Logo
শিরোনাম

দেশে শুষ্ক আবহাওয়া, শীত বাড়ছে

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময় আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গায় ১৪ রদশমিক ০, রাজারহাটে ১৪ দশমিক ২, ঈশ^রদীতে ১৪ দশমিক ৪, শ্রীমঙ্গলে ১৪ দশমিক ৫, যশোরে ১৪ দশমিক ৬, ডিমলায় ১৪ দশমিক ৮ এবং দিনাজপুর, সৈয়দপুর ও বদলগাছীতে ১৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসব এলাকায় শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। ভোর রাতে কুয়াশাও পড়ছে। তবে মধ্যাঞ্চল ও অন্যান্য অঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করছে। দক্ষিনাঞ্চলে শীত পড়বে আরো পরে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৩, রাজশাহীতে ১৬ দশমিক ৪, রংপুরে ১৭ দশমিক ০, ময়মনসিংহে ১৫ দশমিক ৮, সিলেটে ১৭ দশমিক ০, চট্টগ্রামে ১৯ দশমিক ৩, খুলনায় ১৬ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ৩০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

পূর্বাভাসে আর বলা হয়, মৌসুমের লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বাড়তি অংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ বিহার ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। ঢাকায় শুক্রবার উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।

ঢাকায় শুক্রবার সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে ও আগামীকাল সূর্যোদয় ভার ৬টা ২০ মিনিটে। সূত্র : বাসস


আরও খবর



দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। শুক্রবার নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার বার্তায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ফেনী ও বান্দরবানসহ বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এতে আরও বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় রাঙ্গামাটিতে এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে।


আরও খবর



রাণীনগরের মাধাইমুড়ি গ্রামে ঐতিহ্যবাহী চরক পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

গত বৃহস্পতিবার নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মাধাইমুড়ি গ্রামে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী চরক পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়।  চড়ক পূজা ও মেলাকে কেন্দ্র করে শিবের মাধাইমুড়ী সহ আশপাশের গ্রামের মানুষের মধ্যে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা শুরু হয়েছিল। প্রতিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে আতœীয়-স্বজনে ভরে যায়।  পূজা উদ্যাপন ও মেলা পরিচালনা কমিটি সমন্বয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চরক পূজার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত মেলা শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই চড়ক উৎসব এই অঞ্চলের হিন্দুদের বেশ আনন্দ উৎসবের খোড়াক হিসেবে প্রতি বছরই নারা দেয়। লোহার শিক দিয়ে তৈরি বরশী পিঠে ফুটিয়ে প্রায় ৩০ ফুট উচুতে শূন্যে ঘুড়ছে । চারে দিকে আগত উৎসক দর্শনার্থী আর ভক্তদের হাত তালি এবং হৈ-হুল্লর করে উৎসাহ যোগায় চড়ক খেলাকারীদের। শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী শিবের মেলা উপজেলার মাথাইমুড়ি গ্রামে গত ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় মেলার প্রধান আকর্ষন চড়ক খেলা । আর এ খেলার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত করা হয় চার দিনের শিবের মেলা। 

জানা গেছে, শতবর্ষী এ মেলাকে ঘিরে এলাকা ভরপুর হয়ে উঠে আতœীয় স্বজনের কোলাহলে। মেলার শেষ দিনে দুপুরের পর থেকেই দলে দলে আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা, মহিলা-পুরুষ মাধাইমুড়ি শিব ও কালী মন্দীর প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে শুরু হয় চড়ক খেলার প্রস্ততি পর্ব। ৩০ ফুট উঁচুএকটি শিশু গাছের মাথায় বাঁশ দিয়ে চরকী তৈরি করে তার এক মাথায় নওগাঁর রাণীনগরে চার দিন ব্যাপী চড়ক পূজা সম্পূর্ণপূজারীর পিঠে বরশী ফুটিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। একই বাঁশের অপর মাথায় দড়ি বেঁধে সে দড়ি গাছের নীচের দিকে আর একটি বাঁশ বেঁধে তার মাথায় বেঁধে দেওয়া হয়। তারপর ৭-৮ জন লোক মিলে নিচের বাঁশ ধরে সজরে ঘোরাতে থাকেন। তার পিঠে ও পায়ে বরশী ফুটিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া লোকটি চড়ক গাছে ঘুরতে ঘুরতে বাতাশা (চিনির তৈরী মিষ্টি) ছিটাতে থাকেন। কথিত আছে, ভক্তরা সে বাতাশা বিভিন্ন মানত ও অসুখ-বিসুখের সুস্থ্যতার আশায় খুটে খুটে খান। 

