Logo
শিরোনাম

ঈদুল আজহা ঘিরে মসলার বাজারে উত্তাপ

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, ২০২২ সালের ২২ জুন প্রতি কেজি জিরা সর্বনিম্ন ৩৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর বর্তমানে ৮৫০ টাকা কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।

কোরবানির ঈদের আগে অন্যান্য মসলাও স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। দেশি পেঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ, হলুদ, আদা, দারুচিনিসহ বেশির ভাগ মসলার দাম বেড়েছে। তার মধ্যে ক্ষেত্রভেদে আদা ও রসুনের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। শনিবার (২৪ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে মসলার দাম বাড়ায় কোরবানির ঈদে মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়বে।

মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার আদা মানভেদে পাইকারি দাম ১২০ থেকে ২৫০ টাকা। আর তা খুচরায় প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। অথচ টিসিবি বলছে, এক বছর আগেও এসব আদা ৬০ থেকে ১০০ টাকা দরে খুচরায় বিক্রি হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে আদার বড় জোগানদার চীন। কিন্তু বেশি দাম হওয়ায় চীনের আদা এখন দেশে নেই। ভারতের আদাও এখন বাজারে কম। মূলত এ কারণে বছরের ব্যবধানে আদার দাম দ্বিগুণের বেশি।

বেড়েছে শুকনা মরিচের দামও। এক বছর আগে দেশি শুকনা মরিচ যেখানে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই মরিচ ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে আরও বাড়তি দামে ৩৮০ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে বিদেশি শুকনা মরিচ ৪৮০ টাকা দাম হাকাতেও দেখা গেছে।

সরকার আমদানির অনুমতি দেওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ মানুষের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। তবে দেশি পেঁয়াজের জন্য এখনো বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে। শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬১ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা বাজারগুলোয় তা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। টিসিবির হিসাবে তার এক বছর আগে দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

কারওয়ানবাজারে দেশি রসুন ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বছর আগে ২০২২ সালের ২২ জুন টিসিবির হিসাবে দেশি রসুন বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকায়। অর্থাৎ ক্ষেত্রভেদে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে রসুনের দামও।

কারওয়ান বাজার, শ্যামপুর ও সূত্রাপুর বাজারে প্রতি কেজি ধনিয়া ১৬৫ থেকে ২২০ টাকায়, লবঙ্গ ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় এবং দারুচিনি ৪১০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর টিসিবির হিসাবে বছরখানেক আগে ধনিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, লবঙ্গ ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় এবং দারুচিনি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে আমদানিকারকেরা পর্যাপ্ত পরিমাণে মসলা আমদানি করতে পারছেন না। আন্তর্জাতিক বাজারেও কিছু কিছু মসলার দাম বেশি। আমদানি খরচও বেড়েছে। তা ছাড়া সার, জ্বালানি ও শ্রমিক খরচ বাড়ায় দেশেও মসলার উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সেই সঙ্গে পরিবহন খরচও বেশি। মূলত এসব কারণে বেড়েছে মসলার দাম।


আরও খবর



বারাণসী কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

  ডিজিটাল ডেস্ক:


ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারাণসী কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি।


 আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে বারাণসীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস রাজালিঙ্গম। খবর এনডিটিভি।


মনোনয়নপত্র জমার আগে বারাণসীতে কাল ভৈরব মন্দিরে এবং দশাশ্বমেধ ঘাটে গঙ্গাপুজা করেন। এর পর নমো ঘাটে ক্রুজে ভ্রমণ করেন মোদি। 


মনোনয়নপত্র জমা উপলক্ষে বিজেপির পক্ষ থেকে গতকাল (সোমবার ১৩ মে) বিকালে প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রোড শো করা হয়।



মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন চার প্রস্তাবকের অন্যতম পণ্ডিত জ্ঞানেশ্বর শাস্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথসহ এনডিএ শরিক দলগুলির নেতারা। 


আগামী ১ জুন সপ্তম ও শেষ দফায় ভোট দেওয়া হবে এই বারাণসী কেন্দ্রে। আজ মঙ্গলবারই ছিল এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। 


এ নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বারাণসী কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এর আগে ২০১৪ সালে উত্তর প্রদেশের বারাণসী লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালেও এই কেন্দ্র থেকেই জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।


