শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :
নওগাঁয় জাল সনদে শিক্ষকতা, ১৪ বছরে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ১৯ লাখ টাকা উত্তোলন এর ঘটনা ঘটেছে।
নওগাঁর ধামইরহাটের কাশিপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী (ইসলাম শিক্ষা) বিষয়ের শিক্ষক কোহিনূর পারভীন জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে ১৪ বছরের বেশি সময় চাকরি করেছেন। সম্প্রতি তার সনদটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যাচাই করে তা জাল বলে প্রমাণ পেয়েছে। কোহিনূর পারভীন জাল সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়ার পর একেক সময় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোজাম্মেল হক এর যোগসাজশে একের পর এক জাল সনদ দাখিল করেন।শিক্ষক কোহিনূর পারভীনের সনদটি জাল বলে যাচাই প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন এনটিআরসিএ এর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম।
এর আগে গত ১০ নভেম্বর ২২ তারিখে এনটিআরসিএ শিক্ষক কোহিনুর পারভীনের নিয়োগকালীন সব কাগজপত্র সহ তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কপি চেয়ে মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট এর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলো এনটিআরসিএ। কিন্তু সেই সময় ওই চিঠির পর কোন কাগজপত্র না পাঠানোর জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১০ দিন সময় দিয়ে আবারও চিঠি পাঠান এনটিআরসিএ এর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম। এরপর ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোজাম্মেল হক ওই শিক্ষকের কাগজপত্র প্রেরন করেন। কাগজপত্র যাচাই শেষে এনটিআরসিএ থেকে গত ২২ মার্চ পাঠানো যাচাই প্রতিবেদনে এ জাল ও ভুয়া সনদধারীর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে থানায় মামলা দায়ের করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকেনির্দেশ দিয়েছে এনটিআরসিএ।
প্রতিবেদকের হাতে থাকা কাগজপত্রে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জানুয়ারি নিয়োগ পেয়ে ১০ জানুয়ারি ওই মাদ্রাসায় যোগদান করেন কোহিনুর পারভীন এবং ওই বছরের ১ জুলাই থেকে এমপিওতে তার নাম আসে। নিয়োগের পর থেকে এ পর্যন্ত সে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ১৯ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে কোহিনূর পারভীনের মুঠোফোনে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যাস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন।
ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য নিতে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোজাম্মেল হক এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।