Logo
শিরোনাম

ডলারের দাম আবার ১২০ টাকায় উঠল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট  ডলার সংকট দূরীকরণে গৃহীত পদক্ষেপ কাজে আসছে না। উল্টো খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়েই চলছে। অতিরিক্ত দরে ডলার লেনদেন বন্ধ করতে অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের ওপর নজরদারি চলমান রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্স।

এবার টাস্কফোর্সের বিরুদ্ধে মারধর, হয়রানিসহ অপেশাদার আচরণের অভিযোগ তুলেছেন ডলার ব্যবসায়ীরা। টাস্কফোর্সের হয়রানি থেকে রেহাই পেতে অনেক ব্যবসায়ী ডলার লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে ডলারের দাম আরও চড়া হয়ে উঠেছে। যার খেসারত দিচ্ছেন বিদেশগামীরা।   

বাংলাদেশ ব্যাংকে এক বৈঠকে এ বিষয়ে টাস্কফোর্সের প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগের পরিচালক মোঃ সরওয়ার হোসেনের কাছে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব সেখ হেলাল সিকদার বলেন, ‘আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে টাস্কফোর্সের প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছি। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের ওপর টাস্কফোর্সের মারধর, গ্রাহকের শরীর তল্লাশি, গালাগালসহ অপেশাদার আচরণের প্রতিকার চেয়েছি। কেননা, এ অবস্থায় ভালো-মন্দ কারও পক্ষে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার হতে পারে। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে।

সবশেষে আমাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হয়রানি বন্ধ না করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক যেন খুচরা ডলার ব্যবসার সনদ প্রত্যাহার করে নেয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাজারে লেনদেন আরও কমে যাবে। তখন বিদেশগামীদের জন্য ডলার পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

রাজধানীর দিশকুশার নিয়ন মানি চেঞ্জার্সের একজন বিক্রয়কর্মী ও গুলশানের আব্দুল্লাহ মানি চেঞ্জার্সের বিক্রয়কর্মীকে গত সপ্তাহে মারধর করেছেন টাস্কফোর্সের সঙ্গে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। টাস্কফোর্সের অভিযানকালে গ্রাহকের শরীর তল্লাশির ঘটনাও ঘটেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ মেজবাউল হক বলেন, ‘মানি চেঞ্জার্স বিক্রয়কর্মীদের মারধরের বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। এমন অপেশাদার আচরণ করার কথা নয়। টাস্কফোর্স মূলত ব্যবসায়ীদের ডলার লেনদেনের কাগজপত্র যাচাই করার কথা। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ শতভাগ সত্য ধরার সুযোগ নেই।

গতকাল খোলাবাজারে ডলারের ঘোষিত কেনা-বেচা দর ছিল যথাক্রমে ১১১ টাকা ১০ পয়সা এবং ১১২ টাকা ৬০ পয়সা। কিন্তু সংকটের অজুহাতে প্রতি ডলার লেনদেন হয়েছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। এতে বিদেশগামীরা খোলাবাজারে ডলার সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ডলারের বাড়তি দামের বিষয়টি নজরে এলে আবার অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

প্রসঙ্গত, বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি মূল্যে ডলার বিক্রি করায় গত সপ্তাহে ৭টি মানি চেঞ্জারের ব্যবসার লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই অভিযোগে অন্য ১০ মানি চেঞ্জারের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




নওগাঁয় প্রতিবন্ধীকে নিজ উদ্যোগে দোকান করে দিলেন ইউএনও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর আদিবাসী পরিবারের শারীরিক প্রতিবন্ধী বালককে আত্ম কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলেন, নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন।

মঙ্গলবার দুপুরে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলার বিন্নাকুড়ি আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দা  নগেন মাস্টারের পুত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী বিমল কে আত্ম কর্মসংস্থানের  লক্ষে বিন্নাকুড়ি মোড়ে  দোকান ঘর ও  নিজস্ব অর্থায়নে মুদিখানা দোকানের পুঁজি হিসেবে যাবতীয় (দোকানের মালামাল) ক্রয় করে দিয়ে তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। 

উল্লেখ্য যে, প্রতিবন্ধী বালকের ঘুমটি দোকান ঘর তৈরির জন্য মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদারের পক্ষ হতে  ৬ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী বিমল   সংশ্লিষ্ট  সকলের প্রতি  কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, একটি শারীরিক প্রতিবন্ধী পরিবারের কর্মসংস্থানের ফলে একটি পরিবার সচ্ছলতার সংন্ধান পেতে পারে। এ ধরনের মানবিক কাজ তিনি অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান।


আরও খবর



দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু রোগের টিকার সফল পরীক্ষা হয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকরা এই টিকার সফল পরীক্ষা করেছেন। টিকার নাম দেওয়া হয়েছে টিভি-০০৫ (টেট্রাভেলেন্ট)।

ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরনডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪। টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, চারটি ধরনের বিরুদ্ধেই এই টিকা কার্যকর। টিকার এই সফল পরীক্ষা নিয়ে একটি প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক সাময়িকী ল্যানসেটে বুধবার প্রকাশিত হয়েছে।

এই টিকা গবেষকদের একজন আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এটি একটি আশাব্যঞ্জক ঘটনা। যেহেতু দেশে ডেঙ্গুর ব্যাপক প্রকোপ চলছে, তার মধ্যে এটি একটি আশার খবর।

বাংলাদেশে ডেঙ্গু টিকা টিভি-০০৫-এর দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়েছে ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ। শেষ হয় ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।

এতে অংশ নেন ১৯২ জন। তারা সবাই স্বেচ্ছায় অংশ নেন। প্রাপ্তবয়স্ক ১৮ থেকে ৫০ বছর (২০ জন পুরুষ ও ২৮ জন নারী), কিশোর ১১ থেকে ১৭ বছর (২৭ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী), শিশু ৫ থেকে ১০ বছর (১৫ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী) এবং ছোট শিশু ১ থেকে ৪ বছর (২৯ জন পুরুষ ও ১৯ জন নারী)। চারটি বয়সের শ্রেণিতে বাছাই করে টিকা বা প্লাসিবো করা হয়। অর্থাৎ প্রতি দলে ৪৮ জন করে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এসব ব্যক্তির কারও কারও আগেই ডেঙ্গু হয়েছিল, আবার কারও হয়নি। অংশগ্রহণকারীরা সবাই ছিলেন বাংলাদেশি। টিকার বেশির ভাগ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল সামান্য।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে অন্যতম ছিল ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ। ১৪৪ জন টিকাগ্রহণকারীর ৩৭ জনের (২৬%) এবং ৪৮ জন প্লাসিবো প্রাপকের মধ্যে ৬ জনের (১২%) ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছিল ফুসকুড়ি। টিকা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে জ্বর ছিল ৭ জনের (১৪৪-এর ৫%) ক্ষেত্রে এবং আরও ৭ জন গিঁটে ব্যথা (১০৮-এর ৬%) অনুভব করেছেন। টিকা গ্রহণের ১৮০ দিন পর সব অংশগ্রহণকারীর ( ১৪২ জন) মধ্যে বেশির ভাগ সেরোটাইপের (ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪) বিপরীতে সেরোপজিটিভ দেখা গেছে।


আরও খবর



সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাহিনীটির মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, আমাদের ব্যাটালিয়নগুলোকে এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা করতে বলেছি। যারা বড় বড় সন্ত্রাসী আছেন, এর মধ্যে কারা ভেতরে আর কারা বাইরে আছেন, তাদেরও নাম থাকবে। কারাগারে বসে অপরাধ বা বিদেশে বসে অপরাধ, সবই অপরাধ।

তিনি বলেন, এই সামগ্রিক বিষয়টির ব্যাপারে কিন্তু যারা স্টেকহোল্ডার তারা সবাই অবগত আছেন। বিভিন্ন সময়ে তারা পদক্ষেপ গ্রহণে তথ্যও পাচ্ছেন। যারা আইন পর্যালোচনা করেন তাদের আমরা যে ইনপুটগুলো, যে তথ্য আমরা দিয়ে থাকি, তারা হয়ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজটি করতে পারবে।

মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে র‍্যাবের ভেতরে কোনো অস্বস্তি আছে কি না- জানতে চাইলে খন্দকার আল মঈন বলেন, যে ভিসানীতির কথা বলছে সেটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‍্যাবের ৭ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যেটা এখনো চলমান রয়েছে। তাই এই বিষয় (ভিসানীতি) নতুন না। আমরা মনে করি র‍্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে সন্ত্রাস জঙ্গি মুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আগের মতোই কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ভিসানীতি সুনির্দিষ্ট একটি দেশের। তারা তাদের বিবেচনায় কাজ করছে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। এখনো চাঞ্চল্যকর কোনো ঘটনা ঘটলে কাজ করছি। এমন কি জামাতুল আনসার আল হিন্দাল শারকিয়ার মতো একটি জঙ্গি সংগঠনের মূল থেকে উপড়ে ফেলার কাজ র‍্যাব করেছে। এটা নিয়ে আমাদের তেমন চিন্তা নেই। আমরা আমাদের কাজ করছি।


আরও খবর



নওগাঁয় বাড়ী ঘর রক্ষায় ভাঙ্গা বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ)  : নওগাঁর আত্রাইয়ে নদীর বেড়িবাঁধ কাম পাকা সড়ক ভেঙ্গে এখনো লোকালয়ে পানি ঢুকছে। শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়ে আরো দুই হাজার বিঘা জমির ধান তলে গেছে।এতে কয়েকদিনে উপজেলায় প্রায় ছয় হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলে গেছে। এদিকে মাঠের ফসল ও বাড়ী ঘর রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ কাম সড়ক সংস্কার কাজ খুব তোরজোর ভাবে শুরু করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন,আবহাওয়া ভাল থাকলে দুই/একদিনের মধ্যেই ভেঙ্গে যাওয়া সবগুলো বাঁধ সংস্কার কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। ফলে ফসল ও বাড়ী ঘর রক্ষা পাবে। 

