Logo
শিরোনাম

নারী শিক্ষার্থীদের স্টেম বৃত্তি চালু থাকছে এবারও

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ অংশীদারত্ব দেশের জন্য নানা সুফল বয়ে এনেছে। এর অন্যতম দিক হলো নারীদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন। এরই ধারাবাহিকতায়, দ্বিতীয় বছরের মতো স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) বিষয়ে নারীদের বৃত্তি দিতে যাচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই বৃত্তি যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টেমের বিষয়গুলোতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্বের ১০০ এর বেশি নারীকে সহায়তা করবে।

জানানো হয়, ব্রিটিশ কাউন্সিল স্কলারশিপ ফর উইমেন ইন স্টেম যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল বা গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনে আগ্রহী নারীদের সহায়তা করে।

এই সম্মানজনক বৃত্তি দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, আমেরিকাসহ নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলের ১০০ এর বেশি নারীকে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা আর্লি একাডেমিক ফেলোশিপ অর্জনের সুযোগ দেবে। তাদের স্টেমের বিষয়সমূহে ক্যারিয়ার গড়ার আরও সুযোগ দেবে।

যুক্তরাজ্যের ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে এ স্কলারশিপ স্কিমে টিউশন ফি, মাসিক উপবৃত্তি, ভ্রমণ খরচ, ভিসা ও স্বাস্থ্য কভারেজ ফি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ডিপেন্ডেন্ট আছে এমন নারীরাও এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে ও অতিরিক্ত সহায়তা পেতে পারবেন।

জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) তথ্য অনুসারে, বিশ্বে ৩০ শতাংশেরও কম নারী গবেষক রয়েছে ও মাত্র ৩০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষায় স্টেম সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বেছে নেন। যেহেতু একজন সাধারণ স্টেম কর্মী অন্যদের তুলনায় দুই-তৃতীয়াংশ বেশি উপার্জন করে, তাই নারীদের স্টেমে ক্যারিয়ার গড়ার সমান সুযোগ দিলে তা বেতনে লৈঙ্গিক বৈষম্য কমাতে সাহায্য করবে ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ৫: ‘লিঙ্গ সমতা অর্জন, সব নারী ও কন্যা শিশুর ক্ষমতায়ন’ অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এ অটাম সেশনে ১১৯ জন স্কলারের প্রথম ব্যাচ তাদের নির্বাচিত কোর্সে ভর্তি হয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার নারীদের জন্য স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) বিষয়গুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম অফার করছে। এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের জন্য ৬৫টি বৃত্তি রয়েছে। সবগুলোই বাংলাদেশসহ সব দেশের জন্য উন্মুক্ত, যা প্রতিটি দেশের জন্য গত বছরের বরাদ্দের তুলনায় বেশি।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের রিজিওনাল ডিরেক্টর এডুকেশন সাউথ এশিয়া সালভাদর লোপেজ বলেন, স্টেমে যুক্তরাজ্যের শীর্ষমানের ডিগ্রি অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার মেধাবী ও যোগ্য নারীদের সহায়তা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা নারীদের শিক্ষা ও একাডেমিসহ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে লিঙ্গ ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য নারীর ক্ষমতায়ন, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করে এখানকার মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনা।

এতে অংশ নেওয়া যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও উপলব্ধ কোর্সের সম্পূর্ণ তালিকাসহ আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য করে ভিজিট করুন: http://www.britishcouncil.org। ব্রিটিশ কাউন্সিল স্কলারশিপ ফর উইমেন ইন স্টেমের জন্য আগামী মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




গরমে নানা অসুখের রোগী বাড়ছে হাসপাতালে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীসহ সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। একদিকে বৈশাখের অসহনীয় গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। অন্যদিকে গত কয়েকদিনের কড়া রোদের সঙ্গে ভ্যাপসা গরমে সর্দি-কাশি, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্তদের চাপ বাড়ছে রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে। 


এছাড়াও জন্ডিস, হিট স্ট্রোক, সর্দি-জ্বর নিয়েও হাসপাতালে ছুটে আসছেন রোগীরা। তবে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।  তাদের সুরক্ষায় রোদ পরিহারের পাশাপাশি যত্রতত্র পানি, রাস্তার পাশের খোলা জুস-শরবত পান থেকে বিরত থাকা এবং পচা বাসী খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনকি ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে জনসমাগম বাড়লে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা তাদের।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মহাখালির আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) বা কলেরা হাসপাতাল প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫শ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং  মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও  রোগী সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ বেড়েছে।

