Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় করার দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বাজার, হাট ও দোকান গুলোতে সরকারের বেধে দেওয়া দামে নিত্যপণ্য বিক্রি করতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে উপজেলা প্রশাসন। 

এসময় গরু-ছাগলের হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের দায়ে ও মুল্য তালিকা না থাকায় হাট কর্তৃপক্ষকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে কোন ব্যবসায়ী কিংবা কোন দোকানীরা পণ্য বিক্রিতে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করছে কিনা সেই বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত এই ধরণের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আবাদপুকুর হাটে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসময় গরু-ছাগলের হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের দায়ে ও মুল্য তালিকা না থাকায় হাট কর্তৃপক্ষকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্য এক দোকানে ফলের দাম বেশি রাখায় ২শ' টাকা অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন। এসময় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সদস্য প্রমুখ ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন সারা বছরই বাজারের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরমধ্যে রমজান মাস একটি বিশেষ সময় বলে এই সময়ে যেন কোন ব্যবসায়ী ও দোকানীরা ক্রেতাদের জিম্মি করে সরকারের বেধে দেয়া দামের বাহিরে কোন পণ্যের অতিরিক্ত দাম না নেয় সেই বিষয়টি ঠিক রাখতেই মূলত অভিযানগুলো পরিচালনা করা হয়ে থাকে। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে উপজেলার বিভিন্ন হাট, বাজার, খাবার হোটেল, বিভিন্ন দোকানে এই শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রেখেছি। জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক আগামীতেও এই ধরনের  অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। 


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের ফেরাতে নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন চাইলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, আমরা জাতিসংঘ, আসিয়ান এবং আঞ্চলিক দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে গৃহীত পাইলট প্রকল্পকে সমর্থন করতে এবং এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের সমাজে পুনরায় একীভূত হতে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানাই।

নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। ২০ মে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

রাষ্ট্রদূত মুহিত নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন, উভয় পক্ষ রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

এই প্রকল্পের অধীনে একদল রোহিঙ্গা প্রথম ব্যাচে মিয়ানমারে ফিরে যাবে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের প্রত্যাবাসন করা হবে।

তিনি আরও জানান, গত ৫ মে ২০ জন রোহিঙ্গার একটি দল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যান। সেখানে তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।

পাইলট প্রকল্পটিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, এর আওতায় রোহিঙ্গাদের পারিবারিক ইউনিটে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তবে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর আবার যেন তারা সেখানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নিপীড়নের সম্মুখীন না হয় সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মুহিত।

তিনি আরও বলেন, রাখাইনে কনফিডেন্স বিল্ডিং পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মানবিক ও উন্নয়ন অংশীদারদের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য এবং এ লক্ষ্যে আমরা আঞ্চলিক সদস্য দেশগুলিকেও রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে সহায়তা করার আহ্বান জানাই।

রোহিঙ্গাদের ওপর অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য এবং আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ অংশগ্রহণ করে।

সভায় উপস্থিত সদস্যরা, অন্যান্যদের মধ্যে, ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের বর্তমান মানবিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

তারা মিয়ানমারের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আসিয়ানের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং রাখাইনের অবস্থার উন্নতির জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




ধামরাইয়ে ১৫ বছরেও স্বীকৃতি পায়নি ভাকুলিয়া ধুম কেতু প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাইয়ে একেবারেই নিবৃত্ত পল্লী এলাকায় একটি  প্রাথমিক  বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে এমন প্রত্যাশা  নিয়ে  ১৫ বছর পূর্বে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিবের বরাবর  ৩৩ শতাংশ ভূমি দানপত্র দলিল দেন গ্রামের হিতৈষী ব্যক্তিরা। 


শর্তঅনুযায়ী  জমি দান করে দিলেও এখনো সরকারীভাবে কোন স্বীকৃতিই পায়নি ভাকুলিয়া ধুম কেতু বেসরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।


