Logo
শিরোনাম

মাউইয়ে নতুন দাবানল, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১২ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের হাউয়াই রাজ্যের মাউইয়ে নতুন করে আবারও জ্বলে উঠেছে দাবানলের আগুন। সঙ্গে সেখানে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দাবানলের আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জন মানুষের।

মাউইয়ে শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতে আবারও নতুন করে আগুন জ্বলার পর সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

স্থানীয় পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, নতুন আগুনে মাউইয়ের পূর্বাঞ্চলের কানাপালির অঞ্চল পুড়ছিল। এর আগে এ সপ্তাহের শুরুতে এই অঞ্চলটির উত্তর-পূর্বাঞ্চল আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে যায়। তবে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে পুলিশ কিছু জানায়নি।

এমন সময় নতুন করে আবারও দাবানল সক্রিয় হলো যখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে— কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত হলো এবং কীভাবে কোনো আগাম সতর্কতা ছাড়াই ঐতিহাসিক শহর লাহাইনায় এত দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ল।

হাওয়াইয়ের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা। ১৯৬০ সালে শক্তিশালী সুনামিতে রাজ্যটিতে ৬১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এক বছর পরই ওই সুনামির কবলে পড়েছিল হাওয়াই।

উদ্ধারকারীরা সতর্কতা দিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের ভেতর আরও মরদেহ পাওয়া যেতে পারে।

এদিকে ভয়াবহ দাবানলের আগুনে এক হাজারের বেশি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে করে বাস্তুহারা হয়ে গেছেন হাজার হাজার মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতই বেশি যে— এটি কাটিয়ে ওঠতে কয়েক বছর এবং কয়েক বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিকে শুক্রবার বলেছেন, ‘যেসব অবকাঠামো পুড়ে গেছে সেগুলোর ভেতর কেউ প্রবেশ করেনি। আর এ কারণে দুর্ভাগ্যবশত আমরা আশঙ্কা করছি মৃতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে।’

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে অপর এক সাক্ষাৎকারে এ সিনেটর বলেছেন, লাহাইনা শহর দেখলে মনে হবে এখানে বোমা হামলা হয়েছে। যেটির তাপে সবকিছু গলে গেছে।’

এদিকে লাহাইনা শহরের কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, তারা দাবানলের ব্যাপারে কোনো আগাম সতর্কতাই পাননি। শহরের মধ্যে কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন চলে আসে। ফলে জীবন বাঁচাতে অনেকে প্রশান্ত মহাসাগরের পানিতে ঝাঁপ দেন।


আরও খবর



আসছে বিদ্রোহী কবির বায়োপিক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বিনোদন ডেস্ক: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বায়োপিক নির্মিত হচ্ছে কলকাতায়। জাতীয় কবিকে নিয়ে সিনেমাটি নির্মান করছেন পরিচালক আব্দুল আলিম।

 এতে কাজী নজরুল ইসলামের চরিত্রে অভিনয় করছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ‌।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ‌ বলেন, ‘এই প্রথম নজরুলের জীবন নিয়ে বায়োপিক হচ্ছে। 

নজরুলের পুরো জীবনকেই তুলে ধরা হবে সিনেমাটিতে। আমি সত্যিই এক্সাইটেড এই সুযোগ পেয়ে। প্রথমে সিনেমার চিত্রনাট্য পড়ে দেখি আমি।

চরিত্রটাই খুব চ্যালেঞ্জিং। যার নাম শুনে বড় হয়েছি, তাকে নিয়ে এমন একটা ছবি হচ্ছে, যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে আমি, ভাবতেই কেমন লাগছে! এটুকু বলতে পারি, আমরা নজরুল সম্পর্কে যেটুকু জানি, তার থেকে অনেক বেশি কিছু আছে এই ছবিতে।’ 

জেবি প্রোডাকশনের ব্যানারে বায়োপিকটি প্রযোজনা করবেন জাহানারা বেগম। এছাড়া স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সৌগত বসু এবং এ সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন জয় সরকার।

নজরুলের এই বায়োপিকে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করছেন খরাজ মুখোপাধ্যায় (ফজলু‌ল হক), কাঞ্চনা মৈত্র (বিরজাসুন্দরী দেবী)-সহ আরও অনেকে। এ ছাড়াও বাংলাদেশের কয়েকজন অভিনেতাও এই ছবিতে অভিনয় করতে পারেন বলে কিঞ্জল জানিয়েছেন।


আরও খবর

বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সুন্দরবনে খালে ভাসছে বাঘের দেহ !

