Logo
শিরোনাম

মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে গরুর মাংস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

বাজারে সব ধরনের মাংস এবং ডিমের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তে বাড়তে এখন প্রতি কেজি ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রাণিজ আমিষের একটি বড় উৎস মাংস উৎপাদনে একসময় পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। এখন মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি করা হলেও দাম আকাশছোঁয়া। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। ক্রেতারা জানান, দেশের বেশির ভাগ মানুষের প্রতিদিনের আয় এর চেয়ে কম। যে কারণে বেশিরভাগ মানুষের পক্ষে আর গরুর মাংস কেনা সম্ভব নয়। এদিকে, এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে। সোনালী মুরগি ২৭০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। দেশি মুরগি ৪৬০ থেকে ৪৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর, ডিমের দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও অনেক খামার বন্ধ হওয়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম উঠেছে প্রতি ডজন ১৪০ টাকা। 


আরও খবর



দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

দেশে এখন ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার রয়েছেন। ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা বেশি।

সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ করেছে। এই জরিপ প্রতিবেদনে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বেকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।

বিবিএসের হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেও বেকারের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকারের হারের চেয়ে কিছুটা বেশি। ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুযায়ী, যারা সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পাননি এবং গত এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী ছিলেন, তাদেরকে বেকার হিসাবে গণ্য করা হয়। বিবিএস এই নিয়ম অনুসরণ করে থাকে।

এদিকে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। অন্যদিকে কমেছে নারী বেকারের সংখ্যা।

বিবিএস হিসাব অনুসারে, গত মার্চ মাস শেষে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৪০ হাজার। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (মার্চ-জানুয়ারি) সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজার। অন্যদিকে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ হাজার নারী বেকার কমেছে। এখন নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার।

এ বিষয়ে বিবিএসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রান্তিক ভিত্তিতে বেকারের সংখ্যা হেরফের হতে পারে। সাধারণ শীতের সময় কাজের সুযোগ কম থাকে।


আরও খবর



ফোর্বসের অনূর্ধ্ব-৩০ এশিয়ার তালিকায় ৯ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সি উদ্যোক্তার তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী শক্তি ও অবদানের জন্য বাংলাদেশের ৯ জন তরুণ-তরুণী স্থান পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া তালিকা প্রকাশ করে সাময়িকীটি।

১০টি শ্রেণিতে তরুণদের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো ক্রীড়া ও বিনোদন; ফাইন্যান্স অ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল; এন্টারপ্রাইজ টেকনোলজি; গণমাধ্যম, বিপণন ও বিজ্ঞাপন; কনজ্যুমার টেকনোলজি; শিল্প, উৎপাদন ও জ্বালানি; শিল্পকলা; সামাজিক প্রভাব; রিটেইল ও ই-কমার্স এবং স্বাস্থ্যসেবা ও বিজ্ঞান।

ফোর্বসের তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে আবদুস গাফ্ফার সাদী, মো. তুষার ও মো. শহীদুল ইসলাম, এই তিন তরুণ ঢাকাভিত্তিক দ্রুত লোন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তারা ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কাজ করে দেন। একই সঙ্গে ঋণদাতাদের সুবিধার জন্য যাকে ঋণ দেওয়া হবে, তিনি তা পাওয়ার যোগ্য কি না, তা যাচাইয়ে সহায়তা করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করার পর এই প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে ২০ লাখ ডলারের (প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা) বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। গত নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি এক লাখ ২৫ হাজার ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে।

এই তালিকায় থাকা ফাহাদ আহমেদ ২০২২ সালে গড়ে ওঠা উইন্ড ডট অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আনার সেবা দেন তারা। এই কাজে প্ল্যাটফর্মটি ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তাদের সেবা দ্রুত ও সাশ্রয়ী। গত নভেম্বরে তারা ৩৮ লাখ ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে। গ্লোবাল ফাউন্ডারস ক্যাপিটাল ও স্পার্টান গ্রুপের নেতৃত্ব কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই বিনিয়োগ করেছে।

