Logo
শিরোনাম

অনেক বেশী প্রবীণ নিবাস দরকার

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের জনমিতি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দশক থেকেই বাংলাদেশে বয়স্ক বা প্রবীণদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকবে এবং ২৫ বছর পরেই বাংলাদেশ পরিণত হবে একটি বয়স্ক সোসাইটিতে।

অথচ বার্ধক্য নিয়ে মানুষের মধ্যেও যেমন কোনো চিন্তা করতে দেখা যায় না, তেমনি প্রবীণদের জন্য সম্মানের সাথে আনন্দমুখর বার্ধক্য নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগও নেই।

কিছু ওল্ড হোম বা প্রবীণ নিবাস থাকলেও সেগুলোতে যারা থাকেন তাদের নিয়ে নেতিবাচক প্রচারই বেশি হয়। যেমন বলা হয়, ছেলে মেয়েরা বাসায় থাকতে দেয় না কিংবা খোঁজ খবর নেয় না বলেই তারা এখানে।

অথচ পরিবার কাঠামো এবং বাস্তবতা বিবেচনা করলে অনেক সময় চাইলেও সন্তানরা বয়স্কদের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে সেবা করতে পারে না। তাই নেতিবাচকভাবে না দেখে বরং ইতিবাচক দৃষ্টি থেকেই প্রবীণ নিবাসের মতো প্রাতিষ্ঠানিক কেয়ারের চিন্তা করা উচিত বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক এ এস এম আতীকুর রহমান। তিনি ১৯৮১ সাল থেকে প্রবীণদের নিয়ে কাজ করছেন।

অধ্যাপক আতীকুর রহমান বলছেন, ‘প্রতি উপজেলায় প্রবীণ নিবাস হওয়া উচিত। একজন মানুষ অবসরজীবন কিভাবে কাটাবে, তার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি কিভাবে নিশ্চিত হবে। এগুলো নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নেয়া দরকার।’

প্রবীণ নিবাস বা বৃদ্ধাশ্রম আছে কতগুলো
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বলছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৮৫টি শিশু পরিবার আছে। এর মধ্যে ছেলে শিশুদের জন্য ৪৩টি পরিবারে ১০ জন করে পুরুষ ও মেয়ে শিশুদের জন্য যে ৪১টি পরিবার সেখানেও ১০ জন করে নারী প্রবীণ থাকতে পারবেন।কর্মকর্তারা বলছেন, এ জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় এবং বিভিন্নভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয় যাতে প্রবীণেরা শিশু পরিবারগুলোতে আসেন।

এছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত ছয়টি প্রবীণ নিবাস আছে। এই প্রবীণ নিবাসগুলোতে ৫০ জন করে থাকার সুযোগ আছে।

এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে দেশে বেশ কয়েকটি বৃদ্ধাশ্রম আছে সাভার, গাজীপুরসহ কয়েকটি এলাকায়।

বাংলাদেশ হবে বয়স্কদের সোসাইটি

বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে দেশে এখন ষাটোর্ধ মানুষের সংখ্যা হলো মোট জনসংখ্যার আট দশমিক তিন শতাংশ যা ২০৩০ সাল নাগাদ এগার দশমিক ছয় শতাংশ হতে পারে।

অন্যদিকে ২০৩০ সাল নাগাদ ৬৫ বছরের বেশি মানুষের সংখ্যা হবে সাত দশমিক চার শতাংশ, যা ২০৪০ সালে হবে ১১ দশমিক ১ শতাংশ।

প্রবীণদের সংখ্যা ক্রমশ: বাড়তে থাকলেও ভবিষ্যতে এই জনগোষ্ঠীর সেবা ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং জনবল এখনো অপ্রতুল।

অধ্যাপক এ এস এম আতীকুর রহমান বলছেন, প্রবীণ আসলে তিন ধরণের। ৬০-৭০ বয়সীরা তরুণ প্রবীণ, ৭০-৮০ বছর বয়সীরা মধ্যম প্রবীণ এবং ৮০ থেকে তদূর্ধ্বরা অতি প্রবীণ।

২০৬১ সাল নাগাদ প্রবীণের মোট সংখ্যা পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কোনো দৃষ্টিই নেই কারো।

‘মধ্যম প্রবীণ বয়সে মানুষ বেশি অবসাদে ভুগতে শুরু করে। জীবনের বাস্তবতায় এখন পরিবার থেকে সেরকম সাপোর্ট পায় না তারা। এ কারণেই প্রবীণদের বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক চিন্তাভাবনা জরুরিভাবে শুরু করা দরকার,’ বলছিলেন তিনি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলছেন, ২০৩৫-৩৭ সাল সময়ের পর থেকেই মূলত তরুণদের তুলনায় ক্রমশ বয়স্কদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে এবং ২০৪৭ সাল নাগাদ বাংলাদেশ পরিণত হবে বয়স্কদের সোসাইটিতে।