আত্রাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দীন আহম্মেদ বলেন,বুধবার রাতে আত্রাই নদীর দক্ষিন পারের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই উপজেলা-সিংড়া পাকা সড়কের জগদাস বটতলি এবং তার একটু অদুরে শিকারপুর নামকস্থানে পাকা সড়ক ভেঙ্গে যায়। এতে উপজেলা সদরের সাথে পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় একই নদীর উত্তর পারে কাশিয়াবাড়ী বলরামচক-সমসপাড়া বেড়িবাঁধ কাম পাকা সড়কের বলরামচক শ্মশান ঘাট এলাকায় ভেঙ্গে যায়। এতে একদিকে যেমন যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে পরেছে অন্যদিকে প্রবল বেগে পানি মাঠে প্রবেশ করায় প্রতি মূহুর্তে মুহুর্তে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করে। এতে বুধবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরে এবং প্রায় চার হাজার বিঘা জমির পাকা আউশ ও রোপনকৃত আমন ধান পানিতে তলে যায়। এছাড়া শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে মাঠে পানি প্রবেশ করে মনিয়ারী,বিশা,ভোঁপাড়া,সাহাগোলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অভিজিত কুমার কুন্ডু জানান,শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে আরো এক হাজার ৯৮৭বিঘা জমির ধান পানিতে তলে গেছে। এর আগে প্রায় চার হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলে যায়। এতে কয়েকদিনের বন্যায় মোট পাঁচ হাজার ৬২৫ বিঘা জমির ধান পানিতে তলে গেলো। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে আত্রাই নদীর উপজেলার নন্দনালী বেড়িবাঁধ বাধ ভেঙ্গে যায় এবং পানির তোরে আত্রাই-বান্দাইখাড়া পাকা সড়ক ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

জগদাস গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন,ভাঙ্গা বাঁধ বাঁধতে না পারলে মাঠের ফসল রক্ষা পাবেনা। কাশিয়াবড়ী বলরামচক চৌধুরী পাড়ার ওয়াশিম কুমার সরকার বলেন,বাঁধ ভেঙ্গে তার ১৯বিঘা জমির ধান পানিতে তলে গেছে। তিনি বলেন,বাঁধ সংস্কারের মাধ্যমে পানি আটকানো না গেলে আরো হাজার হাজার বিঘা জমির ধান তলে যাবে। এছাড়া বহু ঘরবাড়ী নষ্ট হয়ে যাবে।তাই যত দ্রæত বাঁধ সংস্কার করে পানি আটকানো যাবে তত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন,মাঠে যদি  পানি নতুন করে না ঢোকে এবং দ্রæত জমি থেকে পানি নেমে যায় তাহলে ডুবে যাওয়া ধান অনেকটায় স্বাভাবিক হতে পারে।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ্যদের সরকারীভাবে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত আছে। আমরা সবার প্রতি সার্বিকভাবে খোঁজ খবর রাখছি। প্রয়োজনে আরো সহায়তা করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নওগাঁর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল বলেন,শুক্রবার থেকে নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। মাঠের ফসল রক্ষায় প্রতিটি ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের সংস্কার কাজ খুব তোরজোর ভাবেই শুরু করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি এবং সেচ্ছাসেবকরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন। আবহাওয়া ভাল থাকলে দুই/এক দিনের মধ্যেই সংস্কার কাজ শেষ হতে পারে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



নওগাঁর আবারও শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হলেন আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় বারের মতো শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছেন নওগাঁর সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন। এর আগে গত বছর জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদকে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। এছাড়াও শুদ্ধাচার চর্চায় এ বছর জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ার সম্মান অর্জন করেছেন। গত মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই কমিটির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ফলাফলের তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। নিয়মিত কাজের ফাঁকে সময় পেলেই ছুটে যান বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কোমল মতি শিশুদের শিক্ষায় আকৃষ্ট করতে নিজ অর্থায়নে পুরুস্কার হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তাদের মাঝে বিতরণ করেন। শিক্ষা উপকরণ হিসেবে উপহার দেন স্কুল ড্রেস, স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্সসহ বিভিন্ন ধরনের খেলার সামগ্রী।

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, কোমলমতি শিশুদের ক্লাসে গিয়ে কথা বলা, শিশুদের সাথে মেশা আমার এক প্রকার আনন্দের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মিত বিভিন্ন বিদ্যালয়ে না গেলে একটা খারাপ লাগা কাজ করে। তাই আমি নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাই। শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাই এবং তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে মুক্তিযুদ্ধের বই উপহার দেই। কারন আজকের দিনের এই শিশুরা আগামীতে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করবে বলে আমি বিস্বাস করি। আমার এই পুরষ্কার আগামীতে আমাকে ভালো কাজে আরো উৎসাহ যোগাবে।


আরও খবর