 

কলেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণত এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দুশ থেকে আড়াইশ  ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা  চারশ ছাড়িয়েছে।গত ১০ দিনে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও গেছে।


রাজধানীর শিশু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের গরমে শুধু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে

দুই শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মুগদা হাসপাতালের শিশু বিভাগেও ইতোমধ্যে রোগীতে সব শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 


প্রচণ্ড এ গরমের মধ্যে শিশুদের সুরক্ষায় যথাসম্ভব বাসায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রচণ্ড গরমে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে উল্লেখ করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিনের গরমে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য বয়সীদের তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। বর্তমানে আমার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি আছে ১৬ জন। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ার রোগী তো আছেই। অন্যান্য সময়ের তুলনায় আক্রান্তের এ হার আমরা অস্বাভাবিক বলছি।


তিনি বলেন, ঈদ-পরবর্তী সময়ে ফুড পয়জনিং (খাদ্যে বিষক্রিয়া) রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও আমরা বেশি পাচ্ছি। এজন্য অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি বাসায় পানি খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যতটুকু সম্ভব পানি ফুটিয়ে, এরপর ফিল্টার করে পান করা নিরাপদ।


প্রচণ্ড গরমের কারণে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন উল্লেখ করে প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,  প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সময়ের  বলেন, বেশি গরমের কারণে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। যারা ডায়বেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন ক্রনিক রোগে ভোগেন, তাদের ঝুঁকিও কোন অংশে কম নয়। তবে গরমের সময় যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে কাজ করেন তাদের জন্য ঝুঁকিটা অনেক বেশি। তারা ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা) ঝুঁকিতে থাকেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন; ডায়রিয়া আর সর্দি-কাশি তো আছেই। এজন্য একটানা এক ঘণ্টার বেশি রোদে থাকা যাবে না।


তিনি বলেন, গরমে এই সময়ে বাইরে না যাওয়াই ভাল। আর বাইরে গেলে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। সম্ভব হলে পরিমাণ মতো লবণ মিশিয়ে পান করা উচিত। আরও ভালো হয় যদি দু-একটা ওরস্যালাইন খাওয়া যায়। কারণ, গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ বের হয়ে যায়। যদি গরমের সময় বাইরে বের হতে হয়, তাহলে ছাতা ব্যবহার করতে হবে এবং একটু ঢিলেঢালা কাপড় পরা ভাল। কারণ, জামা-কাপড় বেশি টাইট হলে শরীর থেকে গরমটা সহজে বের হতে পারে না।


ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, গরমের এই সময়ে অনেকে পিপাসা মেটাতে রাস্তাঘাটের লেবুর শরবত, আখের শরবতসহ নানা ধরনের পানীয় পান করেন। অথচ এগুলোতে ব্যবহার হওয়া পানি বিশুদ্ধ কি না, আমরা কেউই জানি না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ পানি বিশুদ্ধ হয় না। এগুলো খেয়েই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুধু পানি আর শরবত নয়, এ সময়ে বাইরের সবধরনের খোলা খাবার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। গরমে বের হওয়ার সময় অবশ্যই বাসা থেকে বেশি তাপে ফোটানো ও ফিল্টার করা পানি বোতলে করে নিয়ে বের হতে হবে।


আর গরমের এই সময়ে শিশু ও বয়স্কদের ব্যাপারে বাড়তি সর্তকতার পরামর্শ এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের।




আরও খবর



৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম কালবৈশাখীর রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সারা দেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছে। নিজের উত্তাপ জানান দিচ্ছে শহর, গ্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই। পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত চুলা। টানা ২৭ দিনের তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এর সঙ্গে ভাঙল কালবৈশাখীর রেকর্ড। এই দাবদাহে ৪৩ বছরের মধ্যে চলতি মাসে সবচেয়ে কম কালবৈশাখী হয়েছে।

গত বছরের এপ্রিলে বজ্রঝড় হয়েছিল সাতটি। ২০২২ ও ২০২১ সালে হয় যথাক্রমে ৯টি ও আটটি। আর এ বছর মাত্র একটি।

এই এপ্রিল মাসে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ ছিল। গণমাধ্যমকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি। এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। এবার ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে গেল।

