ইয়াশফি রহমান :
স্পেনের দেখা তো গত বিশ্বকাপেও মেলেনি। গত বিশ্বকাপ কেন ২০১০ সালের পর একাধিক তারকার অবসরে ভেঙে খানখান দলটা। সবশেষে বার্সেলোনার অন্যতম সফল কোচ লুইস এনরিকের হাতে তুলে দেওয়া হলো দায়িত্ব। তিনি দলটাকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তবে অভিজ্ঞ আর তারকাশূন্যতায় ভোগা স্পেনকে এবার আশা দেখাচ্ছে নতুনরা। যেখানে গাভি, পেদ্রি কিংবা নিকো উইলিয়ামসরাই ভরসার নাম।
এবারের দলটা কেমন : বিধাতা বোধহয় এমনই বারবার কাউকে সুযোগ দেন না। আবার যারা সুযোগ পেয়ে কাজে লাগান, তাদের মনে হয় সুযোগ দিতেই থাকেন। স্পেনের সেই সোনালি প্রজন্ম এখন অতীত। ইনিয়েস্তা, পুয়োল, জাভিদের দলটাকে স্পেনের মানুষও খুব মিস করে। তবে যুগে যুগে তো এমন তারকাদের পাওয়া যায় না। একটা সময় যে স্পেনে ছিল তারকার ছড়াছড়ি, এখন তাদের তারকার বড্ড অভাব। তবু কয়েক মাস ধরে এনরিকের দেখানো পথে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। চেষ্টা করছে ভুলগুলো শুধরে কাতারে জয়ের ফুল ফোটাতে। দলটি তারুণ্যনির্ভর হলেও অভিজ্ঞও আছেন কয়েকজন। আক্রমণভাগে আস্থার নাম আলভারো মোরাতা। মাঝমাঠে আছেন অভিজ্ঞ সার্জিও বুসকেটস, আবার রক্ষণভাগে জর্ডি আলবা, কারভাজলের মতো চেনা মুখ। সে ক্ষেত্রে একেবারে যে উড়ে যাবে তেমন দল নয় স্পেন। যদি গতিময় ফুটবলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লড়তে পারে তাহলে এবার স্পেনও হতে পারে ভয়ংকর প্রতিপক্ষ।
আশার প্রদীপ : মাঝমাঠই স্পেনের আশার নাম। এই একটা জায়গায় আর দশটা দলের চেয়ে এগিয়ে থাকবে স্পেন। দুর্দান্ত পরিশ্রমী দুজন ফুটবলার গাভি ও পেদ্রিকে তারা পাচ্ছে নিয়মিত। সেই সঙ্গে দলনেতা বুসকেটস তো আছেনই। নেপথ্যে নায়ক : স্পেনের এবারের বিশ্বকাপে নেপথ্যের নায়ক হতে পারেন কোচ এনরিকে। বার্সেলোনা সোনালি দিনের এই কোচ বেশ বুঝে-শুনে ঠাণ্ডা মাথায় খুনেন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
একনজরে স্পেন দল :
অবস্থান -৭
প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ-১৯৩৪
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ-১৬
বার
সর্বোচ্চ অর্জন-২০১০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন
বেশি ম্যাচ : সার্জিও রামোস (১৮০)
বেশি গোল : ডেভিড ভিয়া (৫৯)
গ্রুপ পর্বের তিন প্রতিপক্ষ জার্মানি, কোস্টারিকা ও জাপান
ফিকশ্চার
২৩
নভেম্বর রাত ১০টা স্পেন-কোস্টারিকা
২৭
নভেম্বর রাত ১টা স্পেন-জার্মানি
১ ডিসেম্বর রাত ১টা স্পেন-জাপান