এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমাবেশ চলাকালীন শ্রেনী কক্ষের ছাদের পলেস্তরা খসে পরে দুর্ঘটনার আশংঙ্কায় শিক্ষার্থীরা। বিকল্প পাঠদান হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিকের মেজেতে, উপজেলা চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অবিভাবকরা আতংঙ্কে ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চাচ্ছে না। স্থানীয়দের দাবি নতুন স্কুল ভবন নির্মানের।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বাদশারহাট নামক স্থানের ২৪৮ নং রূপচাঁদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বুধবার সরেজমিনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানান মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের সময় ২য় সিফটের ক্লাস শুরু হওয়ার পূর্বে বিদ্যালয়ের বারান্ধায় সমাবেশ চলাকালীন ভবনের ৫ম শ্রেনীর কক্ষের ছাদের পলেস্তরা খসে পরে বিভিন্ন স্থান থেকে অল্পের জন্য মারাত্মক দুর্ঘটনা হাত থেকে রক্ষা পায় উপস্থিতি ৫ম শ্রেনীর ১৮ শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পর পরই বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার সহকারী শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করা হয়। সাথে সাথেই ঘটনাটি শুনে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড: শাহ-ই আলম বাচ্চু, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, সহকারী শিক্ষা অফিসার সজল মহলী, আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিদ্যালয় গিয়ে দেখা গেছে শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করছে পাশেই কমিউনিটি ক্লিনিকের ফ্লোরে ও একটি মাদ্রাসার ২টি শ্রেনী কক্ষে। শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ বিদ্যালয়ের ঝুকিপূর্ন ভবনে প্রধান শিক্ষক সহ শিক্ষক মন্ডলী এখন ঝুকি নিয়ে অফিস কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
এ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক ফারজানা রহমান বিথী বলেন ২০০১ সালে বিদ্যালয়ের ৪ কক্ষ বিশিষ্ট এ ভবনটি নির্মাণ হয়। পরবর্তীতে ভবনে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিলে ২০১৯ সালে তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা সরজমিনে এসে বিদ্যালয়টি ক্লাস ব্যবহারে অনুপযোগী নির্দেশনা দেন। বিকল্প ভবন বরাদ্ধ না হওয়ার কারনে তৎকালীন স্লিপ, রুটিন মেইনটেনেন্স ও প্রাকের বরাদ্ধ দিয়ে কোন মতে মেরামত করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস চালানো হয়। বিদ্যালয়ের এ ভবনটি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ও প্রাথমিকের সমাপনি কেন্দ্র। গতকালের এ ঘটনার পর থেকে অভিভাবকারা ছেলেমেয়েদের কে স্কুলে পাঠাতে চাচ্ছেনা না।
সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার সজল মহলী বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনের শ্রেনী কক্ষের ছাদ খসে পড়ে বিষয়টি শুনে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শিক্ষকদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ওই ভবনে পাঠদান না করানোর জন্য বিকল্প পাশ্ববর্তী কমিউনিটি ক্লিনিক ও দাখিল মাদ্রাসার শ্রেনীকক্ষ ব্যবহারের জন্য।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের পলেস্তরা খসে পরার লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষক অবহিত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের শিক্ষা কমিটিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। বিকল্প ছাত্র/ছাত্রীদের পাঠদানের জন্য ইতিমধ্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে