Logo
শিরোনাম

গাজায় মাহাথিরের হাসপাতাল ধ্বংস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন সাড়ে ১১ হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, মসজিদ এমনকি হাসপাতালের মতো স্থাপনাও।

অব্যাহত এই হামলার মধ্যে গাজায় ধ্বংস হয়ে গেছে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠিত একটি চিকিৎসা কেন্দ্র। মাহাথির মোহাম্মদ নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন বলে ১৭ নভেম্বর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন- গাজায় তার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠিত একটি চিকিৎসা কেন্দ্র ইসরায়েলি বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৯৮৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এবং ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহাথির।

শুক্রবার তিনি বলেন, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে অবস্থিত ডা. সিতি হাসমাহ অ্যান্ড এনায়া ফিজিওথেরাপি সেন্টারটি ধ্বংস হয়ে গেছে তা জানতে পেরে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন।

মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার পেরদানা গ্লোবাল পিস ফাউন্ডেশন গাজায় এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছিল। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ২০১৯ সালে ওই চিকিৎসা কেন্দ্রটি চালু করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসে অবস্থিত এই হাসপাতালে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হামলার কোনও কারণ ছিল না।

তিনি বলেন, দক্ষিণের অবকাঠামোগুলোকে ইসরায়েল লক্ষ্যবস্তু করবে না বলে আগে ঘোষণা দেওয়া হলেও তা কেবল কথার কথা প্রমাণিত হয়েছে। হামলাগুলো এখন ফিলিস্তিনি বেসামরিক ও যোদ্ধা নন এমন মানুষকে গণহত্যার অভিযানে পরিণত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এটি সামরিক বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ নয়, বরং গাজাকে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে মুক্ত করার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সেখানে গণহত্যা চালাচ্ছে। হাসপাতাল ও বাসস্থানে বোমা হামলার পর ফিজিওথেরাপি কেন্দ্রেও এই ধরনের হামলা এটাই প্রমাণ করেছে যে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে এসব স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।

ফিলিস্তিনি সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই সাড়ে ১১ হাজারে পৌঁছেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭ হাজার ৮০০ জনের বেশি নারী ও শিশু।


আরও খবর



সারাদেশে ৬৫ হাজার আনসার-ভিডিপি মোতায়েন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধকালে রেল, সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ নির্বিঘ্ন রাখতে অপারেশন সুরক্ষিত যাতায়াত শুরু করছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ লক্ষ্যে সারা দেশে ৬৫ হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (প্রকল্প ও প্রশিক্ষণ) জাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, সারা দেশে ৬৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। রবিবার (৫ নভেম্বর) ও সোমবার (৬ নভেম্বর) রেল স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চ ঘাট, সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন থেকে নিরাপত্তারক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন আনসার সদস্যরা।

জানা গেছে, সরকারি ও বেসরকারি ৫ হাজার ২৯৬টি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৫৫ হাজার অঙ্গীভূত আনসার সদস্য এসব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও আশপাশের এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। এ সময় কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা সহিংসতা হলে, সে বিষয়েও তারা ব্যবস্থা নিতে পারবে। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষসহ যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন আনসার সদস্যরা।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ফুলবাড়িতে ০৭কেজি গাঁজা সহ দুই মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এর নির্দেশ ক্রমে চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ফুলবাড়ি থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ০৭কেজি গাঁজা সহ দুই মাদক কারবারি কে আটক করেছে পুলিশ।

জানাযায়,ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ এর নেতৃত্বে,০৩ (নভেম্বর )শুক্রবার থানা পুলিশের মাদক উদ্ধার কারী একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের যতিন্দ্র নারায়ন মৌজার গুয়াবাড়ি ঘাট ব্রিজে অভিমান চালিয়ে ০৭কেজি গাঁজা সহ নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম ফুলমতি গ্রামের মোঃ সহিদুল ইসলাম (৩৫)ও মোঃ আবু হোসেন (৪০) নামের দুই মাদক কারবারি কে হাতেনাতে আটক করে।

এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, আটককৃত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। 


