Logo
শিরোনাম

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে বাইক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ। এ সময় মাত্রার অতিরিক্ত গতি, ওভার ট্রাকিং ও হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে যাত্রীবাহী বাসের চালক ও প্রাইভেট কারসহ ১১টি যানবাহনকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মহাসড়কের তিনটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন বিআরটিএর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাতসহ হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপে যাচ্ছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিগগিরই সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে মহাসড়কে। এছাড়া প্রথম দিনের অভিযানে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে যাত্রী ও পথচারীদের অনীহা ও যানবাহনের ওভার ট্রাকিংসহ অতিরিক্ত গতিতে চলাচলের চিত্র চোখে পড়েছে। ফলে দ্রুত এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্থায়ীভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 এছাড়া শিগগিরই মহাসড়কের মূল সড়কের মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে, তবে নিয়ম মেনে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনে চলতে পারবে মোটরসাইকেল। কারণ গত এক বছরের মহাসড়কের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সব থেকে বেশি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীরা, যার সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি।

অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহাসড়কে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। ফলে শিগগিরই মহাসড়কে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এছাড়া স্পিডগানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তে মহাসড়কে বৃদ্ধি করা হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) অতিরিক্ত সচিব নুর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের আদালত ৪ এর ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাত এসব অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মহাসড়কে ৯৫ থেকে ১১৫ গতিতে যেসব যানবাহন চলাচল করে সেগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। এতে ১১টি যানবাহন থেকে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কে যানবাহনের দ্রুত গতির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ফলে অসংখ্য মানুষকে প্রাণহানিসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে। এটিকে গুরুত্ব দিয়ে এমন জোরালো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর



নেত্রকোনায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশে এক হাজারের বেশি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগ। 

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২২ এপ্রিল) নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের নেতৃত্বে নেত্রকোনা পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ফলজ, বনজ ও ঔষধি  ১০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়। এ কর্মসূচি আরও ১০ দিন চলবে। রোপণকৃত গাছের মধ্যে রয়েছে— আম, কাঠাঁল, পেয়ারা, নিমসহ বিভিন্ন কাঠ জাতীয় গাছ।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে জেলা ও পৌর ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের বলেন, ‘এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জন এবং তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই বৃক্ষরোপণ। আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।’ 

তিনি আরো বলেন, আমরা বন কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে বিভিন্ন গাছ সিলেকশন করেছি। তারপর আমার গাছ গুলো পরিচর্যার জন্য একজন নির্ধারিত লোক রেখেছি যিনি প্রতিদিন দুইবেলা পানি কিছুদিন পরপর ইউরিয়া সার দিবে এবং গাছের গোড়া পরিষ্কার রাখবে ও অন্যান্য কাজ নিয়মিত করে যাবে। 

এর আগে, ২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ১০ দিনে সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ ছাড়াও পরিবেশ দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক কোটি বৃক্ষরোপণ করে গিনেজ বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচি পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির।

সাম্প্রতিক তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য(এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১০ দিনে ৫ লক্ষের অধিক বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি ঘোষণা করছে।


প্রয়োজনীয় নির্দেশনা :

চলতি এপ্রিল মাসের ২১-৩০ তারিখের মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ করতে হবে; কৃষি বিশেষজ্ঞ ও সরকারের কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সহযোগিতা নিয়ে উপযুক্ত স্থানে নিয়মমাফিক বৃক্ষরোপণ করবে; শুষ্ক মৌসুম বিধায় নিয়মিত গাছে পানি দিতে হবে; রোপণকৃত বৃক্ষের পরিচর্যা করতে হবে; প্রতিটি উপজেলা ইউনিট এক হাজার এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিট পাঁচ শত বৃক্ষ রোপণ করবে; বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে; বৃক্ষরোপণের ছবি, ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।

একইসাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী ও অন্যান্য সাংগঠনিক ইউনিটকে নিজ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর



লাফিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা, মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

