Logo
শিরোনাম

বিরল রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে মিথিলা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

এমন একটি বিরল রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে মিথিলা, যা অনেক অভিনেত্রীর ভাগ্যে জুটেনি। আগামী প্রথমবারের মতো নায়িকা হয়ে বড়পর্দায় হাজির হচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে ওই দিন দুই বাংলায় আলাদা দুটি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে তার। বাংলাদেশের সিনেমা হলে আসছে তার অভিনীত ‘অমানুষ’, আর কলকাতার সিনেমা হলে ‘আয় খুকু আয়’। এ বিষয়ে খুবই রোমাঞ্চিত তিনি। অপেক্ষায় আছেন দুই বাংলার দর্শক কীভাবে তাকে গ্রহণ করেন সেটা দেখার।

অনন্য মামুন পরিচালিত ‘অমানুষ’ সিনেমার মাধ্যমেই বড় পর্দায় নাম লেখান জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। যেখানে তিনি জুটি বেঁধেছেন চিত্রনায়ক নিরব হোসেনের সঙ্গে। এ ছাড়া সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন নওশাবা, মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, ডন, আনন্দ খালেদ প্রমুখ।

এ ছাড়া কলকাতায় মিথিলা অভিনীত ওপার বাংলার সিনেমা ‘আয় খুকু আয়’ সিনেমায় সহশিল্পী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সিনেমায় টলিউড সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যাবে মিথিলাকে।

এই সিনেমার প্রকাশিত টাইটেল গানের দৃশ্যেই প্রসেনজিতের স্ত্রী রূপে দেখা দিয়েছেন মিথিলা। তার কোলে রয়েছে ছোট্ট কন্যাসন্তান। কখনো সেই কন্যাকে ঘুম পাড়াচ্ছেন, কখনো তার সঙ্গে আহ্লাদি খুনসুটি করছেন। ‘আয় খুকু আয়’ নির্মাণ করেছেন সৌভিক কুণ্ডু। এতে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ, মিথিলা, দিতিপ্রিয়া, সোহিনী সেনগুপ্ত, শঙ্কর দেবনাথ প্রমুখ।


আরও খবর



রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

রামগড়(খাগড়াছড়ি):

প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে দুপুর পর্যন্ত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম।

তবে এই নিবার্চনে দলীয় প্রতীক না থাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আরও দুইজন প্রার্থী সহ মোট ৩ জন চেয়ারম্যান পদে লড়বেন। এছাড়াও ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী পেয়েছেন আনারস প্রতীক, রামগড় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো.আবদুল কাদের পেয়েছেন দোয়াত কলম এছাড়াও কংজঅং মারমা ঘোড়া প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে লড়বেন।


এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার ফারুক পুনরায় টিয়া প্রতীক পেয়েছেন, মো.শামছুউদ্দিন মিলন তালা প্রতীক, মো.ওমর ফারুক মাইক প্রতীক, মোবারক হোসেন বাদশা চশমা প্রতীক, মো.নুরুল আমিন টিউবওয়েল প্রতীক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম কলস প্রতীক ও নাছিমা আহসান নীলা প্রজাপ্রতি প্রতীকে নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রামগড় উপজেলা নিবার্চন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ই মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে একটি পৌরসভা ও দুইটি ইউনিয়নের ৪১ হাজার দুইশত ৬১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।


আরও খবর



শূন্য থেকে কোটিপতি যাত্রী কল্যাণের মোজাম্মেল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব সংগঠনের নামে প্রভাব বিস্তার করে গোপনে নিজে গড়েছেন টাকার পাহাড়। কিনেছেন কোটি টাকার সম্পত্তি। রয়েছে পরিবহন ব্যবসা। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির নামে লাইসেন্সবিহীন সিএনজি অটোরিকশার রমরমা ব্যবসা ছাড়াও সাংবাদিক পরিচয়ে করেছেন অঢেল সম্পত্তি। তিনি মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে অর্থ, সম্পদ ও ব্যবসার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার আদালতে হয়েছে মামলা। জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের ইমামুল্লাহ চরের পূর্ব পাড়ায়। বাড়িতে দুটি ঘর, এর মধ্যে বড় ঘরটির চারপাশে মাটির দেয়াল, ওপরে টিনের ছাউনি। সামনে ছোট দুই কক্ষের একটি ঘর। সেই ঘরের চারপাশে কাঠ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া। স্বাভাবিক জীবনযাপন করা মোজাম্মেল গত এক যুগ ধরে পরিবহনের যাত্রীদের অধিকার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে সোচ্চার আছেন। যাত্রীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে করেন আন্দোলন। তবে এই যাত্রী কল্যাণ সমিতির আড়ালে গুছিয়েছেন নিজের আখের। বিভিন্ন দপ্তরে তদবির বাণিজ্য, সড়কে নিয়ম ভেঙে সুবিধা আদায়, বিআরটিএর মিরপুরসহ বিভিন্ন অফিসে দালালি, জমি কেনাবেচায় দালালি, নামসর্বস্ব পত্রিকায় সাংবাদিক পরিচয়ে সরকারি বিজ্ঞাপন আদায়, লাইসেন্সবিহীন সিএনজি অটোরিকশার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়েছেন। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব পরিচয়ে খাটান প্রভাব।