এই তাপপ্রবাহের মাসে বজ্রঝড় বা কালবৈশাখীর সংখ্যা গেছে কমে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি ১৯৮১ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের উপাত্ত তুলে ধরেছেন তার গবেষণায়। এই ৪৩ বছরে এপ্রিল মাসে ৩৬৫টি বড় বজ্রঝড় হয়। সবচেয়ে বেশি ঝড় হয়েছিল ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাসে, ১৪টি। আর ১৯৯৯ ও ২০০৯ সালে সবচেয়ে কম চারটি করে ঝড় হয় এপ্রিলে।

গত বছরের এপ্রিলে বজ্রঝড় হয়েছিল সাতটি। ২০২২ ও ২০২১ সালে হয় যথাক্রমে নয়টি ও আটটি। আর এ বছর মাত্র একটি।

দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এর পর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার এই ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র একটি বজ্রঝড় বা কালবৈশাখী হয়েছে। তাও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটিও অস্বাভাবিক।

এপ্রিল মাসে ঝড় কমে যাওয়ায় অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহকেই কারণ মনে করেন বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক একেএম সাইফুল ইসলাম। তিনি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) সঙ্গে যুক্ত।

তিনি বলেন, তাপমাত্রা বৈশ্বিকভাবে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এ বছরের এপ্রিল ভারতে ১২২ বছরের মধ্যে ছিল সবচেয়ে বেশি উষ্ণ। আমাদের যে বায়ুপ্রবাহ তার সঙ্গে সীমান্তসংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উডিষ্যার সম্পর্ক আছে। এ সময় এসব অঞ্চলে সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প বজ্র মেঘের সৃষ্টি করে। কিন্তু এবার ভারতের ওই সব অঞ্চলেও প্রচণ্ড গরম পড়েছে। আর্দ্রতাপূর্ণ জলীয় বাষ্প জড়ো হয়ে বজ্র মেঘ সৃষ্টি করেনি। তাতেই এ বিড়ম্বনা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এ অবস্থা দেখছি আমরা।


আরও খবর



সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে ‘একটা ভালো মেমোরিস’ দিতে চান শান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image



স্পোর্টস রিপোর্টার:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৯তম দল হিসেবে গত পরশু দিন নিজেদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি। এই দল নিয়েই গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন টাইগাররা।

তবে তার আগে বুধবার শান্তবাহিনী সকালে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক অনুশীলন করেন। সেখান থেকে ড্রেসিং রুমে গিয়ে প্রস্তুত হয়ে বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে যাওয়ার আগে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন টাইগাররা।

সেখানে প্রথমে স্কোয়াডের ১৫ ক্রিকেটার পরবর্তীকালে কোচ ও বোর্ড সভাপতির সঙ্গে ফটোসেশন করা হয়। এরপর দুপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয় তরুণ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

সেখানেই আসন্ন বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে কথা বলেন। এ সময় এ বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে স্কোয়াডে থাকা দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ভালো স্মৃতি দেওয়ারও প্রত্যাশা করেন শান্ত।


সবশেষ ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগার স্কোয়াডে শান্তকে যুক্ত করার পর বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়। কারণ সে সময় ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ছিলেন না তিনি।

তবে পরবর্তীকালে আসরটিতে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। পাঁচ ম্যাচে দুই ফিফটির ইনিংসের মধ্য দিয়ে ১৮০ করেন তিনি। সেখান থেকেই শান্তর ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। এরপর ২০২৩ সালটা তো কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো। যদিও সম্প্রতি ব্যাট হাতে খুব বেশি একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই শান্ত।

তবে বিশ্বকাপে দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারবেন বলেই মনে করেন টাইগার তরুণ এ অধিনায়ক।

এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবশ্যই আমার শেষ বিশ্বকাপটায় ভালো স্মৃতি রয়েছে। আমার মনে হয় সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। আশা করবে... এবার আমি বলব যে ব্যাটিং নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করছি, তা না, আমার যেই কঠোর পরিশ্রম করা কিংবা আমার যে জায়গায় উন্নতি করার দরকার, ঐ জিনিসগুলো আমি অনুশীলনে করছি, তো আমি আশা করছি এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ভালোভাবেই আবার ফিরে আসব।’

বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। তার পরই রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সব শেষ এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পেলে তিনিও সাকিবের পাশেই থাকতেন।

