Logo
শিরোনাম

কাজে আসছে না বাজার মনিটরিং

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল :রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং টিম গঠন করলেও ক্রেতা এবং বাজারসংশ্লিষ্টরা বলেছেন সরকারের বাজার মনিটরিং কোনো কাজে আসছে না। তাই চাহিদার তুলনায় পণ্যের মজুদ বেশি থাকলেও রমজানের আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পর্যবেক্ষণেও এই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সরকারি পর্যবেক্ষণে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রমাণ মিলেছে।

প্রতি বছর ঈদকে সামনে রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণের এই তদারকির অভিযোগ শুরু হয়। তবে এ অভিযান শুধু রমজানেই নয়, পুরো বছরেই বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা থাকলে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করেন ক্রেতারা। আর অভিযান পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমজান এলে নয়, পুরো বছরই অনিয়ম ও খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে তৎপর থাকেন তারা। রমজানে এসব বিষয় প্রচারে গণমাধ্যম বেশি সক্রিয় হয় বলে এর প্রচারণাটা বেশি হয়। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ভেজাল ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। এতে তারা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

প্রতি বছরই রমজানে বিভিন্ন কাঁচাবাজার, হোটেল-রেস্তোরাঁয়, ইফতারির দোকানে, বিপণিবিতান, মুড়ি ও সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন সংস্থা। তাদের নির্ধারিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে নানা অভিযোগে জেল-জরিমানা করা হয়ে থাকে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম নয়।

সাধারণত পুলিশ, র‌্যাব, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), শুল্ক গোয়েন্দা ও স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ কয়েকটি সরকারি সংস্থা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ, বিআরটিএ, বিএসটিআই, র‌্যাবসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথ অভিযান পরিচালনা করে থাকে। প্রতি বছরের মতো এবারো রমজান শুরুর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ পবিত্র

রমজানে খাদ্যদ্রব্যে নিরাপত্তার সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। বিজ্ঞপ্তিতে খাদ্যবিরোধী কার্যকলাপের জন্য কী শাস্তি সেটাও প্রকাশ করা হয়। তবে এ বছর সরকারি ১৪ সংস্থা বাজার মনিটরিং করতে অভিযানে নামে। অভিযানে জরিমানা ও বিক্রেতাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ-সহ মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে এসব অভিযান শুধু রমজান মাসে সীমাবদ্ধ না রেখে পুরো বছরে দেখতে চান ক্রেতারা। তারা মনে করেন, বিক্রেতারা শুধু রোজায় না সব সময় বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তারা।

রমজানে অভিযান চালানো ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, হয়রানির উদ্দেশ্যে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি, এটা ঠিক নয়। ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। রমজান এলেই পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। দুনিয়ার যত নষ্ট মাল আছে সেগুলো বাজারে ছাড়া হয়। শুধু রমজানে নয়, আমরা সারা বছরই এসব অনিয়ম ও ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে থাকি।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট ও মনিটরিং টিম সদস্যদের আসতে দেরি হয় বলে টিমের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হয়। তিনি বলেন, বাজার পরিদর্শন করে টিম লিডাররা রিপোর্ট প্রদানে প্রায়শই বিলম্ব করেন এবং পরিদর্শন প্রতিবেদনে পরামর্শ বা স্পষ্ট মতামত দেন না। পরিদর্শিত বাজারে উদ্ভূত সমস্যাগুলোর কথা উল্লেখ করলে মন্ত্রণালয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু মনিটরিং টিম এসব করে না। তাই বাজার মনিটরিংয়ের তেমন কোনো সুফল পাওয়া যায় না।


আরও খবর



সংস্কার ও নির্বাচনের সমন্বিত রোডম্যাপ ঘোষণা করুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। সাংবিধানিক সংস্কারসহ জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ প্রণয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল দল ও সমাজশক্তি তথা শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবী সংগঠনসমূহের সাথে আলোচনা করে ব্যাপকভিত্তিক ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা আবশ্যক বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

