Logo
শিরোনাম

বিনিয়োগকারীদের ৩০০% নগদ লভ্যাংশ দেবে ওয়ালটন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। অর্থাৎ সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার প্রতি ৩০ টাকা লভ্যাংশ বাবাদ এ মুনাফা দেওয়া হবে। জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পূর্ব ঘোষিত পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

একই সভায় উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের শেয়ার প্রতি ৯ টাকা করে মুনাফা দেবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

বিদায়ী বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৮৪ পয়সা। সেখান থেকে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০ টাকা আর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জন্য ৯ টাকা করে মুনাফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগের বছর ২০২২ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। সে বছর শেয়ার সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল। এর আগের বছর ২০২১ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২৫০ শতাংশ ও ২০২০ সালে ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।

পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন ডিজিটাল মাধ্যমে কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ অক্টোবর।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১১১ টাকা ৮৪ পয়সা। যা আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৭ টাকা ৯১ পয়সা।

২০২০ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার সংখ‍্যা ৩০ কোটি ২৯লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি। বৃহস্পতিবার সেই শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সায়।


আরও খবর



টানা ৫ দিন যেসব জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

দেশের বেশ কিছু জায়গায় টানা পাঁচদিন বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



ঋণ পরিশোধে সময় দিল রাশিয়া, জরিমানা মওকুফ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণদাতা দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে দায়দেনা পরিশোধে বাড়তি সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৭ সালের মার্চ থেকে প্রকল্পের ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ শুরু করার কথা ছিল। বিভিন্ন জটিলতার কারণে দুই বছর সময় চেয়েছিল সরকার। এতে সাড়া দিয়ে দেড় বছর সময় দিয়েছে রাশিয়া।

এদিকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ৫০ কোটি ডলারের ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ না হওয়ায় ১৬ কোটি ডলারের বেশি যে জরিমানা হয়েছিল, তা মওকুফ করেছে পুতিন প্রশাসন। যদিও রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিস্তি ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারেনি বাংলাদেশ। রূপপুরের ঋণের সংশোধিত প্রটোকলে এমন ছাড় দিয়েছে রাশিয়া।

বৈদেশিক দায়দেনার চাপ কমাতে ২০২৯ সালের মার্চ থেকে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু করার সময় নির্ধারণে রাশিয়া সরকারকে অনুরোধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত প্রটোকলে ২০২৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পরিশোধ শুরুর নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ইআরডির সংশ্লিষ্ট ইউরোপ উইংয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সরকারের যোগাযোগের ভিত্তিতে এমন ভালো সিদ্ধান্ত এসেছে। প্রকল্পের কাজ এখনো বেশ বাকি থাকায় আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। রাশিয়ার তাতে সম্মতি রয়েছে।

তিনি জানান, প্রকল্প শুরুর আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ঋণের কিস্তির অর্থ আলাদা একটি ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারে তা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বিকল্প প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো সমাধানে আসা যায়নি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট ব্যয় ধরা হয় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার বা ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। ব্যয়ের ৯০ শতাংশ হিসেবে মোট ১১.৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। বাকি ১০ শতাংশ বাংলাদেশের নিজস্ব জোগান। রাশিয়ার ঋণের মধ্যে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ৭.৭০ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। করোনা মহামারি এবং পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ঋণের অর্থছাড়ে দেরি হয়। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিশ্রুত মোট ঋণের বাকি ৩.৬৮ কোটি ডলার ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়ার রোসাটম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

ইআরডি সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই কিছু ঋণদাতা সংস্থা এবং দেশের কাছে ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময় চাওয়া হয়। ঋণের সুদের হারেও ছাড় চাওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ রূপপুর প্রকল্পের ঋণ চুক্তি সংশোধনে রাজি হন। ওই বৈঠকেই সংশোধনী চূড়ান্ত করার বিষয়ে একমত হয় সরকার এবং রোসাটম।

সম্প্রতি মস্কো থেকে পাঠানো সংশোধিত প্রোটোকলের খসড়ায় ঋণ পরিশোধে এক মাস বিলম্বের জন্য বিলম্ব মাশুল পরিশোধের শর্ত বাদ দেওয়া হয়। মূল প্রোটোকলে ঋণ পরিশোধ এক মাস বিলম্বিত হলে বাংলাদেশকে ৪.৫ শতাংশ হারে জরিমানা দেওয়ার শর্ত ছিল। সে হিসেবে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ঋণের কিস্তি বকেয়া বাবত বাংলাদেশকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হতো। ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, ঋণ পরিশোধে বিলম্বের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। ২০১৭ সালে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ওয়াক্ফ আইন ঘিরে অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যে সহিংসতা ঘটল, তা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মনে করে ভারত। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”

“বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং সদ্গুণের পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল করবে।”

গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং পরের দিন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় ‘সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫’। তারপর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আইনে পরিণত হয় সেই বিল এবং ৮ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।

এদিকে আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা ও বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলা। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘাতে মুর্শিদাবাদে ৩ জন সংবাদও পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ শতাধিক বিক্ষোভকারী। তবে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলার অবস্থা শান্ত।

আইন স্থগিতের দাবিতে ইতমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার বেঞ্চে বুধবার মামলার ওপর শুনানিও শুরু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার দিনই আইনটির কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।


আরও খবর



টুঙ্গিপাড়ায় নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শৈলদহ নদীতে সড়ক ভেঙে পরে যাওয়ায় চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছিলো ১০ গ্রামের মানুষ। প্রায় ১৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হতো।উপজেলার ডুমরিয়া ইউনিয়নের চিতলিয়া এলাকায় সড়কে ফাটল ধরে। ঐদিন দুপুরে সড়কের কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

পরে নদী ভাঙন ও মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে প্রতিদিনের সংবাদ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পরে মঙ্গলবার বিকাল থেকে কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কাজের উদ্বোধন করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মঈনুল হক।

এসময় টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) মারুফ দস্তগীর, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদৌস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলেন। সেই সাথে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদৌস বলেন, গত ৩০ এপ্রিল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চিথলীয়া নামক স্থানে নদীগর্ভে রাস্তার কিছু অংশ বিলীন হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগ দেখা দেয় ১০ গ্রামের মানুষের। তখন বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পরে জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্বাবধানে পাউবোর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা ওই স্থানে অস্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ শুরু করেছি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মঈনুল হক বলেন, গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তখন নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রেরন করেন পাউবো। তখন জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধে ৭৬ মিটার এলাকায় ১৭৫ কেজি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। মঙ্গলবার বিকালে প্রাথমিকভাবে ৯৪ টি জিও ব্যাগ নদীতে ফেলে কার্যক্রম শুরু হয়। আশা করি ওই স্থানের ভাঙন প্রতিরোধে সক্ষম হবো।


আরও খবর



৫ মে সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

তিন মাসেরও বেশি সময় লন্ডনে চিকিৎসা শেষে শারীরিকভাবে অনেকটা সুস্থবোধ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এবার দেশে ফেরার পালা। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসায় বাংলাদেশে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার লন্ডনে পৌঁছেছেন। পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুয়ায়ী ৪ মে রওনা হয়ে পরদিন ৫ মে ঢাকায় পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীরা।

জানা গেছে, লন্ডনের বিমানবন্দর হিথ্রো-২ থেকে স্থানীয় সময় আগামীকাল রবিবার (০৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন সোমবার (০৫ মে) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে। সেখানে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ঢাকায় পৌঁছাবেন।

জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে দেশে আনতে তার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে তিনি লন্ডনে পৌঁছান। তার সঙ্গে গেছেন বোর্ডের আরেক সদস্য আইসিইউ কনসালটেন্ট ডা. জাফর। তারা সোমবার খালেদার জিয়ার সঙ্গে ঢাকায় ফিরবেন।

ডা. শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি লন্ডন এসেছি। ইতোমধ্যে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনি ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ। সোমবার সিলেট হয়ে ১০টা ৫৫ মিনিটে আমাদের ঢাকায় ফেরার কথা। উনার সঙ্গে আমি, ডা. জাহিদ ও ডা. জাফর আছি।

তিনি বলেন, ম্যাডাম দ্য লন্ডন ক্লিনেকে সেরা চিকিৎসা পেয়েছেন। সেখানে বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে থাকেন। দোয়া রাখবেন যাতে ম্যাডামকে নিয়ে সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারি।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের সফরসঙ্গী ও তার উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৫ মে সকালে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) দেশে ফিরবেন ইনশা আল্লাহ।

এক প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমান ফিরছেন না। তারেক রহমানের ফেরা নির্ভর করছে রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ওপর। আমি, ম্যাডামের দুই পুত্রবধূ, ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম ডা. জাহিদ হোসেন, ম্যাডামের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, গৃহপরিচারিকা ফাতেমা খাতুন ও ব্যক্তিগত স্টাফ রূপা হক সফরসঙ্গী হিসেবে দেশে ফিরছি। ম্যাডামের তিন নাতনি লন্ডনেই থাকবেন আপাতত।

তিনি জানান, খালেদা জিয়া অনেকটা সুস্থ হওয়ায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের প্রয়োজন পড়েনি। তিনি বাংলাদেশ বিমানের একটি এয়ারলাইনসের বিজনেস ক্লাসে চড়ে ঢাকায় ফিরবেন।


আরও খবর