Logo
শিরোনাম

বিএনপির আন্দোলনের পতন ঘটবে ১০ ডিসেম্বর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :  ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহাসমাবেশ থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ঘণ্টাধ্বনি বাজানো হবে যে হুঁশিয়ারি বিএনপি নেতারা দিচ্ছেন তাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। উল্টো সেদিন বিএনপির আন্দোলনের পতন ঘণ্টা বাজবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে আগামী ১০ ডিসেম্বর। কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের এক বক্তব্যকে ঘিরে।

কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশের সব কিছু পরিচালিত হবে খালেদা জিয়ার কথায়। একইসঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। তাদের কোনো কোনো নেতা বলছেন যে, তাদের নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।

বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যকে ঘিরে অনেকের মধ্যে যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো আগামী ১০ ডিসেম্বর কিংবা তার পরবর্তী সময়ে দেশে কি কোনো ঘটনা ঘটতে চলেছে?

শুক্রবার ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপির নেতাদের বক্তব্যকে পাত্তা না দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির আন্দোলনের পতন ঘণ্টা বাজবে।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে যারা ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছে তাদের চেয়ে আর কেউ প্রতিহিংসাপরায়ণ নেই বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপলক্ষে ৪ ও ৫ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (আইইবি) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি।


আরও খবর



‘গঙ্গাসহ ৫৪ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে গড়িমসি করছে ভারত’ : ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারত গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, শুধু ফারাক্কা বাঁধ নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে তারা সব সময় গড়িমসি করেছে এবং তারা এই সমস্যার সমাধান করেনি, করছেও না।

তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে এই যুক্তি; করছি, এই হয়ে যাবে, এখন ভালো অবস্থা আছে, এই করে করে কিন্তু সরকার কাটিয়েছে।

ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।


এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা বরাবরই লক্ষ করেছি, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই আমাদের প্রতিবেশী—যার কাছে আমাদের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি সব সময়। তার পরেই আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশকে একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার জন্য সব সময় তারা তাদের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে।

এই ব্যর্থতার মূল কারণ হচ্ছে, যে সরকার এখন আছে, সেই সরকার পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার। তারা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে প্রকৃত অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ তারা তাদের (ভারতের) কাছে অত্যন্ত দুর্বল।

বাংলাদেশের মানুষকে তার অধিকার আদায়ের জন্য তার নিজেকেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে আটক এবং তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে মাত্র তিনদিনে ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো সেই নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। আমাদের নেতাকর্মী যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছেন, সাজা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।


মাফিয়া রাষ্ট্র তৈরি করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখনকার সরকারের মদদপুষ্ট যেসব ব্যবসায়ী আছেন, তারা সবাই তথাকথিত সরকারের গুণকীর্তন গায়—একটা মাত্র উদ্দেশ্য, এই সরকার টিকে থাকলে তারা তাদের লুণ্ঠন, বিদেশে টাকা পাচার করে সম্পদ তৈরি, তারা সেগুলো করতে পারবেন।

ফখরুল বলেন, 'ফারাক্কা দিবস আমাদের ওই কথাই মনে করিয়ে দেয়, জনগণের শক্তির কাছে বড় শক্তি আর কিছু নেই। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন জনগণের মানুষ। তিনি সব সময় জনগণের কথা বলেছেন, জনগণের জন্য সংগ্রাম করেছেন। কোনো দিন ক্ষমতার আশে পাশে যাননি।

তিনি বলেন, ফারাক্কা দিবস আমাদের জন্য একটা প্রতীক, আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতীক। আজকে সারা বাংলাদেশের মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের যে লক্ষ্য; বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, সেই লক্ষ্যে যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি, অবশ্যই আমরা সেখানে জয়লাভ করব।