জাতীয় সনদ নির্বাচনের আবশ্যিক শর্ত পূরণ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন পারস্পরিক পরিপূরক বিধায় সংস্কার ও নির্বাচনের সমন্বিত রোডম্যাপ ঘোষণা করা আবশ্যক। এই পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতীয় রাজনীতি একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্যে ধাবিত হবে। সংস্কার ও নির্বাচন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। জাতীয় রাজনীতির মৌলিক প্রশ্নে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির অনৈক্য বা বিভেদ পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে।

আজ শুক্রবার উত্তরাস্থ বাসভবনে জেএসডির স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার শুরুতে ক্যাথলিক গুরু ফ্রান্সিস পোপের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

সভায় দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন— দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মিসেস তানিয়া বর, অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির ও কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ।


আরও খবর



বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে আগ্রহী ইতালি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বৈধ উপায়ে বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে ইতালি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও জানান তিনি।

ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তাকে এ কথা জানান ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন, মানবপাচার প্রতিরোধ এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ পারস্পরিক আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন তারা। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে রোমের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নবায়ন ও পুনরুজ্জীবিতকরণ নিয়েও আলোচনা হয়। এ লক্ষ্যে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের আগেই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানান মাত্তেও।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটি অসাধারণ বাংলাদেশি কমিউনিটি রয়েছে। আমরা তাদের নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। তারা তরুণ ও পরিশ্রমী। ইতালীয় সমাজে চমৎকারভাবে মিশে গিয়েছেন তারা। আমাদের আরও বাংলাদেশির প্রয়োজন।

তবে অনেক বাংলাদেশি অবৈধ উপায়ে ইতালিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, এভাবে ইতালিতে আসা খুব বিপজ্জনক। আমরা চাই তারা বৈধ পদ্ধতি অনুসরণ করুক।

মাত্তেও জানান, সমুদ্রপথে অনিয়ন্ত্রিতভাবে অভিবাসীদের আগমন ইতালির জন্য সমস্যাজনক। এ কারণে অবৈধ অভিবাসন ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দূর করতে তিনি বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার রোধের মতো বিষয়ে বাংলাদেশও ইতালির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে মাত্তেওকে আশ্বস্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। ড. ইউনূস বলেন, ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞ। তারাও ইতালির প্রতি সন্তুষ্ট।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, কিছু আন্তর্জাতিক চক্র বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করে। এরাই সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে বলে মনে করেন তিনি। অন্তর্বতী সরকারপ্রধান বলেন, অভিবাসীরা হলেন মানবপাচারের ভুক্তভোগী, তারা সুবিধাভোগী নন।

এ সময় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকের কথাও উল্লেখ করে তিনি। বৈঠকে দুই দেশ একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।


আরও খবর



ডোপ টেস্ট দিয়ে শাবিপ্রবিতে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

২০১৯-২০ সেশন থেকে ষষ্ঠবারের মতো ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে এ ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ জানা থাকে না। সেজন্য প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন সঞ্চালন রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের পরীক্ষা করছে। এরপর ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। এ টেস্টে কোন শিক্ষার্থী পজিটিভ হলে তাকে কাউন্সেলিং করা হবে।

এবার ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ওয়ান স্টপ সার্ভিস পদ্ধতিতে। ভর্তি কার্যক্রমে সাতটি ধাপের মধ্যে রক্ত পরীক্ষা, ডোপ টেস্ট, স্বাক্ষর যাচাই, তথ্য যাচাই ও রেজিস্ট্রেশন, ভর্তি ফি প্রদান, চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন যাচাই এবং হল সংযুক্তিসহ আবাসন আবেদন রয়েছে।

এদিকে প্রথমদিন ইউনিটে (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মেধাক্রম ১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত ডাকা হয়েছে। দ্বিতীয় দিন বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম। এদিন ৫০১ থেকে ৯৫৫তম শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে। একই দিনে স্থাপত্য বিভাগে ১ থেকে ৩০তম শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে।