ধারণা করা হচ্ছে এই দুই ক্রিকেটারের এটাই এই ফরম্যাটে শেষ বিশ্বকাপ। কেননা তারা তাদের ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে রয়েছেন। সাকিবের বর্তমান বয়স ৩৭ বছর এবং মাহমুদউল্লাহর ৩৮। আর এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে এবারের আসরে বিশেষ কিছু উপহার দিতে চান তরুণ টাইগার অধিনায়ক।

এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখনো জানি না, এটা তাদের শেষ বিশ্বকাপ কি না, এটা একটা ধারণা। তবে তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে আমরা যারা আছি, অবশ্যই চাইব যে ওনারা এত লম্বা সময় ধরে খেলছেন, তাদেরকে একটা ভালো মেমোরিস দেওয়ার।


যে ভালো একটা বিশ্বকাপ শেষ করে তাদের উপহার দিলাম, অবশ্যই এটা আমাদের দায়িত্ব, সবার মধ্যেই অবশ্য তা থাকে। পাশাপাশি সাকিব ভাই রিয়াদ ভাইয়ের কাছে বাড়তি অতিরিক্ত কিছু চাই না। ওনারা যেভাবে পারফর্ম করছেন, যার যে রোল, সেটা যদি ঠিকভাবে পালন করতে পারেন, তাহলে দল অবশ্যই লাভবান হবে।

যে জিনিসটা চাইব, তাদের যেই অভিজ্ঞতাটা আছে সেটা যদি প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেন, তাহলে আমাদের দলে যে ছোটো ছোটো জায়গাগুলোতে উন্নতির দরকার রয়েছে, সেগুলোতে খুব ভালো অবস্থানে থাকব।’

সাধারণত বিগত বছরগুলোতে দেখা গিয়েছিল, কোনো বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। করা হয় অনেক ক্রিকেটার ও নির্বাচককে নিয়ে সমালোচনাও। তবে এবার তেমনটি দেখা না গেলেও খানিকটা আলোচনার জন্ম দিয়েছে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া নিয়ে। দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে, সাইফুদ্দিন তাদের চাওয়া পূরণ করতে পারেনি, তাই প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকলেও শেষ মুহূর্তে কাটা পড়েছে এই পেস অলরাউন্ডারের নাম।

আর সেখানেই সুযোগ পেয়েছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তাই স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ককেও মুখোমুখি হতে হয় সাইফুদ্দিনের বাদ পড়া আর সাকিবের যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে।

এ নিয়ে শান্ত বলেন, ‘সাকিব আমার মনে হয়, এখন যে অবস্থানে আছে, ওর বলের পেসটা স্বাভাবিকভাবে সাইফুদ্দিনের থেকে একটু বেশি। এছাড়া সাইফুদ্দিনের কাছ থেকে আমরা যেই রকম আশা করছিলাম, ঐ অনুযায়ী সব মিলিয়ে একটু কমবেশি ছিল।


পুরো বিস্তারিত আমি বলতে চাই না। তবে দুই জনই খুব কাছাকাছি ছিল। তো আমাদের কাছে সাইফুদ্দিনের বিষয়টায় সাকিবের ওপর আত্মবিশ্বাস বেশি মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে কিংবা সেখানকার (বিশ্বকাপ) কন্ডিশন যদি চিন্তা করি, আমাদের মনে হয়েছে সাকিব বেটার অপশন হবে।’

ভিন্ন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে এ প্রসঙ্গে অধিনায়ক আরও বলেন, ‘যে জিনিসটা হয়েছে, সাইফুদ্দিন-সাকিব দুই জনই খুবই কাছাকাছি ছিল। আমরা কাকে নেব, শেষ সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুই জনই সমান ম্যাচ খেলেছে, জিনিসটা এমন না যে কে আট উইকেট নিয়েছে কিংবা কে নেয়নি, সেটা চিন্তা করে এক জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে এক জনকে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টা হলো সব মিলিয়ে দলের কেমন প্রয়োজন টিমের জন্য...থাকে না বিশ্বাসের একটা ব্যাপার কারো ওপর হয়তো একটু বেশি ছিল কিংবা কারো ওপর একটু কম ছিল। আমাদের সবার কাছে মনে হয়েছে সাকিব ব্যাটার কিছু ডেলিভারি করতে পারবে দলের কম্বিনেশন অনুসারে।’

বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিনটি প্রস্তুতিমূলক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ২১, ২৩ ও ২৫ মে। এরপর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে টাইগাররা।


