Logo
শিরোনাম

গাজার হাসপাতালে শুধুই লাশের গন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে ইসরাইলের আগ্রাসন। শোচনীয় পরিস্থিতিতে ভুগছে পুরো গাজা। চারদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মরদেহ। দাফনের জায়গা নেই। কুকুরের খাবার হয়ে উঠেছে লাশগুলো। বাধ্য হয়ে আল-শিফা হাসপাতালে শিশুসহ ১৭৯ জনকে গণকবর দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালটির পরিচালক আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনালকে এ খবর জানিয়েছেন। গত শনিবার জ্বালানি সরবরাহ শেষ হয়ে গেলে এই হাসপাতালেই ৩৪ জনের মৃত্যু ঘটেছিল।

হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ জাকাউত জানিয়েছেন, আশপাশে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী অবস্থান করায় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে গণকবরের খনন শুরু হয়। তবে কবরটি খননের জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে উপযুক্ত কোনো সরঞ্জাম না থাকায় তারা অনেক কসরত করে কবর খনন করছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মুনির আল-বুর্শ সোমবার সকালে আলজাজিরাকে বলেছেন, রাস্তার কুকুররা আল-শিফা হাসপাতালের উঠোনে বেসামরিক লোকদের মৃতদেহ খাচ্ছে। কারণ বোমা হামলার মধ্যে মৃতদের কবর দেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, জায়গা অথবা সুযোগের অভাবে মৃতদের দাফন করতে না পারায়, সেগুলোতে পচন ধরছে।

ডব্লিউএইচও বলেছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও জ্বালানির সংকটে পড়া হাসপাতালটি প্রায় একটি কবরস্থান হয়ে উঠেছে। হুমকির মুখে রয়েছে শিশুরাও।

দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় গাজা থেকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মিশরে পা রাখেন আল-শিফা হাসপাতালের ভাসকুলার সার্জন মোহাম্মদ জাকাউত। দ্য ন্যাশনালকে তিনি জানান, মৃতদেহের দুর্গন্ধ এখন পুরো হাসপাতালজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

হাসপাতালের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এই হাসপাতালে রোগীদের কোনো চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চিকিৎসক হয়েও কাউকে সাহায্য করা যাচ্ছে না। আমরা যা-ই করি না কেন, রোগীরা মারা যাচ্ছে। প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হলেও কাউকে রক্ত দেওয়াও যাচ্ছে না। এমনকি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলেও কোনো ব্যবস্থা নেই। আমি বসে বসে আমার রোগীদের মৃত্যু দেখতে পারি না।

চিকিৎসক জানান, আল-শিফা হাসপাতালে ইনকিউবেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে তিন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আরও ৩৬ শিশুকে যেভাবে রাখা হয়েছে তা অস্বাভাবিক।

গাজার ৩৪টি হাসপাতালের মধ্যে প্রায় ২৫টিতে এখন আর কোনো পরিষেবা নেই। নেই কোনো অ্যাম্বুলেন্সও। কারণ অ্যাম্বুলেন্সগুলো ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তাদের ১৮টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে এখন অবশিষ্ট আছে মাত্র ৫টি।

হাসপাতালটি ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে এখান থেকে পায়ে হেঁটে পালানোর চেষ্টা করেও অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ইসরায়েলি স্নাইপারদের গুলির ভয়ে হাসপাতালে অবস্থান করা মানুষেরা জানালার কাছেও যাচ্ছেন না।


আরও খবর



সুখবর নেই নিত্যপণ্যের বাজারে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

কয়েকদির আগেও প্রায় সব ধরনের সবজিই ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকার ঘরে। তবে কয়েকদিনের ব্যবধানে শীত মৌসুম উঁকি দেওয়ায় কিছুটা কমেছে সবজির দাম। যদিও এখনো আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। সে কারণে মাছের বাড়তি দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৎস্যখাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং চলমান অবরোধের কারণে চড়া যাচ্ছে মাছের বাজার।

রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, একইভাবে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

অন্যদিকে, সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙাস মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, টাকি মাছ ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক কেজি সাইজের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

এছাড়া, প্রতি কেজি গলদা চিংড়ি ১১০০ টাকা ও সাইজে একটু ছোট চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি আইড় মাছের দাম ৭০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা ও রুপচাঁদা আকৃতিভেদে ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট কাঁচকি মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ টাকা, ছোট সাইজের বাইম মাছ প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, মাঝারি শোল মাছ প্রতি কেজি ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুরগির লাল ডিম প্রতি হালি (৪ পিচ) বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। পাশাপাশি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৮০ টাকায় ও খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

রাজধানীর গুলশান সংলগ্ন বাজারে পণ্য কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী প্রীতম সাহা বলেন, বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবুও ৫০-৬০ টাকার নিচে কিছুই নেই। যদিও কয়েকদিন আগে এসব সবজির দাম আরও বাড়তি ছিল। কিন্তু মাছের দার এখনো অনেক বেশিই যাচ্ছে। অল্প কিছু পাঙাস, তেলাপিয়া ও চাষের কই মাছ তাও কেনা যায়। কিন্তু ভালো কোনো মাছই আমরা কিনে খেতে পারি না। কারণ ওইসব মাছের দাম এতটাই বেশি যে, আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা শখ করে ছাড়া কিনতে পারছে না।

সবজির দামের বিষয়ে একই বাজারের সবজি বিক্রেতা খোরশেদ আলম বলেন, শীত মৌসুম প্রায় চলে আসার কারণে সব ধরনের সবজির দামই আগের চেয়ে কমেছে। পুরো শীতে এসবের দাম আরও কমবে। তবে বর্তমানে দেশে হরতাল-অবরোধ চলার কারণে পরিবহন ভাড়া আগের চেয়ে বেড়ে গেছে এবং পরিবহন পাওয়াও কঠিন। এসব কারণ না থাকলে বর্তমান বাজারের চেয়েও আরও কম দামে সবজি পাওয়া যেত।

মাছের বাড়তি দামের কারণ জানিয়ে মহাখালী বাজারের মাছ বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, মাছের এরকম দাম আরও অনেক আগেই থেকেই চলছে। তবে হরতাল-অবরোধে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে মাছ কম সরবরাহ হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবহন ভাড়াও বর্তমানে বাড়তি। এসব মিলিয়েই বর্তমানে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে। তবে যখন থেকে মাছের খাবারের দাম বেড়েছে, মূলত সেই সময় থেকেই মাছের দাম বেড়েছে। এরপর আর কমেনি। সেইসঙ্গে বর্তমান হরতাল অবরোধের কারণে পরিবহন সংকটে মাছের দর আরেক দফা বাড়তি যাচ্ছে।

 


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেলের চালক ছিটকে পার্শ্বে দাঁড়িয়ে থাকা ধানবাহী ট্রাক্টরের সাথে বাড়ি খেয়ে দূর্ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ১৭ নভেম্বর দিনগত রাত সারে ৭টারদিকে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের চৌমাশিয়া ( নওহাটামোড়) বাজারের পার্শ্ববর্তী খোর্দ্দনারায়নপুর কল্পনা চাউল কল নামক স্থানে।