ঈদুল ফিতর আর বাংলা নববর্ষ মিলিয়ে এবার দীর্ঘ ছুটি ছিল। এমন ছুটিতে গ্রামে যাওয়ার সুযোগ কে হাতছাড়া করে? তবে উসবেও আমাদের একমাত্র উকণ্ঠা হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। পৃথিবীর প্রত্যেক জনপদেই উসব পালিত হয়। কিন্তু কোনো নাশকতা ছাড়া শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় এত মানুষ হতাহতের নজির বোধ হয় অন্য কোথাও নেই। 

ঈদের ছুটি কাটিয়ে শহরে ফেরার পথে বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। এর মধ্যে গাড়ির উচ্চগতি, ওভারটেক, ঝাঁকুনি কিংবা হার্ডব্রেক অবচেতনে ডেকে আনছিল মৃত্যুভয়। তবে শেষমেশ নিরাপদেই ফিরতে পেরেছি। তবে কারো কারো কপালে সে ভাগ্য হয়নি। এবারের ঈদযাত্রায়ও সড়ক দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে এসেছে প্রতিদিনই।

গত ১৬ এপ্রিল ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের ধাক্কায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন গাড়ির আরও ১৪ আরোহী নিহত হয়। দুর্ঘটনায় নিহতের এ তালিকায় যোগ হয়েছে তরুণ সংগীতশিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসানের নাম। ১৮ এপ্রিল সকালে কনসার্ট থেকে ফেরার পথে সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের সুরমা সেতুর কাছে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সঙ্গীসহ নিহত হয়েছেন পাগল হাসান।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, ঈদযাত্রা শুরুর দিন (৪ এপ্রিল) থেকে ১৮ এপ্রিল কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত ১৫ দিনে সড়কে ৩৯৯টি দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও এক হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে দুটি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে। সবমিলিয়ে সড়ক, রেল ও নৌ পথে ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও এক হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছে।

অন্যদিকে গত বছর ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ ও আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে। আর এসব দুর্ঘটনায় যথারীতি মোটরসাইকেলই শীর্ষে রয়েছে। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছে; যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।

যদিও সব দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে আসে না। তাই প্রকৃত দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আট বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৬০ হাজার ৮৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় তিন হাজার ৮৬২ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে চার হাজার ৪৭৫ জনের। অর্থা শুধুমাত্র ঈদের মৌসুমেই সড়ক দুর্ঘটনায় ৭.৩৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বলছে, গত ১১ এপ্রিল ঈদের দিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে ঈদের আগে-পরে ছয় দিন এবং ঈদের দিন মিলিয়ে সাত দিনে সারা দেশে মোট ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২২ জন নিহত এবং আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৯৫ জন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৬ শতাংশের বেশি জাতীয় মহাসড়কে, ৩৪ শতাংশের বেশি আঞ্চলিক সড়কে, ১৮ শতাংশ গ্রামীণ সড়কে এবং প্রায় ১১ শতাংশ শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমান সময়ে মোট দুর্ঘটনার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ঘটে মোটরসাইকেলে। যার মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৫.১১ শতাংশ, মুখোমুখি সংঘর্ষে ২১.২৫ শতাংশ, অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ধাক্কা বা চাপায় ২৩.৬২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই উঠতি বয়সী তরুণ।

স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। আর বর্তমান সরকারের সময়ে যে পরিমাণ নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার হয়েছে তা অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মাত্র তিন হাজার ৬০০ কিলোমিটারের সড়ক দিয়ে শুরু করা বাংলাদেশে বর্তমানে তিন লাখ ৭৫ হাজার কিলোমিটারে সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় ও আঞ্চলিক মিলিয়ে ২২ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক আছে।

এসব সড়ক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে হাইওয়ে পুলিশের ৭৩টি ইউনিটের প্রায় তিন হাজার সদস্য। ইতিমধ্যে দেশে অনেকগুলো মহাসড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, ওভারপাস, আন্ডারপাস, ওভারব্রিজ নির্মিত হয়েছে। দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে পরিণত হয়েছে আর চার লেনগুলো আট লেনে পরিণত হবে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ফলে ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এত এত অবকাঠামো উন্নয়ন, জনবল মোতায়েন এবং পরিবহন আইন সংস্কার সত্ত্বেও সড়কে শৃঙ্খলার অভাব রয়ে গেছে, যা রোজার ঈদ আর কোরবানির ঈদে প্রকট আকার ধারণ করে।

ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণে দেখা যায়: ফিটনেসবিহীন যানবাহন, ভাঙাচোরা সড়ক, অদক্ষ চালক, দুর্নীতি, ট্রাফিক তদারকির অভাব, অপ্রশস্ত সড়ক, বেপরোয়া গতি, মহাসড়কে মোটরসাইকেল, তিন চাকার গাড়ি চলাচল ইত্যাদি। পরিবহনের তুলনায় যাত্রী কয়েকগুণ বৃদ্ধি ও পরিবহন মালিকের অতিমুনাফার লোভে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অদক্ষ চালক রাস্তায় নামানো হয়। সড়ক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের কর্তব্যে অবহেলা ও দুর্নীতি সড়ক শৃঙ্খলার অন্তরায়। এমনকি মহাসড়কে অনভ্যস্ত শহুরে সিটি বাসগুলো সড়কে চাপ তৈরি করে। আর অধিক ট্রিপ পাওয়ার আশায় বিরতিহীন ও বেপরোয়া গতিতে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টাও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

 


আরও খবর



মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ দেশ। ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। বৃষ্টি এসে তাপ কমাবে মানুষ সেই আশায় থাকলেও গত এক মাস ধরে বৃষ্টির কোনো দেখা নেই। মাঝেমধ্যে দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হলেও তা গরম কমাতে খুব একটা সহায়ক ছিল না। এমন অবস্থায় আবারও দুঃসংবাদই দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে, ফলে আরও অসহনীয় গরম অনুভূত হতে পারে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীকাল সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

এছাড়া, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

৩০ এপ্রিল যেমন থাকবে আবহাওয়া: আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

১ মে যেমন থাকবে আবহাওয়া : বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর



ইসরায়েলে দুই শতাধিক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

অবশেষে ইসরায়েলে হামলা শুরু করেছে ইরান। দেশটি প্রথমে ড্রোন হামলা চালায়। পরে ছুড়ে ক্রুজ ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ইতোমধ্যে ইরান দুই শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। খবর বিবিসির।

মুখপাত্র দাবি করেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং এ অঞ্চলে থাকা মিত্ররা ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই আটকে দিয়েছে। ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বাইরে সেগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি তার।

ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, এ পর্যন্ত একজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে পড়ার পর একটি সামরিক স্থাপনা হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামরিক স্থাপনাটির বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কিছু বলেননি তিনি।

এর আগে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, আরাদ অঞ্চলের বেদুইন এলাকায় পড়ন্ত ধ্বংসাবশেষের টুকরোর আঘাতে আহত ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে সিরিয়ায় তেহরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধে অপারেশন ট্রু প্রমিজ পরিচালনার কথা জানায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস-আইআরজিসি। গভীর রাতে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় শোনা যায় সতর্কতামূলক সাইরেন। ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ডের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সে দেশের গণমাধ্যম।

ইরানের এ হামলার পরপরই লেবানন, জর্ডান ও ইরাক তাদের আকাশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলও সামরিক উড়োজাহাজ বাদে বাকি সব উড়োজাহাজের জন্য তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন নিক্ষেপের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি। আর সেটা আত্মরক্ষা ও আক্রমণ-উভয় দিক দিয়েই। ইসরায়েল রাষ্ট্র শক্তিশালী। আইডিএফ শক্তিশালী। দেশের জনগণ শক্তিশালী।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে ইসরায়েল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন জেনারেলসহ ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাতজন সদস্য রয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে ইসরায়েলে হামলা চালানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল ইরান। দেশটি প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে সরাসরি হামলা করল।


আরও খবর



পঞ্চম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পুতিন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবারও শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার দুপুরে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রু হলে শপথ নেন তিনি।

এর মধ্যে দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন ৭১ বছর বয়সী ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন।

শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা সম্মিলিতভাবে সকল বাধা অতিক্রম করব, আমাদের সকল পরিকল্পনা সফল করব এবং জয়ী হবো।

সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির সাবেক এজেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ১৯৯৬ সালে। পরে তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিনের বদন্যতায় ১৯৯৯ সালে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ওই বছর পুতিনের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ইয়েলেৎসিন।

পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন পুতিন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন।


আরও খবর