আরও খবর



হজযাত্রীর ভিসার সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম তাকে (প্রধানমন্ত্রী) উদ্ধৃত করে বলেন, সৌদি আরবের উচিত হজ যাত্রীদের জন্য ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানো, যাতে তারা পবিত্র হজ পালন করতে পারেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর বিষয়টি উত্থাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, যেসব হজযাত্রী এখনো হজ পালনের জন্য ভিসা পাননি তাদের ভিসা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন জটিলতায় সৌদি আরব থেকে এখনও ভিসা পাননি ১০ হাজারের বেশি হজযাত্রী।

সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে তার দেশের বিনিয়োগকারী ও কোম্পানির আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং সে সব প্রকল্পের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যাচাই-বাছাই এবং পরীক্ষা শেষে বাংলাদেশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এ প্রসঙ্গে তিনি তাকে আশ্বস্ত করেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

ফিলিস্তিন ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের সহায়তার জন্য আরেকটি চালান প্রস্তুত করছে এবং এরই মধ্যে তার দেশ দুইবার সহায়তা পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার কয়েকটি মিত্র ছাড়া পুরো বিশ্ব ফিলিস্তিনের সঙ্গে রয়েছে।

সৌদি রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, তার দেশে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন যারা বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।

প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বৈধ পন্থায় ঢাকায় রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



শৃঙ্খলা ভঙ্গের তালিকায় আওয়ামী লীগে শ্রেষ্ঠ যাঁরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক:

আওয়ামী লীগের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতারা যোগ্যতার চেয়ে অতিরিক্ত পেয়েছেন তারাই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন, দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।

 যুগে যুগে আওয়ামী লীগের জন্য এটি একটি বাস্তবতা। 

খন্দকার মোশতাক কখনোই আওয়ামী লীগের এত বড় নেতা হওয়ার কথা ছিল না। যোগ্যতার বাইরে বঙ্গবন্ধু তাকে সামনের দিকে এনেছিলেন এবং খুনি মোশতাক তার চরম বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, অযোগ্যরা সবসময় বিশ্বাসঘাতক হয়।

 সবাই মোশতাকের মতো বড় মাপের বিশ্বাসঘাতক না হলেও বিভিন্ন সঙ্কট দেখা গেছে, আওয়ামী লীগে যারা অযোগ্য, আওয়ামী লীগে যারা যত বেশি পেয়েছে তারাই দলের শৃঙ্খলার প্রতি ততটাই বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। 

এক এগোরোর সময় হঠাৎ করে বড় হয়ে যাওয়া নেতারাই আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদের কারণ হয়ে গিয়েছিল। আর এবার উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না, তখন সেই সিদ্ধান্ত যারা লঙ্ঘন করেছেন তাদের একটি বড় অংশই হলো অনেক বেশি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতারা। 

 যদি এবারের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে সমস্ত মন্ত্রী এবং এমপিরা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের হিসাব খতিয়ে দেখি তাহলে দেখব যে, বেশির ভাগই আছেন যারা অনেক বেশি আওয়ামী লীগ থেকে পেয়েছেন। 

এদের মধ্যে ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন ২০০০ সালের দিকে। যোগদান করেই তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, নির্বাচন করেছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পেয়েছেন। ২০০৯ সালে তিনি মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ সালেও তিনি মন্ত্রী ছিলেন এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবেও তিনি এখন দায়িত্ব পালন করছেন। 

এত অল্প সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগে এত কিছু পেয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। আর এই সৌভাগ্যের প্রতিদান তিনি দিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশ অমান্য করে তার খালাতো ভাই হারুন অর রশীদ হীরাকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করে।

শাজাহান খান আরেকজন যিনি আওয়ামী লীগে এসে প্রাপ্তির ঝুড়ি পূর্ণ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মন্ত্রী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের দাপুটে নেতা হিসেবে তিনি পরিবহন সেক্টরে আধিপত্য  দখল করেছেন। আর এবার নির্বাচনে তিনি তার ছেলে আসিফুর রহমান খানকে প্রার্থী করেছেন। 

একরামুল করিম চৌধুরী সেই বিরল ভাগ্যবান আওয়ামী লীগের নেতা যিনি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং স্থানীয় এলাকায় দলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েও আওয়ামী লীগ সভাপতির আপাত্য স্নেহের কারণে এখনও রাজনীতিতে টিকে আছেন। 