জানা গেছে, উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত ৫ নং ওয়ার্ডে ছোট-বড় গ্রাম রয়েছে ৫ টি। জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় চার হাজার। এ ওয়ার্ডে ছোট ছোট কোমনমতি ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে উঠেনি। এমনকি আড়াই থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যেও কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। 


ভাকুলিয়া এলাকায় কোন বিদ্যালয় না থাকার কারণে কোমলমতি শিশুদের দূরের অন্য গ্রামের  বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা থাকেন মহা-দুঃশ্চিতায়।

 

৫ নং ওয়ার্ডের অর্থাৎ ৫ টি গ্রামের কোমলমতি ছেলে- মেয়েদের লেখা পড়ার কথা চিন্তা করে গ্রামের হিতৈষী ব্যক্তিবর্গ ঐক্যমতের ভিত্তিতে নিজেদের খরচে ১৯৯৪ সালে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এখানে  টিন কাঠ/ বাশ দিয়ে  ৫ কক্ষ বিশিষ্ট  দুইটি ঘরও নির্মাণ করা হয়  । এ বিদ্যালয়ের নাম দেয়া হয় ভাকুলিয়া ধুম কেতু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।


এরপর ১৯৯৭ সাল থেকে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে  শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়।  এরমধ্যেই ১৯৯৮ সালে ২৬ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিবের বরাবর  ৩৩ শতাংশ ভূমি দানপত্র দলিল করেও  দেয়া হয়। 


ভাকুলিয়া ধুম কেতু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০২ সাল পর্যন্ত সুনামের সহিত শিক্ষা কার্যক্রম  চালিয়ে যায় অবৈতনিক শিক্ষকরা।


 ওই সময় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকির ও দায়িত্বে অবহেলা অন্যদিকে শিক্ষকদের সম্মানী না দেয়ার কারণে দিনে দিনে বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। 


বর্তমানে ওই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষা কার্যক্রম না চললে ও রয়েছে সেই টিনের ঘর ও সামনে  রয়েছে উন্মুক্ত খেলার মাঠ। এ মাঠে বিকেলে ছোট ছোট ছেলে - মেয়েদের খেলা- ধূলা করতে দেখা  যায়। মাঠে খেলা- ধূলার চর্চা থাকলেও নেই বিদ্যালয়ে ছেলে মেয়েদের লেখা-পড়া। 


সরকারের কাছে গ্রাম বাসীর জুড়ালো দাবি বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে  যেন সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত করে পুণঃরায়  শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়।


এ প্রসঙ্গে চৌহাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ভাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সারোয়ার সরকার বলেন, কোমলমতি শিশুদের লেখা পড়ার কথা চিন্তা করে আমি  আবুল কালাম আজাদ এবং রফিজ উদ্দিন সিদ্দিকী ১৯৯৮ সালে ২৬ জুলাই  ৬৭৯৩ নং  দলিল মূলে ৩৩ শতাংশ ভূমি স্কুলের নামে দান করে দিয়েছি।


চৌহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভীন হাসান প্রীতি বলেন, ওই গ্রামে বিদ্যালয় থাকাটা অত্যন্ত জরুরি কেননা এর আশপাশেও কোন স্কুল নেই। 


উপজেলা শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক)  তাজমু্ন্নাহার বলেন, বিদ্যালয়ের বিষয়টি নিয়ে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সাথে কথা বলবো।


আরও খবর



ধামরাইয়ে যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার): 

ঢাকার ধামরাইয়ে রুহুল আমিন (২০) নামে এক যুবক নিজ শোবার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা পশ্চিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রুহুল আমিন ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া জালসা গ্রামের আওলাদ হোসেনের ছেলে। সে ভালুম আতাউর রহমান খান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, রুহুল আমিন কলেজে পড়াশোনা করতো। এর ফাঁকে প্রেম করে পরিবারের অমতে ৪ মাস আগে বিয়ে করে রুহুল। রুহুলের শ্বশুর বাড়ি নিম্ন শ্রেণির হওয়ায় মেনে নেয়নি তার পরিবার। তারপর থেকেই ঝামেলা শুরু। পরিবারের আদরের সন্তান হয়ে যায় চোখের কাঁটা। পরে গতকাল রাতে রাগ অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শরিফ মফিজুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।


আরও খবর



বাজারে অসহায় ক্রেতা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

বাজারে সাধ্যের বাইরে সবকিছুর দাম। ফলে অস্বস্তি বাড়ছে ক্রেতাদের মধ্যে। এ অবস্থায় অর্থ সাশ্রয়ে খুচরা বাজার থেকে সরাসরি পাইকারি বাজারে চলে যাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। বেশির ভাগ ক্রেতা বলছেন, টাকা বাঁচাতে তারা এখন পাইকারি বাজারেই ভিড় করছেন। কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছে না। কারণ, পাইকারি বাজারে সব সবজির দামই বেশি। পাইকারি বাজারে শুধু আলু ৩০ টাকায় এবং লেবু এক ডজন ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বাজারের সব ধরনের সবজি ৬০ টাকার ওপরে, যা খুচরাপর্যায়ে গিয়ে আরো বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে, বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংস, দেশি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মাংসের সঙ্গে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মাছের দামও। ফলে আমিষের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ফলে আমরা সব জায়গাতেই অসহায়।

রাজধানীর পাইকারি সবজির আড়ত কারওয়ান বাজারের এর সঙ্গে খিলগাঁও রেলগেট বাজার, গোড়ান বাজার, মেরাদিয়া হাটের মতো স্থানীয় পর্যায়ের খুচরা বাজার ঘুরে দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। কিন্তু খুচরা বাজারে সেই করলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। পাইকারি বাজারে ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, যা খুচরাপর্যায়ে ৬০ টাকা। পাইকারিতে পটোলের কেজি ৩৫-৪০ টাকা, যা খুচরা পর্যায়ে ৮০ টাকা। পাইকারিতে টমেটোর কেজি ৩০ টাকা, যা খুচরা পর্যায়ে ৬০ টাকা। পাইকারিতে চিচিঙ্গার কেজি ৩৫-৪০ টাকা, যা খুচরায় ৮০ টাকা। আকারভেদে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত, যা খুচরা বাজারে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে লেবুর ডজন (১২ পিস) ২০-৩০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন মো. সোহাগ। মা এবং ভাইসহ থাকেন শাহীনবাগে। মা তাকে বাসার জন্য বাজার করতে পাঠিয়েছেন। নিয়মিত তার বড় ভাই বাজার করতে আসেন। মায়ের অনুরোধে বাজারে গিয়ে সবজির দাম শুনে মাথা ঘুরছিল তার। হাতে যে বাজারের তালিকা ছিল, তার মধ্যে বেশ কটি পণ্য কেনা বাকি ছিল। কিন্তু টাকায় কুলায়নি! দাম বেশি হওয়ায় ও পকেটে হিসাবের বাড়তি টাকা না থাকায় কিছু পণ্য বাদ রেখেই বাজার থেকে বাসায় ফিরছেন। তিনি বলেন, পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় বাজার করতে এসেছি। খুচরা বাজারে সবকিছুর দাম বেশি, তাই কম দামের কথা চিন্তা করে বাসার কাছে হওয়ায় কারওয়ান বাজারে আসা। কিন্তু এখানেও দাম অনেক! টাকায় টান পড়ায় প্রয়োজনের সবকিছু কেনা হয়নি। আগে দুই হাজার টাকার মধ্যে পাইকারি বাজার থেকে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা যেত। এখন দাম বাড়ায় এই অল্প টাকায় প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যই কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সোহাগের মতো অবস্থা অধিকাংশ ক্রেতার। সাধ্যের মধ্যে ভরছে না তাদের বাজারের ব্যাগ।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা ফোরকান আহমেদ বলেন, ঈদের পর সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে সবজির গাড়ি কম আসছে। পাশাপাশি লেবার খরচও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। যে কারণে পাইকারি বাজারে সবজির দাম বাড়তি।

রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে ফুলকপি, লাউ প্রতি পিস ৮০ টাকায়, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু কমের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে লেবু ৩০ টাকা হালি এবং আলু প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা। এ ছাড়া দাম বেড়ে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ধনেপাতার দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।

