সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় গত তিন দিনে অন্তত ৬২ জন সেনা ও
কয়েকটি ঘাঁটি হারিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক
প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত কয়েক দশক ধরে সামারিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে একাধিক
সশস্ত্র গোষ্ঠী। সর্বশেষ অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক বাহিনীর সাথে গ্রামাঞ্চলে
মারাত্মক সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী। বিদ্রোহী বাহিনীর একটি দল
সম্প্রতি চীন সীমান্তে জান্তা লক্ষ্যবস্তুতে একের পর এক আকস্মিক হামলা চালিয়েছে
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অং সান সুচির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত
করার সময় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সামরিক বাহিনী। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে
গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমন করে জান্তা। স্থানীয় এক পর্যবেক্ষক
গোষ্ঠীর মতে, সামরিক বাহিনীর দমন অভিযানে চার হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত
হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন কয়েক হাজার। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সশস্ত্র
গোষ্ঠীর অভিযানের মুখে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়েছে জান্তা বাহিনী।
ইরাবতী জানায়, সাগাইং, মাগওয়ে, মান্দালা, কাচিন ও কারেন প্রদেশে
সংঘর্ষের খবর মিলেছে। পিডিএফ বাহিনীর অভিযানের মুখে জান্তা বাহিনী তাদের মিশন
ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
২৬ জানুয়ারি থেকে ৪০০ জান্তাসেনা নিয়ে একাধিকবার মিতওয়ে শহর
দখলের চেষ্টা করেছে সরকার। তবে তা এখন পিডিএফ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে।
গোষ্ঠীটি জানায়, ত্যাগ করা এই সামরিক ঘাঁটিগুলোতে ১৫ জন সেনার
মরদেহ পেয়েছে তারা। এছাড়া সংঘাতে জান্তা বাহিনীর আরও ৪০ জন সদস্য আহত হয়েছে বলে
জানায় তারা।