Logo
শিরোনাম

নতুন নকশায় টঙ্গী যাবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। দেশের প্রথম এ রেল লাইন উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

মেট্রোরেল এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তবে পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে।


আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




তীব্র খাদ্য ঘাটতিতে পড়তে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সরবরাহ তহবিলে তীব্র ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলছে, দ্রুত তহবিল পাওয়া না গেলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার মাসিক রেশনের পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমাতে হবে। ০৭ মার্চ ঢাকা থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে ডব্লিউএফপি এ সতর্কতা জারি করে।

আগামী এপ্রিল মাসে পূর্ণ রেশন বজায় রাখার জন্য জরুরিভাবে ১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দরকার বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। সংস্থাটির মতে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

সংস্থাটি জানায়, রোহিঙ্গাদের মাসিক রেশনের জন্য জনপ্রতি বরাদ্দ বর্তমানে সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার। জরুরি নতুন তহবিল না পেলে তা প্রায় অর্ধেক করে ছয় মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে হবে। আর এটা ঘটবে এমন সময় যখন রমজানের শেষের দিকে তাঁরা ঈদ উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকে বিশ্বের বৃহত্তম এবং দীর্ঘস্থায়ী সংকটগুলোর মধ্যে একটি অভিহিত করে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির পরিচালক ডম স্ক্যাল্পেলি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের বেঁচে থাকার জন্য সম্পূর্ণরূপে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। খাদ্য সহায়তায় যেকোনো হ্রাস তাদের ক্ষুধার গভীরে ঠেলে দেবে এবং বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।’

এর আগে ২০২৩ সালে তহবিলের তীব্র সীমাবদ্ধতার কারণে ডব্লিউএফপি প্রতি মাসে প্রতি ব্যক্তির রেশন ১২ মার্কিন ডলার থেকে ৮ মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়। এর পরিণতিতে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দেয়। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির মাত্রার বাড়ে। এরপর তহবিল পাওয়ার পর রেশন বাড়ানো হয়।

স্ক্যালপেল্লি বলেন, এখন আমাদের আগের চেয়ে আরও বেশি করে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। এই পরিবারগুলোর আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। ডব্লিউএফপির খাদ্যসহায়তাই হলো তাদের বাঁচা আর হতাশার মধ্যে পার্থক্য। এ সংকট আরও বাড়তে না দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।


আরও খবর



রমজানে ত্বকের পানিশূন্যতা রোধে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

রোজা রাখায় অনেকের দেহে পানির ঘাটতি দিয়ে থাকে। পানিশূন্যতায় চরম ক্ষতি হয় ত্বকের। দেখা দেয় শুষ্কতা। পাশাপাশি ত্বক হারায় ঔজ্জ্বল্য। একজন রোজাদারের শরীরে পানিশূন্যতার পরিমাণ নির্ভর করে ব্যক্তিটি ইফতার থেকে শুরু করে সেহরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করেছেন, তার ওপর। অর্থাৎ তিনি রোজা থাকা অবস্থায় কী পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করেন এবং তিনি যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানকার আবহাওয়ার ওপর। পানি ও খাবারের স্বল্পতা, দৈনন্দিন রুটিনের পরিবর্তন এবং পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতিতে রমজান মাসে আমাদের শারীরিক ও মানসিক এক ধরনের চাপতৈরি হয়। ক্লান্তিহীনতা দেখা দেয়। এ ছাড়া চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল অর্থাৎ কালো দাগ পড়ে। শরীর পানিশূন্য হলে চোখের ক্লান্তি ফুটে ওঠে।

লক্ষণ : রোজা থাকা অবস্থায় যদি শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তা হলে দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, চোখ গর্তে চলে যাওয়া, প্রস্রাবে ইনফেকশন, প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা ও ঝিমঝিম, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, দুর্বলতা, শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। পানির অভাব দেখা দিলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়। অর্থাৎ শরীরে তরলরূপে থাকা বিভিন্ন লবণ, যেমন- সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, ফসফেট, পটাসিয়ামের মতো বিভিন্ন উপাদানের অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। এ অবস্থা আরও বেড়ে গেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

