Logo
শিরোনাম

দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image
  • দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে ৪০ হাজার কোটি টাকা টিকা কিনতে ব্যয় করছে সরকার। অনেক দেশ আছে, যারা এখনও ১৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারেনি। কিন্তু আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি টিকা দিয়ে ফেলেছি। ইতোমধ্যে দেশে ৭৫ শতাংশ মানুষ করোনার টিকার আওতায় এসেছে।.. স্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের দুই বছর পূর্ণ হলো মঙ্গলবার। এই সময়ে বেশ সফলতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ, বিশেষ করে করোনা প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে। এরইমধ্যে দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। এতে টিকাদানে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে।

করোনার বৈশ্বিক টিকাদান পর্যবেক্ষণ ওয়েবসাইট আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা’র তথ্য পর্যালোচনায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।

ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে টিকাদানের ক্ষেত্রে শুধু ভুটান বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে। ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মিয়ানমার রয়েছে বাংলাদেশের পেছনে।

টিকাদানের এই অগ্রগতি গণটিকাদান কর্মসূচির কারণে সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য-সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, প্রথম দিকে তেমন পরিকল্পনা না থাকলেও চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে টিকাদানে গতি বাড়ায় সরকার। এ কারণে এই সফলতা।

সরকার শুরুর দিকে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। সে হিসাবে দেশে টিকাগ্রহণের উপযোগী জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১২ কোটি। ইতোমধ্যে ১২ কোটির বেশি মানুষ করোনা টিকার আওতায় এসেছে।

সরকারের হাতে এখন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি টিকা রয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা, বাড়তি তিন কোটি টিকা গরিব দেশকে উপহার দেবে।

‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা’ ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ৬ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে। বাংলাদেশের আগে একটি মাত্র দেশ ভুটান, অবশ্য দেশটির জনসংখ্যা বাংলাদেশ থেকে অনেক কম।

ভুটানের ৭৬ শতাংশ জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৬৯, শ্রীলঙ্কায় ৬০, পাকিস্তানে ৫৭, মালদ্বীপ ও নেপালে ৭৩, মিয়ানমারে ৪৩ ও আফগানিস্তানে ১২ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম প্রয়োগ হয় ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি। রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে প্রয়োগের মাধ্যমে এই টিকা কার্যক্রম শুরু হলেও গণটিকা শুরু হয় ১০ দিন পর ৭ ফেব্রুয়ারি।

বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভ্যাক্স প্রয়োগের মাধ্যমে। একপর্যায়ে ভারতের নিষেধাজ্ঞায় টিকা পাঠানো বন্ধ রাখে তারা।

এরপর টিকা পেতে চীনের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে তোলা আন্তর্জাতিক উদ্যোগেও টিকা আসতে থাকে।

ইতোমধ্যে দেশে ৩০ কোটি টিকা এসে পৌঁছেছে। সরকারের হাতে এখনও পাঁচ কোটির বেশি টিকা মজুত রয়েছে।

দেশে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি টিকার প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হয়। দুই মাস পর ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম। ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

টিকাদানে গতি বাড়িয়ে গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এক দিনে ৭৬ লাখের বেশি টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর বিশেষ গণটিকা চলে।

সরকারের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ ৩ কোটি ৪৯ লাখ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। এ সময় প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছে ২ কোটি ৩২ লাখ মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ মানুষ। বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১০ লাখ জন। শুধু ২৬ ফেব্রুয়ারিই দেশে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়।

এখন পর্যন্ত এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৬ জনকে। এর মধ্যে ১২-১৭ বছর বয়সীদের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ ২৭ হাজার ৬১৭।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অন্য দেশের পর টিকাদানে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। শুরুর দিকে টিকা সংকটের কারণে ধীরগতি ছিল। যে কারণে কিছুটা পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ।

এই অবস্থা সত্যিই অবাক করার মতো। টিকাদান বৃদ্ধির কারণে দেশে করোনা সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণে আসছে। এমনকি আক্রান্তদের মধ্যে তেমন জটিলতা দেখা যায়নি। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে ৪০ হাজার কোটি টাকা টিকা কিনতে ব্যয় করছে সরকার। অনেক দেশ আছে, যারা এখনও ১৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারেনি। কিন্তু আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি টিকা দিয়ে ফেলেছি। ইতোমধ্যে দেশে ৭৫ শতাংশ মানুষ করোনার টিকার আওতায় এসেছে।