একদিকে মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। আবার অন্যদিকে প্রজনন হার কমছে। সে কারণেই বয়স কাঠামোর মধ্যে একটা পর্যায়ে গিয়ে বয়স্কদের সংখ্যা বাড়বে। যে অভিজ্ঞতা জাপানের হয়েছে। এখন চীনের হচ্ছে। সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি বাংলাদেশকেও হতে হবে,’ বলছিলেন তিনি।

আতীকুর রহমান ইসলাম বলছেন, আধুনিকায়ন আর জীবনের প্রয়োজনে পরিবারগুলো ছোট হচ্ছে আবার অনেক পরিবারের সন্তানরাই শিক্ষা ও কাজের প্রয়োজনে পরিবারের বাইরে চলে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এসব পরিবার কিংবা যেসব বৃদ্ধ দম্পতির সন্তান নেই তাদের কী হবে? রাষ্ট্র ও সমাজকে তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় সহজে গ্রহণ হবে এমনভাবে সরকারি বা বাণিজ্যিকভাবে এল্ডারলি কেয়ার বা ওল্ড হোমের ব্যবস্থা করার কোনো বিকল্প হবে না।

‘তবে এগুলো করার সময় সচেতন থাকতে হবে যাতে এক বৃদ্ধ ব্যক্তি দরকারি সব সেবা পান সহজে এবং সেটা যেন তার জন্য সময় কাটানোর চমৎকার ব্যবস্থা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

জাতীয় প্রবীণ নীতিমালায় কী আছে
এ নীতিমালায় জাতিসঙ্ঘের ঘোষণা অনুযায়ী ৬০ বছরের বেশি ব্যক্তিকে প্রবীণ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সমাজসেবা অধিদফতরের হিসেব অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পায় প্রায় ৫০ লাখের বেশি মানুষ। প্রতিমাসে একজন ব্যক্তিকে ৫০০ টাকা ভাতা দেয়া হয়।

সরকারের এই পরিসংখ্যানে বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশে দরিদ্র প্রবীণদের সংখ্যা বেশ বড়। সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের বর্তমানে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ প্রবীণ জনগোষ্ঠী- বিশেষ করে যাদের বয়স সত্তরের বেশি।

বাংলাদেশে প্রবীণদের অধিকার সমুন্নত রাখা এবং তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকার ২০১৩ সালে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলো যেখানে প্রবীণদের সামাজিক সুযোগ সুবিধা, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা, দারিদ্র দূর করা, আর্থিক নিরাপত্তা, প্রবীণদের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও পুষ্টিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কেমন পদক্ষেপ নেয়া হবে তা বলা হয়েছে।

আর এর উদ্দেশ্য হলো প্রবীণদের মর্যাদাপূর্ণ, দারিদ্রমুক্ত, কর্মময়, সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ সামাজিক জীবন নিশ্চিত করা।

আইনে কতটা সুরক্ষা আছে বৃদ্ধদের জন্য?
বৃদ্ধ অবস্থায় মা-বাবাকে সন্তানের কাছ থেকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য ২০১৩ সালে 'পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন' প্রণয়ন করে সরকার, যেখানে মা-বাবার ভরন-পোষণ না করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

এই আইন অনুযায়ী, কোনো সন্তান তার মা-বাবাকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো বৃদ্ধ নিবাস বা অন্য কোথাও আলাদাভাবে বসবাস করতে বাধ্য করতে পারবে না।

মা-বাবার জন্য ভরন-পোষণ এবং চিকিৎসা ব্যয় মেটানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে এই আইনে এবং সন্তানরা যদি এসব দায়িত্ব পালন না করে তাহলে সেটি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

আইন অনুযায়ী মা-বাবা আইনের আশ্রয় নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বাড়ছে একাকীত্ব, অসহায়ত্ব
নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও বয়স্কদের মধ্যে একাকীত্ব যেমন বাড়ছে, তেমনি অনেকের জন্য তৈরি হচ্ছে অসহায়ত্বও।

ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যা করা ঢাকার ধানমণ্ডির মহসিন খান আত্মহত্যার আগে যেমন বলেছেন তার একাকীত্বের কথা।

তবে এটি শুধু শহরে নয় বরং গ্রামেও অনেক বয়স্ক বাবা মা সন্তানদের সাথে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না নানা কারণে।

অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলছেন, গ্রাম থেকে চাকরি ও শিক্ষার প্রয়োজনে এখন বহু মানুষ শহরে এমনকি দেশের বাইরেও যাচ্ছে।

আবার গ্রামেও যৌথ পরিবার কমে যাচ্ছে ফলে সেখানেও অনেক বৃদ্ধ দম্পতি বা প্রবীণরা সঙ্কটে পড়ছেন।

