Logo
শিরোনাম

হিজাব ইস্যুতে আরো কঠোর ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ইরানে কেউ নারীদের হিজাব ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করলে ফৌজদারি আদালতে তার বিচার করা হবে। বিচারে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কোনো সুযোগ রাখা হবে না।

এক বিবৃতিতে এ কথা জানান ইরানের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আলি জামাদি। রবিবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

আলি জামাদি বলেন, হিজাব না পড়ার বিষয়টিকে উৎসাহিত করার অপরাধের বিচার ফৌজদারি আদালতে হবে। বিচারের রায়ই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণযোগ্য হবে না।

হিজাব ছাড়া চলাফেরা করা নারীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে শনিবার বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে ক্যামেরা বসিয়েছে দেশটির পুলিশ। এমন পরিকল্পনার কথা গত সপ্তাহে এক ঘোষণাতে জানিয়েছিল পুলিশ।

দেশটিতে আগে থেকেই বাধ্যতামূলক ছিল হিজাব। তবে সম্প্রতি দেশটির নারীরা বাধ্যতামূলক এ পোশাক নিয়ে আন্দোলনে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। দেশটির শপিং মল, রেস্তোরাঁর মতো জনসমাগমস্থলে হিজাব ছাড়াই চলাফেরা করছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী, এ সংখ্যা বাড়ছেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সম্প্রতি দেশটির নারী সেলিব্রিটি ও অ্যাক্টিভিস্টরা হিজাব ছাড়া ছবি ও ভিডিও আপলোড করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত জানালো দেশটির সরকার।

আল জামাদি বলেন, হিজাব না পড়ার চেয়ে হিজাববিরোধী প্রচার এবং হিজাব ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করার শাস্তি হবে অনেক বেশি। স্পষ্টতই এটি দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার মতো একটি বিষয়।

তবে কোন কোন কার্যক্রম হিজাববিরোধী প্রচার হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এর শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে তেহরানে গ্রেপ্তার হন ২২ বছরের কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি। পুলিশি হেফাজতে কয়েকদিন পর মাহসার মৃত্যু হয়। তরুণীর পরিবারের দাবি, পুলিশের নির্যাতনে মাহসার মৃত্যু হয়। তবে পুলিশ বলছে, আগের শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন আমিনি। সেদিন থেকেই ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে।

বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থান নেয় ইরানের পুলিশ। ডিসেম্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে। তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যে কার্যকর করেছে ইরান সরকার।

ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে জানায়, হিজাব ইস্যুতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, হিজাব ইসলামি আইনের একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবেই থাকবে।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের বাজারে অসহায় মধ্য আয়ের মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর শনির আখরা বাজারের মাছের দোকানে ঘুরছেন এক মধ্যবয়সী পুরুষ। ৫ থেকে ৬টি দোকানে জিজ্ঞেস করেছেন মাছের দাম। এরপরের দোকানে গিয়ে তিনি কিনলেন পাঙ্গাস মাছ। মাছের দোকানের সামনে কথা হয় এই ক্রেতার সঙ্গে। তার নাম মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। চার সদস্য নিয়ে থাকেন রেলওয়ে কলোনি এলাকায়। পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা এ ব্যক্তি বলেন, বিগত পাঁচ বছর আগে ব্যাংকে যে বেতন ছিল, বর্তমানেও একই বেতন। দিন দিন খরচ বাড়লেও বাড়েনি কোন আয়। খরচ বাড়ায় বাসার একটি রুম তিনি এখন সাবলেট দিয়েছেন। মাসে যে বেতন পায়, তার অর্ধেক চলে যায় ঘরভাড়ায়। বাকি অর্ধেক গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল, বাচ্চাদের স্কুলের বেতন দিয়ে বাজার থেকে যে ভালো খাবার কিনবো তার কোন উপায় থাকে না। সব মিলিয়ে মাসের শেষ সপ্তাহে হতাশা বেড়ে যায়।