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: সাধারণত উল্টো খবরটিই বেশি পাওয়া যায়। সুন্দরবন এলাকায় বাঘের আক্রমণে মৃ্ত্যু হয়েছে সাধারণ মানুষের বা মধু সংগ্রহের সময়ে বাঘের অতর্কিত আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে স্থানীয় মানুষের। কিন্তু বাঘের মৃত্যু? সেই খবরই মিলল এবার। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় সুন্দরবনের জোংড়া আর মরাপশুর খালের মাঝামাঝি এলাকা জোংড়া খালের অন্তর্গত আন্ধারিয়া খালের মুখ থেকে ভাসমান অবস্থায় মিলল এক রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃত দেহ। মৃত দেহটি উদ্ধারে গেছেন বনরক্ষীরা।

সুন্দরবনের কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (সিএফ) মিহির কুমার দো বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, খবর পাওয়ার পর বনরক্ষীরা গেছেন। বাঘটিকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বেশ কয়েক দিন আগে মারা গেছে বাঘটি। 

তিনি আরো বলেন,বাঘটির মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি, মৃত্যুর কারণ জানার জন্য বাঘটির বয়স-সহ অন্যান্য বিষয়গুলিও বন বিভাগ অনুসন্ধান করবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ গরমে নাকাল জনজীবন মাঝেমধ্যে গায়ে বাতাস লাগলেও তা যেন আগুনের হলকা অনেক বেশি উত্তাপ অনুভূত হওয়ায় হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে তাপমাত্রার এমন অবস্থা সহসাই পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরো এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ভোগাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কায় সারাদেশে জারি করা হয়েছে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। একইসঙ্গে সমুদ্রের লঘুচাপটি পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করার গরম প্রভাব দেখা যাচ্ছে ভূপৃষ্ঠে। এর আগে দেশে ১৫ থেকে ১৩ দিন পর্যন্ত লাগাতার তাপপ্রবাহ থাকার রেকর্ড থাকলেও এবার চলতি মাসের ১৯ দিনই টানা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ওঠা-নামা করবে ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় গরম অনুভূত হবে এর চেয়েও বেশি। এসময় কোথাও কোথাও বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি দিলেও দাবদাহ থেকে যাবে মে মাস পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, হিট অ্যালার্ট তিনদিনের জন্য জারি করা হয়েছে। এই সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে। তবে সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

টানা চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা গতকাল পর্যন্ত এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এসময়ে রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



ইসরায়েলে লেবাননের রকেট হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। লেবানন থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে।এক বিবৃতিতে হামাসের লেবানন শাখা জানিয়েছে, কিরিয়াত শমোনা এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্স। বলা হয়েছে, লেবানন থেকে ২০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।

আইডিএফ জানিয়েছে, হামাসের ছোড়া অধিকাংশ রকেট আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। কিছু রকেট খোলা জায়গায় পড়েছে। তাছাড়া পাল্টা হামলা চালানো হচ্ছে বলেও জানায় ইসরায়েলি বাহিনী।

এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় প্রায় প্রতিটি ভবন, স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে সাড়ে তিন কোটি টনের বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এক দুই বছরে এসব ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন এজেন্সি বলছে, এসব ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিতে এক দশকের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।

গাজায় এখনো যুদ্ধবিরতি নিয়ে সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। হামাস বা ইসরায়েলি বাহিনী এ বিষয়ে একমত হতে না পারায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধ শেষ হলে এসব ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি নাগরিকের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করাটাই হয়ে উঠবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এরই মধ্যে সেখানে ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আল-জাজিরা


আরও খবর



সুদহারেও হস্তক্ষেপ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইকে জানিয়েছেন, ব্যাংক ঋণের সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই পরোক্ষভাবে হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সুদহার ১৪ শতাংশের ওপরে যেতে দেওয়া হবে না।

তবে ব্যবসায়ী সংগঠনটির মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বারবার নীতি পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের অর্থনীতি নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা শেষে এসব জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন ও বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ শীর্ষ ব্যবসায়ীরা।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ডলারের দাম হঠাৎ করেই ৭ টাকা বেড়ে যাওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা গভর্নরকে বলেছি এটি যেন ১১৭ টাকায় থাকে। তিনি আমাদের এক টাকা কম অথবা বেশির মধ্যে রাখার কথা বলেছেন। ডলার নিয়ে এখনো সমস্যা আছে। আমরা এলসি করার সময়ও একই রেট থাকার কথা বলেছি। গভর্নর আমাদের বলেছেন ডলার সংকট রয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

সুদহার বিষয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, ডলারের মতো সুদহার বাজারের ওপরে ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন যে সুদের হার আছে তাতে ১৪ শতাংশের ওপরে উঠবে না আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এর মধ্যেই আটকে দেবে সুদহার। তবে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে খরচ ৬ থেকে ৮ শতাংশ হলে সুদের হার ১২ শতাংশের ওপরে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

এদিকে নির্দিষ্ট সীমার বেশি ঋণ পেতে কয়েকটি শিল্প গ্রুপ ও ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একক ঋণসীমা লঙ্ঘন করা যাবে না। এ সংক্রান্ত আবেদনও নির্দেশনার পরিপন্থি।

এ বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, একক গ্রাহক ঋণসীমা হঠাৎ বেড়েছে ডলার রেটের কারণে। ডলারের দাম একবারে বেশি হওয়ায় ঋণও বেড়েছে। ডলারের দাম একসঙ্গে ৭ টাকা বাড়ার কারণে যে পরিমাণ ঋণ বেড়েছে সে পরিমাণ টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণের আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এখানে বিশেষ বিবেচনায় ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছেন গভর্নর।

তিনি বলেন, বারবার নীতি পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা গভর্নরকে অনুরোধ করেছি পলিসিটা যেন দীর্ঘমেয়াদি নেওয়া হয়। কারণ, কেউ একটা প্রজেক্ট করার পরই যখন দর বাড়বে তাকে ক্ষতি মেনে নিতেই হবে। এখানে আমাদের ব্যবসায় পলিসিতেও হ্যাম্পার হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যেন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হন তেমন ব্যবস্থা ভবিষ্যতে নেওয়া হবে। আমি মনে করি দেশের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সঙ্গে সুদহারের কোনো সম্পর্ক নেই।

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমরা এলসি খুলতে পারছি না। এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড কমিয়ে ৩ বিলিয়নে নামিয়ে আনা হয়েছে। ইডিএফ ফান্ড না থাকলেও বেশ কয়েকটি তহবিল রয়েছে, সেখান থেকে সুবিধা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি কোনো ব্যাংক ডলারের নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত দাম নিলেই অভিযোগ করার কথা বলেছেন, যা নিয়ে কাজ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় কিছু গ্রাহকের নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি ঋণ হয়েছে। ওই গ্রাহককে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। এতে তার ঋণসীমা আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে না। বিষয়টি সমাধানে ব্যাংক এবং গ্রাহকভিত্তিক বিশেষ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গভর্নর। ফান্ডেড এবং নন-ফান্ডেড মিলিয়ে একজন গ্রাহক ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ না পাওয়ার শর্ত থাকলেও এ পরিস্থিতিতে তাদের জন্য বিশেষ বিবেচনা করা হবে।

এর আগে গত ৮ মে ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ রেট (স্মার্ট) প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনার ফলে এখন থেকে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে।

এছাড়া সুদহার সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক করার জন্য ছয় মাসের ট্রেজারি বিলের গড় সুদভিত্তিক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকই পিছু হটছে। ধারণা করা হচ্ছে, আইএমএফের ঋণের বোঝার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।


আরও খবর