আরও খবর



রাণীনগরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরসহ বিভিন্ন জেলায় চলছে দাবদাহ সেইসাথে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টির প্রত্যাশায় রাণীনগরে ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায় উপজেলা সদরের পূর্ব বালুভরা পাবলিক ঈদগাহ মাঠের আয়োজনে রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন নওগাঁর ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তফা আল আমিন।

নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় করা হয় বিশেষ মোনাজাত। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে দাবদাহ ও প্রাকৃতিক দুর্ভোগ  থেকে মুক্তি চান মুসল্লিরা। একইসাথে, বৃষ্টির মাধ্যমে সারাদেশে শীতল স্পর্শ বুলিয়ে দেয়ার দোয়াও করেন তারা। নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিরা বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে প্রকৃতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এজন্য আল্লাহর রহমতের প্রাকৃতিক দুর্ভোগ থেকে মুক্তিসহ বৃষ্টি প্রার্থনা করেন তারা।  


আরও খবর



রাত ৮টার পর শপিংমল বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

চলমান দাবদাহ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সেগুলো হলো-

রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিংমল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করা।

এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর উপরে রাখা। দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকা। বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তিতে যে কোনো অভিযোগ বা তথ্যের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের হট লাইন নম্বর ১৬৯৯৯ যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।


আরও খবর



সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। এসব দুর্ঘটনার সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে নিরাপদ সড়ক চাই। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে। যা দেশে গুরুত্ব সহকারে পালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কি ধরনের শাস্তি হবে তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে। আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি।

একটি আধুনিক শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের কোনো শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকাকে যানজট মুক্ত করার। সেজন্য তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার চালুর ঘোষণা দেন। এগুলো দৃশ্যমান হয়েছে এবং যানজট অনেকখানি হালকা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের জুন মাসে ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।

দুর্ঘটনা রোধের কারণ বের করা দরকার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত যতটা দেখছি সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ সচেতনতার অভাব। দক্ষ চালকের হাতে যাতে স্টিয়ারিং থাকে আমরা সেই ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিষয়ে খেয়াল রাখছি। চালকদের প্রশিক্ষণের অভাবও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকের মোবাইল ব্যবহার, অপরিকল্পিত ভঙ্গুর সড়ক, ওভার ক্রসিং, অতিরিক্ত গতি, ওভার ব্রিজের স্বল্পতা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতিও আমরা মাঝেমধ্যে দেখি।

প্রধানমন্ত্রীর ছয়টি নির্দেশনার পর তিনি আরও ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশ কমে যাবে বলে আশা করছি।

নিজের সড়ক দুর্ঘটনার স্মৃতি স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, রোড এক্সিডেন্টে আমার সব আশা স্তম্ভিত হয়েছিল। মহান আল্লাহ আমার এক রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং এই রাজনীতির রাস্তা ওপেন করে দিয়েছিলেন। সেই জন্য বোধহয় আমি আজকে এ জায়গায় আসতে পেরেছি।


আরও খবর



নওগাঁয় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদকদ্রব্য, ধ্বংস হচ্ছে তরুন ও যুব সমাজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরে হাত বাড়ালেই মিলছে বিভিন্ন মাদক দ্রব্য। প্রাপ্যতা সহজলভ্য হওয়ায় কৌতুহলবশত না বুঝে মাদ্রকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে মরন ফাঁদ নামক মাদকের নীল ছোবলে যুক্ত হচ্ছে তরুন সহ যুব সমাজ। তরুন ও যুব-সমাজ নিয়ে চরম উদ্বিগ্নের মধ্যে রয়েছে অভিভাবকরা। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ার কারণে দ্রুত মাদক কারবারীরা এক স্থান থেকে অন্যস্থানে মাদক দ্রব্য সরবরাহ করায় উদ্বেগের শঙ্কা আরো বাড়িয়েছে। 