আর তার প্রতিদান তিনি দিলেন দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তার ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে শাবাব চৌধুরীকে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করে।

সাহাদারা মান্নান আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা কৃষিবিদ মুহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সহধর্মিণী। কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এক এগোরার সময় সংস্কারপন্থী ছিলেন। বাংলাদেশের পচাঁত্তর পরবর্তী রাজনীতিতে শেখ হাসিনা যাদেরকে টেনে তুলে পাদপ্রদীপে এনেছেন তাদের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত আব্দুল মান্নান অন্যতম।

 ২০০৬ সালে সংস্কারপন্থি হওয়ার পরও শেখ হাসিনা তাকে বগুড়া থেকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগে তিনি কিছুটা কোণঠাসা থাকলেও দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়নি। বরং তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সাহাদারা মান্নানকে মনোনয়ন দিয়ে শেখ হাসিনা তার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন। 

আর সেই সহানুভূতির পুরস্কার হল সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। 

বাংলাদেশে যদি সৌভাগ্যবান কোন আওয়ামী লীগার থাকেন তার মধ্যে অন্যতম হলেন আ হ ম মোস্তফা কামাল। তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শুয়ে বসে দিন কাটিয়েছেন। তবু শেখ হাসিনা তার সব অত্যাচার সহ্য করেছেন। অর্থনীতির বারোটা বাজানোর পরও আ হ ম মোস্তফা কামালকে মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়নি। 

আর তার পুরস্কার তিনি দিয়েছেন দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে। তার আপন ছোট ভাই এবার উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। 

জাহিদ মালেক হলেন আওয়ামী লীগের ভাগ্যবান এক ব্যক্তি, যিনি রাজনীতিতে কোনো রকম ত্যাগ তিতিক্ষা না করেই অনেক কিছু পেয়ে গেছেন। বিশেষ করে তার বাবা ছিলেন স্বৈরাচারের দোসর এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কর্নেল মালিকের মতো স্বৈরাচারের দোসরদেরকে ছাত্র জনতাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল।

 সেই কর্নেল মালেক পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদান এবং তার সূত্র ধরে জাহিদ মালেক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মানিকগঞ্জ থেকে।

 তিনি ২০১৪ সালে প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৮ সালে পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি এখন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটিরও সদস্য। অথচ তিনি কিনা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তার ভাইকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন।

গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের নেতা এবং জেষ্ঠ্যতম মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি এতোই ভাগ্যবান যে শেখ হাসিনা তাকে তিনবার দলের জেষ্ঠ্যতম মন্ত্রী হিসেবে অলঙ্কৃত করেছেন। মন্ত্রী হিসেবে তিনি কতটুকু সফল হয়েছেন সেটি সাধারণ জনগণ ভালো মতোই জানেন। 

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পর একজন জেষ্ঠ্যতম মন্ত্রী হয়েও তিনি দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তার ভাতিজা মুরাদ কবীরকে কালিয়াকৈর উপজেলায় প্রার্থী করেছেন। 

অপরদিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২০১৮ সালে সাবেক মন্ত্রী এড রহমত আলী মনোনয়ন না কেনায় মনোনয়নের স্বর্ণ দুয়ারে পা রাখেন জেলার সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ।

উত্তাল জনসমুদ্রের কাফেলায় দাড়িয়ে তিনি প্রথমবারের মত মনোনয়ন পেলেও এমপি হয়ে তিনি তার চিরায়ত সততার জায়গা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর  প্রয়াত এড রহমত আলীর প্রতি শ্রদ্ধার উপহার হিসেবে তার কন্যা রুমানা আলী টুসিকে সংরক্ষিত আসনের এমপি করেন শেখ হাসিনা।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করেন।

তিনিও শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থি করেছেন নিজের আপন বড় ভাই জামিল হাসান দুর্জয়কে।

একই সাথে শিল্প শহর শ্রীপুরের সকল মিল ইন্ডাস্ট্রির কান্ডারী করেছেন জামিল হাসান দুর্জয়কে।এমন বাস্তবতা এখন গাজীপুর-৩ আসনের সর্বত্রই।

এরকম তালিকা অনেকে দীর্ঘ। যারাই যত বেশি সুযোগ পেয়েছেন তারাই তত বেশি দলের শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।শেখ হাসিনার বিশ্বাসের অমর্যাদা করেছেন। এটাই আওয়ামী লীগের একটি বড় ট্রাজেডি।


আরও খবর