নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন দিল্লি আছে তো আমরা আছি। এই বক্তব্য দিয়ে তিনি কি বুঝাতে চাইছেন? তিনি আমাদের দেশকে স্বাধীন হিসেবে মেনে নিতে চান না। সে বাংলাদেশকে অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়। আমি পরিস্কারভাবে ঘোষণা করছি আমাদের এই বাংলাদেশ স্বাধীন বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে লাখো মানুষ ত্যাগ, কুরবানী করে জীবন দিয়েছে। দেশের মানুষ এই দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে দিবে না।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ওবায়দুল কাদের কে তার বক্তব্যের জন্য দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন তলে তলে তব ঠিক হয়ে গেছে আমি বলি দেশের মানুষ তলে তলে সব ঠিক হয়ে গেছে নয় তলে তলে বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে প্রস্তুত হচ্ছে। আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে। ওবায়দুল কাদের কে জাতীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
তিনি আগামী ১৩ অক্টোবর রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড় এ শ্রমিক সমাবেশ, ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্র যুব সমাবেশ ও অক্টোবর নভেম্বর মাসব্যাপী ওয়ার্ড পর্যায়ে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আজ ৭ অক্টোবর, শনিবার, বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন কালভার্ট রোডে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অথর্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (PR) পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সহকারী মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ,
মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, অধ্যাপক নাছির উদ্দীন প্রমূখ।
মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা যা বলে তা করে না। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সে দামে বিক্রি হয়না। তিনি বলেন, প্রধান মন্ত্রী বলেছেন যদি বেশী বাড়ি করে তবে সব বন্ধ করে বসে থাকবো। তার অবস্থা দেখে মনে হয় দেশের মানুষ তিনি একা। দেশের মানুষ সব কি ভেসে এসেছে? সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সচিবরা দুর্নীতিবাজ।
মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, জিয়া, এরশাদ,খলেদা জিয়া ভোট চোর আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪,২০১৮ তে ভোট ডাকাতি করেছেন। তিনি দিনের ভোট রাতে করেছেন।
মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী বলেন, অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরানো পর্যন্ত আমরা নিরব, নিস্তব্ধ হবো না।
মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আমরা বিদেশীদেরকে চাই না, আমাদের দেশ আমরাই গড়বো। অতীত ও বর্তমানে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা সকলে ব্যার্থ হওয়ায় মানুষ ইসলামী আন্দোলন এর দিকে আসছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতা কর্মীরা পেট নীতি করে না, তারা ইসলামী আন্দোলন করে। তিনি বলেন, আমরা দেশবাসীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ধোঁকাবাজি করে সংসদে যেতে চাই না।