অপরদিকে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দলীয় ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিরা পুরো উপজেলাকে ঠেলে দিচ্ছে মাদকের অন্ধকার জগতে। বর্তমানে হাত বাড়ালেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, চোলাই মদ, দেশি মদ, রেক্টিফায়েড স্পিরিট, তাড়ি, বুপ্রেনরফিন, এম্পল পাওয়া যাচ্ছে। তবে গাঁজা ও ইয়াবার বিস্তার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঝে মধ্যে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন চিহ্নিত কিছু মাদক কারবারীদের আটক করে জেলে দিলেও আইনের ফাঁক দিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে বেরিয়ে এসে আবার দেদারছে শুরু করে মাদকের কারবার। চিহ্নিত মাদক কারবারীদের ও মাদকের সম্রাটদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেছেন উপজেলার সচেতনমহল।  

আবার মাদকের সঙ্গে সঙ্গে জুয়া, পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডও বেড়েছে সমান তালে। এতে করে এলাকার স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ যুবসমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরছে। বহিরাগত ও স্থানীয় মাদকসেবী এবং বখাটেদের আনাগোনায় অতিষ্ঠ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। অনেকেই মাদকের কারবার করে হঠাৎ করেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হওয়ার কারণে স্থানীয়রা তাদের ভয়ে কোন প্রতিবাদও করতে পারে না।    

তথ্যঅনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পূর্বদিকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও উত্তর দিকে আদমদীঘি এবং সদর থানা। আবার দক্ষিণ দিকে নওগাঁর আত্রাই, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার কালীগঞ্জ এলাকা ও পশ্চিম দিকে মান্দা উপজেলা। এমন সুযোগে উপজেলার পারইল ইউনিয়নের পারইল বাজার, বগারবাড়ি মোড়, ভান্ডারগ্রাম বাজার, বিলকৃষ্ণপুর বাজার, ডুবাগাড়ী বাজার, কালিগ্রাম ইউনিয়নের ভেটি এলাকা, আবাদুপুকুর বাজার, করজগ্রাম, রাতোয়াল বাজার, পাশের বগুড়ার আদমদীঘির চাঁপাপুর এলাকা, একডালা ইউনিয়নের অধিকাংশ জনগুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো, বড়গাছা ইউনিয়নের বড়গাছা বাজার, মালশন-গিরিগ্রাম বাজার, শলিয়া, ভাটকৈ বাজার, বিভিন্ন আশ্রয়ণপল্লীর এলাকা, সদর উপজেলার লোহাচ’ড়া বাজার, গহেলাপুর বাজার, সিম্বা বাজার এলাকা, রাণীনগর বাজার এলাকার সুইপার পট্টি (মেথর পট্টি), রেলস্টেশন ও রেলগেইট এলাকা, হাতিরপুল এলাকা, বটতলী মোড়, চোরপট্টীপাড়া, সদর ও আদমদীঘি উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকা চকউজির স্কুলের পুরো এলাকা, উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ স্থানগুলো বাহাদুরপুর গ্রামের বাজার, হাসপাতাল মোড়, ত্রিমোহনী হাট, মন্ডলের ব্রীজ, কুবরাতলী মোড়, এনায়েতপুর মোড়, কুজাইল বাজার, গোনা ইউনিয়নের বেতগাড়ী বাজার, গোনা বাজার এলাকা, আত্রাই উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকা প্রেমতলী মোড়, পাগলীর মোড়, রেললাইন সংলগ্ন নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়, মিরাট ইউনিয়নের মিরাট বাজার, আত্রাই ও মান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকা বান্দাইখাড়া এলাকাসহ পুরো উপজেলাতেই নতুন করে জমে উঠেছে বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের বেচা-কেনা।

