Logo
শিরোনাম

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় বাকলজোড়া ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোনা):

নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরের বাকলজোড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভোটের মাঠে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত আগমন দেখা গেছে।

প্রথমবারের মতো দূর্গাপুরে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

এতে কিছুটা অসুবিধা হলেও প্রিজাইডিং অফিসাররা ডামিতে শিখিয়ে দিচ্ছেন।  

উল্লেখ্য,  গত ১০ জানুয়ারি বাকলজোড়া ইউনিয়নের  সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী তালুকদারের মৃত্যুর পর পদটি শুন্য হয়। 

শূন্য পদে উপ নির্বাচনে ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। 

এর মাঝে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক (নৌকা) স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ তালুকদার (মোটরসাইকেল) ও সিরাজুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহ দুই প্লাটুন বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

এই ইউনিয়নে ভোটার রয়েছেন ২৩ হাজার ৭শ ৫৪ জন।  এরমধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ১৮১ নারী ১১ হাজার ৫৭৩ জন।

৭ নং পাইক পাড়া বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বিজন কান্তি ধর জানান সুন্দর সুষ্ঠু ভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

প্রিজাইডিং অফিসার বিজন কান্তি ধর জানান, সকাল ৮.৩০ থেকেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে এই প্রথমবার ইভিএম পদ্ধতি ভোট গ্রহণ চলছে, তাই ভোট দিতে হালকা অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু আমরা সবাইকে বলছি নির্দ্বিধায় ভোট দিতে। কালকা সমস্যাগুলো আমরা উপস্থিত থেকে সমাধান করে দিচ্ছি। ভোটারগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দিচ্ছে। 

এছাড়া দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট গণ কেন্দ্র গুলোতে উপস্থিত থেকে ভোট গ্রহণ তদারকি করছেন।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থা ভোটরা এসে ভোট তবে বাকলজোড়া কেন্দ্রে আমার অনুসারীদেরকে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা করছে। এই বিষয়ে আমি অভিযোগ করেছি, দেখা যাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি ব্যবস্তা গ্রহণ করে। এছাড়া সার্বিকভাবে ভোট গ্রহণ ভালোই চলছে। 


আরও খবর



রোহিঙ্গারা কেড়ে নেওয়া গ্রাম ফেরত চান

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

রোহিঙ্গা ক্যাম্পজুড়েই এখন মিয়ানমারে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে। কিন্তু দুই বারের ব্যর্থতার পরে এবারও প্রত্যাবাসন সফল হবে কিনা, তা নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা। তারা তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে আগ্রহী। তবে পুর্নবাসন ক্যাম্পে নয়, ফিরে পেতে চান তাদের গ্রাম ও ভেটেমাটি। খবর বিবিসির।

টেকনাফের নেসার পার্ক এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবু শামার বাসাটি আর দশটি ঘরের মতোই বাঁশের বেড়া আর ছাদে মোটা ক্যানভাস কাপড় দিয়ে তৈরি। ১০ ফুট বাই ১০ ফুট সেই ঘরের দরজার সামনে বসে তার সঙ্গে কথা বলার সময় একটু পর পর আসা বাতাসে ঘরের ছাদ নড়াচড়া করছিল। এখানে এভাবে থাকতে কষ্ট হয়, বাড়ির কথা মনে পড়ে - বলছিলেন আবু শামা। কিন্তু মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ যেসব কথা বলে তাদের নিয়ে যেতে চাইছে, তাতে তিনি যাবেন না।

আঞ্চলিক রোহিঙ্গা ভাষায় আবু শামা বলেন, ‘’তারা আমাদের নিয়ে ক্যাম্পে রাখবে। সেখানে তারা এই রকম ছোট ছোট ঘর বানিয়েছে। আমাদের নাগরিকত্ব দেবে না, অতিথির মতো একটা কার্ড দেবে। সেখানে গেলে তো আমাদের সেই ক্যাম্পেই আটকে রাখা হবে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ দেখাতে বাংলাদেশ থেকে যে বিশ জনকে গত শুক্রবার মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিলেন আবু শামা। সেখানে পরিবেশ ঘুরে দেখে তার কাছে স্বস্তিকর মনে হয়নি। কারণ তার মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গিয়ে তাদের আবার আটকে রাখার একটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে জমি-জমা, নাগরিকত্ব দেয়ার যেসব কথা বলছে, তাতেও তিনি কোন ভরসা পাচ্ছেন না।

