Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গুতে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যু, স্যালাইন সংকট

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। প্রতিদিন মৃতের সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের তালিকাটাও লম্বা হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর পানিশূন্যতা ও রক্তের ঘনত্ব স্বাভাবিক রাখতে তাদের শিরায় স্যালাইন দিতে হয়। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্যালাইনের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। এর ফলে ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যবহৃত পণ্যটির সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষত রাজধানীর ফার্মেসিগুলো থেকে এক প্রকার উধাও হয়ে গেছে স্যালাইন। তবে হাসপাতালে কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রোগীরা আশঙ্কা করছেন, যেভাবে রোগী বাড়ছে তাতে হাসপাতালে সরকারি খরচে দেওয়া আইভি ফ্লুইড সরবরাহ যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় ব্যবহার করা স্যালাইনের সংকট তীব্র হতে পারে।

প্রধানত শিরায় চার ধরনের স্যালাইন দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ পানির ঘাটতি পূরণ, গ্লুকোজ স্যালাইন, হৃদরোগীদের স্যালাইন এবং ডায়রিয়া-কলেরা রোগীদের স্যালাইন। এর মধ্যে প্রথমটি বা সাধারণ স্যালাইন ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। দেশে যে হারে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন সংকটের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। ইতোমধ্যে ওষুধের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না ডেঙ্গুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত পণ্যটির।

রাজধানীর শাহবাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকা ও মগবাজারের বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরে স্যালাইনের তীব্র সংকটের চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতাদের দাবি, গত দুই সপ্তাহ ধরে তাদের কাছে স্যালাইনের সরবরাহ নেই। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বাজারে স্যালাইনের সংকট থাকলেও হাসপাতালে কোনো সংকট নেই।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লকের দুতলায় স্থাপিত ডেঙ্গু কর্নারে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে অবস্থান করা প্রায় প্রত্যেক রোগীকে শিরায় দেওয়া স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ রোগীর সরকারি স্যালাইন চললেও অনেকে বাইরে থেকে কেনা স্যালাইন দিচ্ছেন।

মহিলা ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন কোহিনূর বেগম। আশুলিয়া থেকে আসা পঞ্চাশোর্ধ্ব এই নারী ডেঙ্গু ছাড়াও ডায়াবেটিস ও লিভারজনিত রোগে ভুগছেন। কথা বলার সময় তার শিরায় ৫০০ মিলি লিটারের স্যালাইন চলছিল, যেটি বাইরে থেকে কেনা। ওই সময় পাশের স্ট্যান্ডেই আগে ব্যবহার করা একটি সরকারি স্যালাইনের খালি প্যাকেট ঝুলতে দেখা যায়।

জানতে চাইলে কোহিনূরের এক স্বজন বলেন, সাধারণত হাসপাতাল থেকেই স্যালাইন দেয়। না থাকলে বাইরে থেকে আনতে হয়।

মিরপুর থেকে হাসপাতালটিতে আসা প্রিয়াঙ্কা তালুকদারের মেয়ে বলেন, তার মা গত চারদিন ধরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। প্রাথমিক অবস্থায় বাসায় থেকে চিকিৎসা নিলেও হঠৎ তার (প্রিয়াঙ্কা তালুকদার) প্রচণ্ড বমি হওয়ায় ডেঙ্গু শনাক্তের তৃতীয় দিনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে আসার পর থেকে মোট দুটি স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে ওষুধ দেওয়া হলেও দুটি স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।

তবে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনার তথ্য অসত্য দাবি বলে দাবি করেছেন কর্তব্যরত কয়েকজন নার্স। তাদের দাবি, হাসপাতাল থেকেই স্যালাইনসহ রোগীর সব কিছু দেওয়া হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্সিং কর্মকর্তা বলেন, যত সেবা বা সুযোগ সুবিধাই দেওয়া হোক না কেন, রোগীদের অভিযোগ থাকবেই। রোগীদের কোনো স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে না। আমাদের স্টকে পর্যপ্ত স্যালাইন আছে।

সরকারি লোগো ছাড়া স্যালাইনের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি স্যালাইনেই সরকারি লোগো আছে। বাইরের যেগুলো দেখেছেন, ভালো করে লক্ষ্য করে দেখবেন সেগুলোর গায়েও সিল দেওয়া আছে। চাহিদা বাড়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাইরেও স্যালাইন কেনা হচ্ছে। ফলে সাধারণ দৃষ্টিতে মনে হতে পারে বাইরের কিন্তু আসলে সেগুলো আমাদেরই দেওয়া।