২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় মোজাম্মেল গ্রেপ্তার হলে ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে তার স্ত্রী রিজু আক্তার চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তার স্বামী (মোজাম্মেল হক চৌধুরী) একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে অল্প টাকা বেতনে কাজ করেন। সেই টাকা দিয়ে সংসার চালানো বেশ কষ্টকর।

মাত্র ৬ মাসে কিনেন কোটি টাকার জমি :মোজাম্মেল হক চৌধুরীর গোপন সম্পত্তির অনুসন্ধান করে প্রতিদিনের সংবাদ। হাতে আসে বেশ কয়েকটি জমির দলিল। তাতে বেরিয়ে আসে কোটি টাকার সম্পত্তির তথ্য। দেখা যায়, মোজাম্মেলের অর্থের বেশিরভাগই ব্যয় হয়েছে জমি ক্রয়ে। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর মৌজায় দেড় কোটি টাকায় ৩৪৫ শতক জমি কিনেছেন মোজাম্মেল। দলিলে মৌজা অনুযায়ী, জমির যে দাম দেখানো হয়েছে প্রকৃতপক্ষে সেই জমির আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নামে রেজিস্ট্রি হওয়া জমির দলিলে দেখা গেছে, মোজাম্মেল চার দফায় ৪টি দলিলের মাধ্যমে হাশিমপুর মৌজায় বিভিন্ন দাগে ৩৪৫ শতক জমি কিনেন। রেজিস্ট্রি দলিলে ওই জমির মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। তবে স্থানীয়দের দাবি, মোজাম্মেলের কেনা জমির প্রকৃত বাজারমূল্য তার কয়েকগুণ বেশি।

দলিলে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ জুন চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসে মোজাম্মেলের নামে প্রথম দলিলটি রেজিস্ট্রেশন (নম্বর ১৬৬২) করা হয়। ওই দলিলে ১ একর ৬০ শতাংশ (চার কানি) জমি কেনেন মোজাম্মেল। যার দাম দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ টাকা। এরপর একই বছরের ২৩ জুলাই ১৫ শতক জমির দ্বিতীয় দলিলটি রেজিস্ট্রি (দলিল নং ১৯০৮) করা হয় মোজাম্মেলের নামে। দলিলে জমির দাম উল্লেখ করা হয় ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

এর মাত্র এক মাসের মাথায় ১৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দলিল রেজিস্ট্রেশন (নম্বর ২৪৪১) করা হয় তার নামে। জমির পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৫০ শতক। দলিলে এই জমির দাম দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। চতুর্থ দফায় ৮ দিন পর ২৩ সেপ্টেম্বর আরেকটি জমি কিনেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী। রেজিস্ট্রেশন (নম্বর ২৫৩৮) হওয়া জমির পরিমাণ ১৩২ দশমিক ৫০ শতক। জমিটির দাম উল্লেখ করা হয়েছে ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

মোট হিসাবে দেখা যায়, চার দফায় ৪টি দলিলে ৩৪৫ শতক জমি কিনেছেন মোজাম্মেল হক এবং দলিলে এই জমির মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। অথচ আরো কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রাখা হয়েছে গোপনে। ঢাকায় নিজেকে পরিচয় দেন গোবেচারা হিসেবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আগে মোজাম্মেলের অবস্থা ছিল শোচনীয়। ২০০৯ সালের দিকে তৎকালীন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাকারিয়ার পাওনা টাকা না দেওয়ায় মোজাম্মেলকে আটকে রেখেছিলেন। পরে টাকা পেতে স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে ছাড়িয়ে আনা হয়। তারপর থেকে মোজাম্মেলকে এলাকায় দেখা যেত না।

