বৈশ্বিক
তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে গ্রিনল্যান্ডের হিমবাহ অস্বাভাবিক হারে গলে
যাচ্ছে। গত ২০ বছরের তুলনায় পাঁচ গুণ গতিতে গলছে এ বরফ। গত শুক্রবার এ তথ্য
জানিয়েছেন কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, হাজার বছর ধরে জমাট
বেঁধে থাকা এ হিমবাহ গলে যাওয়ায় সাগরের পানিও আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। ব্রিটিশ বার্তা
সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, গ্রিনল্যান্ডের হিমবাহ গলে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তাদের আশঙ্কা, এই হিমবাহ পুরোপুরি গলে গেলে সুমদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অন্তত ২০ ফুট
বেড়ে যাবে।
কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের
সহকারী অধ্যাপক অ্যান্ডারস অ্যাঙ্কার বজর্ক বলেন, গ্রিনল্যান্ডের এক হাজার
হিমবাহের সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত দুই দশকে বরফ গলনের হার একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ
করেছে। হিমবাহগুলোতে প্রতি বছর গড়ে ২৫ মিটার করে বরফ গলে যাচ্ছে। মাত্র দুই দশক
আগেও যা ৫-৬ মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ১৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হিমবাহের ওপর
গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। হিমবাহগুলোর উপগ্রহ চিত্র এবং
দুই লাখ পুরোনো ছবি বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে এই গবেষণা কার্যক্রম চালানো হয়।
চলতি
মাসের শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেন, প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায়
বর্তমানে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রায় এক দশমিক দুই সেন্টিমিটার বেড়েছে। আশঙ্কা করা
হচ্ছে, গত এক লাখ ২৫ হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উষ্ণতম বছর হতে যাচ্ছে ২০২৩
সাল।
আরহাস ইউনিভার্সিটির ক্লাইমেট ইনস্টিটিউটের ইনস্টিটিউট ডিরেক্টর জর্গেন ইভিন্ড
ওলেসেন বলেন, বৈশ্বিক এই তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে হলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস
কমানো লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।