নিহত মোটরসাইকেল চালক হলেন, নওগাঁর মান্দা থানাধীন প্রসাদপুর বাজারের মৃত ডাঃ ছয়ফুদ্দিন এর ছেলে সামসদ্দীন ওরফে ডিউ (৫৪)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সামসদ্দীন ওরফে ডিউ তার পরিবার তথা স্বজনদের সাথে চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়ে) বাজারে আসেন। এক পর্যায়ে সে তার  পালসার মোটসাইকেল যোগে নওহাটামোড় থেকে নিজ বাড়ি প্রসাদপুর বাজারে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। পথে দূর্ঘটনাস্থলে পৌছালে পেছন থেকে অজ্ঞাত একটি দ্রুতগামী ট্রাক তার সোটরসাইকেল কে সজোরে ধাক্কাদিলে সে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে সড়কের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ধান বোঝাই একটি ট্রাক্টরের সাথে বাড়ি খেয়ে দূর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরন করেন। এসময় পেছনে আসা তার স্বজনরা দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে জীবিত আছেন ভেবে দূর্ঘটনাস্থল থেকে তাকে ও তার মোটরসাইকেল টি নিয়ে প্রসাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। অপরদিকে সড়ক দূর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এমন খবর পেয়ে স্থানিয় নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জিয়াউর রহমান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সহ দ্রুত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে মহাসড়কের উপর জড়ো হওয়া লোকজন কে  সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

প্রতিবেদক কে মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর মান্দা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম।

অপরদিকে সড়ক দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জিয়াউর রহমান প্রতিবেদক কে বলেন, সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার আগেই তার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে জানা যায় সে মারা গেছে।


আরও খবর



নওগাঁয় দু'জনকে হত্যা' জড়ীত দু'জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একজন ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে একাধীক আঘাত করে হত্যা'র পর মহাসড়কের ধারে জঙ্গলের ভেতর ফেলে যাওয়ার ঘটনায় হত্যার সাথে জড়ীত ট্রাক চালক ও চালকের সহকারি হেলপাড় কে আটক পূর্বক আটককৃতদের কাছে থেকে নিহত ব্যবসায়ীর ছিনতাইকৃত নগদ ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ও হত্যা কাজে ব্যবহারীত হাতুড়ি জব্দ সহ আটককৃতদের দেখানো মতে স্থান থেকে ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ। অপরদিকে নওগাঁ জেলা সদর শহরে প্রকাশ্যে হেলমেট বাহিনীর আক্রমনে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন বিএনপি নেতা খুন হয়েছেন। এপৃথক দুটি হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে রবিবার পূর্বরাতে নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের ফয়েজ উদ্দিন কোল্ড স্টোরেজ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ও শনিবার দিনগত রাত ১০ টারদিকে নওগাঁ শহরের ইয়াদালীর মোড় নামক স্থানে। 

হাতুড়ির আঘাতে হত্যার শিকার ব্যবসায়ী হলেন, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার কুমরিয়া গ্রামের মৃত আলেফ এর ছেলে কংক্রিটের পোল ব্যবসায়ী মামুন হোসেন (৩৫) এবং হেলমেট বাহিনীর আক্রমনে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত বিএনপি নেতা হলেন, নওগাঁ জেলা শহরের রজাকপুর এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন (৫২)।

পুলিশ ও স্থানিয় সুত্রে জানাগেছে, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার কুমরিয়া গ্রামের মৃত আলেফ এর ছেলে কংক্রিটের পোল ব্যবসায়ী মামুন হোসেন পূর্বের ন্যায় তার প্রতিবেশি একই গ্রামের দুলাল হোসেন এর ছেলে ট্রাক চালক সুমন হোসেন (২৫) এর ট্রাক যোগে শনিবার কংক্রিটের তৈরি পোল নিয়ে চাপাইনবাবগঞ্জ যান এবং সেখানে বিক্রি করে ঐ ট্রাক যোগেই পূর্বের ন্যায় বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু রাত পেরিয়ে সকাল হওয়ার পরও ব্যবসায়ী মামুন বাসায় না ফেরায় এবং তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ট্রাকের চালক সুমন হোসেন ও হেলপাড় নওগাঁ সদর উপজেলার উল্লাসপুর গ্রামের সানাউল্লার ছেলে সুজিত হোসেন (২৬) এর সন্দেহজনক চলাফেরার কারনে মামুন এর পরিবার ঘটনাটি পুলিশকে জানালে নওগাঁর সুযোগ্য জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এর সার্বিক নির্দেশনায় নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ও মহাদেবপুর সার্কেল এর নের্তৃত্বে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন সঙ্গীয় অফিসার পুলিশ ফোর্স সহ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে রবিবার বেলা ১১টারদিকে প্রথমে সন্দেহজনক ভাবে ট্রাক চালক সুমন ও হেলপাড় সুজিত কে নওগাঁ সদর উপজেলার জবার মোড় এলাকা থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা টাকা ছিনতাই করার জন্য ব্যবসায়ী মামুন কে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা সহ মৃতদেহ সড়কের ধারে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দেওয়ার কথা শিকার করলে এসময় তাদেরকে আটক পূর্বক ছিনতাইকৃত ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা উদ্ধার সহ আটককৃতদের দেখানো মতে হত্যায় ব্যবহারীত হাতুড়ি জব্দ সহ আটককৃতদের সাথে নিয়ে নওগাঁ-রাজশাহী সড়কের আলু স্টোরেজ এলাকায় পৌছে রবিবার দুপুর ১টারদিকে তাদের দেখানো মতে সড়কের ধারের জঙ্গলের ভেতর থেকে ব্যবসায়ী মামুনের মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি হেফাজতে নিয়েছেন।