অটোরিকশা নিবন্ধন দালালিতে আয় কোটি টাকা

অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামে রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্লেট ছাড়া প্রায় ২ শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলে বাংলাদেশ উন্নয়ন সাংবাদিক সমিতির নামে। প্রতিটি গাড়িতে সাঁটানো হয়েছে সমিতির ব্যানার। ওই ব্যানারে সাংবাদিক মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নাম ও ফোন নম্বর রয়েছে। তবে তিনি কোন পত্রিকার বা অনলাইনের সাংবাদিক সে পরিচয় ব্যানারে উল্লেখ করা হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্লেট ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলে মোজাম্মেলের ইশারায়। সেখান থেকে মাসিক চাঁদা আসে তার পকেটে। স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু মানুষের সহযোগিতায় রাজ্য গড়েছেন মোজাম্মেল। তার অপকর্মের বিরোধিতার জবাব হিসেবে কয়েকজনকে হুমকি দেওয়ারও তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন সাংবাদিক সমিতির ব্যানারে সেখানেও রয়েছে তার প্রভাব। নিজে কোন পত্রিকার সাংবাদিক তা প্রকাশ না করলেও ওঠাণ্ডবসা মূলধারার সাংবাদিকদের সঙ্গে। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতে সাংবাদিক ঘেঁষা হিসেবেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন মোজাম্মেল।

স্থানীয়রা বলছেন, মোজাম্মেল হক চৌধুরী অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। প্রভাবশালী মানুষদের সঙ্গে করেন ওঠাণ্ডবসা। নিজেকে পরিচয় দেন সাংবাদিক ও পরিবহন সমিতির নেতা হিসেবে। কোটি টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপন রাখতেই সাধারণ জীবনযাপন করেন মোজাম্মেল। তবে পাল্টে গেছে তার কথার ধরন।

জানা যায়, টাকার বিনিময়ে মোজাম্মেল সিএনজি অটোরিকশার নম্বর পাইয়ে দেন। যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রভাব খাটিয়ে বিআরটিএতে দালালি করেই তিনি এত টাকার মালিক হয়েছেন। আর সেই টাকায় কিনেছেন কোটি টাকার সম্পত্তি। মোজাম্মেল হক বর্তমানে জমি বেচাকেনা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ঢাকাতে রয়েছে একটি প্রাইভেট কার যার আনুমানিক মূল্য ১২-১৫ লাখ, একটি নোহা গাড়ি যার আনুমানিক মূল্য ২৫ লাখ ও চট্টগ্রামে একটি অত্যাধুনিক প্রাইভেট কার রয়েছে যার আনুমানিক দাম প্রায় অর্ধকোটি টাকার কাছাকাছি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোজাম্মেলের স্ত্রী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রার্থী হয়ে ৩০ ভোট পেয়েছিলেন। মোজাম্মেল নিজেও উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে খুব অল্প ভোট পেয়েছিলেন। তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

সেতুমন্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্য, থানায় জিডি ও মামলা

সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার শাহবাগ থানায় জিডি করেন তিনি।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর ধরে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই। যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।

জিডিতে শ্রমিক লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো দেশের ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতা থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এই মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।

জানা গেছে, মোজাম্মেল হক চৌধুরী সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রকে নিয়ে মন্তব্য করায় জিডির পরে সিএমএ আদালতে মামলা করেছেন মোহাম্মদ হানিফ খোকন। ৫৫১ নাম্বার মামলায় ৫০০, ৫০১ ও ৫০৬ তিনটি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন মোহাম্মদ হানিফ খোকন। মামলার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বিস্তর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আমি জমির দালালি করি। ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সেই টাকায় জমি কিনেছি। দেশের কোন আইনে জমি কিনতে মানা আছে নাকি?


আরও খবর



চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে উদযাপিত হলো ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা জাকারিয়া চৌধুরী। অন্যদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা আরিফুল্লাহ চৌধুরী।

এদিকে, সকাল ৯টায় জেলার ফরিদগঞ্জ টোরামুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদেও মাওলানা মাহবুবুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে সামিল হোন।

এর আগে গত ১১ মার্চ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন এসব মানুষ।

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা পীর ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, এ দেশে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মরহুম মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারা দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের পীরের অনুসারি এবং সচেতন মুসল্লিরা পালন করছেন।

উল্লেখ্য, বিগত ১৯২৮ সালে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা উদযাপন করছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি এবং মতলব উত্তর উপজেলা মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত গ্রামে প্রায় শতাব্দিকাল ধরে এভাবে রোজা এবং ঈদ উদযাপন হচ্ছে।