এছাড়া নতুন ভর্তি হওয়া অনেক রোগীদের নামে বরাদ্দ চালু না হওয়ায় এবং অনেকে অপেক্ষা করতে রাজি না হওয়ায় তারা নিজ উদ্যোগে স্যালাইন কিনে আনছেন বলেও দাবি করে তিনি। বিএসএমএমইউর আশপাশের কোনো ফার্মেসিতে স্যালাইন নেই বলে জানান কর্তব্যরত ওই নার্সিং কর্মকর্তা।

একই চিত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। সেখানে ঘুরে দেখা গেছে, রোগীদের সিংহভাগই স্যালাইন পাচ্ছে হাসপাতাল থেকে। তবে বিশেষ কারণে কয়েকজন রোগীকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে ফার্মেসি থেকে।

ঢামেকে স্যালাইন সংকট নেই জানিয়ে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, আমাদের এখন প্রতি মাসে এক লাখ ব্যাগ স্যালাইন লাগে। ডেঙ্গু আসার পর থেকে ৪০-৪৫ হাজার ব্যাগ বেশি লাগছে। অর্থাৎ প্রতিদিন রোগী ভেদে স্যালাইন প্রয়োজন হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার ব্যাগ। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে স্যালাইনের কোনো সংকট নেই। রোগীদের প্রয়োজনীয় স্যালাইন হাসপাতাল থেকেই দেওয়া হচ্ছে।

বাজারে নেই স্যালাইন : বিএসএমএমইউর সরেজমিনকালে একজন নার্সিং কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালটির আশপাশের কোনো ফার্মেসিতে শিরায় প্রয়োগ করা সাধারণ স্যালাইন নেই। এটি প্রমাণে তিনি একটি কাগজে ৫০০ মিলির স্যালাইনের চাহিদার কথা লিখে দেন। সেটি নিয়ে হাসপাতালটির আশপাশের আট থেকে দশটি দোকান ঘুরলেও কোথাও স্যালাইন পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে বিএসএমএমইউর পাশের মেডিসিন মার্কেটের জনপ্রিয় ফার্মেসিতে ১০০০ মিলির স্যালাইন পাওয়া গেলেও ৫০০ মিলির স্যালাইন পাওয়া যায়নি।

বাজারে স্যালাইন নেই জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, ডেঙ্গুর কারণে চাহিদা বেড়েছে। ফলে গত দুই সপ্তাহ ধরে সরবরাহ নেই। অনেক ক্রেতা কিনতে চাইলেও তারা দিতে পারছেন না।

কারণ হিসেবে শাহবাগের সরকার ফার্মেসির স্বত্ত্বাধিকারি বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ায় কোম্পানিগুলো ফার্মেসিতে না দিয়ে সরাসরি হাসপাতালকে স্যালাইন দিচ্ছে। ফলে আমাদের সাপ্লাই নাই।

একই চিত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার ওষুধের দোকানগুলোতেও। বিক্রেতারা বলছেন, গত এক সপ্তাহের অধিক সময়ে সাপ্লাই নেই। ফলে ক্রেতারা আসলেও আমরা দিতে পারছি না। মূলত হাসপাতালে চাহিদা বাড়ায় কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ করছে।

যা বলছে কর্তৃপক্ষ : দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধ ও স্যালাইন সরবরাহ করে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। তবে প্রতিষ্ঠানটির স্যালাইনের নিজস্ব উৎপাদন না থাকায় বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি থেকে তা কিনে হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করে।

এ বিষয়ে ইডিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির বলেন, গত বছর ৬০ লাখ ব্যাগ স্যালাইনের চাহিদা ছিল। এখন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চাহিদা ১০ গুণের বেশি বেড়েছে। এ চাহিদা পূরণ করেছে বেক্সিমকো, স্কয়ার, একমি, পপুলার, ওরিয়ন, লিব্রা ও অপসোনিন। রেশনিং প্রক্রিয়ায় হাসপাতালগুলোকে স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে।

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যেন স্যালাইন সংকট না হয়, সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের এমআইএস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন।

গত ৬ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে শাহাদাত হোসেন বলেন, এই সংকটের দায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের একার নয়। এ বিষয়ে ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে জানানো হয়েছে। কেন সংকট ও কোথায় দাম বেশি রাখা হচ্ছে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর তদারকি করছে।

 


আরও খবর



কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০ চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চুক্তিগুলো হলোউভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকিসংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দুদেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি।

