Logo
শিরোনাম

বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত: মেজর হাফিজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতিতে বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বীর বিক্রম সক্রিয়তা নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। তিনি নতুন দল গঠন করছেন, এমন ইঙ্গিতও পাওয়া যায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছ থেকে।

বুধবার ৮ নভেম্বর বেলা ১১টায় বনানীতে নিজের বাসায় আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি এ সময় বলেন, অনেকগুলা ভুল আমরা করেছি, সেই দলীয় ভুল প্রকাশ করার জায়গা এটি না। আর এটা প্রকাশ করাও ঠিক হবে না। কিন্তু আমার তো কোনো ফোরাম নাই এবং দলে কোনো অবস্থান নাই। গত আট বছর দলে কোনো কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়নি। কোনো নেতা নির্বাচিত হয়নি। কারণ, নেতা নির্বাচন করার সুযোগ নাই এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির বক্তব্য রাখারও সুযোগ নেই।


তিনি বলেন, আমার চোখ কান নষ্ট না। আমি কোনো বধির স্কুলে পড়ি না। তবে জাতির স্বার্থে কিছু কিছু কথা বলতেই হয়। তবে আমার দেশ সবার উপরে। আমার নেতা জিয়াউর রহমান বলেছেন দেশ সবার আগে। আমিও তাই মনে করি, সে জন্য দু-চারটি কথা বলছি। তবে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে।


বিএনপিতে সত্য কথা বলার মতো কোনো লোক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপিতে সত্যি কথা বলার মতো লোক বিশেষ করে চেয়ারপারসনের সামনে সত্য বলার মতো লোক আমার সামনে পড়েনি। অনেক আগে সাইফুর রহমান সাহেব বলতেন; তিনি বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা। এছাড়া বাকি সবাই ইয়েস স্যার, রাইট স্যার বলা আর কিছু জানেন না। এই হলো বাস্তবতা।


২০১৪ সালে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করার দরকার ছিল। তখন আওয়ামী লীগের অবস্থা লেজে-গোবরে ছিল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় দেওয়ার জন্য। কখন একজন এ আহ্বান জানায়? কারা এ ধরনের আহ্বান জানায়? আমরা সেই অবস্থার ফায়দা নিতে পারিনি। যে পথ অনুসরণ করেছি, সেই যে রাজপথে গেছি এখনো সেই রাজপথেই আছি।


হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই সে নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার চিন্তা করব। তবে বিএনপির আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাওয়া উচিত। দলে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছেন, তারা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাস্তবতার কারণে এটি সম্ভব হয়নি। সুতরাং কেয়ারটেকার সরকারের ওপর জোর না দিয়ে বিকল্প খোঁজা উচিত। আমি মনে করি আগামী নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের সরকার কিছুই না।


দেশের সহিংসতা তরুণ-কিশোরদের ওপর প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রতিদিন টেলিভিশনে দেখি বাস জ্বলছে। সেটা আওয়ামী লীগের ক্যাডারও জ্বালাতে পারে আবার বিএনপির থেকেও জ্বালাতে পারে। অথবা অন্য কেউ। তবে এর দায় সম্পূর্ণ বিএনপির ওপর এসে পড়ছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দেশের অভিভাবক হিসেবে সব সমস্যার সমাধান খোঁজা উচিত।


হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, আমি মনে করি বিএনপি এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এই দলই ক্ষমতায় আসবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনে আদায় করতে জানতে হবে। শুধুমাত্র রাজপথে স্লোগান দিলেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে বাড়ি যাবে না। আমাদের আন্তর্জাতিক কানেকশন খুবই দুর্বল। সে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য নেতৃবৃন্দ তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। অনেক সময় রাষ্ট্রদূতের কথাবার্তা এক পেশে মনে হয় এবং সেটারও কোনো বেনিফিট বিএনপি নিতে পারেনি। তবুও এখন বিএনপির উচিত কীভাবে আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া যায়। আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষভাবে মাঠে থাকবে।

  

আগামী নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও আইনমন্ত্রণালয় একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মেজর হাফিজ। তিনি বলেন, তবে এটিও দিনের আলোর মতো সত্য যে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুষ্ঠু হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেও হবে না এবং বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের অধীনেও হবে না।


রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ অবসরে যাওয়ার বিষয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়। এখন আমার প্রায়োরিটি হলো শারীরিক সুস্থতা লাভ করা এবং চিকিৎসা করা। রাজনীতির প্রতি কোনো আগ্রহ এখন আর আমার অবশিষ্ট নেই।

 

