Logo
শিরোনাম

এনআইডি সংশোধন নিয়ে সংকটে ইসি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

গাজী শাহনেওয়াজ :নাগরিকের বিদ্যমান তথ্যের সঙ্গে চাহিদার তথ্যের গরমিল থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে প্রতিনিয়ত সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। কারণ নিবন্ধনকালে যে তথ্য দিয়েছেন, পরবর্তী সংশোধনের সময় দেখা যাচ্ছে ভিন্ন তথ্য ও দলিল উপস্থাপন করেছে সংশ্লিষ্ট ভোটার।

দেখা গেছে, আগের তথ্যের সঙ্গে পরের দেওয়া তথ্য বাস্তবতার সঙ্গে খুবই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এনআইডি কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশেষ করে শিক্ষা সনদ, ভূমির দলিল ও মুক্তিযোদ্ধা সনদের ভিন্নতা বেশি দেখা যায়। এ নিয়ে গত ১২ এপ্রিল একটি সভা করেছিলেন। সভায় এনআইডি কর্তৃপক্ষ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা করে শিক্ষা সনদ সংক্রান্ত পাঁচটি কারণ যেমন- নিজ নামের সম্পূর্ণ বা আমূল পরিবর্তন, ধর্মান্তর, পিতা-মাতার নাম সংশোধন, জন্ম তারিখ পরিবর্তন ও চাকরির দলিল উপস্থাপন করে আইডি সংশোধন, মুক্তিযোদ্ধা সনদ সংক্রান্ত তিন কারণ এবং ভূমির দলিল সংক্রান্ত চার কারণ; যেমন- নিজ নামের ভিন্নতা (নিজ নামের সম্পূর্ণ পরিবর্তন, নামের আংশিক বা টাইটেল পরিবর্তন, ধর্মান্তরজনিত কারণে নিজ নামের পরিবর্তন) এবং একই ব্যক্তির দুই নাম যেমন- পারিবারিক ডাকনাম ও শিক্ষা সনদের মূল), পিতা-মাতা ও জন্ম তারিখ এবং স্বামী-স্ত্রীর নাম পরিবর্তন।

জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এ কে এম হুমায়ুন কবীর প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা নাম, জন্ম তারিখ ও পিতা-মাতার নাম সংশোধন নিয়ে আমরা বিড়ম্বনার মধ্যে আছি। এটি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করেছি। সভার রেজুলেশন কমিশন সভায় উপস্থাপনের আগে এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল এ সংক্রান্ত রেজুলেশনে স্বাক্ষর হয়েছে।

শিক্ষা সনদ সংক্রান্ত নথির তথ্যনুযায়ী এনআইডির বক্তব্যে দেখা গেছে, আবেদনকারীরা ভোটার নিবন্ধনের সময় যে তথ্য লিপিবদ্ধ করে নিবন্ধিত হয়েছেন পরবর্তীতে আবার ভিন্ন নাম ব্যবহার করে মাদরাসা-কারিগরি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক বা সমমানের পাসের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন।

এখান থেকে পাস করা সনদ দিয়ে নিজ নাম, জন্ম তারিখ ও স্বাক্ষর সম্পূর্ণ পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করেন, যা অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তির সঠিকতা যাচাই করা সম্ভব হয় না। ফলে সংশোধনের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা জটিল হয়। একইভাবে ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বা সমমান সনদটি ধর্মান্তরের পূর্বে অর্জনকৃত এবং সনদে ধর্মান্তরের আগের নামটি লিপিবদ্ধ থাকে। সনদ সংশোধন ছাড়া ধর্মান্তরজনিত কারণে নিজ নামের সম্পূর্ণ পরিবর্তনের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা জটিল হয়ে যায়। এ ছাড়া নিবন্ধনকালে পিতা-মাতার নাম এক রকম ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির দীর্ঘ সময় পর চাকরির দলিল অনুযায়ী পিতা-মাতার নাম বা সম্পূর্ণ পরিবর্তনের আবেদন পাওয়া যায়। আবেদনের সঙ্গে মাদরাসা-কারিগরি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদ যুক্ত করা হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত পিতা-মাতার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না। অনুরূপভাবে শিক্ষা সনদটি আবেদনকারীর নিজের কি না বিষয়টি স্পষ্ট হয় না। তা ছাড়া অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র গোপন করে বয়স কমিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করেন। পরে উন্মুক্ত বা এ ধরনের সনদ দেখিয়ে আইডি সংশোধন চান- এগুলো বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যমান আইডি সংশোধন করতে গিয়ে ইসি সর্বদা সংকটে পড়ে।