আর সমঝোতা স্মারকগুলো হলোকূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় তাদের। দুপুরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।


আরও খবর



রাণীনগরে হিট স্ট্রোকে ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  : 

নওগাঁর রাণীনগরে শনিবার দুপুরে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে রেজাউল ইসলাম (৪৬) নামে ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পারইল ইউনিয়নের বড়গাছা গ্রামের সোলাকুরা মাঠে। নিহত রেজাউল ইসলাম উপজেলার রঞ্জনিয়া গ্রামের কছির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে বড়গাছা গ্রামের সোলাকুরা মাঠে রেজাউলসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিকরা এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটছিলেন। ধানকাটার পর জমি থেকে ধান বহনের সময় দুপুরের দিকে রেজাউল ধানের ভার বাধছিল। এসময় তীব্র গরমে রেজাউল ইসলাম হিট স্ট্রোক করে মাটিতে পড়ে যায়। সেখানেই ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান ।

রাণীনগর থানার ওসি মো. আবু ওবায়েদ বলেন, ধান কাটার শ্রমিক রেজাউলের মৃত্যুর খবর লোকমুখে শুনেছি। তবে থানায় কেউ কিছু জানায়নি।  


আরও খবর



স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে হজযাত্রীদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

হজযাত্রীদের টিকা গ্রহণের সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে। সরকার নির্বাচিত মেডিকেল সেন্টারগুলো থেকে টিকা নেওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কিছু রিপোর্ট সাথে আনতে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউরিন আরএমই, আরবিএস, এক্সরে চেস্ট পিএ ভিউ, ইসিজি, সেরাম ক্রিয়াটিনিন, সিবিসি উইথ ইএসআর, ব্লাড গ্রুপিং এন্ড আরএইচ টাইপিং।

মোট ৮০টি স্বাস্থ্য সেবা ও টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন হজযাত্রীরা। সব জেলার সিভিল সার্জন অফিস ছাড়াও কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল, ফুলবাড়ীয়া, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহম্মদ আলী হাসপাতাল ও দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল।

এ সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের জন্য ১৬১৩৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।


আরও খবর



২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলছে। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপদাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক মোতাবেক ঘোষিত ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হলো

১) আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

২) তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

৩) শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

৪) তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশে এমন তাপমাত্রা এটাই প্রথম নয়। এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নয়। সে কারণে এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থীদেরই পড়াশোনার ক্ষতি হবে। তাই আমরা রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি।

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। আর ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার। তবে ছুটি না বাড়ায় রোববার থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে।


আরও খবর

এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




দিল্লির ১০০ স্কুলে বোমা হামলার ‘হুমকি’

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

বোমা হামলার হুমকি’ দিয়ে ভারতের দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের (এনসিআর) প্রায় ১০০ স্কুল ইমেইল পাঠানো হয়েছে। তবে এই ইমেইলগুলো ভুয়া উল্লেখ করে সেগুলোর উৎস খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানান জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। এ ঘটনার পর রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর এনডিটিভি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলে বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার পর জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা উত্তর দিল্লির মডেল টাউনের ডিএভি স্কুল পরিদর্শন করেন।

ভি কে সাক্সেনা বলেন, দিল্লি পুলিশ ইমেইলগুলোর উৎস খুঁজে পেয়েছে। আমি দিল্লির নাগরিকদের আশ্বস্ত করছি যে পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং সতর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।

দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে কোনো স্কুলে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সিনিয়র পুলিশ অফিসার কুমার মাহলা বলেছেন, আমরা সব স্কুল পরীক্ষা করেছি। কিছুই পাওয়া যায়নি। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।

দিল্লি পুলিশ প্রধানের কাছে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভি কে সাক্সেনা।

জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, ... আমি অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি এবং স্কুল ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। দুর্বৃত্ত ও অপরাধীদের রেহাই দেওয়া হবে না।

বুধবার (১ মে) ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া সমস্ত স্কুলে পুলিশ এবং ফায়ার বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন।

নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার জানিয়ে দিল্লি পাবলিক স্কুল নয়ডার অধ্যক্ষ কামিনী ভাসিন বলেছেন, আমরা বোমা সংক্রান্ত একটি ইমেইল ​​পেয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থী আছে, তাই আমরা ঝুঁকি নিতে পারি না। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। অভিভাবকদের জানানো হয়েছে এবং ছাত্রদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর