Logo
শিরোনাম
দুই গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

মোড়েলগঞ্জে সরকারি খাল দখল করে মৎস্য চাষ

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :

 বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে লক্ষিখালী গ্রামে রেকর্ড়ীয় সরকারি খাল দখল করে মৎস্য চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। পানি চলাচল বন্ধ হয়ে দুই গ্রামের শত শত পরিবারের ভোগান্তি এখন চরমে। স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের পালা বদলে হাত বদল হয়েছে একাধিকবার। খাল অবমুক্ত হয়নি এখনও। প্রশাসন নির্বিকার।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, জিউধরা ইউনিয়নের বরইতলা লক্ষিখালী হয়ে ডেউয়াতলা অভিমুখি ১০ কিলোমিটারের সুন্দরবনের ভোলা নদীর প্রশাখা ভারানি খালটি এখন কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। এ খালে মধ্যে ৮/১০টি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

আবার পলি পড়ে অনেক অংশে মিশে গেছে জমির সাথে। মোরেলগঞ্জ-মোংলা এ দুই উপজেলার সিমান্তবর্তী বড় লক্ষিখালী গ্রাম অপরপ্রান্তে মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের  সাহেবের মেট গ্রাম। এ খালের একটি অংশে বাঁধ দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী মাসুদ রানা ৪/৫ বছর ধরে বে-দখল করে মাছ চাষ করছেন। পাসেই আরেকটি বাঁধ দিয়ে বাইজিদ সরদার মাছ চাষ করছেন। খালটি এখন পানি চলাচল বন্ধ হয়ে বর্ষা মৌসুমে প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে লক্ষিখালী ও পালের খন্ড গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের। এদিকে পলি পরে ভরাট হয়ে যাওয়া জমিতে বসতবাড়ি করে ৭/৮ টি পরিবার বে-দখল করে রেখেছে। সরকারিভাবে এদের কোন দলিলপত্র নেই। রাজস্ব খাজনা দিতে হচ্ছে না ওইসব পরিবারকে।


স্থানীয় ভূক্তভোগী গ্রামবাসি স্বপন মিস্ত্রী, জবেদ আলী, দুলাল মন্ডল, নুরুন্নবী হাওলাদার, ইকবাল হাওলাদার, শর্বেশ্বর হালদার,  মজিবর শেখ সহ একাধিকরা বলেন, লক্ষিখালী হয়ে ডেউয়াতলা জনগুরুত্বপূর্ন এ খালটি পানি চলাচলের জন্য সরকারিভাবে কেটে অবমুক্ত করে দিলে ভোগান্তির শিকার হতে হবে না এসব ভূক্তভোগীরা খাল কাটার জোর দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি।

সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষী বাইজিদ সরদার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ হাজার টাকা বছরে ডাক নিয়ে মৎস্য চাষ করছেন ওই খালে তিনি। তবে, পরিষদ থেকে কোন কাগজপত্র দেয়নি।

এ সর্ম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান  মো. জাহাঙ্গীর বাদশা বলেন, সরকারি খালে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ডাক অথবা লিজ দেওয়া কোন ইখতিয়ার নেই। তারা কিভাবে ওই খাল ভোগদখল করছে তিনি অবহিত নন।  

এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকারি খাল দখল করে বাঁধ দিয়ে যারা মাছ করছেন  বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিগ্রই খাল কেটে জনভোগান্তি দূর করা হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় ধর্ষণের শিকার শিশু,অভিযুক্ত আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোটার :

নওগাঁয় মাত্র ৫ বছর বয়সি এক শিশুকে খাওয়ানোর প্রলোভন (লোভ) দেখিয়ে বাড়ির ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে স্থানিয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান শিশুর স্বজনরা। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউপির গাড়ীক্ষেত্র গ্রাম এলাকার আতাউর রহমান ওরফে চেকু (৫৫)।  

ভিকটিম শিশুটির মা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যার আগে আমি বাড়িতে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এ সময় প্রতিবেশী সহপাঠি শিশুদের সাথে আমার মেয়েও খেলা করছিলো। খেলা করাকালে সেখান থেকে খাওয়ানোর লোভ (প্রলোভন) দিয়ে প্রতিবেশি আতাউর রহমান চেকু আমার অবুঝ মেয়ে শিশুকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।

শিশুটির মা আরো জানান, ঘটনার সময় অভিযুক্ত আতাউর রহমান চেকু'র বাড়িতে কেউ ছিল না। এ সুযোগেই সে আমার শিশু মেয়েকে তার বাড়ির ভেতর নিয়ে (খারাপ কাজ) ধর্ষণ করার পর আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমার শিশু মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে ঘটনাটি জানায় ও অসুস্থতা বোধ করায় মেয়েকে স্থানিয় মান্দা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেই। ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত আতাউর রহমান ওরফে চেকু সংবাদ কর্মীদের কাছে ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার ভুল ও অন্যায় হয়েছে। আমাকে মাফ করে দেন। এঘটনায় ভিকটিম শিশুটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা দায়ের করার পরই থানা পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার এর সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ

মোজাম্মেল হক কাজী জানান, ভিকটিম শিশুর মা মামলা করেছেন। মামলার পরই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আতাউর রহমান কে গ্রেফতার করেন।


আরও খবর



‘ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না’ কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image



 ডিজিটাল রিপোর্ট:


রাজধানীতে ব্যাটারি বা যন্ত্রচালিত কোনো রিকশা চলতে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভায় এই নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।


সভায় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এটা আগে কার্যকর করুন। 


এ ছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন করুন। ঢাকা সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা যাতে না চলে, সেই বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যাতে না পারে, সেটার ব্যবস্থা করুন। 