আরও খবর



বৃষ্টি শীতের আগমনী বার্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শীতের আবহে থাকা দেশে হঠাৎ করেই নিম্নচাপের কড়া নাড়া। তারপর সেই নিম্নচাপ পরিণত হলো ঘূর্ণিঝড়ে। মিধিলি নামের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মিথিলার কবির বিদ্যাপতির পদের মতোই মিহি বৃষ্টি ঝড়ল দেশজুড়ে। গুনগুনিয়ে কে যেন গেল শুনিয়ে, শীতের ওড়নি পিয়া গিরিসের বাও, বরিসার ছত্র পিয়া দরিয়ার নাও।  আবহাওয়া অফিসও বলছে, এই বৃষ্টির প্রভাবে দেশজুড়ে ৩-৪ চার ডিগ্রি কমতে পারে তাপমাত্রা। মানে শরতের ফালি মেঘের আকাশ ডিঙিয়ে হেমন্তের হীম আভার ঘোর কাটিয়ে এবার দেশে নামতে চলেছে পুরোদস্তুর শীত। কারণ তো ওই ঝরে গেছে নভেম্বর রেইন।

গরমক্লিষ্ট মনের এবার শীতল হাওয়ায় প্রাণ এলিয়ে দেওয়ার পালা। ঋতু বৈচিত্র্য হারাতে বসা এ তল্লাটে এখন নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার দেখা পাওয়া ভার। উল্টো গরমের প্রকোপটাই সারা বছর থাকছে বেশি। তবে কেবল শীত নয়, এই বৃষ্টি মনে করায় একটা গানের কথাও। যে গানের নাম নভেম্বর রেইন। ১৯৯২ সালে প্রকাশ হওয়া রক ব্যান্ড গানস অ্যান্ড রোজেস-এর সাড়া জাগানো গান এটি। যে গানের ভাঁজে ভাঁজে বিরহের আঁচ। প্রেমিকার রহস্যময় মৃত্যু আর শোকগাঁথা যার উপজীব্য 

তবে নভেম্বর রেইন সবার জন্য রোমান্টিক নয়। অফিসগামীদের হঠাৎ বিপদে ফেলে। খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েন বিপাকে। কারণ এই সময়ে কারোই যে বৃষ্টি বরণের প্রস্তুতি থাকে না খুব একটা। তারপরও মৃদু বর্ষণমুখর এমন দিন প্রকৃতির এক অনিন্দ্য দান। দুঃখের সাথেও তো বৃষ্টির আছে সখ্য। সুখ যেমন বৃষ্টিতে ভেলা ভাসায়, দুঃখও তো তেমন বৃষ্টি দরিয়ায় ভাসায় আপন ডিঙি নাও। আর দিন শেষে তো কথা থাকে ওই, বৃষ্টিরা কখনো একা আসে না। সাথে নিয়ে আসে ভালো-মন্দের অনেক কিছু। 


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




গাজীপুরে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গাজীপুরে গত সাত দিন ধরে শ্রমিকদের অসন্তোষের কারণে মঙ্গলবার থেকে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কারখানা বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে। এতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে।

শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মাসের ২৩ অক্টোবর থেকে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ও তেলিচালা এলাকার কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে অবরোধ শুরু করে। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে শ্রমিক বিক্ষোভ গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী নাওজোর, ভোগরা, চান্দনা চৌরাস্তাসহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্রমিকরা মৌচাক ও তেলিচালা এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

গাজীপুর মহানগরের চান্দরা চান্দনা চৌরাস্তায় এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। অবরোধের মধ্যে সল্প পরিমাণে যানবাহন চলাচল করলেও শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে সকাল সাড়ে আটটা থেকে সেগুলো চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকরা নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। অপরদিকে গত সোমবার গাজীপুরের মহানগরীর কোনাবাড়ী, ভওগড়আ, বাসন সড়ক, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রায় সারাদিনই শ্রমিক বিক্ষোভ চলায় মঙ্গলবার অধিকাংশ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সকালে কোনাবাড়ি এলাকায় দেখা গেছে, কোনাবাড়ী এলাকার সবচেয়ে বড় কারখানা তুসুকা গ্রুপের প্রধান ফটকে বড় একটি ব্যানার ঝুলছে । তাতে লেখা রয়েছে অনিবার্য কারণবশত কারখানার সকল কার্যক্রম আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। একই এলাকার এম এম নেটওয়ার্ক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শুধু মঙ্গলবারের জন্য। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি কারখানার সামনে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার এক কর্মকর্তা বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের কারণে কারখানার সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই খুলে দেয়া হবে।