২০২১ সালের জুনে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নিজ সন্তানের হাতেই নিগ্রহের শিকার হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক বৃদ্ধ বাবা।

প্রবীণদের নিয়ে পরিকল্পনা নেই, দরকার প্রাতিষ্ঠানিক কেয়ার
একমাত্র সন্তান বিদেশে থাকে আর ঢাকায় নিজে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন নাজমা খাতুন।

তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই চাই না আমার সন্তান কাজকর্ম ফেলে দেশে এসে আমাকে নিয়ে পড়ে থাকুক। কাজের জন্যই তাকে গড়ে তুলেছি। আমি চাই আর কয়েক বছর পর আমার অবসরের পর আমি যেন আমার বয়সীদের সাথে কমিউনিটির মতো করে থাকার সুযোগ পাই।

তিনি বলেন, সন্তান তার মতো করে আপ্রাণ চেষ্টা করে আমার জন্য। কিন্তু সন্তানের ওপর বোঝা হওয়ার জন্য তো তাকে মানুষ করিনি।

‘আমি আত্মীয় স্বজনের জন্যও বোঝা হতে চাই না। একটি পরিবেশ চাই শুধু যাতে প্রবীণ হিসেবে সম্মানসূচক জীবন যাপন করতে পারি শেষ বয়সে। মাঝে মধ্যে বিদেশে মেয়ের কাছে বেড়াতে যাবো কিন্তু ফিরে এসে সমবয়সীদের সাথেই সময় কাটাতে পারি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মমতাজ বেগম বলছেন, তাদের ব্যাচের বন্ধুরা নিজেরা একটি ওল্ডহোম গড়ে তোলার কথা ভাবছেন যাতে শেষ বয়সে পরিবার বা ছেলে মেয়ের জন্য চিন্তার কারণ না হয়ে নিজেদের মতো করে।

অধ্যাপক এ এস এম আতীকুর রহমান বলছেন, দেশের মানুষ সবচেয়ে কম চিন্তা করেন তার বার্ধক্য নিয়ে আবার কর্তৃপক্ষের দিক থেকেও কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নেই যাতে করে একজন প্রবীণ ব্যক্তি তার সামর্থ্য অনুযায়ী থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, সমবয়সীদের সাথে সময় কাটানো এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারেন।

‘প্রবীণদের জন্য চারটি বিষয় অপরিহার্য- স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, খাদ্য ও বিছানার নিরাপত্তা, সমসবয়ীদের সাহচর্য, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। অনেক সময় ছেলে মেয়ে থাকলেও এগুলো হয়না। এজন্যই দরকার প্রাতিষ্ঠানিক কেয়ার বা যত্নের ব্যবস্থা।

এ এস এম আতীকুর রহমান বলেন, বিদেশে যেমন ওল্ড হোম বা বৃদ্ধাশ্রম আছে তেমনি বাংলাদেশের প্রতি উপজেলায় এখন প্রবীণ নিবাস গড়ে তোলা দরকার যেখানে সামর্থ্য অনুযায়ী প্রবীণরা থাকতে পারবেন।

বার্ধক্য নিয়ে নিজেকেও ভাবতে হবে
অধ্যাপক এ এস এম আতীকুর রহমান বলছেন 'আমার বার্ধক্য আমার'- এটা সবাইকে চিন্তা করতে হবে।

তিনি বলেন, পুষ্টির কথা বললে প্রথমেই সবাই ভাবে শিশু বা মায়ের কথা। কিন্তু এই পুষ্টি যে প্রবীণের জন্য কতটা বেশি দরকার সেটি কেউ ভাবছে না।

যারা অবসরে যাচ্ছে তারা কোথায় থাকবে। একটা বাসায় একা থাকা কতটা নিরাপদ। প্রত্যেকটি উপজেলায় সে কারণেই প্রবীণ নিবাস করা দরকার।’

তিনি বলেন, দেশে সরকারিভাবে যে প্রবীণ হিতৈষী সঙ্ঘ আছে সরকারের সেখানে একটি চমৎকার পরিবেশ আছে।

‘সেখানকার বৃদ্ধরা চিকিৎসা, খাওয়া এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পাচ্ছে। এ ধরণের প্রতিষ্ঠান দেশজুড়ে হওয়া দরকার।

এটিকে মডেল করেই সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে এ ধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেয়া উচিত এখনই।


সূত্র : বিবিসি


আরও খবর



চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকার প্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ট্যানারি শিল্পের জন্য শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একইসঙ্গে মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম যথাযথ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় এ প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি।

