Logo
শিরোনাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে আসছে নীতিমালা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সড়কে যত দুর্ঘটনা ঘটছে, এর বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে যানটির বেপরোয়া গতিকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালার’ খসড়া তৈরি করেছে সরকার।

এতে শহরের মধ্যে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ইয়ারফোন কানে লাগিয়ে বা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বাইক চালানো যাবে না বলেও বিধান রাখা হয়েছে। এতে আরো প্রস্তাব রাখা হয়েছে, রাইড শেয়ারিংয়ের সময় চালককে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত পোশাক ও নির্দিষ্ট রঙের হেলমেট পরতে হবে। গর্ভবতী নারী, প্রবীণ ও ১২ বছরের কম বয়সি কাউকে মোটরসাইকেল আরোহী করা যাবে না।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, ২০২২ সালে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬ হাজার ৮২৯টি। এতে নিহত হন ৭ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ৩ হাজার ৯১ জন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির কারণেই ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির মোট সংখ্যা বেড়েছে বলেও জানায় সংগঠনটি। ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালার’ খসড়ায় বলা হয়েছে, বেপরোয়া প্রতিযোগিতার মনোভাব, গতি বাড়ানোর প্রবণতা, মোটরসাইকেলের ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা না থাকা, আইন পালনে অনীহা, মোবাইল ফোন ব্যবহার ইত্যাদি কারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেশি হয়।

সেজন্য মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস; মোটরসাইকেলের নিরাপদ ব্যবহার ও অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ বাইক ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া এবং মোটরসাইকেল চালকের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের (স্পোর্টি মোটরসাইকেল) ব্যবহার কমানো এবং অপেক্ষাকৃত কম গতির মোটরসাইকেল (স্কুটি মোটরসাইকেল) বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে নীতিমালায়। এটি শিগগিরই অনুমোদন পেতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

কী কী করা যাবে না : তিন অধ্যায়ের নীতিমালার অষ্টম ধারায় ‘সাধারণ নির্দেশাবলী’তে বলা হয়েছেÑ মোটরসাইকেল চালানোর সময় ইয়ারফোন পরা যাবে না এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। শহরের মধ্যে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। রাইডশেয়ারিং সার্ভিসে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের চালককে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত পোশাক ও নির্দিষ্ট রঙের হেলমেট পরতে হবে। গর্ভবতী নারী, প্রবীণ ব্যক্তি এবং ১২ বছরের কম বয়সি কাউকে মোটরসাইকেল আরোহী করা যাবে না। ক্যারিয়ার ছাড়া অনিরাপদ ও ভারসাম্যহীনভাবে মোটরসাইকেলে মালামাল বহন করা যাবে না। যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এমন স্থানে মোটরসাইকেল পার্কিং করা যাবে না। এছাড়া মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত হ্যান্ডবিল, লিফলেট, পোস্টার, স্টিকার প্রস্তুত করে বিতরণের ব্যবস্থা করবে। তারা সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার করবে। এ সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়মিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

নীতিমালার ৬ নম্বর ধারায় ‘মোটরসাইকেল চলাচলের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে’ বলা হয়েছে হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স-টোকেন ইত্যাদি) এবং রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নম্বরপ্লেট ও আরএফআইডি ট্যাগ ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো যাবে না; মোটরসাইকেল চালানোর সময় চালক ও আরোহী উভয়কেই সঠিকভাবে বিএসটিআই অনুমোদিত হেলমেট পরতে হবে; মহাসড়কে সর্বনিম্ন ১২৬ সিসি ইঞ্জিন বা সমতুল্য ক্ষমতার (‘ল’ সিরিজ) মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে অর্থাৎ মহাসড়কে ১২৬ সিসি ইঞ্জিন বা সমতুল্য ক্ষমতার চেয়ে কম ক্ষমতার কোনো মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।

মহাসড়কে চলাচলের জন্য মোটরসাইকেলে এবিএস (অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম) থাকতে হবে। মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানোর সময় চালক কোনো আরোহী বহন করতে পারবে না। চালককে নিরাপত্তা সরঞ্জাম (চেস্ট গার্ড, নি গার্ড, এলবো গার্ড, গোড়ালি ঢাকা জুতা বা কেডস, সম্পূর্ণ আঙুল ঢাকা গ্লাভস এবং ফুলপ্যান্ট, ফুলশার্ট) ব্যবহার করতে হবে। ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, দুর্গাপূজা ইত্যাদি উৎসব-পার্বনের আগে ও পরে মোট ১০ দিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। এতে আরো বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল বাম লেনে চালাতে হবে; ফুটপাতে চালানো যাবে না; বৃষ্টির সময় অতি সহজে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীরগতিতে মোটরসাইকেল চালাতে হবে; মোটরসাইকেল চালানোর সময় হঠাৎ গতি বৃদ্ধি করা, থামানো বা দ্রুত মোড় নেওয়া যাবে না; কুয়াশায় লো-বিম বা ডিপার জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীরগতিতে মোটরসাইকেল চালাতে হবে। দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে মোটরসাইকেল চালানো বন্ধ করতে হবে; মোটরসাইকেল চালানোর সময় নির্ধারিত গতিসীমা মেনে চলতে হবে; রাতে মোটরসাইকেল চালালে রেট্রোরিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট ব্যবহার করতে হবে; মোটরসাইকেল চালানোর সময় ফার্স্ট এইড কিট বহন করতে হবে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, নীতিমালাটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সড়কে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা কমবে, এটা ঠিক। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, সরকার ভালো ভালো কথা বলে নীতিমালা করে। কিন্তু সেগুলো হয় আলোর মুখ দেখে না, নয় ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা না আনতে পারলে শুধু মোটরসাইকেলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে অবস্থার উন্নতি সম্ভব হবে না। নীতিমালায় ‘কিছু ভালো দিক যেমন রয়েছে, তেমনই অনেকগুলো অযৌক্তিক বিষয় আছে’ উল্লেখ করে সিদ্দিকুর রহমান বলছেন, এটি বাস্তবায়নে নজরদারি বাড়াতে হবে। বিশেষ করে রাতের বেলায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। তা বন্ধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নিরাপদ সড়ক আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে।

সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সভাপতি হানিফ খোকন বলেন, মোটরসাইকেলের সঙ্গে গতির এক ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। যানজট থেকে বাঁচতে, দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে এই বাহনে ছুটে চলছে অনেকে। বিভিন্ন কোম্পানি রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে যাত্রী সেবা দিচ্ছে। অনেকে ব্যক্তিগত বাইক ব্যবহার করছেন। মূলত গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার কারণে মানুষ বাইকমুখী হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। বাইক কোম্পানিগুলোর বেপরোয়া গতিরোধের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করা উচিত। সড়কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়াতে হবে। মোটরসাইকেলের কেনাবেচা থেকে করে রাস্তায় চলাচলের প্রতিটি পর্যায়ে স্বচ্ছতা আনতে হবে। এসব ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।


আরও খবর



মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। প্রতিটি সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে ঈদ পরবর্তী ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ পরবর্তী সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৫০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারগুলোতে সোনালি ৩৭০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩৫০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শেওড়াপাড়ায় মুরগি বিক্রেতা মো. মিলন বলেন, ঈদের পর ২২০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি আজ শুক্রবার হওয়ার কারণে পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগি দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।

তিনি বলেন, আজ দুই-তিন মাস ধরে মুরগির বাজারে অস্থিরতা চলছে। এই দাম ১০ টাকা কমলে ২০ টাকা বাড়ছে। গরমে দাম আরো বাড়তে পারে।

এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে আলু ৪৫ টাকা আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শুক্রবার বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৪০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৬০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা।


আরও খবর

কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় চীন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় পড়েছে চীন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এমন ভয়াবহ বন্যা প্রতি একশ বছরে মাত্র একবারই দেখা যায়। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পূর্ব সতর্কতা জারি করেছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে গুয়াংদং প্রদেশে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে চুচিয়াং নদীর জলপথগুলোর পানি উপচে পড়ছে। গুয়াংদং চীনের উৎপাদন শিল্পের সবচেয়ে বড় অঞ্চল। এই প্রদেশে আজ রোববার সন্ধ্যা থেকে কাল সোমবার পর্যন্ত ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশিত একটি ড্রোন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু শহরের কাছাকাছি চলে এসেছে বন্যার পানি। এতে নিচু ভবনগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। এছাড়া জলে নিমজ্জ একটি প্যাগোডাও দেখা যাচ্ছে।

প্রাদেশিক জলবিদ্যা ব্যুরোর বরাতে সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে বেঈ রিভার নদীর আশপাশের তিনটি অঞ্চলে একশ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় ৫০ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

চুচিয়াং নদীর ব-দ্বীপ অববাহিকা চীনের সবচেয়ে জনবহুল একটি অঞ্চল। এখানে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ বসবাস করেন। তবে ওই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর শোনা যায়নি। এছাড়া সাধারণ মানুষকে গণহারে সরিয়ে নেওয়ার কোনো প্রক্রিয়াও চোখে পড়েনি।

গুয়াংদংয়ের পাশের প্রদেশ জিয়াংজি এবং ফুজিয়ানেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হতে পারে।

চীনে প্রায়ই এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে ভয়াবহ বন্যা, খরা এবং তীব্র দাবদাহ দেখা যাচ্ছে।