মৃতদেহ উদ্ধার সহ জড়ীত ট্রাক চালক ও হেলপাড়কে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফফর হোসেন প্রতিবেদক কে জানান, টাকা ছিনতাই করার জন্যেই ব্যবসায়ী মামুনকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে আটককৃতরা পুলিশকে জানিয়েছেন। ইতি মধ্যেই ছিনতাইকৃত টাকা সহ হত্যায় ব্যবহারীত হাতুড়ি ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন সহ আইনানুগ পদক্ষেপ চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

অপরদিকে শনিবার দিনগত রাত ১০টারদিকে নওগাঁ শহরের ইয়াদালীর মোড় নামক স্থানে মুখোশধারী হেলমেট বাহিনীর আক্রমনে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কামাল হোসেন (৫২) নামে এক বিএনপি নেতা খুন হয়েছেন। নিহত কামাল হোসেন নওগাঁ শহরের রজাকপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নওগাঁ পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। এছাড়া তিনি নওগাঁ নজরুল একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) নওগাঁ জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন বলেও জানা গেছে। স্থানিয় সুত্র জানায়, ঘটনার সময় সড়কের পাশে কামাল মোটরসাইকেলের উপর বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এসময় হঠাৎ করেই মুখোশধারী ও মাথায় হেলমেট পড়া ৫ থেকে ৭ জন যুবক চাপাতি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় কামাল হোসেন কে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফায়সাল বিন আহসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা সহ আটকের জন্য তৎপর রয়েছে পুলিশ। এছাড়া ময়না তদন্তের পর স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত: মেজর হাফিজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতিতে বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বীর বিক্রম সক্রিয়তা নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। তিনি নতুন দল গঠন করছেন, এমন ইঙ্গিতও পাওয়া যায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছ থেকে।

বুধবার ৮ নভেম্বর বেলা ১১টায় বনানীতে নিজের বাসায় আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি এ সময় বলেন, অনেকগুলা ভুল আমরা করেছি, সেই দলীয় ভুল প্রকাশ করার জায়গা এটি না। আর এটা প্রকাশ করাও ঠিক হবে না। কিন্তু আমার তো কোনো ফোরাম নাই এবং দলে কোনো অবস্থান নাই। গত আট বছর দলে কোনো কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়নি। কোনো নেতা নির্বাচিত হয়নি। কারণ, নেতা নির্বাচন করার সুযোগ নাই এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির বক্তব্য রাখারও সুযোগ নেই।


তিনি বলেন, আমার চোখ কান নষ্ট না। আমি কোনো বধির স্কুলে পড়ি না। তবে জাতির স্বার্থে কিছু কিছু কথা বলতেই হয়। তবে আমার দেশ সবার উপরে। আমার নেতা জিয়াউর রহমান বলেছেন দেশ সবার আগে। আমিও তাই মনে করি, সে জন্য দু-চারটি কথা বলছি। তবে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে।


