Logo
শিরোনাম

মঙ্গল কামনায় শোভাযাত্রা বিশ্বে ঐতিহ্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ও মঙ্গল কামনায় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রধান শোভাযাত্রাটি বের হয়। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হয় বাঙালি সংস্কৃতির নানা দিক। ফুটিয়ে তোলা হয় চিত্র, মুখোশ আর নানা প্রতীকে। প্রতি বছরই এই মঙ্গল শোভাযাত্রার একটি মূলভাব থাকে। সেই মূলভাব প্রতিবাদ এবং দ্রোহের। সেখানে অশুভের বিনাশ কামনা করা হয়। আহ্বান করা হয় সত্য এবং সুন্দরের। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুর কথা

বৈশাখী উদযাপনের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরোনো হলেও মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস খুব বেশি পুরোনো নয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৮৫ সালের পহেলা বৈশাখে যশোরে। তখন দেশে ছিল সামরিক শাসন। উদ্দেশ্য ছিল দেশের লোকজ সংস্কৃতি উপস্থাপনের মাধ্যমে সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা। আর সেই শোভাযাত্রায় অশুভের বিনাশ কামনা করে শুভশক্তির আগমনের প্রার্থনা করা হয়। এর উদ্যোগ নিয়েছিলেন চারুশিল্পী মাহবুব জামাল শামিম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনষ্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করে যশোরে চলে যান তিনি। যশোরে গিয়ে চারুপিঠ নামে একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করেছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত যশোরে সীমাবদ্ধ থাকেনি মঙ্গল শোভাযাত্রা।

১৯৮৯ সালে পহেলা বৈশাখে ঢাকার চারুকলা থেকেও শুরু হয় এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। শুরুতে এর নাম ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ ছিল। তৎকালীন রাজনৈতিক অবস্থাকে মাথায় রেখেই এমনটা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এটি 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' হিসেবেই পরিচিত হয়।

সেই শোভাযাত্রার মূলভাব ছিল অগণতান্ত্রিক শক্তির বিনাশ। ওই সময় এরশাদবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। সে সময় সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করেছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। সবার প্রচেষ্টায় তখন এটি বৃহত্তর প্রচেষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হলো। ১৯৮৫-৮৬ সালের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা। শিক্ষকরা পেছনে ছিলেন, কিন্তু সব কাজ হয়েছে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে। এখন পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা সব ধরনের মানুষের অংশগ্রহণে একটি প্রধান অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

শোভাযাত্রায় যারা অংশ নেন

মঙ্গল শোভাযাত্রা সবার জন্য উন্মুক্ত। বিভিন্ন শ্রেণিপেশা এবং ধর্মের মানুষরা এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

অনুষঙ্গ

শোভাযাত্রা বর্ণিল রঙে রঙিন থাকে। আবহমান বাংলার বিভিন্ন লোকজ উপাদান এই শোভাযাত্রায় ফুটিয়ে তোলা হয়। শোভাযাত্রা উপলক্ষে হাতে তৈরি করা হয় বিভিন্ন মুখোশ, মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখি, বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি। এ শোভাযাত্রাকে শোভিত করার জন্য যে উপাদানগুলো লাগে, সেগুলো শুরু থেকেই নেওয়া হয় দেশের লোকশিল্পের নানা ধরনের খেলনা থেকে। এর বাইরে ঘোড়া, নকশি পাখা, ফুল, প্রজাপতি, মানুষ, প্রকৃতি এগুলো শোভাযাত্রায় স্থান পেতে থাকে।

১৯৮৯ এর প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০-এর আনন্দ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তার নতুন মাত্রা লাভ করে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উদ্যোগে হওয়া সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেয়। শোভাযাত্রায় স্থান পায় বিশালাকায় হাতি, বাঘের প্রতিকৃতির কারুকর্ম।

কৃত্রিম ঢাক আর অসংখ্য মুখোশ খচিত প্ল্যাকার্ডসহ মিছিলটি নাচে-গানে উৎফুল্ল পরিবেশ সৃষ্টি করে। দিনদিন এই শোভাযাত্রা আরো বর্ণিল হয়েছে।

শোভাযাত্রা হয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া

মঙ্গল শোভাযাত্রার আরেকটি বিশেষ দিক হচ্ছে, এটি আয়োজন করার ক্ষেত্রে কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া হয় না। চারুকলার শিক্ষক, শিক্ষার্থী বা চিত্রশিল্পীদের অনেকে তাদের চিত্রকর্ম বিক্রি করে যে অর্থ পান, তা-ই মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের মূল উৎস। আগে শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত মুখোশ বা নানা উপকরণ নিলামে তোলা হতো। সেখান থেকে যে অর্থ পাওয়া যেত, তা পরবর্তী সময়ে শোভাযাত্রায় খরচ করা হতো। এখন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এক মাস আগে থেকেই এই কাজটি শুরু করেন। এক মাস আগেই শিল্পকর্ম বিক্রি শুরু হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রার বিশ্ব স্বীকৃতি

বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে।

ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে তাদের ‘রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর ফলে পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ হয়েছে এক নতুন মাত্রা। এখন এটি বিশ্ব সংস্কৃতির অংশ। বাঙালি সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী।

ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি দেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, এটা শুধু একটা সম্প্রদায় বিশেষের নয়, এটা গোটা দেশের মানুষের, সারা পৃথিবীর মানুষের।

নববর্ষ ১৪২৯-এর শোভাযাত্রা

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়নি। ২০২১ সালে হয়েছে সীমিত পরিসরে। এবার ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ ১৪২৯-এর পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা চেনা রূপে ফেরে বলে জানিয়েছেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন।

তিনি বলেন, আমাদের মূল আয়োজনটি টিএসসি থেকে স্মৃতি চিরন্তন এলাকা ঘুরে আবার টিএসসিতে আসবে। করোনা থেকে যে আমরা একটা ইতিবাচক পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছি, এটিকেই আমরা এবার মূল প্রতিপাদ্য করেছি। আমরা আশা বা কামনা করছি যে, ‘নির্মল করো মঙ্গল করো মলিন মর্ম মুছায়ে’। করোনাকালে যা কিছু আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছন্দকে ব্যাহত করেছে, যা কিছু আমাদের জীবনকে মলিন করে দিয়েছে, সেগুলো মুছে যাক এবং আমাদের জীবন নির্মল ও মঙ্গলময় হয়ে উঠুক, এই প্রত্যাশা।


সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা


আরও খবর



নওগাঁয় ইটভাঙ্গা মেশিনের চাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙ্গা মেশিনের চাপায়  সিএনজির যাত্রী সঞ্জয় কুমার (২৬) নামে এক এনজিও কর্মী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সাহাগোলা-শিমুলিয়া রাস্তার রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত সঞ্জয় আত্রাইয়ের আইডিএফ এনজিওতে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী বাঘা এলাকায় বলে জানা যায়। নিহত সঞ্জয় কুমারের সহকর্মী শামীম বলেন, সঞ্জয় কুমার আইডিএফ এনজিও'র আত্রাই শাখায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। সকালে বাড়ি থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে অফিসে যাচ্ছিলেন। এসময় ওভারটেক করার সময় একই দিক থেকে আসা ইট ভাঙ্গার মেশিনটি সিএনজিটিকে চাপা দেয। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। আহত হয় আরো কয়েকজন।

আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারের করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। নিহতের পরিবারকে জানানোর চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল রিপোর্ট:


দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক এই শুরুর আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা।

ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার (১৭ মে) বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় হাউসটনের জর্জ বুশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল এয়ারপোর্টে পৌঁছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

এর আগে বুধবার (১৫ মে) দিবাগত রাত ১.৪০ মিনিটের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেই দলে ছিলেন স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটার, ট্রাভেলিং রিজার্ভ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা।

দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে পরিবারকে নিয়ে হাজির হন তাসকিন–সৌম্য ও লিটন দাসরা। যেখানে টাইগার সমর্থকদের ভিড়ের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এ সময় কেউ তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেলফির আবদার মিটিয়েছেন, আবার কেউবা শুভকামনা জানিয়েছেন বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করার আশায়।

দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে অধিনায়ক শান্ত বলছিলেন, ‘বাংলাদেশের সবাই নিশ্চয়ই ভালো প্রত্যাশা করে, আমিও করি।

আমার মনে হয়, আমরা যদি সুন্দরভাবে ছোট ছোট চিন্তা করে আগাই, তাহলে ভালো হবে। আমরা যে গ্রুপে আছি, সেটাকে খুব সহজ বলব না। গ্রুপ পর্বটা পার করতে পারলে ভালো হবে।

