
বাজারের লাগাম টানতে
ডিম-পেঁয়াজ-আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দেয় সরকার। কিন্তু সরকারের নির্ধারণ
করে দেওয়া দামে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না এসব পণ্য। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে
রাখতে শনিবার রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালাতে যায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
অধিদফতর। খবরটি শোনার পর এসব পণ্যের দাম কমিয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা।
নিউমার্কেটে
এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর অভিযান চালাতে গেলে দাম কমিয়ে পণ্য বিক্রি
করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায় দেখা গেছে, ভোক্তা অধিকারের অভিযানের খবর শোনার
পর ব্যবসায়ীরা প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে দেন। যদিও সকাল থেকে তালিকা
প্রদর্শনে ছিল না তেমন তোড়জোড়।
ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের আসার খবরে কিছু দোকানে আলু, পেঁয়াজ, ডিম কম আগের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে অধিকাংশ দোকানে
সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়নি। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা
বলেন, বেশি দামে আগে এসব পণ্য কিনে রাখায় তারা সরকারের
নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন না। এজন্য অনেকে চালান রশিদ দেখান। তবে
অভিযানকালে তাদের কিছুটা দাম কমিয়ে পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গত
বৃহস্পতিবার দেশি পেঁয়াজ,
ডিম ও আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দেয় সরকার। সেদিন বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেছিলেন, এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের
দাম হবে সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৬ এবং দেশি
পেঁয়াজ ৬৫ টাকা। যা সেদিন থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা।
কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরলেও কোথাও সরকারের বেঁধে
দেওয়া দামে এসব পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়নি। খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ ৭৫-৮০
টাকা কেজি, আলু ৪৫ টাকা ও ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা দাম না কমালে হার্ডলাইনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার
সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে। এরই অংশ হিসেবে আজ নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায়
অভিযানে যায় ভোক্তা অধিদফতর। অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন
অভিযানে অংশ নিয়েছেন।
জানা
যায়, সকালে
দোকানিরা আলু বিক্রি করছেন ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু ভোক্তা অধিকারের অভিযানের
সংবাদে দোকানিরা দাম কমিয়ে দেয়। অভিযানের প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজ ও ডিমের বাজারেও।
এসব পণ্যেও আগের চেয়ে কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অভিযানকালে
অনেক দোকানিকে চালান রশিদ দেখতে অপারগতা প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।
মাছবাজারেও দোকানিদের দাম পরিবর্তন করতে দেখা গেছে। অনেকেই নতুন করে প্রদর্শন করেছেন তালিকা। কেউ কেউ তালিকায় পণ্যের দাম লিখছেন।
নিউমার্কেট বনলতা মার্কেট
ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক মো. বাদল মিয়া জানান, সকল ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা
প্রদর্শনসহ চালান রশিদ রাখার নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই খুচরা
ব্যাবসায়ীরা যেখান থেকে পণ্য ক্রয় করেন, তারাই মালের রশিদ
দেয় না বলেও দাবি তার।