সারা দেশে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের কারণে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্ক্র্যাপ (ধ্বংস) করতে হবে।


উচ্চ হর্ন নিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ১০ বছর আগেই তার প্রোটেকশন গাড়িতে হুটার বাজে না। হুটার বাজানো বন্ধ করা দরকার। জরুরি সেবা ছাড়া হুটার বাজানো যাবে না।


এর আগে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র শহরের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।


সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার, যখন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালায়। 


অনেক প্রতিবন্ধী আছেন, যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন, তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।


ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা, ইজিবাইক চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।


সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস রূপক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার:

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস  রহমান রূপক। তিনি উপজেলর সর্বস্তরের মানুষের  নিকট দোয়া কামনা করেছেন।

তিনি সাংবাদিক  পেশায় দীর্ঘ দিন যাবত মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন এবং গরীব দুঃখী ও মেহনতী মানুষের পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।

শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার ০৭ টি ইউনিয়ন  ও ১টি পৌরসভার প্রবাসীসহ  সকল শ্রেনী পেশার নাগরিক ও সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের নিকট দোয়া, আশীর্বাদ কামনা করে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ফেরদৌস রহমান রূপক। উপজেলার জনগণকে সাথে নিয়েই নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন তরুন এ সাংবাদিক ফেরদৌস রহমান রূপক।

ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ফেরদৌস রহমান রূপক বেস্ট কেন্ডিডেট। তার ভদ্রতা, আচার ব্যাবহার ভোটারদের মন জয় করেছে। ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন মহলে ভালো মানুষ হিসেবে রূপকের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি এমন ভদ্রলোককেই উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।

বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফেরদৌস রহমান রূপক বলেন, আমি জনগনের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ে ও ভোটারদের আগ্রহ ও সমর্থন দেখে আমি নিশ্চিত বিজয়ের স্বপ্ন দেখছি। আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে সাধারণ মানুষের হয়ে উন্নয়নে অংশীদার হবো, জনসাধারণের পাশে দাঁড়াবো এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সচল রাখতে সুদ, ঘুষ,  মাদক ও দূর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ডামুড্যা উপজেলা বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার নিয়ে আমার এই পথচলা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। 

তিনি আরও বলেন, “তরুণরাই গড়বে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ” আমি এরই অংশ হিসেবে ডামুড্যা উপজেলাকে একটি আধুনিক ও স্মার্ট উপজেলা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে চাই। সাংবাদিক  পেশার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পেলে সাধারণ মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে আমি সদা প্রস্তুত। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে আমি আরও গভীরভাবে সাধারণ মানুষ ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সংস্পর্শে থাকবো। 

বহুগুণে গুণাবলীর অধিকারী ফেরদৌস রহমান রূপক  ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির অন্যতম সদস্য, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয়  যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক , শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক।

তিনি বলেন, আধুনিক শরীয়পুররের রূপকার ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত জননেতা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাকের সুযোগ্য সন্তান জননেতা আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক এমপির উন্নয়নে শরীক হয়ে উপজেলাবাসীর কল্যাণে নিজেকে জনতার কাছে সমর্পণ করতে চাই। আমার জন্মভূমি ডামুড্যা উপজেলাকে “স্মার্ট উপজেলা হিসেবে রূপান্তরিত করতে জনগণের ভালবাসা ও সহযোগিতা চাই।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার দলীয় প্রতীক রাখেন নি।নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহনমূলক করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন নেত্রী।  আমি মনে করি নির্বাচন করার অধিকার সবারই রয়েছে। আমার পদে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন তাদের জন্যও শুভকামনা রইলো।

দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করেন ফেরদৌস রহমান রূপক।


আরও খবর



নওগাঁয় গ্রাম পুলিশের মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের গ্রাম পুলিশ সদস্যদের জন্য ৩০দিনের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে কোর্সটি বাস্তবায়ন করছে নওগাঁ সদর উপজেলা প্রশাসন। রবিবার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. রবিন শীষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে কোর্সের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং প্রশিক্ষণ উপকরণ বিতরণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের (এনআইএলজি) উপপরিচালক খন্দকার মোঃ মাহবুবুর রহমান। 

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) গাজিউর রহমান বিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল রানা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুঃ জাবেদ ইকবাল, কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের প্রধানগন, সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবগণ। উক্ত প্রশিক্ষণে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৪০জন গ্রাম পুলিশ অংশগ্রহণ করছেন। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, প্রশিক্ষণ হলো একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রতিটি বাড়ি যাদের চেনা তারা হলেন গ্রাম পুলিশ। তাই গ্রাম পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী। কিন্তু এই বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে ভয় পান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের গ্রাম পুলিশ বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন ও চৌকস করতে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে আসছে। তাই আগামীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট গ্রাম পুলিশ বাহিনীর কোন বিকল্প নেই। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞান অক্ষরে অক্ষরে পালন ও প্রয়োগ করতে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান অতিথি।


আরও খবর



আবারো বাড়লো গ্যাসের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

আবারও বাড়লো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম এবং কলকারখানায় ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম। দুই মাসের মাথায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি আরও ৭৫ পয়সা বাড়ানো হলো। পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত হয়েছে। আজ বুধবার (১ মে) থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।

নতুন দর অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। আর ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য প্রতি ঘনমিটারের মূল্য ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। তবে অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।

জ্বালানি বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ৮ পয়সা থেকে বাড়িতে ১৪ টাকা এবং ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। তখন শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তবে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।


আরও খবর