উইন্ড প্রতিষ্ঠার আগে ফাহাদ রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও তৈরিতেও যুক্ত ছিলেন। পাঠাওয়ে খাবার ডেলিভারি, পেমেন্ট ও রাইডের জন্য গাড়ি ডাকার সেবা চালুতে তার ভূমিকা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে স্নাতক করা ফাহাদ নিজে নিজেই কোডিং শিখেছেন।

সুলতান মনি ও মুমতাহিনা আনিকা ফিনটেক তথা ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (আর্থিক প্রযুক্তি) স্টার্টআপ জাতিক প্রতিষ্ঠা করেছেন। ছোট কোম্পানিগুলোকে তাদের অ্যাকাউন্টিং সামলাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয় এই স্টার্টআপ। তাদের সেবাটি এমন যে, স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত একটি বিজনেস ক্যালকুলেটর দিয়ে আর্থিক হিসাব-নিকাশ ও প্রতিবেদন তৈরি করা যায়। ছোট কোম্পানিগুলোকে ই-কমার্স ওয়েবসাইটে সহজ পথ বাতলে দেয় তারা। গত আগস্টে এই স্টার্টআপ ১৬ লাখ ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে।

রেদোয়ান আহমেদ পুরস্কারজয়ী ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। এএফপির হয়ে রোহিঙ্গা সংকটের খবর সংগ্রহ করেন তিনি। এই কাজের জন্য তিনি ২২তম হিউম্যান রাইটস প্রেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। এ ছাড়া ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের জন্য তার অনুসন্ধানকাজে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মীদের বঞ্চনার শিকার হওয়ার গল্প উঠে আসে।


আরও খবর



গরমে নানা অসুখের রোগী বাড়ছে হাসপাতালে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীসহ সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। একদিকে বৈশাখের অসহনীয় গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। অন্যদিকে গত কয়েকদিনের কড়া রোদের সঙ্গে ভ্যাপসা গরমে সর্দি-কাশি, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্তদের চাপ বাড়ছে রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে। 


এছাড়াও জন্ডিস, হিট স্ট্রোক, সর্দি-জ্বর নিয়েও হাসপাতালে ছুটে আসছেন রোগীরা। তবে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।  তাদের সুরক্ষায় রোদ পরিহারের পাশাপাশি যত্রতত্র পানি, রাস্তার পাশের খোলা জুস-শরবত পান থেকে বিরত থাকা এবং পচা বাসী খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনকি ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে জনসমাগম বাড়লে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা তাদের।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মহাখালির আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) বা কলেরা হাসপাতাল প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫শ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং  মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও  রোগী সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ বেড়েছে।

 

কলেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণত এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দুশ থেকে আড়াইশ  ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা  চারশ ছাড়িয়েছে।গত ১০ দিনে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও গেছে।


রাজধানীর শিশু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের গরমে শুধু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে

দুই শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মুগদা হাসপাতালের শিশু বিভাগেও ইতোমধ্যে রোগীতে সব শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 


প্রচণ্ড এ গরমের মধ্যে শিশুদের সুরক্ষায় যথাসম্ভব বাসায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রচণ্ড গরমে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে উল্লেখ করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিনের গরমে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য বয়সীদের তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। বর্তমানে আমার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি আছে ১৬ জন। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ার রোগী তো আছেই। অন্যান্য সময়ের তুলনায় আক্রান্তের এ হার আমরা অস্বাভাবিক বলছি।


তিনি বলেন, ঈদ-পরবর্তী সময়ে ফুড পয়জনিং (খাদ্যে বিষক্রিয়া) রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও আমরা বেশি পাচ্ছি। এজন্য অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি বাসায় পানি খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যতটুকু সম্ভব পানি ফুটিয়ে, এরপর ফিল্টার করে পান করা নিরাপদ।


প্রচণ্ড গরমের কারণে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন উল্লেখ করে প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,  প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সময়ের  বলেন, বেশি গরমের কারণে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। যারা ডায়বেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন ক্রনিক রোগে ভোগেন, তাদের ঝুঁকিও কোন অংশে কম নয়। তবে গরমের সময় যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে কাজ করেন তাদের জন্য ঝুঁকিটা অনেক বেশি। তারা ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা) ঝুঁকিতে থাকেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন; ডায়রিয়া আর সর্দি-কাশি তো আছেই। এজন্য একটানা এক ঘণ্টার বেশি রোদে থাকা যাবে না।