বিএনপিতে সত্য কথা বলার মতো কোনো লোক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপিতে সত্যি কথা বলার মতো লোক বিশেষ করে চেয়ারপারসনের সামনে সত্য বলার মতো লোক আমার সামনে পড়েনি। অনেক আগে সাইফুর রহমান সাহেব বলতেন; তিনি বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা। এছাড়া বাকি সবাই ইয়েস স্যার, রাইট স্যার বলা আর কিছু জানেন না। এই হলো বাস্তবতা।


২০১৪ সালে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করার দরকার ছিল। তখন আওয়ামী লীগের অবস্থা লেজে-গোবরে ছিল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় দেওয়ার জন্য। কখন একজন এ আহ্বান জানায়? কারা এ ধরনের আহ্বান জানায়? আমরা সেই অবস্থার ফায়দা নিতে পারিনি। যে পথ অনুসরণ করেছি, সেই যে রাজপথে গেছি এখনো সেই রাজপথেই আছি।


হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই সে নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার চিন্তা করব। তবে বিএনপির আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাওয়া উচিত। দলে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছেন, তারা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাস্তবতার কারণে এটি সম্ভব হয়নি। সুতরাং কেয়ারটেকার সরকারের ওপর জোর না দিয়ে বিকল্প খোঁজা উচিত। আমি মনে করি আগামী নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের সরকার কিছুই না।


দেশের সহিংসতা তরুণ-কিশোরদের ওপর প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রতিদিন টেলিভিশনে দেখি বাস জ্বলছে। সেটা আওয়ামী লীগের ক্যাডারও জ্বালাতে পারে আবার বিএনপির থেকেও জ্বালাতে পারে। অথবা অন্য কেউ। তবে এর দায় সম্পূর্ণ বিএনপির ওপর এসে পড়ছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দেশের অভিভাবক হিসেবে সব সমস্যার সমাধান খোঁজা উচিত।


হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, আমি মনে করি বিএনপি এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এই দলই ক্ষমতায় আসবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনে আদায় করতে জানতে হবে। শুধুমাত্র রাজপথে স্লোগান দিলেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে বাড়ি যাবে না। আমাদের আন্তর্জাতিক কানেকশন খুবই দুর্বল। সে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য নেতৃবৃন্দ তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। অনেক সময় রাষ্ট্রদূতের কথাবার্তা এক পেশে মনে হয় এবং সেটারও কোনো বেনিফিট বিএনপি নিতে পারেনি। তবুও এখন বিএনপির উচিত কীভাবে আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া যায়। আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষভাবে মাঠে থাকবে।

  

আগামী নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও আইনমন্ত্রণালয় একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মেজর হাফিজ। তিনি বলেন, তবে এটিও দিনের আলোর মতো সত্য যে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুষ্ঠু হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেও হবে না এবং বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের অধীনেও হবে না।


রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ অবসরে যাওয়ার বিষয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়। এখন আমার প্রায়োরিটি হলো শারীরিক সুস্থতা লাভ করা এবং চিকিৎসা করা। রাজনীতির প্রতি কোনো আগ্রহ এখন আর আমার অবশিষ্ট নেই।

 

গতকাল তথ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি বাংলাদেশের রাজনীতি ও বিএনপির মধ্যে একেবারেই একজন গুরুত্বহীন ব্যক্তি। বর্তমানে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। গত কয়েকদিন ধরে কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। অতি শীঘ্রই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবো। শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কারণে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হয়নি। মোট কথা রাজনীতি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি। এমন এক সময় তথ্যমন্ত্রী বলেছেন আমি একটি নতুন দল করতে যাচ্ছি। যা একদমই সঠিক নয়। আমি এখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমি ৩১ বছর ধরে বিএনপির সদস্য।


