পবিত্র ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনে জাতীয় চিড়িয়াখানা ঢল
নেমেছে দর্শনার্থীদের। এ সময় পরিবারের সড় সদস্যদের হাত ধরে ছোটদেরও সমানভাবে ভিড়
করতে দেখা গেছে। এদিন শিশুদের জন্য নির্ধারিত কর্নারেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
রবিবার সকালে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় শিশুদের আগমনে
মুখরিত পরিবেশ দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকাল ১০টার আগে থেকেই চিড়িয়াখানায় প্রবেশের
জন্য দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীর সংখ্যাও বাড়তে
থাকে। দর্শনার্থীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে যেন ঈদ আনন্দে মেতেছে। ঢাকাসহ আশপাশের জেলা
থেকে অনেক দর্শনার্থী পরিবারের ছোট সদস্যদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন। ঘুরে
বেড়ানোর পাশাপাশি শিশুদের বিভিন্ন প্রাণীর সঙ্গে পরিচয়ও করিয়ে দিচ্ছেন তারা।
এদিকে নির্ধারিত শিশু কর্নার ছিল লোকে লোকারণ্য। শিশুদের
আগমনে সরগরম অবস্থা। তারা চড়ছেন ট্রেনসহ বিভিন্ন রাইডে। সেই সাথে বাজানো হচ্ছে
মিউজিক। শিশুদের মধ্যে কেউ কেউ রাউডগুলো উপভোগের তালে তালে দুলছে।
মাইশা। মা-বাবার সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসেছে নারায়ণঞ্জের
ফতুল্লা থেকে। শিশুটি জানিয়েছে, চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখেছি। বাঘ ও সিংহ
দেখেছি। এখন এখানে (শিশু কর্নারে) এসেছি। কী কী রাইডে চড়বে জানতে চাইলে সে জানায়,
ট্রেন তার প্রথম পছন্দ। তারপর বাকিগুলোতে চড়বে সে।
এদিকে সরেজমিনে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, ভেতরে কোথাও এখন আর হকার
নেই। এতে পরিবেশও ভালো হয়েছে। যেখানে সেখানে খাবারের উচ্ছিষ্ট নেই। চারপাশে ছড়িয়ে
ছিটিয়ে থাকা পলিথিনও চোখে পড়ছে না। বসার স্থানগুলো সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ
পর্যায়ে। মোড়ে মোড়ে ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। রয়েছে নির্দেশনা-সংবলিত ব্যানারও।
জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের গণসংযোগ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল
হুদা বলেন,
ঈদের দিন বিকেলে যে ভিড় ছিল, আজ সকাল থেকেই
তার চেয়ে বেশি ভিড় হচ্ছে। শিশু কর্নারে ভিড় রয়েছে। এ নিয়ে আমাদের প্রস্তুতিও
রয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।
সার্বিক বিষয়ে জাতীয় চিড়িয়াখার কিউরেটর মুজিবুর রহমান বলেন, চিড়িয়াখানা সম্পূর্ণভাবে
ভিক্ষুক ও হকারমুক্ত এলাকা। বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েকটি ঘটনা ঘটতে পারে। কোথাও দোকান বসতে
দেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদে আমাদের প্রস্তুতি আগেই
নেওয়া হয়েছে। আমরা সবসময় একটা আন্তরিক মনোভাব নিয়ে কাজ করি, করছি।