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার তুসুকা গ্রুপের নিটিং সেকশনের শ্রমিক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের বেতন দেয়া হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এই টাকায় আমাদের সংসার চলছে না। ঘরভাড়া দেয়া পর যা থাকে তাই কোনো ভাবে বেচে আছি। এখন আমাদের দাবি সর্বনিন্ম বেতন ২৩ হাজার টাকা দিতে হবে। দাবি পুরন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, শ্রমিকদের মুজুরি বোর্ড নিয়ে সরকার কাজ করছে। এখনও সেটি চুরান্ত হয়নি। যখন মুজুরি চুরান্ত করে ঘাষনা দেওয়া হবে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিব সেটি মানব কি মানব না। কিছু উশৃখল লোক শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে ননইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলছে।

গাজীপুরের বাসন থানার ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, শ্রমিকরা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে মিছিল করছে। আজকে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের সংখ্যা কিছুটা কম। তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক বাজার এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে এবং মহাসড়কে ১০-১২ টি যানবাহন ভাঙচুর করে। এসময়ে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শতশত শ্রমিক পুলিশকে ধাওয়া করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে মৌচাক বাজার এলাকায় অবস্থিত কালিয়াকৈর থানাধীন পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান নেয়। এ সময়ে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। ফাড়ীর গেট, অফিসের গ্লাস এবং সাইনবোর ভাঙচুর করে। 


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের 'সবুজ সংকেত'

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন প্রধান প্রতিবেদক : বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নিয়ে ভারত সবুজ সংকেত দিয়েছে। একাধিক কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর ফলে অন্য দেশগুলো যে অবস্থানই নিক না কেন সংবিধান সম্মত আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে ভারত সমর্থন দিবে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের যে অবস্থান তা হলো বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সংবিধান অনুযায়ী অন্যান্য সংসদীয় গণতান্ত্রিক যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশের নির্বাচন হবে ঠিক একই প্রক্রিয়ায়। 

এই সময়ে যে নির্বাচনকালীন সরকার থাকবে তা অন্যান্য দেশের মতোই নির্বাচনকালীন সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।  নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে। 

এই নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ করা না করার ব্যাপারে স্বাধীন অবস্থান নিতে পারবে। অর্থাৎ যদি কোনো রাজনৈতিক দল মনে করে যে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না তাহলে সেই স্বাধীনতা তাদের থাকবে।

 নির্বাচনের জন্য কোন ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্য কোন কিছু গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা বা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য সহিংস রাজনীতিকেও ভারত সমর্থন করবে না। অর্থাৎ আগামী নির্বাচন সংবিধান সম্মতভাবে করার ব্যাপারে ভারতের ইতিবাচক অবস্থানের একটি সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের ওপর যে চাপ সৃষ্টি করেছিল সেই চাপ অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। 

আগামী ১০ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে বাংলাদেশে নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের অবস্থানের কথা সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন এই মতের সাথে সহমত পোষণ করে সেইজন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হবে।

অবশ্য ভারত গত কিছুদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করছে। এই আলাপ আলোচনার ক্ষেত্রে ভারত তার অবস্থান সুস্পষ্ট করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য ভারতের অন্যান্য বিষয়গুলোর সাথে একমত। শুধু তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে একটা অন্যরকম অবস্থান গ্রহণ করেছে। 


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে গেলে সবগুলো প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছাড়া একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।


 প্রকারান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। কিন্তু ২৮ অক্টোবর এর ঘটনার পর এখন সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য কোন চেষ্টা-তদবির করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।


 বিএনপিও এখন নির্বাচন বর্জনের পথে হাঁটছে। সর্বশেষ অবস্থান অনুযায়ী বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুধু বর্জন করবে না,  নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতিও গ্রহণ করবে। এরকম বাস্তবতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব কি হয় সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।


 বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি এ ধরনের নির্বাচনের উদ্যোগকে সমর্থন না জানায় বা এই ধরনের নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে কোন পৃথক অবস্থান গ্রহণ করে তাহলে সেটি বাংলাদেশের জন্য শঙ্কার কারণ হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছিল।


 কিন্তু এখন ভারতের এই সবুজ সংকেতের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয় এই অবস্থান পাল্টাবে অথবা  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও সরকার নির্বাচনের পথে হাঁটবে। এরকম নির্বাচন হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যতই আপত্তি থাকে না কেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং সমর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা হবে না বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।


 উল্লেখ্য যে ২০১৪ এবং ২০১৮ নির্বাচনেও ভারত পূর্ণাঙ্গ সমর্থন জানিয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও ভারতের অবস্থান আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছে।


আরও খবর