আরও খবর



শ্রীনগরে চাঁদাবাজি মামলায় রাসেল গ্রেফতার রাকিবসহ অন্যান্যরা পলাতক

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চাঁদাবাজি মামলার আসামী রাসেল মোড়ল(৩৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২নং আসামী রাকিব, অমিত খান,ইব্রাহীমসহ অন্যান্যরা পলাতক রয়েছে।

বুধবার সকালে শ্রীনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস এলাকায় থেকে শ্রীনগর থানা পুলিশ রাসেল মোড়লকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন। এসময় ঐ মামলারন অন্যান্য আসামীরা কৌশলে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামী রাসেল মোড়ল উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের সেলামতি স্বাগতমপাড়া এলাকার ইয়াছিন মোড়লের ছেলে। পলাত আসামী রাকিব শ্রীনগর ইউনিয়নের হরপাড়া এলাকার ইদ্রিসের ছেলে,অমিত খান রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের দক্ষিন রাঢ়ীখাল এলাকার মৃত মোতালেব খানের ছেলে বর্তমানের শ্রীনগর গোল্ডেনসিটি এলাকার ভাড়াটিয়া ও ইব্রাহী সেলামতি স্বাগতমপাড়ার আব্দুল আলীর ছেলে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, বাদীনি মাহমুদা আক্তার এর স্বামী ফরিদুল জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়াতে থাকেন। গ্রেফতার আসামী রাসেল মোড়লসহ রাকিব,অমিত খান ও ইব্রাহীমগং সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ, ভুমিদুস্য প্রকৃতির লোক হওয়ায় এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বাদীনি স্বামী বিদেশে থাকায় আসামীগণ তার বাড়িতে গিয়ে বলে এলাকায় শান্তিতে থাকতে হ়লে তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তানা হলে শান্তিতে থাকতে দিবে না বলে হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। ঘটনার দিন গত ৩০শে মার্চ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আসামীগণসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০জন হাতে রামদা, শাবল, বটি, কোদাল ইত্যাদি নিয়ে বাদীনির বসত বাড়িতে গিয়ে চাঁদার টাকার জন্য বাদীনিকে গালিগারাজ শুরু করে। বাদীনি দক্ষিন ভিটির ঘর হতে বের হয়ে আসামীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় আসামী রাকিব তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথার কোপ মেরে মারাত্বক আহত করে। এক পর্যায়ে বাদীনির পড়নের কাপড় দিয়ে তার হাতমুখ বেধে রেখে ঘরে থাকা আলমারী, সুকেস, ওয়ারড্রপ ও ৩ ভরি স্বর্ণালকারসহ বাদীনির উত্তর ভিটির একটি দেড়তলা টিনের বসতঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায়।  পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় বাদীনিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। বাদীনি সুস্থ্য হয়ে ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দিলে শ্রীনগর থানার মামলা নং-১৮(৫)২৪ রুজু হয়। 

মামলা তদন্তকারী অফিসার শ্রীনগর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আরিফুল ইসলাম বলেন, মামলার ১নং আসামী রাসেল মোড়লকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। রাকিব, অমিত খানসহ অন্যান্য পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর



১৫টি রুটে যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

৩২ বছর ধরে চলমান রেয়াত সুবিধা বাতিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর মাত্র ১০ দিন পরই বেড়ে যাবে রেল এর ভাড়া।

আগামী ৪ মের জন্য ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়া। ওই দিনের আসন বিক্রি শুরু হবে বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে। কারণ, ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত বাতিল করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।

দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধায় ৩২ বছর ধরে মূল ভাড়ায় ১০১-২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১-৪০০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ ও ৪০১ কিলোমিটার বা এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর্থিক চাপ ও লোকসান কমাতে এখন এ সুবিধা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে সরকারের যাত্রীসেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি। এর পাশাপাশি ট্রেনে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা আসনের ভাড়াও বাড়ানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে রিজারভেশন চার্জের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা নন-এসি কোচের আসনে ব্যয় বাড়ছে মূল ভাড়ার ২০ শতাংশ এবং এসি কোচের আসনের বাড়ছে ৩০ শতাংশ।

এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি এরইমধ্যে সারা দেশে স্টেশন-টু-স্টেশন রেয়াত সুবিধা বাদ দিয়ে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবের ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৪টি স্টেশন-টু-স্টেশনে নির্ধারিত নতুন ভাড়ায় এরই মধ্যে রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের মাধ্যমে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

১৫টি প্রধান রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা।

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা।

ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা।

ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।

ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা।

ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।

ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা।

ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।

ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা।

ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা।

ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।

এছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বাড়বে।


আরও খবর