যা খাবেন : পানিশূন্যতা রোধে রমজানে শুধু পানি পরিমাণমতো পান করলেই চলবে না। বেশি বেশি অন্যান্য তরল খাবার খেতে হবে, যাতে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স না হয়। ডাবের পানি, চিনির শরবত, গুড়ের শরবত, লাচ্ছি, দুধ, স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা খাবার দিয়েও পূরণ করা যায়। মাছের ঝোল, ডাল, দুধ খেতে হবে। এতে কিছুটা পানির চাহিদা পূরণ হবে। ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে ঠিক রাখতে পানির চাহিদা পূরণে ফলের রস পান করা যায়। এটি ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে সাহায্য করবে। তরমুজ, বাঙি, কমলা, বেলসহ মৌসুমি ফল খেতে পারেন। তবে ফলের জুস ইফতারের সময় সরাসরি খাওয়া যাবে না। পানি মিলিয়ে খেতে হবে। সারা দিন রোজা রেখে খালি পেটে ফলের রস খেলে অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা হতে পারে।

ত্বক সতেজ রাখতে : একজন রোজাদার ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন। ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত শর্করা, লবণাক্ত খাবার, ফলমূলের কনসেনট্রেটেড জুস পুরোপুরি বাদ দিন। বেশি করে শাক-সবজি, ফলমূল খান। আট ঘণ্টার মতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফেইস-সিরাম ও হায়ালুরনিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ প্রসাধন ব্যবহার করতে পারেন। মানসিক চাপমুক্ত থাকুন। ইফতারের আধঘণ্টা পর অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটুন বা শারীরিক ব্যায়াম করুন।

 

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




নারী অধিকার দুর্বল হয়েছে বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ দেশে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ দেশে নারীর অধিকার দুর্বল হয়েছে গত এক বছরে। নারীর অধিকার দুর্বল হওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে গণতন্ত্র পিছিয়ে যাওয়ার মতো রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশন উইমেন (ইউএন উইমেন)। ইউএন উইমেন কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউএন উইমেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতার সঙ্গে লিঙ্গসমতায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এছাড়া অধিকারবিরোধীরা নারী অধিকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে দীর্ঘদিনের ঐকমত্যকে সক্রিয়ভাবে ক্ষুণ্ন করছে।

১৯৯৫ সালের বিশ্ব নারী সম্মেলনের নথির উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রায় এক-চতুর্থাংশ দেশ জানিয়েছে, লিঙ্গসমতার ওপর প্রতিক্রিয়া বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশন বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টে ১৯৯৫ সালের পর থেকে নারী প্রতিনিধি দ্বিগুণ রয়েছে। তবে এখনো সংসদ সদস্যদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পুরুষ। ২০১০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সামাজিক সুরক্ষা সুবিধাপ্রাপ্ত নারীর সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। তবে ২০০ কোটি নারী ও মেয়েশিশু এখনো এমন জায়গায় বাস করে, যাদের এ ধরনের সুরক্ষা নেই।

যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় পড়ছে যেসব দেশযুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় পড়ছে যেসব দেশ

লিঙ্গভিত্তিক কর্মসংস্থানের বৈষম্য কয়েক দশক ধরে স্থবির হয়ে আছে। ২৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী ৬৩ শতাংশ নারীর বেতনভুক্ত কর্মসংস্থান রয়েছে, যেখানে একই জনসংখ্যার ৯২ শতাংশ পুরুষের কর্মসংস্থান রয়েছে।

প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ মহামারি, বিশ্বব্যাপী সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো উদীয়মান প্রযুক্তিগুলোকে লিঙ্গসমতার জন্য নতুন সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউএন উইমেন উপস্থাপিত তথ্যে দেখা গেছে, গত ১০ বছরে সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন সহিংসতা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ৯৫ শতাংশই শিশু বা তরুণী। ২০২৩ সালে ৬১ কোটি ২০ লাখ নারী সশস্ত্র সংঘাতের ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) মধ্যে বাস করতেন, যা ২০১০ সালের তুলনায় ৫৪ শতাংশ বেশি।

ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার ১২টি দেশে, কমপক্ষে ৫৩ শতাংশ নারী অনলাইনে এক বা একাধিক ধরনের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে অব্যাহত রয়েছে। জীবদ্দশায় প্রায় তিনজনের মধ্যে একজন নারী তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর দ্বারা শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হন অথবা তার সঙ্গীর বাইরের কারও দ্বারা যৌন সহিংসতার শিকার হন।

প্রতিবেদনে লিঙ্গবৈষম্য মোকাবিলায় একটি বহুমুখী রোডম্যাপ নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে; যাতে এআইয়ের মতো নতুন প্রযুক্তিতে ন্যায়সংগত প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য ব্যবস্থা, দারিদ্র্য মোকাবিলায় বিনিয়োগ এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছে।


আরও খবর



‘র’ নিষিদ্ধের সুপারিশ মার্কিন ফেডারেল কমিশনের

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)’ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে মার্কিন ফেডারেল সরকার গঠিত কমিশন। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে এ সুপারিশ করা হয়। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দেশটির ফেডারেল সংস্থা কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভারতে সংখ্যালঘুরা দিন দিন অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছে জানিয়ে ইউএসসিআইআরএফের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিউনিস্টশাসিত ভিয়েতনাম ধর্মীয় বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ ও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সেই কারণে ভিয়েতনামকে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ বা বিশেষ উদ্বেগের দেশ হিসেবে তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। চীনকে নিয়ে অভিন্ন উদ্বেগের কারণে ভারতের মতো ভিয়েতনামের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছে ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় দীর্ঘদিন ধরে নয়াদিল্লিকে সহায়ক শক্তি হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন। সে কারণেই ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বরাবরই এড়িয়ে গেছে। তবে এই সংস্থা সুপারিশ বাধ্যতামূলক না হওয়ায় র-এর ওপর মার্কিন সরকার যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না, তা জোর দিয়েই বলা চলে।

২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর ভারতের নজরদারির ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র-ভারত মৈত্রীর সম্পর্কে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করে। সাবেক ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শিখ নেতা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনেছে। তবে, ভারত বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে আসছে দেশটি।

প্রতিবেদনে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন বলেছে, ‘২০২৪ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ও বৈষম্য বেড়েই চলেছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণায় ‘মুসলিমসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে ও ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।’ গত বছর এপ্রিলে মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে মোদি বলেছিলেন, তারা ‘বেশি বেশি সন্তান’ নেয়। এর সঙ্গে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের ভোটের স্বার্থ রয়েছে বলে মোদির অভিযোগ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন সংস্থাটির প্রতিবেদনে। তবে নয়া দিল্লি এসব প্রতিবেদনকে ‘গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলেছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা মোদি বরাবরই ধর্মীয় বৈষম্য ও নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এসব অভিযোগের বিপরীতে তার ভাষ্য, তার সরকারের বিদ্যুতায়ন ও ভর্তুকি থেকে সংখ্যালঘুরা ব্যাপকভাবে উপকৃত।

ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের জন্য ভারতকে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি নিখিল যাদব ও র—এর বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের’ সুপারিশ করেছে ইউএসসিআইআরএফ।

মানবাধিকারকর্মীরা বরাবরই ভারতীয় সংখ্যালঘুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরছেন। ভারতে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের ছড়াছড়ি, জাতিসংঘের দৃষ্টিতে চরম বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইন, ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা ক্ষুণ্নকারী আইন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও মুসলমানদের মালিকানাধীন স্থাপনা ভেঙে ফেলার কথা তুলে ধরেছেন তারা।