এবার মোট সাত দফায় দেশটির ৫৪৩ টি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম চার দফার ভোটের মধ্যে ৩৭৯ আসনে ভোট নেওয়া সম্পন্ন হয়েছে।  বাকি আছে আরো তিন দফা। পঞ্চম দফার ভোট আগামী ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন। 


আরও খবর



৬৩ বছরের ইতিহাসে লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

চলতি মৌসুমে দেশে গত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিক জানায়, চলতি মৌসুমে (২৮ এপ্রিল পর্যন্ত) ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। যা বিগত বছরের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এখনো লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত বছর (২০২২-২৩ অর্থবছর) ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয়েছিল। সে সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন।

সংস্থাটি জানায়, চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষকৃত মোট জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর। গত বছর ছিল ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ একর।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছর ছিল ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ২২৮ জন। বর্তমানে লবণ মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি ক্রুড লবণের গড় মূল্য ৩১২ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে, যা মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ও চাহিদা অনুযায়ী লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।


আরও খবর



খ্রিষ্টানদের প্রধান নেতা হতে চেয়েছিলেন মিল্টন সমাদ্দার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

পাহাড় সমান অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকালে শুনানি শেষে অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে রাজধানীর মিরপুর থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। সিটি করপোরেশনের ভুয়া সিল দিয়ে মৃত্যু সনদ তৈরি করে অননুমোদিত লাশ দাফনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা এবং বাকি দুটি মামলা দায়ের করেছেন পৃথক দুই ব্যক্তি।

এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। এরই ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

গ্রেপ্তারের পরেরদিন বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের এসআই কামাল হোসেন। এ সময় মিল্টনের আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে মিল্টনের জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জোর করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিল্টন সমাদ্দার খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান নেতা হতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই লক্ষ্যে মিল্টন সমাদ্দার, তার ভাই লিটন সমাদ্দার এবং আত্মীয়স্বজন মিলে একের পর এক গির্জার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেন। এক্ষেত্রে তারা প্রথমেই সুকৌশলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিল ও স্বাক্ষর জাল করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিল্টন সমাদ্দার প্রথমে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র জাল করে নিজে গির্জা পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। এরপর সেই কমিটির অনুলিপি পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে। এরপর দলবল নিয়ে গিয়ে চার্চের ভেতরে থাকা যাজকদের বের করে দিয়ে দখল করে নিয়ে নেন। এ প্রক্রিয়ার প্রথমে মিল্টনরা দখলে নেন রাজধানীর গ্রিন রোডের ফেলোশিপ চার্চ। এই চার্চের কমিটিতে মিল্টন সমাদ্দারের বড় ভাই লিটন সমাদ্দার রয়েছেন।

ফেলোশিপ চার্চের সম্পাদক প্রফেসর সরা বৈদ্য সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মিল্টন গংরা পথভ্রষ্ট। ওরা আমাদের মারধর করে জোর করে চার্চ থেকে বের করে দিয়ে দখলে নিয়েছে। যাজকরা চার্চ তালাবদ্ধ করে বসেছিলেন। ওরা ১৪টি তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছে। মারতে মারতে যাজকদের চার্চ থেকে বের করে দিয়েছেন।

বরিশালে একই কায়দায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান গির্জা চন্দ্রকান্ত মেমোরিয়াল চার্চ দখলের চেষ্টা করেছেন মিল্টন সমাদ্দার। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষর জাল করে তৈরি করা এই চার্চের কমিটির সভাপতি মিল্টন সমাদ্দার নিজেই।

সাধারণ সম্পাদক মিল্টন সমাদ্দারের বড় ভাই লিটন সমাদ্দার। এ ছাড়াও এই কমিটির সবাই মিল্টন সমাদ্দারের আত্মীয়। বিষয়টি নিয়ে যাজকদের সন্দেহে হলে তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন। পরে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের লিখিতভাবে জানানো হয়, মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি।

বাংলাদেশের খ্রিষ্টীয় ধর্মাবলম্বীদের জ্যেষ্ঠ যাজক প্রেমানন্দ সরকার জানান, মিল্টন সমাদ্দাররা দেশের সব চার্চ দখল করে খ্রিষ্টীয় সম্প্রদায়ের নেতা হতে চেয়েছিলেন।

