রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে আবারও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এতে মস্কোর একটি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া ড্রোন হামলায় মস্কোর
দুটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবিবার (৩০ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোরে এ হামলার ঘটনা
ঘটে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন ভোরে মস্কোতে তিনটি
ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
অবশ্য এই আক্রমণের জেরে মস্কোর একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে
যায়।
এএফপি বলছে, মস্কো শহরের উপকণ্ঠে একটি ড্রোনকে গুলি করে
ভূপাতিত করা হয়। অন্য দুটি ড্রোনকে ইলেক্ট্রনিক ওয়্যারফেয়ারের মাধ্যমে দমন করা হয়
এবং সেগুলো একটি অফিস কমপ্লেক্সে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।
ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে প্রায় ৫০০ কিমি (৩১০ মাইল) দূরে
অবস্থিত রাশিয়ার রাজধানী মস্কো এবং এর আশপাশের শহরতলি চলতি বছর বেশ কয়েক দফায়
ড্রোন হামলা শিকার হয়েছে। যদিও যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মস্কো ও আশপাশের এলাকা খুব কমই
ইউক্রেনীয় হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাশিয়ান
শহরগুলোসহ ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং রবিবারের এই হামলা সেটিরই
উদাহরণ। রাশিয়া এই ধরনের হামলার জন্য বরাবরই ইউক্রেনকে দায়ী করে আসছে।
এ ছাড়া এদিন ভোরের এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছে রাশিয়ার
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। টেলিগ্রামে বলা হয়েছে, ৩০ জুলাই
সকালে মস্কো শহরের ওপর মনুষ্যবিহীন ড্রোনের সাহায্যে কিয়েভ সরকারের সন্ত্রাসী
হামলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, একটি ইউক্রেনীয় ইউএভি মস্কো অঞ্চলের
ওডিনসোভো এলাকায় আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সাহায্যে আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া
আরো দুটি ড্রোন ইলেক্ট্রনিক ওয়্যারফেয়ারের মাধ্যমে দমন করা হয় এবং পরে সেগুলো
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মস্কোর অনাবাসিক ভবন কমপ্লেক্সে বিধ্বস্ত হয়।
মস্কো শহরের মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, শহরের দুটি অফিস টাওয়ারের
সম্মুখভাগ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হননি বলেও
জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ড্রোন হামলার ঘটনার পর মস্কোর একটি বিমানবন্দর
সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, ড্রোন হামলার ঘটনার পর
রাজধানী মস্কোর ভনুকোভো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রস্থান এবং আগমনী কার্যক্রম
বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ফ্লাইটগুলোকে অন্যান্য বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।