‘আমাদের হাতে যে টিকা রয়েছে, টার্গেট জনগোষ্ঠীকে টিকা দিয়ে কিছু টিকা বাড়তি থাকবে। এই টিকা গরিব দেশকে দান করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে সাড়া দিয়েছেন। টিকাদানে অগ্রগতি থাকায় দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে


বিডি টুডেইস 


আরও খবর



কঠিন হয়ে পড়ছে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশে ডলার সংকটের কারণে গত বছর জটিলতায় পড়ে যান বিদেশগামী অনেক শিক্ষার্থী। ওই সময় অনেক ব্যাংক বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি পরিশোধের জন্য স্টুডেন্ট ফাইল খুলতে গড়িমসি করে। ডলারের সে সংকট এখনো কাটেনি। এর মধ্যে নতুন করে ডলারের বিপরীতে টাকার ক্রমাগত অবমূল্যায়ন বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকে আরো কঠিন করে ‍তুলেছে।

শিক্ষা খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু বিদেশে নয়, টাকা অবমূল্যায়নের কারণে যে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে, তার প্রভাবে দেশেও শিক্ষার ব্যয় আরো বেড়ে যেতে পারে। 

ইউনেসকোর হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালে উচ্চ শিক্ষায় বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫২ হাজার ৭৯৯ জন। কয়েক বছর ধরে এ সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে ২০২১-এর তুলনায় ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৬০ শতাংশ। সাধারণত দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ আনুষঙ্গিক খরচ ডলারে পরিশোধ করতে হয়। 

বিদেশে উচ্চ শিক্ষাপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা মূলত দেশের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে খরচ পাঠান। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিশেষ ব্যাংক হিসাবের (স্টুডেন্ট ফাইল) মাধ্যমে বিদেশে এ অর্থ পাঠান। এছাড়া কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে দেখাতে হয়। ফলে কোনো দেশের মুদ্রার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বাড়লে ওই দেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়ে যায়।

গত ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে ডলারের নতুন বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বর্তমানে প্রতি ডলারের দর ১১৭ টাকা। এর আগে মুদ্রাটির বিনিময় হার ছিল ১১০ টাকা। এছাড়া জানুয়ারি ২০২০ থেকে চলতি মাস পর্যন্ত টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে প্রায় ৩৮ শতাংশ। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রতি ডলারের দর ছিল ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বাবদ গত তিন অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেনের পরিমাণ ১৩০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরে লেনদেন হয় ৪১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। পরের অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫১ কোটি ৯৯ লাখ (প্রক্ষেপিত) ডলারে। আর চলতি অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে ৩৭ কোটি ৩ লাখ ডলার।

শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোই বেশি চাপে পড়বে। ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান ও এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ডলারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বেড়ে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীদের ব্যয়ও বেড়ে যাবে। ফলে মধ্যবিত্ত যেসব পরিবারের সন্তান বিদেশে লেখাপড়া করছে তাদের ওপর বেশি চাপ তৈরি হবে। তবে শুধু বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেই নয়, ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়ে দেশেও শিক্ষায় খরচ বেড়ে যেতে পারে।

উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা যেসব দেশ বেছে নিচ্ছেন তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যান ওপেন ডোরস রিপোর্ট ২০২২-২৩-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। দেশটিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৬৩। এর আগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন ১০ হাজার ৫৯৭ জন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন আতিকুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমেরিকান একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পেয়েছি। ওই সময়ের হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি, টিউশন ফিসহ সব মিলিয়ে যে টাকা ছিল এখন সে তুলনায় প্রায় দেড় লাখ টাকা বেশি প্রয়োজন হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘‌আমাদের দেশে বেশির ভাগ পরিবার মধ্যবিত্ত এবং এখন অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কষ্ট করে হলেও বিদেশে পড়ালেখা করতে পাঠাচ্ছে। ডলারের এ মূল্যবৃদ্ধির জন্য এমন পরিবারগুলো সমস্যায় পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ হাজার ৬৮৩, যা ২০২৩ সালের জানুয়ারির তুলনায় ৭৪ শতাংশ বেশি। এছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেশটিতে শিক্ষার্থী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে রাইজিং স্টার হিসেবে চিহ্নিত করেছে। দ্য আউটলুক ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট মবিলিটি: অ্যামিড আ চেঞ্জিং ম্যাক্রোইকোনমিক ল্যান্ডস্কেপ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে জিডিপি বৃদ্ধির সঙ্গে বিদেশগামী শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধির সম্পর্কও তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সঙ্গে ভর্তি ফি, টিউশন ফিসহ অর্থনৈতিক বিষয়গুলো জড়িত থাকায় যেসব দেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার এবং অর্থনৈতিক অবস্থা তুলনামূলক ভালো সেসব দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের প্রবণতাও বেশি। প্রতিবেদনটিতে বিদেশে শিক্ষার্থী প্রেরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সার্বিক ব্যয় বেড়ে গেছে বলে জানান অস্ট্রেলিয়াগামী শিক্ষার্থী ফাহিম উল্লাস। তিনি বলেন, ‘‌আমি মাত্র এক সপ্তাহ আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি প্রদান করেছি, নয়তো অতিরিক্ত ৯০ হাজার টাকা দিতে হতো। তবে ফি জমা দিলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় দেশ ত্যাগের ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক খরচ বেশ বেড়ে যাবে। এছাড়া যদি ডলারের বিনিময় হার না কমে তাহলে ডিগ্রি অর্জন পর্যন্ত ব্যয়ও কয়েক লাখ টাকা বেড়ে যাবে। সব মিলিয়ে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি আমাদের মতো বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের প্রতি বেশ নেতিবাচক একটি প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে।

ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমানও। তিনি বলেন, ‘‌ডলার সংকটের কারণে বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে সমস্যা হচ্ছিল। অনেকে কার্ব মার্কেট থেকে ডলার কিনে কিংবা অন্য মাধ্যমে ডলার সংগ্রহ করে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এমন অবস্থায় ডলারের মূল্যবৃদ্ধি শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে।

তিনি বলেন, ‘‌এতদিন ডলারের ঘোষিত মূল্য ১১০ টাকা থাকলেও শিক্ষার্থীদের ১১৫-১৭ টাকায়ই ডলার কিনতে হতো। ব্যাংক যদি এখন এটা নিশ্চিত করতে পারে যে শিক্ষার্থীরা ১১৭ টাকায়ই ডলার কিনেতে পারবে, তাহলে হয়তো চাপটা তুলনামূলক কম বাড়বে। তবে ডলারের বাজার যদি অস্থিতিশীলই থাকে তাহলে সংকট আরো তীব্র হয়ে উঠবে। আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে।

বিদেশে উচ্চ শিক্ষা কঠিন হওয়া প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক সদস্য এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘‌ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যয় বাড়বে। বিষয়টি শিক্ষার্থীর ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে সেটি নির্ভর করবে তার বা তার পরিবারের আর্থিক অবস্থার ওপর। তবে আমাদের এখন উচিত দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের বিষয়ে উৎসাহিত করা। দেশে অনেক সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বেশ সুনামও কুড়িয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের আরো সচেষ্ট হতে হবে।

 


আরও খবর



বিশ্বের কুখ্যাত মানবপাচারকারী বারজান মাজিদ গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক ডিজিটাল ডেস্ক:



ইউরোপের কুখ্যাত একজন মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম বারজান মাজিদ।


 ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির করা একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তাকে গত রোববার সকালে ইরাকের কুর্দিস্তান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির জ্যেষ্ঠ একজন সরকারি কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন ।


বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে মাজিদ ও তার দলের সদস্যরা ইংলিশ চ্যানেল জুড়ে নৌকা এবং লরি ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে মানুষ পাচার বাণিজ্য চালিয়ে আসছিল।


সম্প্রতি কুর্দিস্তানের সুলায়মানিয়া শহরে মাজিদের সন্ধান পায় বিবিসি, যেখান থেকে তিনি কয়েক হাজার অভিবাসীকে ইংলিশ চ্যানেল পার করিয়েছেন বলে জানান।


মাজিদ ‘স্করপিয়ন’ নামেও বেশ পরিচিত। “এক হাজারও হতে পারে, আবার ১০ হাজারও হতে পারে। সংখ্যাটা ঠিক জানি না, আমি কখনও গণনা করে দেখিনি,” বলেছিলেন মাজিদ।