গতকাল তথ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি বাংলাদেশের রাজনীতি ও বিএনপির মধ্যে একেবারেই একজন গুরুত্বহীন ব্যক্তি। বর্তমানে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। গত কয়েকদিন ধরে কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। অতি শীঘ্রই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবো। শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কারণে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হয়নি। মোট কথা রাজনীতি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি। এমন এক সময় তথ্যমন্ত্রী বলেছেন আমি একটি নতুন দল করতে যাচ্ছি। যা একদমই সঠিক নয়। আমি এখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমি ৩১ বছর ধরে বিএনপির সদস্য।


তিনি আরও বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র ও ভুল বোঝাবুঝিকে আমার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আর বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছে আমার নেত্রী। তিনি যতদিন সুস্থ ছিলেন আমার কোনো সমস্যা ছিল না। এ ধরনের কোনো সংবাদ সম্মেলন আমার করতে হয়নি। আমি কমফোর্টেবলি জনগণের সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেটা ক্ষমতায় থেকে বা বিরোধী দলে থেকেই হোক না কেন। তবে দুঃখের বিষয় বিগত দুবার নিজের ভোটটাও দিতে পারিনি।


২০১৮ সালের নির্বাচনে আমাকে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেতে বাধা দেয়া হয়েছিল। তারপর যখন আমি পুলিশ প্রোটেকশনে আমার নির্বাচনী এলাকায় গেলাম তখন আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা আমার বাড়ির চারপাশ ঘিরে রেখেছিল। যে কারণে সেবার আমি নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। ভোট দেওয়া তো দূরের কথা ওইদিন আমাকে ডিজিটাল সিকিউরিটি একটা মামলা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। এই হচ্ছে আমার নির্বাচনের অভিজ্ঞতা। এমন অভিজ্ঞতা আমার মতো আরও অনেক বিরোধী দলের নেতার আছে। এরপর নির্বাচন থেকে সরে আসার পর আমার দলকে নাকি ৮০টি আসন দেবে নির্বাচনের পরে। আমি এই খবরও জানি না, আর এই ৮০ জনের মধ্যে আমি নিজেও ছিলাম না।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ১৪ নভেম্বর ২০২০ সালে আমার দল থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তখন আমার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ ছিল। আমি দলে সক্রিয় না, দলের কোনো কাজ করি না, সংস্কারপন্থী, আমি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করি। এ ধরনের আজগুবি ১১টি অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম অভিযোগ ছিল- আমি শওকত মাহমুদের সঙ্গে বিজয় নগরে সরকার বিরোধী মিছিল করেছি। আমরা বিরোধী দল সরকার বিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণ করতেই পারি। তবে আমি এই মিছিলে কখনোই ছিলাম না। এসবে আমি কখনোই অংশগ্রহণ করিনি। তখন আমি শো-কজের লিখিত জবাবও দিয়েছি। তবে আমার বক্তব্যের জবাব দল থেকে পাইনি। 


আরও খবর



দেশের ৭ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

দেশের সাত অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (৪ মে) দুপুর একটা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, শনিবার দেশের বেশিরভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা গতকালের মতোই উষ্ণ থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। তবে দেশের কোথাও কোথাও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে কিছু জেলায়। ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাপমাত্রা কমলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না।


আরও খবর



আরও ৫০ প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

দেশের চালের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চলছে কারসাজি। তাই মূল্য নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি পর্যায়ে আরও ৫০ প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে আরও ৫০ আমদানিকারককে ৯১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৩ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। দ্রুত চালের বাজারের সংকট কাটিয়ে উঠতে আমদানি করা চাল ১৫ মে এর মধ্যে বাজারজাত করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) জারি করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করতেও নিষেধ করেছে মন্ত্রণালয়। এই চাল বস্তায় বিক্রি করতে হবে।

তাছাড়া আমদানিকৃত চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এর আগে গত ২১ মার্চ বেসরকারিভাবে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৪ হাজার মেট্রিক টন আতপ চালের আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার।


আরও খবর



দিল্লির ১০০ স্কুলে বোমা হামলার ‘হুমকি’

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

বোমা হামলার হুমকি’ দিয়ে ভারতের দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের (এনসিআর) প্রায় ১০০ স্কুল ইমেইল পাঠানো হয়েছে। তবে এই ইমেইলগুলো ভুয়া উল্লেখ করে সেগুলোর উৎস খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানান জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। এ ঘটনার পর রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর এনডিটিভি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলে বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার পর জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা উত্তর দিল্লির মডেল টাউনের ডিএভি স্কুল পরিদর্শন করেন।

ভি কে সাক্সেনা বলেন, দিল্লি পুলিশ ইমেইলগুলোর উৎস খুঁজে পেয়েছে। আমি দিল্লির নাগরিকদের আশ্বস্ত করছি যে পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং সতর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।

দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে কোনো স্কুলে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সিনিয়র পুলিশ অফিসার কুমার মাহলা বলেছেন, আমরা সব স্কুল পরীক্ষা করেছি। কিছুই পাওয়া যায়নি। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।

দিল্লি পুলিশ প্রধানের কাছে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভি কে সাক্সেনা।

জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, ... আমি অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি এবং স্কুল ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। দুর্বৃত্ত ও অপরাধীদের রেহাই দেওয়া হবে না।

বুধবার (১ মে) ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া সমস্ত স্কুলে পুলিশ এবং ফায়ার বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন।

নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার জানিয়ে দিল্লি পাবলিক স্কুল নয়ডার অধ্যক্ষ কামিনী ভাসিন বলেছেন, আমরা বোমা সংক্রান্ত একটি ইমেইল ​​পেয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থী আছে, তাই আমরা ঝুঁকি নিতে পারি না। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। অভিভাবকদের জানানো হয়েছে এবং ছাত্রদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ এসোসিয়েশন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদ উদ্যোগে গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তায় হেল্পডেস্ক ও  তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন বিতরণ করা হ‌য়ে‌ছে।

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল ) সকাল থে‌কে  মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যয় একাত্তরের সামনে  ক‌্যাম্প স্থাপন ক‌রে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আগত শিক্ষার্থীদের এই সেবা প্রদান করেন মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের শিক্ষার্থীরা।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ রিয়াজ হোসেন আর সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন নেতৃ‌ত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যয় একাত্তরের  সামনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন পান করা  এবং তথ্য সহায়তা ও সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের সাংগঠিন সম্পাদক  শাহ্- পরান শুভ  বলেন,

প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার সময় নারায়নগঞ্জ -মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদ  (মাভাবিপ্রবি) সর্বাত্মক চেষ্টা করে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের হেল্প করার।তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এবার ভিন্ন কিছু আয়োজন করার চেষ্টা করছি।

তীব্র গরমে দুপুরে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন পান করানোর মতো মহৎ কাজ আর কি হতে পারে!

 তাই এডমিশন যুদ্ধে ছুটে আসা শিক্ষার্থী,গার্ডিয়ান সেই সাথে  মহান পেশায় জড়িত রিক্সা চালক মামা, কর্তব্যরত পুলিশ, বিএনসিসি মেম্বার, আনসার ও সেচ্ছাসেবী  সবাইকে পানীয় বিতরণ করেছি।আলহামদুলিল্লাহ আমরা আল্লাহর রহমতে ১৬০০+ গ্লাস শরবত, পানি ও স্যালাইন এর আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি।

 এ ছাড়াও এই এরপাশাশি  আমরা হেল্প ডেস্ক ও ছাউনী ব্যবস্থা করতে পেরেছি।


আরও খবর

এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন জানিয়েছে, দ্রুতই নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ইউক্রেনকে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এজন্য প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। তবে এ প্যাকেজে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারি থাকবে না।

প্রতিটি প্যাট্রিয়ট ব্যাটারির (পূর্ণাঙ্গ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম) দাম প্রায় এক বিলিয়ন ডলার আর প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় চল্লিশ লাখ ডলার।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা মোকাবিলায় প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র জরুরি প্রয়োজন যা এখনই জীবন রক্ষা করতে পারে ও করা উচিত

বিবিসিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজে স্বাক্ষর করেছেন তারই অংশ হিসেবে এই ছয় বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনকে।

শিগগিরই আরও এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে।

অস্টিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সবচেয়ে বৃহৎ নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং খুব শিগগিরই এগুলো ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হবে।

এর মধ্যে আছে বিমান প্রতিরক্ষা যুদ্ধাস্ত্র, কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম এবং গোলাবারুদ (তবে প্যাট্রিয়ট নয়)।

এটা এমন নয় যে শুধু প্যাট্রিয়ট তাদের (ইউক্রেনের) দরকার। তাদের অন্য ধরনের সিস্টেম ও ইন্টারসেপ্টর (ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা বা আকাশেই ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়), বলছিলেন অস্টিন। আমি প্যাট্রিয়ট তৈরির বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক করবো

তিনি জানান, আরও ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভকে শিগগিরই দেওয়া হবে এবং এ নিয়ে ইউরোপীয় অন্য অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

ইউএস জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল চার্লস ব্রাউন বলেছেন, রণাঙ্গনে গোলার যথাযথ ব্যবহারের যে প্রয়োজনীয়তা ইউক্রেনের সেটি মেটাতে পারবে এবারের এই সহায়তা।

তবে এবারের যে সহায়তা প্যাকেজ তার কিছু অংশ ব্যবহার হবে ইউক্রেনের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প তৈরির জন্য যাতে তারা নিজেরাই প্রয়োজনমতো গোলাবারুদ উৎপাদন করতে পারে।

অস্টিন আরও বলেছেন, রাশিয়া ইতোমধ্যেই তাদের গোলাবারুদ ও অন্য অস্ত্রের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে তারা ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সরবরাহ সহায়তাও পাচ্ছে।


আরও খবর