এমনকি তাকে নিজের ফেলে আসা গ্রামেও যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। দূর থেকে তিনি শুধুমাত্র দেখতে পেয়েছেন যে একসময় যেখানে তার গ্রাম ছিল, সেই কাউয়ার বিল এখন ফাঁকা মাঠ। ঘাস-জঙ্গল গজিয়ে গিয়েছে।

একই রকম বক্তব্য মিয়ানমার ঘুরে আসা আরেকজন রহিমা বেগমেরও। মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই ১১ সন্তানের মা-হওয়া রহিমা বেগম বলছেন, ‘’তারা যদি আমাদের নিয়ে ক্যাম্পেই রাখে, তাহলে তো আমরা এক ক্যাম্প থেকে আরেক ক্যাম্পে গিয়ে পড়লাম। এখানে তাও তো ভালো, কেউ ভয়ভীতি দেখায় না।‘’ রহিমা বেগমের ছয় সন্তান মারা গেছে। জীবিতদের মধ্যে এক মেয়ে এখনো মিয়ানমারে রয়েছে, বাকি চারজন তার সঙ্গেই থাকে। এদের সবাইকে নিয়ে তিনি ক্যাম্পের একটি কক্ষে থাকেন। এই ছেলেমেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তিনি মিয়ানমারে যেতে চান। কিন্তু সেজন্য তার রয়েছে আলাদা দাবি।

রহিমা খাতুন বলেন,‘‘ আমাকে আমার বাড়িতে যেতে দিক। আমাকে কোন রেশন, কোন টাকাপয়সা দেওয়া লাগবে না। আমাদের ঘরবাড়িও আমরাই তৈরি করে নেবো। খালি আমাদের সেই গ্রামে গিয়ে নিরাপদে বসবাসের সুযোগ দিক আর নাগরিকত্ব দিক, তাইলেই হবে। মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের ফ্র্যাংকপুরে তার একটি ছোট ভিটে-বাড়ি ছিল, বাড়িতে গাছপালা, গরু-ছাগল ছিল। কিন্তু এখন সেখানে আর কোন ঘরবাড়ি নেই। পুরো জায়গাটি জঙ্গলের মতো হয়ে রয়েছে বলে তিনি দেখতে পেয়েছেন।

মংডু শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে অনেকটা বাংলাদেশের গুচ্ছগ্রামের আদলে মডেল ভিলেজ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে চার হাজার রোহিঙ্গা থাকতে পারবে, এমন ১৫টি মডেল ভিলেজ তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যেই এরকম দুটি গ্রাম তৈরি করা হয়েছে, যা প্রতিনিধি দলকে দেখানো হয়।

মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমে তাদের ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট (এনভিসি) দেওয়া হবে। পরবর্তীতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মোহাম্মদ সলিম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’আমাদের গ্রামগুলোয় সেনাবাহিনী ও পুলিশের ব্যারাক, ফাঁড়ি ও চৌকি তৈরি করা হয়েছে। আর আমাদের থাকার জন্য কিছু জায়গায় ক্যাম্পের মতো করে শেড তৈরি করা হয়েছে। একটা রুম আর একটা টয়লেট। তারা যদি আমাদের সত্যিই নিয়ে যেতে চায়, তাহলে আমাদের গ্রামেই আমাদের থাকার সুযোগ করে দিক। আমাদের মেহমান করে না নিয়ে নাগরিকত্ব দিয়ে দিক।

উখিয়ার ইউনুস মাঝি বলছেন, ''এর আগে দুইবার আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। শেষবার মেরে কেটে ঘরবাড়িতে আগুন দিয়েছে। আবার গিয়ে আবার মারধর খেয়ে ফেরত আসতে চাই না। তারা যদি নিতেই চায়, অন্যসব জাতির মতো আমাদেরও সমান অধিকার দিয়ে, নাগরিকত্ব দিয়ে নিয়ে যাক।

মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের মধ্যে নানারকম মত থাকলেও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আশা করছেন, প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া এবার শুরু করা যাবে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) কমিশনার মিজানুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘’মিয়ানমারের সদিচ্ছা রয়েছে বলে আমরা দেখতে পেয়েছি। বাংলাদেশের কাছে রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে প্রত্যাবাসন। আমরা চাই সেটা যেন টেকসই হয় এবং স্বেচ্ছামূলক হয়। 