চড়ক খেলাকারী নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার দুমদুমা গ্রামের ভোলা (৪৫)। তিনি এ বছর এমনিতেই মাধাইমুড়ি গ্রামে চরক গাছে ঘুরতে এসেছেন। তার শিক্ষাগুরু নাটোর জেলার সিংড়া থানার হাতিন্দা গ্রামের বাবুল চন্দ্র সরকার (সন্নাসী) জানান, সখ করে সে আমার কাছ খেকে এ কাজ শিখেছেন। আমার শিক্ষাগুরু ছিলেন,নাটোর জেলার ভুজনগাছী গ্রামে সুশিল চন্দ্র মহন্ত। তিনার পিছনে সাত বছর ঘুরে আমাকে এ শিক্ষা দেন। 

 মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন জানান, প্রতি বছরের চেয়ে এই বছর পূর্ণার্থীদের ব্যাপক আগমন ঘটেছে। মেলার পরিবেশ ও আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ভাল থাকায় এবছর যাকজমকপূর্ণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার চড়ক পূজার মধ্য দিয়ে চার দিন ব্যাপী শিবের মাধাইমুড়ী মেলা শেষ হয়।


আরও খবর



বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বঙ্গবাজারে বহুতল নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করে সিটি করপোরেশন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবাজারের সামনের অংশে একটি ভেকু দিয়ে বাঁশের কাঠামো সরিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত থেকে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সেখানে উপস্থিত থেকে মোবাইলে উচ্ছেদের দৃশ্য ধারণ করতে দেখা যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউ।

এর আগে, রবিবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বঙ্গবাজারের অবৈধ অস্থায়ী দোকানগুলো ভেঙে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। সংস্থাটির সম্পত্তি বিভাগের উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।


আরও খবর



ক্রেতাশূন্য বাজারেও পণ্যের বাড়তি দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর এবং রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শাক-সবজির দাম। আর কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মুরগির দাম।

বিক্রেতারা বলেন, ঈদের কারণে বন্ধ রয়েছে পণ্য সরবরাহ। আগে আসা পণ্যগুলোই এখন মূলত বিক্রি হচ্ছে। পাশপাশি বাজারে দেখা নেই ক্রেতার। ফলে কিছুটা লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৪০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, খিরাই ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

আর প্রতিকেজি আলু ৪০ টাকা, কহি ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য ৪০-৫০ টাকা ও প্রতি হালি লেবুর জন্য গুণতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও।পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায় ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, ঈদের কারণে সবজির ট্রাক আসেনি। ফলে আগের সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে।

এদিকে কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার ২৫০-২৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৭০-৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৫০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

ক্রেতারা বলেন, বাজারে ক্রেতা নেই। তবু দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে নতুন করে কোনো মুরগি আসেনি। ঈদের আগে আসা বাড়তি দামের মুরগিই এখন বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে দাম কিছুটা চড়া।

কেরানীগঞ্জের মুরগি বিক্রেতা রিপন বলেন, বাজারে মুরগি কম। তাছাড়া ঈদের কারণে নতুন করে মুরগি আসেনি। আগে যা এসেছিল সব বাড়তি দামের। তাই কিছুটা বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ঈদের আগের দিন থেকে কেজিতে ৫০-৭০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও। সহসাই কমার লক্ষণ নেই। কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের মাংস বিক্রেতা আসলাম বলেন, বাজারে গরুর দাম বেড়েছে। তাছাড়া কোরবানিকে কেন্দ্র করে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন। তাই সামনে গরুর দাম কমার লক্ষণ নেই, উল্টো বাড়তে পারে।

বাজারে দাম বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি দেশি রসুন ১৫০ টাকায় ও আমদানিকৃত রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আর মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ বাজারেই নেই মাছ। ঈদের কারণে মাছ আসতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে যাও এসেছে, সেগুলোর দামও চড়া।


আরও খবর

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

সোমবার ০৬ মে ২০২৪




অবৈধ টিভি চ্যানেলের বিরু‌দ্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। তারই পরিপ্রেক্ষি‌তে অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

২। ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩। সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪। টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫। বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

৬। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্যকোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯। অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এই বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি আরো বলেন, বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। দেশের জনগণের স্বার্থে এই সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে।


আরও খবর