পাশাপাশি ঢেঁড়স, শসা, টমেটো, চালকুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫-৭০ টাকায়। ঝিঙে, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, পটোল, কাঁচা, পেপে, প্রতি কেজি ৮০ টাকা। করলা, গাজর, লতি, প্রতি কেজি ১০০ টাকা। কাঁকরোল ১২০ টাকা কেজি। কচুরমুখি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা।

খিলগাঁও রেলগেট বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা ফজলে রাব্বি বলেন, বাজারে এখন বেচাকেনা কম। মানুষের কাছে টাকাপয়সা নেই। আগে যেখানে প্রতিদিন ৪০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতাম, এখন সেখানে ৩০ হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারি না। লাভ করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে যায়। কারণ মালের দাম তো বাড়তি।

এদিকে, বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংস, দেশি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মাংসের সঙ্গে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মাছের দামও। ফলে আমিষের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে প্রতি কেজি গরুর মাংস গত এক বছর আগেও ছিল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার মতো। এক বছরে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে গরুর মাংস বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। কোনো কোনো বাজারে যা ৮০০ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে।

টিসিবির হিসাবে, বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮৫ থেকে ২১৫ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও এ দামে বিক্রি হচ্ছে না। বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজিতে। এক বছরের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়।

খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি ৭৫ টাকা এবং হাঁসের ডিমের হালি ৭০ টাকা। অন্যদিকে খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এক বছরে পণ্যটির ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ দাম বেড়েছে, যা এক বছর আগেও বিক্রি হতো ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়। তবে মাংসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে নানা যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন বিক্রেতারা। বলছেন, বর্তমানে সবকিছুর দামই বেড়েছে। গো-খাদ্য ও পোলট্রি ফিডের দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম। ফলে খরচও আগের থেকে অনেক বেড়েছে। তাই মাংসের দামও বাড়তি।

 


আরও খবর



ইমরান খান গ্রেপ্তার, উত্তপ্ত পাকিস্তান

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী পাক রেঞ্জার্স।

দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছে রেঞ্জার্স।

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়ার সময় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে পিটিআই চেয়ারম্যানকে হেফাজতে নিয়েছে পাক রেঞ্জার্স। তিনি তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত একাধিক এফআইআরে জামিন চাওয়ার জন্য আদালতে গিয়েছিলেন।

 এ ঘটনায় দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। খবর ডনের।

এদিকে ইমরান খানকে নির্যাতন করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে পিটিআই। তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

পিটিআইর সহ-সভাপতি ফাওয়াদ চৌধুরী টুইটারে বলেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট রেঞ্জার্সের দখলে। সেখানে আইনজীবীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ইমরান খানের গাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে।

ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে করাচিতে একটি রাস্তা অবরোধ করে পিটিআইয়ের সমর্থকরা। ছবি: এএফপি

পিটিআই নেতা মুসাররাত চিমা টুইটারে এক ভিডিওবার্তায় বলেছেন, তারা (রেঞ্জার্স) এখন ইমরান খানকে নির্যাতন করছে। তারা খান সাহেবকে মারছে। ওরা খান সাহেবের সঙ্গে কিছু করেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের ভিডিওতে দেখা যায়, ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পর ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে পিটিআইয়ের কয়েকশ নেতাকর্মী জড়ো হলেপুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ।

পিটিআইয়ের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক রেঞ্জার্স সদস্য ইমরান খানকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে দ্রুত গাড়িতে তুলছে। আরেকটি ভিডিওতে তার আইনজীবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে। দলটি বলেছে, দেশকে রক্ষায় পাকিস্তানের জনগণকে এখনই বেরিয়ে আসতে হবে।

ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সাইফুল্লাহ জানিয়েছেন, আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সহায়তায় মঙ্গলবার বিকালে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমরানকে বেশ কয়েকবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও আদালতে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

ইমরানকে নির্যাতন করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় কোষাগারের ক্ষতি করার জন্য ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো তাকে গ্রেপ্তার করেছে।


আরও খবর