রোহিঙ্গাদের দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, যে সংকট দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হয়েছে, সেটা তো একদিনে সমাধান হবে না। আস্তে আস্তে সবকিছুর সমাধান হবে।

রোহিঙ্গা নেতারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, প্রতিনিধি দলের অসন্তোষের বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শনিবার কয়েকজন রোহিঙ্গা সদস্যকে কক্সবাজারে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলে নিজ দেশে ফিরে যেতে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। তারা এই রোহিঙ্গা সদস্যদের বলেছেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতেই হবে, যদিও কাউকে জোর করে মিয়ানমারে পাঠানো হবে না।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আট লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছিল।

এরপর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি ফিরতি তালিকা পাঠানো হয়। ওই তালিকা থেকে পরিবার ভিত্তিক প্রত্যাবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১৪০ জনকে বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ৭১১ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সম্মতি দিলেও বাকি ৪২৯ জনের ব্যাপারে তাদের আপত্তি ছিল। গত মার্চে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল এসে এদেরসহ মোট ৪৮০ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই করে দেখেছে।

২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের মুখে আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা সে দেশের রাখাইন প্রদেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। আগে আসা রোহিঙ্গা মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন প্রায় সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




রাঙ্গাবালীতে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় কর্মহীন জেলেদের ভিজিএফ চাল বিতরণ শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী :

দেশের মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও মাছের বংশবিস্তারে সাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন বেকার-কর্মহীন থাকা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার জেলেদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।  

সোমবার উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের ২ হাজার ৩৯৩ জন জেলেকে এই সহায়তা দেওয়া হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা খাদ্যগুদাম মাঠে তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে  সুবিধাভোগী জেলেদেরকে বরাদ্দ অনুযায়ী চাল দেওয়ার কথা জানিয়ে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, 'এই নিষেধাজ্ঞার প্রথম কিস্তিতে ৫৬ কেজি করে সুবিধাভোগী জেলেদেরকে চাল দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ পেলে তাও দ্রুত সময়ের মধ্যে বিতরণ করা হবে। ফলে সঠিক সময়ে চাল পেয়ে উপকৃত হবেন জেলেরা। '

এরআগে রোববার উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের জেলেদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়। বাকি বড়বাইশদিয়া, চরমোন্তাজ, চালিতাবুনিয়া ও মৌডুবি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে চাল বিতরণ হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। 

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, রাঙ্গাবালী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১২ হাজার ৮২০ জন জেলে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় কর্মহীন থাকাকালীন এ ভিজিএফ সুবিধা ভোগ করবেন। তাদের প্রত্যেকে প্রথম ৫৬ কেজি এবং পরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। 

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বাবুল জানান, ইতোমধ্যে সুন্দরভাবে  রাঙ্গাবালী ও ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে চাল বিতরণ হয়েছে। শিগগিরই বাকি ইউনিয়নগুলোতেও চাল বিতরণ হবে। 


আরও খবর



মেট্রোরেলের যাত্রীসেবায় ভ্যাট মওকুফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মেট্রোরেলের যাত্রীসেবার ওপর মূল্য সংযাজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ অব্যাহতি কার্যকর থাকবে।

সম্প্রতি রাজস্ব বোর্ডের এক বিশেষ আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, মেট্রোরেল বাংলাদেশের প্রথম সর্বাধুনিক গণপরিবহন। মেট্রোরেল যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কর্মঘণ্টা সাশ্রয়ে বিরাট ভূমিকা পালন করবে। মেট্রোরেল চালু হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে এ জাতীয় গণপরিবহনকে অধিক জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এ গণপরিবহনে যাতায়াত ব্যয় সাশ্রয়ী করা প্রয়োজন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সালের ৪৭ নং আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মেট্রোরেল সেবার ওপর আরোপণীয় মূল্য সংযোজন কর ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এ আদেশ ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর হতে কার্যকর হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।