ইসির এ ধরনের পর্যবেক্ষণের জবাবে বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ৮ম শ্রেণি পাসের সনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন; সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পাসের বয়সসীমা থাকে সর্বনিম্ন ১৪ বছর বা তদূর্ধ্ব। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ৯ শ্রেণি পাসের সনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে থাকে। কিন্তু পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য বর্তমানে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৬ বছর বা তদূর্ধ্ব (০১-০১-২০০৭ বা তার পূর্বে জন্ম ধরে), যার কারণে সনদের সঠিকতা নির্ণয় করা দুরুহ হয়ে পড়ে।

আর বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মীর মোশাররফ হোসেন তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, রেজিস্ট্রেশন করার সময় নাগরিকরা যে পিএসসি ও ৮ম শ্রেণির সনদ দাখিল করেন এবং নাম, পিতা-মাতার নাম ও জন্ম তারিখের গরমিল থাকলে, তা পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে ম্যানুয়ালি সংশোধন করে নিয়ে আসেন। এ কারণে সঠিক বা ভুল নির্ণয় করা জটিল হয়ে পড়ে।

সব পক্ষের আলোচনার পর সাত ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হন সভায় উপস্থিত পক্ষগুলো; যেমন- আবেদনকারীর আগের পিএসসি-জেএসসি সনদের ভিত্তিতে মাধ্যমিক পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করা, পিএসসি সনদ যাতে সহজে শুধুমাত্র উপজেলা-থানা শিক্ষা কর্মকর্তা সহজে সংশোধন করতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যেসব শিক্ষার্থীর জন্ম ১-১-২০০৭ বা তার আগে (যেহেতু তারা ২০২২ সালে কমিশন কর্তৃক পরিচালিত নিবন্ধন কার্যক্রমের আওতায় এনআইডি প্রাপ্ত হয়েছেন) তাদের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে এনআইডি কার্ড লিপিবদ্ধ জন্ম তারিখ আমলে নিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা এবং যেহেতু মাধ্যমিক পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৪ বছর, সেহেতু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তীকালে অনুষ্ঠিতব্য হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে জন্ম তারিখের সীমারেখা এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যেন ১৩+ বয়সি শিক্ষার্থীরা নিবন্ধনের আওতায় চলে আসে।

এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা বিষয় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি যুগ্ম সচিব রথীন্দ্র নাথ দত্ত বলেন, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) এ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের (জীবিত-মৃত) পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংবলিত ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। জীবিত ১ লাখ ২ হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৯৮ হাজার জনকে এমআইএস নম্বরসহ স্মার্টকার্ড এবং ডিজিটাল সনদ প্রদান করা হয়। বাকি ৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার স্মার্টকার্ড বিতরণের অপেক্ষায় রয়েছে।

আর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তানিয়া আফরোজ বলেন, জমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে যেখানে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনলাইন পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভূমি রেজিস্ট্রেশন করা যাবে এবং জমি রেজিস্ট্রেশনের যেসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেগুলোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সভায় ভূমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-বিভাগ-দপ্তরের এনআইডির অনলাইন যাচাই নিশ্চিত করতে হবে ইসির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আলোকে।


আরও খবর



রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীতে রাত ১১টার পর পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রবিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নিদের্শনা দেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার অলিগলিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ও কোনো কোনো এলাকায় সারারাত চায়ের দোকান খোলা থাকে। এসব দোকানে চা খাওয়ার পাশাপাশি লোকজন আড্ডা দেয়। অনেক অপরাধীও সাধারণ মানুষের মঙ্গে মিশে থাকে। সুযোগ বুঝে তারা চুরি-ছিনতাই করে।

তিনি বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ থাকবে। সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার নির্দেশনা দেন তিনি।


আরও খবর



রাজধানীর ১০ থানায় কিশোর গ্যাং বেশি

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে।

কিশোর গ্যাংয়ের গড ফাদারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি'র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়।

হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলদের কিছু অনুসারী রয়েছেন যাদের ১৮ বছরের উপরে বয়স। এলাকায় রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে কেউ কেউ কিশোরদের ব্যবহার করছে। সরাসরি কোনো কাউন্সিল কিশোরদের নিয়ে অপরাধ করার জন্য গ্যাং তৈরি করেছে এমন তথ্য পাইনি। কাউন্সিলদের সহযোগী রয়েছেন এমন কেউ কেউ আছেন তারা কিশোরদের নিয়ে চলাচল করেন। এসব কিশোরদের বেশিরভাগই ছিন্নমূল। বেশিরভাগ কিশোরদের বাবা নেই। মা থাকলেও দেখা যায় অন্যের বাসায় কাজ করেন। এসব বিষয়েও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আইনের আওতায় পড়লে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক পাতিনেতাদের বিভিন্ন সময় থানায় ডেকে শাসানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সমাজের ভদ্রলোকরা মনে করেন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বিপদে পড়বেন এজন্য সেই ভয়ে থানায় যান না। এটি সমাজের সবচেয়ে দুর্বলতা এবং নেতিবাচক দিক। যারা সমাজের ভালো মানুষ, শান্তি প্রিয় মানুষ, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন তবে অনেক কঠিন কাজই সহজ হয়ে যায়। আমি সেটির আহ্বান জানাই। সমাজে ভালো মানুষ যারা তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।


আরও খবর



দামের উত্তাপে পুড়ছে মাংস-সবজির বাজার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

উৎসব এলেই ভারি হয় ব্যবসায়ীদের পকেট। পণ্যের দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নেয়া হয় কোটি কোটি টাকা। ব্যতিক্রম হয়নি ঈদুল ফিতরেও।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একদিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়ে পটল ও করলা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। ঈদের সালাদের অন্যতম অনুষঙ্গ গাজরের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।

শসায় বেড়েছে ২০ টাকা আর কাঁচামরিচে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে হয়েছে সেঞ্চুরি। বাড়তি দরের তালিকায় আছে টমেটো এবং লেবুও। ক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটিতে সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ বাজার শাক-সবজিতে ভরপুর।

শুধু সবজি আর সালাদের অনুষঙ্গ নয়, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে আলুর কেজি ঠেকেছে ৫০-৫৫ টাকায়। আড়ৎদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুদামজাত করে মজুতের ফলে বাজারে দেখা দিয়েছে পণ্যের সংকট। পাশপাশি ঈদের কারণে পণ্যও আসছে কম। তাতেই চড়েছে বাজার।

এদিকে, একদিনের ব্যবধানে গরুর মাংসের কেজিতে ৫০-৭০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও।

আর গত ২৫ মার্চ গরুর মাংস বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয়া মাংস বিক্রেতা খলিলের দোকানেও কেজিতে বেড়েছে ৫৫ টাকা। দাম বাড়িয়ে কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

এপ্রিল মাস জুড়ে টানা তাপপ্রবাহের পর আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশবাসীকে দিয়েছে স্বস্তির বার্তা। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বুধবারও (১ মে) দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। ১৯৮৯ এর পর গত ৩৫ বছরে এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

দেশের পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগে আজও তাপমাত্রা এমনই থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দিনগুলোতে এই বৃষ্টি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। একই সঙ্গে ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও আওতা কমবে।

বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এতে বিরাজমান তাপপ্রবাহ দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। এদিন দেশের পূর্বাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

টানা তাপপ্রবাহ ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এই অসহনীয় উত্তাপ ও প্রচণ্ড গরমে কষ্টে আছে প্রায় সারা দেশের মানুষ। হিট স্ট্রোকে ঘটেছে অনেক মৃত্যুর ঘটনা।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে একদিনে ৫ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল: একদিনে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। গতকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পদ্মা সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। এটি পদ্মা সেতুতে ১ দিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ টোল আদায় বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন সেতুর মাওয়া প্রান্ত হয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। এতে মাওয়া প্রান্তে ইটিসিএস, ক্রেডিটসহ আয় হয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা। আর জাজিরা প্রান্তের আয় ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪০০ টাকা।

আমিরুল হায়দারের দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই প্রান্ত মিলিয়ে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৪৫০ টাকা। এ সময় শুধু মাওয়া প্রান্তে টোল আদায় হয় ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

এর আগে, গত ৮ এপ্রিল ২৪ ঘন্টায় টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা। রোববার (৭ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে এই টোল আদায় হয়।

রেকর্ড অনুযায়ী, এর আগে পদ্মাসেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৭ জুন। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। যা বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেতুতে তৃতীয় সর্বোচ্চ টোল আদায়ের পরিমান ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। যা আদায় হয়েছিল গতবছরের ৮ জুলাই।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। পরের দিন ২৬ জুন থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়। সেদিন পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পাড়ি দেয়। এ পর্যন্ত এটাই পদ্মা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপারের রেকর্ড।


আরও খবর