উপজেলার ভেটি গ্রামের কালাম সরদার (ছদ্মনাম) বলেন, বেশকিছুদিন যাবত ভেটি গ্রাম এলাকাটি অনেকটাই মাদকমুক্ত ছিলো কিন্তু সম্প্রতি পুলিশের সোর্স সেজে চিহ্নিত মাদক কারবারীরা পুনরায় মাদকের রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে। কোন কিছু বলতে গেলেই পুলিশের ভয় ও হয়রানী মূলক মামলার ভয় দেখায়। মাঝে মধ্যেই সম্ভবত সিভিল পোষাকে পুলিশের লোকেরা এসে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে যায়। হাতের কাছে পাওয়ায় মাদকের নীল নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুন ও যুব সমাজ। সন্তানেরা বড় হয়ে গেলে আর কত চোখে চোখে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে। অথচ পুলিশ বাহিনী ইচ্ছে করলেই নিমিষের মধ্যে এলাকা থেকে মাদকের দৌরাত্ম কমাতে পারে।     

কুবরাতলী এলাকার এক মাদককারবারী মো. রইচ উদ্দিন (ছদ্মনাম) বলেন থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকার মাদক কারবারীদের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হচ্ছে। যারা সেই চুক্তিতে সম্মত দিচ্ছে তারা দেদারছে ব্যবসা করছে আর যারা চুক্তির বাহিরে তাদেরকে বিভিন্ন সময় আটক করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্যের চলাচলের পথ রোধ না করা পর্যন্ত মাদকের বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। যারা প্রভাবশালী যারা থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে আসছে তারা প্রকাশ্যে মাদকের রমরমা ব্যবসা করলেও পুলিশ তাদেরকে দেখতে পায় না।  অথচ পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন চাইলেই উপজেলাকে মাদক মুক্ত করতে শক্তিশালী ভ’মিকা রাখতে পারে। 


পারইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোঃ জাহিদুর রহমান (জাহিদ ফকির) মোবাইল ফোনে বলেন, বর্তমানে উপজেলার মধ্যে পারইল ইউনিয়ন মাদকের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। সীমান্তবর্তি ইউনিয়ন হওয়ার কারণে এই ইউনিয়ন দিয়েই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সবচেয়ে বেশি মাদক চালান হয়। আগে গোপনে হলেও বর্তমানে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে পারইল বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদকদ্রব্য বিক্রি হয়। ইদানিং এই ইউনিয়নের অধিকাংশ স্থানই মাদক বিস্তারের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং-এ মাদক নিয়ে কথা বলে কোন লাভ হয় না। মাদক নিয়ে করা ওই অভিযোগ কিংবা কথাগুলো শুধুমাত্র রেজুলেশনের খাতার পাতায় লিপিবদ্ধ থাকে বাস্তবায়ন করে না কেহই। তাই মাদক নিয়ে আর কোথাও কোন কথা বলতে কিংবা তথ্য দিতে ইচ্ছে হয় না। 

তিনি আরো বলেন, যখন দেখি ইউনিয়নের তরুন-যুবকরা বুঝে না বুঝে চোখের সামনে মাদকের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে তখন খুব কষ্ট হয় খুব খারাপ লাগে। অনেকবার মাদকের বিস্তাররোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও তা বাস্তবায়ন করার মতো কোন সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করায় পরিষদে আমার কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছি। যদি রক্ষকরা ভোক্ষক হয় তাহলে সেই সমাজ থেকে মাদকের দৌরাত্ম বন্ধ করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।  

থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ মোবাইল ফোনে সংবাদকর্মীদের বলেন, থানা পুলিশ সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে। আমরা প্রতিনিয়তই মাদকের বিস্তার রোধে এর সঙ্গে জড়িতদের আটক করছি এবং আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করছি। এছাড়া জনবল সংকট থাকার কারণে ইচ্ছে করলেও মাদকের বিষয়ে বেশি কার্যক্রমও পরিচালনা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই উপজেলায় মাদকের বিস্তারকে জিরো টলারেন্সে আনতে আমরা পুলিশ বদ্ধ পরিকর। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং চলবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম মোবাইল ফোনে বলেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতো মাদকের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত তেমন কোন ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করতে পারি না। তবে মাঝে মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া মাদকের কারবার কোথায় হচ্ছে সেই তথ্যগুলো আমাকে জানালে আমি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।   


আরও খবর