গত মার্চে যাত্রীদের কোনো শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় মেট্রোরেলের যাত্রীসেবার ওপর কোনো মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রযোজ্য নয় উল্লেখ করে ভ্যাট ছাড় চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এমন অবস্থায় ডিএমটিসিএল থেকে ভ্যাট আদায়ে রাজস্ব বোর্ডের দিকনির্দেশনা চায় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ)।

এনবিআরের আইন অনুযায়ী তাপানুকূল (এসি) ও নন-এসি রেলওয়ে সার্ভিসের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রযোজ্য রয়েছে। তবে ডিএমটিসিএলের দাবি ছিল মেট্রোরেল এবং মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় যাত্রীসেবার ওপর কোনো ধরনের মূসক প্রযোজ্য হবে না।


আরও খবর



নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে অ-ব্যাস্থাপনায় আমি লজ্জিত...জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর পতিসরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকীর উৎসব এর উদ্বোধনী দিনে অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করেছেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। নানা নাটকীয়তার পর তিনি এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি অ-ব্যবস্থপনার কথা স্বীকার করেন। আগামী দিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার প্রতিশ্রুতি দেন।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময়ে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি কায়েস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শফিক ছোটন, নওগাঁ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়নসহ বিভিন্ন উপজেলা প্রেস ক্লাব ও উপজেলার সাংবাদিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। এসময়  জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা পতিসরের সাংবাদিকদের অ-সস্মানিত করার তীব্র প্রতিবাদ করে জেলা প্রশাসকের কাছে ব্যখ্যা চান। 

রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অ-সম্মান করার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আয়োজনের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের বসার কোন জায়গা না থাকায় তিনি বিব্রত ও লজ্জিত হয়েছেন। এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। আগামীতে কোন আয়োজনে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় তার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক।

প্রসঙ্গত, পতিসরে এবার বিশ্বকবির জন্মোৎসবের মূল আয়োজন ছিলো। ৩ দিনের অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে অব্যবস্থাপনার কারনে আগত সাংবাদিকরা অসম্মানিত হোন। এ ঘটনায় নওগাঁ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকরা প্রতিকার চেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।

এসব ঘটনার জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসনকে দায়ি করেন তারা। ঘটনার সুষ্ঠ সম্মান জনক সমাধানের দাবি জানিয়ে আন্দোলন কর্মসূচী দেয় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব। তাদের আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠন। সেই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। কয়েক দিন নাটকীয়তার পর জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় বসেন।

এদিকে জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে জড়ো হোন। সেখানে বক্তারা আগামী দিনে দেশ ও মানুষের কল্যানে কাজ করার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষা ও অধিকার আদায়ে একাত্ন থাকার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



কবুতরের বাচ্চার জন্য বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেলেন স্বামী-স্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

হাজীগঞ্জ(চাঁদপুর)প্রতিনিধি :

 কবুতরের বাচ্ছা বিড়ালে খেয়ে ফেলে তাই বিড়ালকে ধরার জন্য বিদ্যুতের তার কবুতরের বাসার চারদিকে জড়িয়ে দেন। সেই তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎতায়িত হয়ে পড়েন মমিন মিজি (৭০)। স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন স্ত্রী নূর জাহান বেগম (৬০)। নূর জাহান বেগম নিজে ও এ সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়েন। বাড়ির লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উভয়কে মৃত ঘোষনা করেন।  শুক্রবার (২ জুন) বিকালে ঘটনাটি ঘটে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মিজি বাড়ীতে। নিহত মমিন মিজি এ বাড়ির মৃত আ. গফুর মিজির ছেলে।  নিহত দম্পতি ১ ছেলে ও ৩ মেয়ের জনক-জননী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,

 মমিন মিজি বাড়ীতে কবুতর পালতেন। কবুতরের বাচ্চা বিড়ালে খেয়ে ফেলায় কবুতরের বাসার দু’পাশে বিদ্যুতের তার প্যাচিয়ে রেখেছেন। এদিন বিকালে তিনি  কবুতরের বাসায় কবুতর দেখতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যান। এ সময় পাশে অবস্থানকারী স্ত্রী নূরজাহান তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি ও বিদ্যাৎতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দু'জনে।  কিছু পরো বাড়ীর লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে, তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের ব্যবস্থা করেছি।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই মৃতদেহ দাফনের অনুমতি দেয়ার প্রকৃয়া চলছে।


আরও খবর