তিনি পথভ্রষ্ট হয়ে যাজকদের মারধর করে তাদের বের করে দিয়ে আমাদের পান্থপথের চার্চ দখল করে নিয়েছেন। এ কায়দায় তিনি বরিশালের চার্চও দখল করতে চেয়েছিলেন। আমাদের যাজকদের বেধড়ক মারধর করেছে তাদের লোকজন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।


আরও খবর



আজ থেকে বেড়েছে রেলের ভাড়া

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকা থেকে ট্রেনে গাজীপুরে যেতে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীদের যত টাকা ভাড়া গুণতে হয়, এরচেয়ে পঞ্চগড়, খুলনা বা চট্টগ্রাম যেতে কম ভাড়া লাগত। কারণ, বাংলাদেশ রেলওয়ে এতদিন ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ এবং ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ভাড়ায় রেয়াতি সুবিধা দিয়ে আসছিল। তবে আজ থেকে রেলযাত্রায় এই রেয়াতি সুবিধা উঠে যাচ্ছে। ফলে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য গুণতে হবে বাড়তি ভাড়া।

রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যথায় রেলসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এই সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।

রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলছেন, রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়নি, ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা।

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা।

ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা।

ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।

ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা।

ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।

ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা।

ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।

ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা।

ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা।

ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।

এছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বেড়েছে।

গত ২২ এপ্রিল যাত্রী পরিবহনে প্রদত্ত রেয়াত প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে বলা হয়, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আজ থেকে কার্যকর করা হবে।


আরও খবর



তুরস্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

২২শে এপ্রিল, ২০২৪ তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে "আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সিম্পোজিয়াম"এ বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন, মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন, ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। সিম্পোজিয়ামের বিষয় ছিলো " ইসলামি আইন ও বিধি বিধানে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুসরণের গুরুত্ব"। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী তার বক্তব্যে বলেন,"প্রিয় নবিজী (সা.) বলেছেন,'তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার সুন্নাহ্কে আঁকড়ে ধরো। আবার এও বলেছেন, তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বাইতকে (পরিবারকে) আঁকড়ে ধরে রাখো। তাহলে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না।' এর অর্থ হলো, প্রিয় নবিজী (সা.) এর আহলে বাইত ও পবিত্র কুরআন হলো ইসলামি বিধান ও আইনের উৎস, যাদেরকে অনুসরণ করলে আমরা কখনো ভুল পথে যাবো না। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিধি-বিধান প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহ্ থেকে এসেছে। প্রিয় নবিজী (সা.) এর আদর্শের মাঝেই পবিত্র কুরআনের ব্যাখা রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে নামাজ আদায় করতে বলেছেন আর প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে নামাজ আদায় করতে হয়, তা শিখিয়েছেন। মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে রোজা পালন করতে বলেছেন ; প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে রোজা রাখতে হবে তা শিখিয়েছেন। এভাবে প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাধ্যমে আমরা নিজেদের ব্যক্তি জীবনকে কীভাবে সাঁজাবো, কীভাবে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করবো, কীভাবে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করবো, কী পদ্ধতিতে একজন অপরাধী শাস্তি পাবে, কীভাবে ইসলামি অর্থনীতি পরিচালিত হবে, কীভাবে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে ইত্যাদি সকল বিষয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা পেয়েছি। পবিত্র কুরআন এর অনেক আয়াতের ব্যাখা আমরা খুঁজে পেয়েছি প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাঝে। তাই প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ ব্যতীত আমরা ইসলামি আইন বা বিধানের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারি না।

পাশাপাশি ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে, অবিলম্বে ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার আদায়ে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহবান জানান। 

সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এরদোয়ান তুরাক এমরিস ক্যাটালকা। সভাপতিত্ব করেন গ্র্যান্ড মুফতি শেইখ আহমেদ আর্কতুর্ক। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন, গাতালজা ইফতা কাউন্সিলের মুফতি আহমেদ মেহমেত আলি ওগলু। 

বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের শীর্ষ সুফি সাধক, সুফি স্কলার, বুদ্ধিজীবী, তুরস্ক সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর