কামরুজ্জামান বাঁধন,মির্জাগঞ্জ
(পটুয়াখালী):
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে হয়রানিমূলক মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার নাসির হাওলাদার। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১১টায় মির্জাগঞ্জ থানা সংলগ্ন তার ব্যক্তিগত অফিস কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার নাসির বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা সবসময় আমার শ্রদ্ধার পাত্র,আমি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন নাগরিক। মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান ও ছেলের ক্রয়কৃত মির্জাগঞ্জ থানা সংলগ্ন জমি জবর দখল করেন আরেক মুক্তিযোদ্ধা এম. এ রাজ্জাক। এ বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান আমাকে লিখিতভাবে জানান। ৩ এপ্রিল (সোমবার) ঐ বিরোধপূর্ণ জমির মীমাংসা করতে উভয় পক্ষকে আমার অফিস কক্ষে আসতে লোক পাঠালে তারা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অফিসে আসেন। এসময় দুই পক্ষ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন,আমি এসময় উভয় পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করলে মুক্তিযোদ্ধা এম. এ রাজ্জাক আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অশোভন আচরন করেন এবং আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ তুলে মির্জাগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন এবং মারধর করার অপপ্রচার চালান। এতে আমার সামাজিক,রাজনৈতিক ও পারিবারিক সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি সমাধান করার পরে তিনি (মুক্তিযোদ্ধা এম. এ রাজ্জাক) প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে অবাস্তব ও উদ্ভট বিষয় উল্লেখ করে পুণঃরায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবরে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে ৪এপ্রিল ও ৫ এপ্রিল কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার অভিযোগ সম্বলিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন,মুক্তিযোদ্ধা এম এ রাজাক থানায় আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তাতে যাদেরকে স্বাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে তারা কেউই শালিস মীমাংসা চলাকালীন সময়ে উপস্থিত ছিলেন না, এছাড়াও থানায় দায়ের করা অভিযোগ পত্রে তিনি - ‘মারধর করার সময় স্থাণীয়রা তাকে উদ্ধার করেছেন’ বলে যে কথা উল্লেখ করেছেন সেখানে তাদেরকে কাউকেই স্বাক্ষী করা হয়নি, এটা হাস্যকর ও কাল্পনিক। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান বলেন, মির্জাগঞ্জ মৌজার, ২০ নং খতিয়ানে, ১১৬৯ নং দাগের আমার ক্রয়কৃত জমির ৪.১৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন আমার আর এক মুক্তিযোদ্ধা ভাই রাজ্জাক সিকদার। এই নিয়ে আমি চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করলে, তিনি আমাদের উভয় পক্ষ ডেকে মিমাংসার চেষ্টা করলে রাজ্জাক ভাই তা না মেনে উল্টো চেয়ারম্যানের উপর ক্ষিপ্ত হন এবং আশালীন আচরণ করেন। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা এম. এ রাজ্জাক ভাইয়ের ছেলে ছেলে তাকে সরিয়ে নিয়ে রিক্সায় তুলে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেন,ইউপি সদস্য আল আমিন হোসেন,শ্রমিকলীগ নেতা মোঃ মিঠু হাওলাদারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।