ভর্তির তারিখ ও ফি পরিবর্তন

১৭ এপ্রিল বি ইউনিটের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি কার্যক্রম অনিবার্য কারণে পরিবর্তন করে ২২ এপ্রিল পুননির্ধারণ করা হয়েছে। এবার কোটাসহ ২৮টি বিভাগে এবার মোট আসন এক হাজার ৬৭১টি।

অন্যদিকে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক জরুরী একাডেমিক কাউন্সিলে ২০২৪-২৫ সেশনে ভর্তি ফি পুনর্বিবেচনা করে ১৪ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এর আগে ছিল ১৭ হাজার টাকা। ২০২৩-২৪ সেশন ভর্তি ফি ছিল ১৮ হাজার টাকা। ফলে এবার ভর্তি ফি কমেছে ৩ হাজার ১০০টাকা।


আরও খবর



নওগাঁয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৭১৯ কেজি চাল জব্দ, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৭শ' ১৯ কেজি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় জানা জানির পর লোকজনের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা যেন কোন ভাবেই পার না পায় সেই বিষয়ে প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায়। রাণীনগর

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান জানান, একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ চাল মজুদ আছে এমন খবর পেয়ে বুধবার রাতে উপজেলার পারইল ইউপির ধোপাপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঐ বাড়িতে ৫০ কেজি ওজনের ৩৪ বস্তা চাল এবং ১৯ কেজি চালের একটি বস্তা পাওয়া যায়। তবে ঐ চালগুলো সরকারি কিনা তা তদন্তের পরই জানা সম্ভব। পরে চালগুলো জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, জব্দকৃত সব চাল সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। এসব চাল বিলকৃষ্ণপুর বাজার পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইটের। তিনি ও তার সহযোগীরা এসব চাল ঐ বাড়িতে রেখেছিল। এই চালের মূলহোতা ডিলার সুইট। চালের বস্তার পাশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের সরকারি খালি বস্তা পড়ে ছিল। আর চালগুলো অন্য প্লাষ্টিকের বস্তায় প্যাকেট করা ছিল। এমনকি রাতেই ঐ বাড়িতেই চাল মাপ করার কাজ চলছিল। এসব চাল বাহিরে বেশি দামে বিক্রির জন্য ঐ বাড়িতে রাখা হয়েছিল। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের। বাড়ির মালিক আশরাফ আলী বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। এসে জানতে পারি ডিলার সুইট আমার বাড়িতে চাল রেখেছে। আমি তাকে চাল নিয়ে যেতে বললে তিনি পরে নিয়ে যাবে বলে জানায়। এরপর আমি আর কিছু জানিনা।

উপজেলার বিলকৃষ্ণপুর বাজার পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইট বলেন, চালগুলো আমার না। বাড়ির মালিক আমার নামে মিথ্যা কথা বলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।


আরও খবর



পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে তুলবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়ক।

প্রধান উপদেষ্টা আজ কাতারের দোহায় ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এটি এমন এক সামাজিক চুক্তি যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে একটি সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তবে এখন এমন নানা হুমকি রয়েছে যা আমাদের উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একসময় পার করছি যেখানে বহুপাক্ষিকতা হুমকির মুখে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে এবং মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। নতুন নতুন নীতিমালা, প্রযুক্তি এবং শাসন পদ্ধতি আমাদের পৃথিবীকে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, যা অতীতের অনেক অনুমানকে অচল করে দিচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয় যে সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে তা অর্জন করা যায় না।

তিনি আরো যোগ করেন, ‘ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয় যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু যা আমরা তৈরি করি। এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের উদ্ভাবন, সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের সক্ষমতাও ব্যাপক।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কাতার যেভাবে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখাচ্ছে কীভাবে একটি দেশ উদ্ভাবন, ঐতিহ্য ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ মোকাবিলা করতে পারে।

অধ্যাপক ইউনূস তার মূল বক্তব্যে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।

তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং ভাইস চেয়ারপারসন ও সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিকে সময়োপযোগী ও চমৎকার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

দোহায় আজ শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে— ‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান’


আরও খবর