একই বাজারে কথা হয় ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা ব্যাংক কলোনি এলাকার শিক্ষিকা ইয়াছমিন আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে স্বামীর আয় দিয়ে মোটামুটি পরিবার চালানো যেত। এখন ঐ আয়ে কোন ভাবে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে একটি প্রাইভেট স্কুলে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করি। কিন্তু দুইজনের আয়েও এখন পাঁচ সদস্য নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবারে ঈদে বাচ্চাদের পোষাক কিনে দিলেও আমরা পুরোনো কাপড় দিয়েই কোনমতে ঈদ পালন করছি। আমাদের মতো মধ্য আয়ের মানুষের অবস্থা খুবি অসহায়। মাসের শেষে আর্থিক টানাপোড়েনে থাকি।

এ শিক্ষক আরও বলেন, মাসের বাজার চাল, ডাল, মরিচ কেনার পর, সাপ্তাহিক কাঁচাবাজার করতে শনির আখরা বাজারে আসি। মাছ ও গরুর মাংস দূরের কথা, এখন ব্রয়লার মুরগীও আমাদের মতো মধ্য আয়ের মানুষদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

একই বাজারে মাংসের দোকানে কথা হয়, আতিকুর রহমান নামে এক এনজিও কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, সামান্য বেতনের চাকরি করি। যা বেতন পায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ, বাড়ি ভাড়াসহ সংসারের অন্যান্য খরচ মেটাতে নাভিশ্বাস উঠছে। স্ত্রীকে ছেলেমেয়েদের স্কুলে আনা-নেয়াসহ সাংসারিক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। কোনো চাকরি করতে পারে না। তবে সে অনলাইনে কিছু ব্যবসা শুরু করেছে। সেখান থেকে অল্পকিছু আয় হয়। এভাবেই কোনমতে টেনেটুনে সংসার নিয়ে চলছি।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বর্তমান নিত্যপণ্যের বাজারের অবস্থা দিন দিন এমন হলে স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে হবে। অসৎপথে তো আয় করতে পারছি না। নিজেরও তেমন জমা নেই। এখন মাসের শেষে এসে দেখি কয়েকটা দোকানে ঋণের বোঝা! নিজেকে বর্তমান অবস্থায় বেশ অসহায় মনে হচ্ছে।

শনির আখরা বাজারের গলির মুখে কথা হয় রিকশা চালক মো. হোসেন এর সঙ্গে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসে  একটি বস্তিতে থাকেন। তিনি বলেন, এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করছিলাম। এখন কাজ নেই, তাই ঢা্কা মুখী হয়েছি। বস্তিতে একটা রুমে ব্যাচেলর থাকি। মেয়ের বিয়ের জন্য ঋণ হয়েছে ২ লাখ টাকা। প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে কিস্তির টাকা পাঠাতে হয়। এখানে এখন এক প্লেট ভাত ১৫ টাকা। হোটেলে সামান্য সবজি দিয়ে খাবার খেলে বিল আসে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কিন্তু রিকশা ভাড়া বাড়েনি। এ গরমে কারও থেকে ১০ টাকা বাড়তি চাইলেও দেয় না। রিকশা ভাড়া, ঘর ভাড়া দিয়ে হাতে তেমন টাকা থাকে না।

শুধু ব্যাংক কর্মকর্তা নয়, আরো অনেকের সাথে কথা হলে তারা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে হুতাশা প্রকাশ করেছেন। নিজেদের মধ্য আয়ের মানুষ হিসেবে দাবি করে তারা জানিয়েছেন, খরচের সঙ্গে আয়ের ভারসাম্য না থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, চাল, ডাল, মাছ, মাংস, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকের সংসার সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন। অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চাল কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা, আটা-ময়দার দামও বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা। তার মধ্যে পর্যাপ্ত যোগান থাকার পরও ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। এছাড়া আদা, রসুন, পেঁয়াজের বাজার রয়েছে স্থিতিতে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, নাজির ও মিনিকেট মানের সরু চালে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৭৬ টাকা, পাইজাম ও লতা মানের মাঝারি চাল ৫৩ থেকে ৫৮ টাকা আর স্বর্ণা, চায়না ও ইরি মানের মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। যা গত সপ্তাহে কম ছিল প্রায় ৫ টাকার নিচে।

চালের দাম বাড়ার বিষয়ে মো. আলী সওদাগর বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মৌসুমের ধান বের না হওয়ায় উত্তরবঙ্গের চালের উপর বাজার নির্ভরশীল। পরিবহন ও বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায় মিলার পর্যায়ে চালের দাম সাময়িক বেড়েছে। নতুন ধান বের হলে দাম কমে যাবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

তাছাড়া চালের পাশাপাশি খোলা ময়দা ও আটার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা। গত সপ্তাহে যে খোলা ময়দা বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় তা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। আর যে মানের খোলা আটা বিক্রি হয়েছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় তা এখন ৪৭ থেকে ৪৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলেন, গম আমদানি খরচ বাড়ার কারণে ময়দা ও আটার দাম বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে চাল, ময়দা ও আটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সপ্তাহের ব্যবধানে সকল ধরনের ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা। বাজারে ডালের মধ্যে মাঝারি দানার মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা যা গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। আর বড় দানার মশুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা। আর ছোট দানার মসুর ডাল ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৫০ টাকা ।


আরও খবর



সুন্দরবনে খালে ভাসছে বাঘের দেহ !

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: সাধারণত উল্টো খবরটিই বেশি পাওয়া যায়। সুন্দরবন এলাকায় বাঘের আক্রমণে মৃ্ত্যু হয়েছে সাধারণ মানুষের বা মধু সংগ্রহের সময়ে বাঘের অতর্কিত আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে স্থানীয় মানুষের। কিন্তু বাঘের মৃত্যু? সেই খবরই মিলল এবার। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় সুন্দরবনের জোংড়া আর মরাপশুর খালের মাঝামাঝি এলাকা জোংড়া খালের অন্তর্গত আন্ধারিয়া খালের মুখ থেকে ভাসমান অবস্থায় মিলল এক রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃত দেহ। মৃত দেহটি উদ্ধারে গেছেন বনরক্ষীরা।

সুন্দরবনের কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (সিএফ) মিহির কুমার দো বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, খবর পাওয়ার পর বনরক্ষীরা গেছেন। বাঘটিকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বেশ কয়েক দিন আগে মারা গেছে বাঘটি। 

তিনি আরো বলেন,বাঘটির মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি, মৃত্যুর কারণ জানার জন্য বাঘটির বয়স-সহ অন্যান্য বিষয়গুলিও বন বিভাগ অনুসন্ধান করবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



ফোর্বসের অনূর্ধ্ব-৩০ এশিয়ার তালিকায় ৯ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সি উদ্যোক্তার তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী শক্তি ও অবদানের জন্য বাংলাদেশের ৯ জন তরুণ-তরুণী স্থান পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া তালিকা প্রকাশ করে সাময়িকীটি।

১০টি শ্রেণিতে তরুণদের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো ক্রীড়া ও বিনোদন; ফাইন্যান্স অ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল; এন্টারপ্রাইজ টেকনোলজি; গণমাধ্যম, বিপণন ও বিজ্ঞাপন; কনজ্যুমার টেকনোলজি; শিল্প, উৎপাদন ও জ্বালানি; শিল্পকলা; সামাজিক প্রভাব; রিটেইল ও ই-কমার্স এবং স্বাস্থ্যসেবা ও বিজ্ঞান।

ফোর্বসের তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে আবদুস গাফ্ফার সাদী, মো. তুষার ও মো. শহীদুল ইসলাম, এই তিন তরুণ ঢাকাভিত্তিক দ্রুত লোন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তারা ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কাজ করে দেন। একই সঙ্গে ঋণদাতাদের সুবিধার জন্য যাকে ঋণ দেওয়া হবে, তিনি তা পাওয়ার যোগ্য কি না, তা যাচাইয়ে সহায়তা করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করার পর এই প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে ২০ লাখ ডলারের (প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা) বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। গত নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি এক লাখ ২৫ হাজার ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে।

এই তালিকায় থাকা ফাহাদ আহমেদ ২০২২ সালে গড়ে ওঠা উইন্ড ডট অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আনার সেবা দেন তারা। এই কাজে প্ল্যাটফর্মটি ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তাদের সেবা দ্রুত ও সাশ্রয়ী। গত নভেম্বরে তারা ৩৮ লাখ ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে। গ্লোবাল ফাউন্ডারস ক্যাপিটাল ও স্পার্টান গ্রুপের নেতৃত্ব কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই বিনিয়োগ করেছে।