কুর্দিস্তানের স্থানীয় সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, মানব-পাচারকারী চক্রের ওপর সম্প্রতি বিবিসি যে অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে, সেটির সূত্র ধরেই তারা মাজেদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন।


“আজ (রোববার) সকাল সাতটার দিকে তিনি (মাজেদ) নিজের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন। তখন আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। এক্ষেত্রে আমাদেরকে তেমন বড় কোনো ঝক্কি পোহাতে হয়নি,” বলেন ওই কর্মকর্তা।


তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি। এরপর আমরা ইউরোপীয় পুলিশ এবং আইনজীবীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করবো, যারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।”


যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিও (এনসিএ) মাজেদের ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।


এ বিষয়ে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, “প্রতিবেদনের মাধ্যমে তার (মাজিদের) মানব পাচারের বিষয়টি প্রকাশ করার জন্য আমরা বিবিসি’র কাছে কৃতজ্ঞ।


এতে আরও বলা হয়েছে, “যুক্তরাজ্যে যারা মানুষদের পাচার করছেন, তারা যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, আইনের আওতায় এনে ওইসব চক্রকে নির্মূল করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং এক ব্যাপারে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”


২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের মধ্যে যত মানুষ পাচার হয়েছে, সেটির বেশিরভাগই ‘স্কর্পিয়নস’ এর চক্র নিয়ন্ত্রণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।


দুই বছর ধরে অভিযান চালিয়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যরা চক্রটির অন্তত ২৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা পরবর্তীতে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।


কিন্তু চক্রটির মূল হোতামাজেদ, যাকে ‘স্করপিয়ন’ ডাকা হয়, তিনি নিজেই এতদিন গ্রেপ্তার এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। যদিও গ্রেপ্তারের আগেই বেলজিয়ামের একটি আদালতে তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ১২১টি মানব-পাচারের ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।


২০২২ সালের অক্টোবরে মাজেদকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। একই সঙ্গে, নয় লাখ ৬৮ হাজার ইউরো জরিমানাও করা হয়। কিন্তু বিবিসি খুঁজে বের করার আগ পর্যন্ত তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিলো না।


গত এপ্রিলে লোহিত সাগরে নৌকা ডুবির ঘটনায় বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মৃত্যু হয়। তখন একটি ফোনালাপকালে মাজেদ ডুবে যাওয়া ব্যক্তিদের প্রতি সামান্য সহানুভূতি দেখান বলে মনে হয়েছে।


“সৃষ্টিকর্তা (এটি নির্ধারণ করে রেখেছেন যে) কখন আপনার মৃত্যু হবে। তবে কখনও কখনও নিজেদের দোষেই আপনার মারা পড়েন,” ওই ফোনালাপে বলেন মাজিদ।


তিনি আরও বলেন, “সৃষ্টিকর্তা কখনও আপনাকে বলেননি যে, তুমি “নৌকায় যাও।”


খোঁজ পাওয়ার পর মাজিদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে বিবিসি। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর অবশেষে তিনি সুলায়মানিয়ার একটি শপিংমলে দেখা করতে রাজি হন।


তিনি যে একটি অপরাধমূলক সংগঠনের একজন শীর্ষ ব্যক্তি, সেটি তখন তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, অন্য চক্রের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন সময় ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।


“গ্রেপ্তার হওয়া বেশ কয়েকজন লোক বলেছে যে, আমরা তার জন্য কাজ করছি। তারা কম সাজা পেতে চায়,” বলেন মাজেদ। এরপর তিনি রব লরি নামের সাবেক এক সৈনিককে সেখানে ডাকেন। লরি অবশ্য বিবিসি’র অনুসন্ধানী দলের হয়েই কাজ করছিলেন।


“কেউ তাদের জোর করেনি। তারাই এটি চেয়েছিল,” বলেছিলেন মাজিদ। তিনি আরও বলেন, “তারা নিজেরাই মানব-পাচারকারীদেরকে অনুরোধ বলেছিল যে, দয়া করে আমাদের জন্য এটি করুন।”


“কখনও কখনও চোরাকারবারিরা বলে, শুধু সৃষ্টিকর্তার কথা ভেবে আমি তাদের সাহায্য করবো।...না, এটি (জোর করে নেওয়ার অভিযোগ) সত্য নয়,” বলেন মাজিদ।


বেলজিয়াম সরকারের কৌসুলীর কার্যালয় থেকে মাজিদের গ্রেপ্তারের খবরকে স্বাগত জানানো হয়েছে।


