সহকারি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক কর্মকর্তা জানান, 'ক্ষমতার দাপটে উপজেলা চেয়ারম্যান সব অপকর্মকে নির্বিঘ্ন করতে কলকাঠি নাড়তেন। মন্ত্রীর ভয় দেখাতেন।'

সম্প্রতি, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় আসা বরাদ্দ ১৮টি প্রকল্পে ৩৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকার নামে বেনামে প্রকল্প বিলিয়েছেন। অথচ প্রকল্পগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। কিন্তু কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে এ অর্থ তোলা হয়েছে গত ২৪ জুন। উন্নয়নের নামে করা এসব পিআইসি (প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি ) প্রকল্পগুলো ক্রস চেক করে পুনরায় স্বচ্ছ ভাবে কাজ করার দাবি জানিয়েছেন কর্ণফুলীবাসী।

এছাড়াও জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দের আওতায় রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কারের বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকার কাজ দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গোপনে ভাগাভাগি করে দিয়েছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল। ১০ প্রকল্পে পুরো ৫০ লাখ টাকাই দুই ঠিকাদারের লাইসেন্সে দিয়ে মোটা অঙ্কের সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এমনকি গত ১১জুন একই অর্থ বছরে আসা সাবেক সংসদ সদস্যের নামে উপজেলা উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দের ২৫ লাখ টাকা তিন প্রকল্পের নাম দিয়ে সড়কের কাজ না করেও প্রকল্প সম্পন্ন দেখিয়ে গত ২৪ জুন ২৫ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। দুদক অভিযান চালিয়ে গত ৮ বছরের অডিট প্রতিবেদন চাইলে ভয়ঙ্কর তথ্য উদঘাটন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

আরো জানা গেছে, উপজেলার খোয়াজনগরের ১৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার কাজ করলেও এই এলজিডি কর্তা ছিলেন নীরব।

এছাড়াও গত বছরে ইউজিডিপি (জাইকা প্রকল্প) অর্থায়নে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ক্রয় ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন নির্মাণে গত ২০২০ সালে আসা ৪০ লাখ টাকা ও সম্প্রতি ইউএনও বাসভবনের প্রাক্কলনসহ আনুমানিক ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে। তার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতেও মুখ খুলছে না এলজিইডি প্রকৌশলী ও কর্মচারীরা।

এ বিষয়ে জানতে কর্ণফুলী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়েও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, ‘আমি যোগদান করেছি মাত্র কয়েক মাস হলো। যদি কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন যথাযথভাবে না হয় তাহলে বিধি মোতাবেক অবশ্য আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

চট্টগ্রাম এলজিইডি অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান আলীর মুঠোফোনেও একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভ হয়নি। পরে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সুমন তালুকদার এর কাছে কর্ণফুলী উপজেলা প্রকৌশল অফিসের নানা অনিয়ম আর দীর্ঘদিন দুই কার্য সহকারি কর্মরত থাকার বিষয়টি জানালে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানাবেন বলে নিশ্চিত করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২-এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘উপজেলার যেকোন সরকারি প্রকল্পে লুটপাট ও সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতি করলে যে কেউ দুদকে লিখিত অভিযোগ দিতে পারে। দুদক তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় এলজিইডি কার্যালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু জাফর মো. তৌফিক হাসান বলেন, ‘বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে কোন অনিয়ম থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


আরও খবর