তিনি বলেন, গরমে এই সময়ে বাইরে না যাওয়াই ভাল। আর বাইরে গেলে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। সম্ভব হলে পরিমাণ মতো লবণ মিশিয়ে পান করা উচিত। আরও ভালো হয় যদি দু-একটা ওরস্যালাইন খাওয়া যায়। কারণ, গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ বের হয়ে যায়। যদি গরমের সময় বাইরে বের হতে হয়, তাহলে ছাতা ব্যবহার করতে হবে এবং একটু ঢিলেঢালা কাপড় পরা ভাল। কারণ, জামা-কাপড় বেশি টাইট হলে শরীর থেকে গরমটা সহজে বের হতে পারে না।


ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, গরমের এই সময়ে অনেকে পিপাসা মেটাতে রাস্তাঘাটের লেবুর শরবত, আখের শরবতসহ নানা ধরনের পানীয় পান করেন। অথচ এগুলোতে ব্যবহার হওয়া পানি বিশুদ্ধ কি না, আমরা কেউই জানি না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ পানি বিশুদ্ধ হয় না। এগুলো খেয়েই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুধু পানি আর শরবত নয়, এ সময়ে বাইরের সবধরনের খোলা খাবার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। গরমে বের হওয়ার সময় অবশ্যই বাসা থেকে বেশি তাপে ফোটানো ও ফিল্টার করা পানি বোতলে করে নিয়ে বের হতে হবে।


আর গরমের এই সময়ে শিশু ও বয়স্কদের ব্যাপারে বাড়তি সর্তকতার পরামর্শ এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের।




আরও খবর



হজযাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া যাবে না কোরবানির টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রি করার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের কাছ থেকে কুরবানির অর্থ না নেওয়ার জন্য তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন না পাঠানোসহ কতিপয় বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোকে হুঁশিয়ার করেছে। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি পত্র জারি করেছে।

পত্রে জানানো হয়, গত ১২ মে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুম প্ল্যাটফর্মে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘ্যানামের সঙ্গে সভা শেষে এসব নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ওই সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ হজ অফিস, মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা এবং হজ এজেন্সির মালিকেরা অংশগ্রহণ করেন।

ওই সভায় সৌদি আরবের পক্ষ থেকে হজ এজেন্সি কর্তৃক ফ্লাইট ডাটা সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ডাটা এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছে, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহণের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। মোয়াল্লেমের প্রতিনিধিও হোটেল বা বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এ কারণে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর পূর্বেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের কাছ থেকে হজে যাওয়ার আগে কুরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছেন। হজযাত্রী তার ইচ্ছা মাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কূপন ক্রয় করে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় কুরবানি সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনোভাবেই কুরবানির টাকা নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোকে আরও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন পাঠিয়েছে, যা জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের সঙ্গে হজ গাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন।


আরও খবর



রাণীনগরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরসহ বিভিন্ন জেলায় চলছে দাবদাহ সেইসাথে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টির প্রত্যাশায় রাণীনগরে ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায় উপজেলা সদরের পূর্ব বালুভরা পাবলিক ঈদগাহ মাঠের আয়োজনে রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন নওগাঁর ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তফা আল আমিন।

নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় করা হয় বিশেষ মোনাজাত। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে দাবদাহ ও প্রাকৃতিক দুর্ভোগ  থেকে মুক্তি চান মুসল্লিরা। একইসাথে, বৃষ্টির মাধ্যমে সারাদেশে শীতল স্পর্শ বুলিয়ে দেয়ার দোয়াও করেন তারা। নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিরা বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে প্রকৃতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এজন্য আল্লাহর রহমতের প্রাকৃতিক দুর্ভোগ থেকে মুক্তিসহ বৃষ্টি প্রার্থনা করেন তারা।  


আরও খবর