উইন্ড প্রতিষ্ঠার আগে ফাহাদ রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও তৈরিতেও যুক্ত ছিলেন। পাঠাওয়ে খাবার ডেলিভারি, পেমেন্ট ও রাইডের জন্য গাড়ি ডাকার সেবা চালুতে তার ভূমিকা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে স্নাতক করা ফাহাদ নিজে নিজেই কোডিং শিখেছেন।

সুলতান মনি ও মুমতাহিনা আনিকা ফিনটেক তথা ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (আর্থিক প্রযুক্তি) স্টার্টআপ জাতিক প্রতিষ্ঠা করেছেন। ছোট কোম্পানিগুলোকে তাদের অ্যাকাউন্টিং সামলাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয় এই স্টার্টআপ। তাদের সেবাটি এমন যে, স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত একটি বিজনেস ক্যালকুলেটর দিয়ে আর্থিক হিসাব-নিকাশ ও প্রতিবেদন তৈরি করা যায়। ছোট কোম্পানিগুলোকে ই-কমার্স ওয়েবসাইটে সহজ পথ বাতলে দেয় তারা। গত আগস্টে এই স্টার্টআপ ১৬ লাখ ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে।

রেদোয়ান আহমেদ পুরস্কারজয়ী ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। এএফপির হয়ে রোহিঙ্গা সংকটের খবর সংগ্রহ করেন তিনি। এই কাজের জন্য তিনি ২২তম হিউম্যান রাইটস প্রেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। এ ছাড়া ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের জন্য তার অনুসন্ধানকাজে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মীদের বঞ্চনার শিকার হওয়ার গল্প উঠে আসে।


আরও খবর



সৌদি গমন অনিশ্চিত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট ৯ মে শুরু হয়। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ থেকে এবার ৮৫ হাজারের বেশি হজযাত্রী হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। শনিবার (১১ মে) আবেদনের সময়সীমা শেষ হতে চললেও এখন পর্যন্ত ভিসা পাননি ৩১ হাজার ৩৫৮ জন হজযাত্রী।

শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এবছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনও ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে, ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মোট হজযাত্রীর মধ্যে ৮০ হাজার ৮৩৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন বাকি ৪ হাজার ৪১৯ জন।

হজ পোর্টালের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ১৮২ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ২ হাজার ৫০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ২ হাজার ৬৮২ জন। এখন পর্যন্ত ফ্লাইট সংখ্যা ১৩টি।

হজের আগে ১১৬টি এবং হজ শেষে ফিরতি ১২৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। এ বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ১৬ জুন।


আরও খবর



আসছেন কাতারের আমির, সই হবে ১১ চুক্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। তার এ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটি চুক্তি ও ছয়টি এমওইই। এ ছাড়া আলোচনায় প্রাধান্য পাবে মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও রোহিঙ্গা সমস্যায় স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি।

এছাড়া শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার বাংলাদেশে আসছেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তার এই সফরের বিস্তারিত গতকাল রবিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ।

সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে। এই সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ কাতার হচ্ছে পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ। শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং কূটনৈতিক মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে পরিচিত কাতার। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও যেখানে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছে। পাশাপাশি এই সফর একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

স্বাধীনতার পর থেকেই কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক দিনের। কাতার বঙ্গবন্ধুকালীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। ২০২৩ সালে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আবারও সুদৃঢ় হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের মহা মুহিম আমির বাংলাদেশ সফর করবেন।

সম্প্রতি কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। কাতারের আমিরের সফরে বাংলাদেশে ইকোনোমিক জোন করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমাদের সিরামিক আছে, আমাদের গার্মেন্ট প্রোডাক্ট আছে, আমাদের আরো অনেক এক্সপোর্ট আইটেম আছে, এগুলো রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বলব। এছাড়া আমাদের ওষুধ আছে। এগুলো এখনো রপ্তানি হয়, এগুলো ভলিয়মটা আরো বাড়ানোর জন্য বলব। বাংলাদেশে যাতে তাদের ইনভেস্টমেন্ট হয়, বিশেষ করে আমাদের ইকোনোমিক জোনে যাতে তাদের ইনভেস্টমেন্ট হয় সেটাও আলোচনা করব। আমরা বিনিয়োগ চাইব, কাতার তো নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারে, অর্থনৈতিক সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারে।


আরও খবর