তিনি আরও বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র ও ভুল বোঝাবুঝিকে আমার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আর বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছে আমার নেত্রী। তিনি যতদিন সুস্থ ছিলেন আমার কোনো সমস্যা ছিল না। এ ধরনের কোনো সংবাদ সম্মেলন আমার করতে হয়নি। আমি কমফোর্টেবলি জনগণের সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেটা ক্ষমতায় থেকে বা বিরোধী দলে থেকেই হোক না কেন। তবে দুঃখের বিষয় বিগত দুবার নিজের ভোটটাও দিতে পারিনি।


২০১৮ সালের নির্বাচনে আমাকে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেতে বাধা দেয়া হয়েছিল। তারপর যখন আমি পুলিশ প্রোটেকশনে আমার নির্বাচনী এলাকায় গেলাম তখন আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা আমার বাড়ির চারপাশ ঘিরে রেখেছিল। যে কারণে সেবার আমি নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। ভোট দেওয়া তো দূরের কথা ওইদিন আমাকে ডিজিটাল সিকিউরিটি একটা মামলা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। এই হচ্ছে আমার নির্বাচনের অভিজ্ঞতা। এমন অভিজ্ঞতা আমার মতো আরও অনেক বিরোধী দলের নেতার আছে। এরপর নির্বাচন থেকে সরে আসার পর আমার দলকে নাকি ৮০টি আসন দেবে নির্বাচনের পরে। আমি এই খবরও জানি না, আর এই ৮০ জনের মধ্যে আমি নিজেও ছিলাম না।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ১৪ নভেম্বর ২০২০ সালে আমার দল থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তখন আমার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ ছিল। আমি দলে সক্রিয় না, দলের কোনো কাজ করি না, সংস্কারপন্থী, আমি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করি। এ ধরনের আজগুবি ১১টি অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম অভিযোগ ছিল- আমি শওকত মাহমুদের সঙ্গে বিজয় নগরে সরকার বিরোধী মিছিল করেছি। আমরা বিরোধী দল সরকার বিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণ করতেই পারি। তবে আমি এই মিছিলে কখনোই ছিলাম না। এসবে আমি কখনোই অংশগ্রহণ করিনি। তখন আমি শো-কজের লিখিত জবাবও দিয়েছি। তবে আমার বক্তব্যের জবাব দল থেকে পাইনি। 


আরও খবর



নতুন সঙ্গীকে প্রকাশ্যে আনলেন শ্রাবন্তী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে এল নতুন সঙ্গী। অভিনেত্রী নিজেই সে সঙ্গীকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে নতুন সঙ্গীকে হাজির করেন শ্রাবন্তী। তাতে দেখা যায়, রাতের পোশাক পরে আছেন তিনি।

তার কোলে রয়েছে একটি কুকুর ছানা। ছবিতে তাকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে। ছবিটি পোস্ট করে শ্রাবন্তী লিখেছেন, আমার রূপকথার গল্পের পরিবারে তোমাকে স্বাগত। শ্রাবন্তী এমনিতেই প্রাণীপ্রেমী। তার বাড়িতে এতদিন তিনটি প্রাণী ছিল। এবার যুক্ত হল আরও একটি।

শ্রাবন্তীর কোলে তারে পরিবারের নতুন সদস্যকে দেখে খুশি টলিউডের অনেকেই। মিমি চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় অনেকেই মন্তব্য করেছেন তার পোস্টে।

মিমি লিখেছেন, নাম কী পুচকুটার? উত্তরে শ্রাবন্তী জানিয়েছেন পশুটির নাম রেখেছেন রোজ়।

শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। একাধিক বিয়ে ও প্রেম নিয়েই মূলত এসব সমালোচনার মুখ পড়তে হয়েছে তাকে। তবে আপাতত ছেলে, বন্ধু এবং পোষা প্রাণীদের নিয়ে নিজের সংসার গোছাচ্ছেন শ্রাবন্তী।


আরও খবর

নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