শনিবার (৪ এপ্রিল) সিপিডির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব প্রস্তাবনায় উঠে আসে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেমের নেতৃত্ব গবেষণা পরিচালনা করা হয়। সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা ও ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদসহ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাবনায় সিপিডি বলছে, শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ২০ হাজার ৫৬৪ ও নন-ফুড মূল্য ১২ হাজার ৮৮১ টাকা হিসেবে মাসে মোট ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে সিপিডি মনে করছে ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা। একইসঙ্গে আমাদের প্রস্তাব থাকবে গ্রেডিং সিস্টেম ঠিক করে একটি গ্রেডে আনা। এই খাতে গ্রেড উন্নয়নের সুযোগ কম, কারণ একেকটি গ্রেডের কাজ একেক রকম। যেহেতু পদোন্নতির সুযোগ নেই, তাই গ্রেডের মধ্যে কয়েকটি ভাগ, যেমন: যেমন-গ্রেড-৫ এর এ, বি ও সি করে সাবগ্রেড করার প্রস্তাব রয়েছে। এর ফলে পদোন্নতির সুযোগ থাকবে ও শ্রমিকদের কাজে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে।

গোলাম মোয়াজ্জেম তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৩ সালের চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার। যার ভিতরে ট্যানারি শিল্প থেকে এসেছে ১২৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খুঁজছে সে হিসাবে চামড়াজাত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের গবেষণায় এই খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব এসেছে, আমরা জানি শ্রমিকদের দাবি ২৫ হাজার টাকা আর মালিকদের প্রস্তাবনা ১৫-১৬ হাজার টাকা। আমি আশা করছি মজুরি বোর্ড সকল পক্ষে প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

সিডিপির গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালে সর্বপ্রথম ট্যানারি শিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছিল, যার পরিমাণ ৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০১৮ সালে সেটা বৃদ্ধি করে শহর অঞ্চলের জন্য ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ও গ্রাম অঞ্চলের জন্য ১২ হাজার ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা কতগুলো প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে ২০২৪ সালে এসেও দেখা গেছে ৬০ শতাংশ কারখানা ওই বেতন দিচ্ছে না। প্রতিবছর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটা বিবেচনায় বাস্তবায়ন হার অনেক কম পাওয়া গেছে। সিপিডি অ্যাংকর মেথডে ৩৫টি ট্যানারির ওপর গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।


আরও খবর



ফের বাড়ছে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের প্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদফতরের জারি করা হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। শামীম হাসান বলেন, এ দফায় হিট অ্যালার্ট থেকে বাদ পড়তে পারে সিলেট। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশের কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর গত তিন সপ্তাহে তাপপ্রবাহ প্রায় সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র গরমের কারণে সারাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমে হিট স্ট্রোকসহ নানা শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় কয়েকজনের মৃ্ত্যুর খবর এসেছে। এমন অবস্থায় তিন দফায় ৭২ ঘণ্টা করে হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর। গরমের তীব্রতা না কমায় আগামীকাল রোববার থেকে চতুর্থ দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করতে যাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়েও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে এসব অঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


আরও খবর



মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ দেশ। ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। বৃষ্টি এসে তাপ কমাবে মানুষ সেই আশায় থাকলেও গত এক মাস ধরে বৃষ্টির কোনো দেখা নেই। মাঝেমধ্যে দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হলেও তা গরম কমাতে খুব একটা সহায়ক ছিল না। এমন অবস্থায় আবারও দুঃসংবাদই দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে, ফলে আরও অসহনীয় গরম অনুভূত হতে পারে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীকাল সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

এছাড়া, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

৩০ এপ্রিল যেমন থাকবে আবহাওয়া: আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

১ মে যেমন থাকবে আবহাওয়া : বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর



আগামী সপ্তাহে আবারও তাপপ্রবাহের শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

গত দুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে দেশের অনেক জেলাতেই তাপপ্রবাহ কিছুটা কমার পাশাপাশি বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।

শনিবার দেশের তিনটি বিভাগে (খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর) মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে আগামী সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে গতকাল সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক ছিল। তবে পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে গতকালও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।

চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলা এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের বিভিন্ন অংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ রবিবার ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, আজ থেকে দেশের কিছু স্থানে যে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে, তা শেষ হওয়ার পরই বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতের ওপর দিয়ে আবারও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার জোরালো আশঙ্কা রয়েছে।

আজ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি। সোমবার ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর



মার্কিন স্যাংশন-ভিসা নীতিকে পাত্তা দেই না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে  ডিজিটাল ডেস্ক:


সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতিকে পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


 তিনি বলেন, আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনিনি। তাদের এজেন্ডা আছে; তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। বিএনপির সঙ্গে তাদের কী আছে, তারাই ভালো জানে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপি কী করে তারাই ভালো জানে।  


আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এমন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। 


তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে? তিনি আরও বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ি-কাপড় আসবে, এ ছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই।



বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে।


 দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।


আরও খবর