উল্লেখ্য, ইউএসসিআইআরএফ উভয়দলীয় সরকারি সংস্থা। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং করণীয় সুপারিশ করে। আর ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালের সেপ্টেম্বরে। সাধারণত বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের তথ্য সরবরাহ করে সংস্থাটি।


আরও খবর



ঢাকা শহরের যানজটের সমাধানের আর কোন আশা আমি দেখি না

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ড. কাজী সাইফুন নেওয়াজ, যোগাযোগ বিশ্লেষক :

আমরা শুধু শুধু ট্রাফিক পুলিশের উপর একটা পাহাড় ঠেলে সরানোর কাজ দিচ্ছি যে পাহাড়ের উপরে আমারাই ক্রমাগত পাথর বোঝাই করে ওজন বাড়াচ্ছি...  

১) ব্যাটারি রিক্সা আর প্যাডেল রিক্সা যেভাবে এবনারমালি আমরা বাড়াচ্ছি তা আমাদের জন্য অভিশাপ হবে। না পারব সরাতে না পরব রাখতে...। এরা অগণিত...।  যে কোন ইন্টারসেকশনের সিগ্ন্যালে ৮০% তারা। এরা না দিচ্ছে ট্যাক্স বরং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ এ আমার উপর বিলের বোঝা চাপাচ্ছে। এরা নিয়ম মানেও না। হুটকরে উল্টা পথে চলে যায়, আর আমি লজ্জায় থাকি। এদের নিয়ন্ত্রণ করেন , না হলে দয়া করে আপনারা চলাচলের সময় প্রটোকল দিয়ে রাস্তা ফাঁকা করে চলে না গিয়ে আমাদের মত চলেন... আপনাদের জীবন/সময়ের দাম আছে তেমন আমাদের ও আছে...। নিজে উপলব্ধি করলে বুঝবেন যানজট কতটা ক্ষতিকর একটা মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এর উপর...। 


২) বাস রুট ফ্রাঞ্চাইসি হলে তখন অনেকের অনেক হিসাব-নিকাশ বন্ধ হয়ে যাবে... তাই ক্রমাগত চেষ্টা হচ্ছে ফ্রাঞ্চাইসি বন্ধ করার। যখন DTCA , এ বিষয়ে তোড়জোড় করে কাজ শুরু করছিল তখন একপক্ষ নিয়ে আসল "গোলাপি কালার বাস"... একই জিনিস শুধু নাম বদল... । সিস্টেম এর কোন চেঞ্জ নাই।  কারন সিস্টেম ভালো হলে যাত্রীদের লাভ কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের লস ... । এটা আপনারা জানেন কিন্তু করেন না কারন শেষ কবে আপনি বা আপনার পরিবার বাসে চড়ছেন সেটা আপনি ভুলে গেছেন...।

আজ বিকাল ৫ টা নাগাদ পলাশী মোড়ে মোটরসাইকেল ( বর্তমান সময়ের ক্রেজ ব্র্যান্ডের) কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল ব্যাটারি রিক্সা... ২ জনেই টান দিলে থামাতে চায় না , থামায় না...  এই ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে, আরও বাড়বে...। আপনারা ধাক্কা খান না, কারন আপনারা যে রাস্তায় চলেন সে রাস্তা ফাঁকা করে দেয়া হয়,... আর যারা ফাঁকা করে দেয় আর যারা আপনাদের চলে যাওয়া দেখে তারা ধাক্কা খায়... আর ট্রাফিক পুলিশকে গালি দেয়। অথচ আমরা পাহাড় কে পর্বত বানাচ্ছি ক্রমাগত। যতটুকু ছিল তার চাইতে ভালো করতে না পারেন কিন্তু খারাপ কইরা দিয়ে যাইয়েন না। দেশেই থাকতে হবে আমাদের। আপনাদের মত সবার পরিবার আছে, সবার ছেলে-মেয়েই চায় তাদের বাবা একটু আগে বাসায় ফিরে আসুক...।  

কিছু একটা করেন আপনারা, এভাবে চলতে পারে না... এভাবে চলতে পারে না।


আরও খবর