এরপর দেখা যাবে। আশা তো করছি এবার ভালো কিছু হবে। প্রস্তুতি ও সমন্বয় মিলিয়ে মনে হচ্ছে, আমাদের দলটা খুব ভালো। তবে নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলাটা জরুরী। আশা করছি, এবার সবাই সেটা করবে।’


আগামী ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। তবে বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে ৭ জুন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শান্তর দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে।

১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরবর্তীতে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।

 


আরও খবর



নেত্রকোনায় নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনে মোবাইল কোর্টের জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

নেত্রকোনায় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। তিন প্রার্থীর সমর্থকদের ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। 

এছাড়াও দেয়ালে সাঁটানো পোস্টার অপসারণ করা হয়। 

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় জেলা শহরের মোক্তারপাড়া মগড়া নদীর ব্রিজ থেকে নাগড়া জেলা পরিষদ পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘণ্টা ব্যাপি এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

আদালতে নেতৃত্ব দেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকলিমা আক্তার।


এসময় নাগড়া এলাকায় আনারস প্রতীকের এক সমর্থক মো. ওয়াফিজ ও মো. সমেদ মিয়া পোস্টার অপসারণে বাধা প্রদান করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সাথে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। পরবর্তীতে মো. ওয়াফিজকে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে সতর্কতা মূলক ১০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 


পরবর্তীতে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।  


এছাড়াও আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে কাপ পিরিচের প্রার্থীর সমর্থক মো. শফিকুল ইসলামকে ৩ হাজার টাকা ও হেলিকপ্টার প্রার্থীর সমর্থক মো হায়দার আলীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। 


উল্লেখ্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নেত্রকোনা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  


নেত্রকোনা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকলিমা আক্তার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আচরণ বিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে। প্রার্থীদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে দেয়ালে পোস্টার না লাগানো হয়।  আচরণ বিধি মেনেই তাদের প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। এছাড়া প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্রের তালিকা প্রদান করতে বলা হয়েছে


আরও খবর



ইসরায়েলকে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক :


দখলদার ইসরায়েলকে ১০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করতে চায় হোয়াইট হাউস। 


নতুন এই অস্ত্র সহায়তার মধ্যে ট্যাংকের গোলাবারুদ, মর্টার এবং কৌশলগত সাঁজোয়া যানসহ অন্যান্য আরও সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে। খবর বিবিসি।


ফিলিস্তিনের গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শেষ হয়ে আসা ইসরায়েলি অস্ত্রভাণ্ডার পূর্ণ করতে এসব অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। 



গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েল যদি গাজার রাফাহ শহরে বড় ধরনের আগ্রাসন চালায় তাহলে তিনি অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেবেন। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন এই সিদ্ধান্ত এলো।


এরপর গত শুক্রবার গাজা আক্রমণে ইসরায়েল ‘কিছু ক্ষেত্রে’ আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেছে বাইডেন প্রশাসন। 


প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র যেসব অস্ত্র দিতে চাচ্ছে তার মধ্যে ট্যাংক খাতে ৭০০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে। ৫০০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে কৌশলগত যানবাহনে এবং ৬০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে মর্টার শেলে।


এদিকে অস্ত্রের নতুন এই প্যাকেজের বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসকে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মূলত এই সহায়তা প্যাকেজ ইসরায়েলে পাঠানোর আগে কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে কংগ্রেসের একজন সহকারী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এসব অস্ত্র সংগ্রহ করা হবে এবং এর দাম ১০০ কোটি ডলারের বেশি।


 সম্প্রতি প্রতিরক্ষা সহায়তা হিসেবে কংগ্রেসে যে ৯৫ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব পাস হয়, তা থেকেই এই অস্ত্র সরবরাহ করা হবে।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরলো ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

এবারের ঈদে গতবারের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ। ঈদে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত এ তথ্য উঠে এসেছে।

একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে দুটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, পাঁচজন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

আর বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭. দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষের বেশি যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনে গতি বেড়েছে। দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুৰ্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত, ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রায়।

এ সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৮৭ জন চালক, ৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪০ জন পথচারী, ৭৫ জন নারী, ৪৭ জন শিশু, ২৭ জন শিক্ষার্থী, ০৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, চারজন শিক্ষক, একজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দুজন চিকিৎসকের পরিচয় মিলেছে।


আরও খবর