সূত্র: এএফপি


আরও খবর



নিপুণের গলায় মালা পরালেন মিশা-ডিপজল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হওয়া হলো না চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের। ভোট যুদ্ধ্বে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। তবে পরাজিত হয়েও ফুলের মালা উঠেছে নিপুণের গলায়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুই প্যানেলের প্রার্থীরা। তখনই ঘটনাটি ঘটে। পরাজিত নিপুণ বিজয়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন। এরপরই নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সেই মালা খুলে নিপুণের গলায় পরিয়ে দেন।

গতবার জায়েদ খানের সঙ্গে হেরে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন নিপুণ। আদালতে গিয়ে নিজের নামে নিয়ে এসেছিলেন সম্পাদকের পদ। তবে এবারের নিপুণ যেন তার উল্টো। মিশা সওদাগরও তার এমন আচরণের প্রশংসা করে বলেন, আজকের এই নির্বাচন নামে মাত্র একটি নির্বাচন। সত্যিকার অর্থে আমরা এক পরিবার। তবে নির্বাচনের ফলাফল শেষে নিপুণ আজ যেটা করলো তা নজির হয়ে থাকবে। এমনটাই হওয়া উচিত।

এ নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেল নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করেছে। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মাহমুদ কলি। তিনি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলের পক্ষে ভোট পড়েছে ২২৫টি এবং নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় অভিনেতা ডা. এজাজের (অভিনেতা ও চিকিৎসক এজাজুল ইসলাম) ভোট প্রদানের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৫টায়।


আরও খবর



আগুনে পুড়লো লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর ডেমরার ধার্মিকপাড়ায় একটি গ্যারেজে আগুন লেগে লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস পুড়ে গেছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের একঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে রাজধানীর ডেমরায় গ্যারেজে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বিলাসবহুল বাসের আগুন

ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নিসোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ডেমরার ধার্মিকপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বিলাসবহুল বাসে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ফায়ার সার্ভিসের সিদ্দিক বাজার স্টেশনের ৫টি ইউনিটের একঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বলছেন, এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা তদন্তের পর জানা যাবে


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে আসছে ‘লিপস্টিক’, প্রকাশ্যে পোস্টার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে চিত্রনায়ক আদর আজাদ ও চিত্রনায়িকা পূজা চেরি অভিনীত সিনেমা লিপস্টিক। সিনেমাটির আইটেম গান বেসামাল প্রকাশের মাধ্যমে মুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সিনেমাটি সেন্সর পেয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান। এর আগে প্রকাশ পায় সিনেমাটির রোমান্টিক গান নিন্দুকে। গানটি প্রকাশ্যে আসতেই দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়।

এবার এলো সিনেমাটির অফিসিয়াল পোস্টার। পোস্টার প্রকাশ করে আদর আজাদ লেখেন, ঈদ হতে পারে বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার, কিন্তু লিপস্টিক তো ঈদেই আসবে। সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।

সিনেমাটির গল্পে দেখা যাবে ঢাকার অদূরে অবস্থিত এক গ্রামের কিশোরী বুচি। চোখেমুখে তার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন। সে উদ্দেশ্যেই ঢাকায় আসা তার। সব আনুষ্ঠাকিতা প্রায় সম্পন্ন। এখন শুধু নায়িকা হওয়াটাই বাকি। নায়িকা হয়েও যান। এরপরই শুরু হয় অন্য এক জীবন। এতে বুচি চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূজা চেরি। তার নায়ক হিসেবে রয়েছেন আদর আজাদ।

চিত্রনায়ক আদর আজাদ সিনেমাটিকে রোমান্টিক থ্রিলার গল্পের সিনেমা বলছেন। তার ভাষ্য, গল্পটি দর্শকদের হৃদয়ে নাড়া দেবে। এর ফাইটগুলোও দুর্দান্ত হয়েছে। পুরোপুরি রোমান্টিক না, বলা যায় রোমান্টিক থ্রিলার। সিনেমাটি দর্শকদের কাছে উপভোগ্য হবে বলে আমার বিশ্বাস।

পূজা চেরি বলেন, অন্ধকার এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমি। কদিন আগেই মাকে হারালাম। যে আমার আমার পৃথিবী। সেই মাই এখন আমার সঙ্গে নেই। এমন সময়ে চারদিকে অন্ধকার লাগছে। ঠিক এই সময়ে লিপস্টিক ঈদে মুক্তির খবর এলো। এখন সিনেমাটা নিয়েই ব্যস্ত থাকব। মা হারানোর শোক কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব। সবাই আমাকে আর্শীবাদে রাখবেন।

সিনেমাটির গল্পের কথা জানিয়ে এর আগে পূজা চেরি জানিয়েছিলেন, চিত্রনাট্য পড়ার সময়েই গল্পটির প্রেমে পড়ে যান তিনি। চরিত্রটি করতে গিয়ে সেই প্রেম গাঢ় হয় আরও। সাজগোজ প্রেজেন্ট সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে এতে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, জায়েদ খান প্রমুখ।


আরও খবর