রোকসানা মনোয়ার : বাংলাদেশে
বিদেশি কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়েছে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণাধীন
আছে। তাই কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো আবশ্যকতা নেই।
পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীনের দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে
সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে
বলা হয়, কিছু কিছু গণমাধ্যমে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বা বাংলাদেশে বিদেশি
কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য আমাদের নজরে এসেছে।
প্রতিটি দূতাবাসেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বিধান অব্যাহত রেখেছেন এবং
রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রদত্ত গানম্যান নিয়োজিত আছেন। এ কারণে
নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কিত এ বিভ্রান্তকর খবরটি সঠিক নয়।
পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আন্তর্জাতিক আইন ও
প্রচলিত রীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাধারণত বাংলাদেশ পুলিশ বিদেশি কূটনীতিকদের
নিরাপত্তার গুরু দায়িত্বটি সবসময় পালন করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের কয়েক বছর
আগের একটি ঘটনা পরবর্তী সময় থেকে কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিককে অলিখিতভাবে গাড়িসহ
মূলত নিয়মিত ট্রাফিক মুভমেন্টে সহায়তার জন্য বাড়তি কিছু লোকবল দেওয়া হয়েছিল।
বর্তমানে
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণাধীন আছে। তাই তাদের
বাড়তি নিরাপত্তা প্রদানের কোনো আবশ্যকতা নেই। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর
কার্যপরিধি বৃদ্ধির জন্য এই বাড়তি সুবিধাটি এখন অব্যাহত রাখা যাচ্ছে না। এখানে
স্মরণ করা যেতে পারে যে,
পৃথিবীর কোনো দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা ও
চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো সুবিধা প্রদান করা হয় না।
বিবৃতিতে
আরো উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু দূতাবাস থেকে একই ধরনের সুবিধার জন্য অনুরোধ
করার একটি প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তাদের সবার সুবিধার জন্য
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে একটি চৌকস দল তৈরি করেছে। বিদেশি
কূটনীতিকরা তাদের খরচে এ সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারবেন।
কোনো
দূতাবাস আনসার সদস্যদের এ সুবিধা অব্যাহত রাখতে চাইলে বা বাড়তি সুবিধা নিতে চাইলে
আমাদের লিখিতভাবে জানালে আমরা সেই ব্যবস্থাটি গ্রহণ করব। খুব শিগগিরই সরকারের এ
সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সব বিদেশি দূতাবাসকে জানিয়ে দেওয়া হবে।