বেলজিয়াম সরকারের কৌঁসুলীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা অ্যান লুকোভিয়াক বলেন,অবশেষে আমাদের এই মামলায় ন্যায়বিচার দেখার সুযোগ হয়েছে।


আরও খবর



হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে স্মার্ট

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, আগামী দিনে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অনুসারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত যে পোর্টাল রয়েছে, সেখানে আমরা নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছি।

বুধবার সকালে ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই যাতে সহী-শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন, সেজন্যই মূলত আজকের এই প্রশিক্ষণ। আমরা প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত দক্ষ প্রশিক্ষক নির্বাচন করেছি। আপনারা যদি প্রশিক্ষণের প্রতি মনযোগী হতে পারেন, তাহলে আপনারা হজের নিয়মকানুন, হুকুম-আহকাম, ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতাসবকিছু আয়ত্তে আনতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই প্রবণতা হলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হজ পালন করা।


আরও খবর



কৃষ্ণচূড়ার বনে ‘আগুন জ্বেলেছেন’ রুনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন,বিনোদন ডেক্স থেকে:

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খান মাঝেমধ্যেই নিজেকে মোহনীয় রূপে উপস্থাপন করে থাকেন। সম্প্রতি তারই ধারাবাহকতায় তিনি নিজেকে রাঙালেন কৃষ্ণচূড়ার রঙে। 

রুনা খান মঙ্গলবার (১৪মে) তার ফেসবুক পেজে বেশকিছু ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ’কৃষ্ণচূড়ার বনে বনে আগুন লেগেছে।’ রুনার পোস্ট দেখে তার রূপের প্রশংসায় ভাসছেন নেটিজেনরা।

অভিনেত্রী শানারেই দেবী শানু অভিব্যক্ত প্রকাশ করে লিখেছেন, ’আগুন লেগে গেছে সবার মনে মনে। অনেক অনেক সুন্দর লাগছে রুনা আপু।’

সাইদা আফরিন আলী নামে এক ভক্ত বলেন, ’তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি, সেকি মোর অপরাধ"! এক গুচ্ছ টকটকে লাল কৃষ্ণচূড়ার ভালোবাসা - শুধু তোমার জন্য।’ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লাল জামদানিতে কানের পাশে কৃষ্ণচূড়া ফুল গুঁজে দিয়ে চমৎকার হাসিতে আকাশের দিয়ে চেয়ে আছেন রুনা খান।  

এছাড়া কপালে ছোট লাল টিপ আর খোলা চুলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন অভিনেত্রী।রুনা ‘অসময়’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। 


আরও খবর

বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ইসরায়েলকে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক :


দখলদার ইসরায়েলকে ১০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করতে চায় হোয়াইট হাউস। 


নতুন এই অস্ত্র সহায়তার মধ্যে ট্যাংকের গোলাবারুদ, মর্টার এবং কৌশলগত সাঁজোয়া যানসহ অন্যান্য আরও সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে। খবর বিবিসি।


ফিলিস্তিনের গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শেষ হয়ে আসা ইসরায়েলি অস্ত্রভাণ্ডার পূর্ণ করতে এসব অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। 



গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েল যদি গাজার রাফাহ শহরে বড় ধরনের আগ্রাসন চালায় তাহলে তিনি অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেবেন। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন এই সিদ্ধান্ত এলো।


এরপর গত শুক্রবার গাজা আক্রমণে ইসরায়েল ‘কিছু ক্ষেত্রে’ আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেছে বাইডেন প্রশাসন। 


প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র যেসব অস্ত্র দিতে চাচ্ছে তার মধ্যে ট্যাংক খাতে ৭০০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে। ৫০০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে কৌশলগত যানবাহনে এবং ৬০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে মর্টার শেলে।


এদিকে অস্ত্রের নতুন এই প্যাকেজের বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসকে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মূলত এই সহায়তা প্যাকেজ ইসরায়েলে পাঠানোর আগে কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে কংগ্রেসের একজন সহকারী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এসব অস্ত্র সংগ্রহ করা হবে এবং এর দাম ১০০ কোটি ডলারের বেশি।


 সম্প্রতি প্রতিরক্ষা সহায়তা হিসেবে কংগ্রেসে যে ৯৫ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব পাস হয়, তা থেকেই এই অস্ত্র সরবরাহ করা হবে।


আরও খবর