Logo
শিরোনাম

পাঁচ জেলায় সড়ক দুঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে শনিবার সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দুর্ঘটনায়। রাত আড়াইটার দিকের ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে একই পরিবারের তিনজনের। এছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক, নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙা মেশিনের চাপায় এক এনজিও কর্মী ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। বিস্তারিত প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে।

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আলমগীর, তার ছেলে জহির এবং আলমগীরের মামি রাহেলা বেগম। তাদের বাড়ি চাঁদপুরে। দুর্ঘটনায় আহত দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুর: শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলায় ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ শ্রমিক।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কুদ্দুস দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫), আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ের স্বামী আবু সুফিয়ান (২৫)।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল আহমেদ জানান, একটি পিকআপে করে মিক্সার মেশিন নিয়ে ১৩ শ্রমিক ঢালাইয়ের কাজ করতে শ্রীপুর থেকে মাওনা যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পিকআপটি শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের ভাংনাহাটি কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে পৌঁছলে পেছন থেকে একটি ড্রাম্প ট্রাক সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটি উল্টে গেলে মিক্সার মেশিনের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই রাসেল মিয়া নিহত হন। আহত হন ১২ জন। তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এসআই মো. কুদ্দুস জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি জব্দ করা হলেও এর চালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁ: শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙা মেশিনের চাপায় সঞ্জয় কুমার নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। তিনি এনজিও কর্মী। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। উপজেলার সাহাগোলা-শিমুলিয়া রাস্তার রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সঞ্জয় আত্রাইয়ের আইডিএফ এনজিওতে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী বাঘা উপজেলায়।

নিহত সঞ্জয় কুমারের সহকর্মী শামীম জানান, সঞ্জয় কুমার আইডিএফ এনজিওর আত্রাই শাখায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। সকালে বাড়ি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে অফিসে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওভারটেক করার সময় একই দিক থেকে আসা একটি ইটভাঙার মেশিন অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। আহত হন আরও কয়েকজন।

আত্রাই থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নোয়াখালী : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার লতিফপুর গ্রামের মো. রহমত উল্যাহ ভূঁইয়া (৬৫), সেনাসদস্য ফজলুল করিম (৫০) ও লক্ষ্মীপুরের আমানিয়া গ্রামের মো. আলাউদ্দিন (৪৫) । এ ছাড়া আরও একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকার লক্ষ্মীপুর টু নোয়াখালী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি লক্ষ্মীপুর থেকে বেগমগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব এলাকায় পৌঁছালে ট্রাক ও যাত্রীবাহী সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সড়ক থেকে ১৫ ফিট নিচে ট্রাক ও সিএনজি খালে পড়ে যায়। এতে সিএনজি চালকসহ ৪ জন নিহত হয়।

মাদারীপুর :মাদারীপুরের রাজৈরে বদরপাশা এলাকায় গাছ বোঝাই ট্রাক আর ইজিবাইকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন এঘটনায় আরো জন গুরুতর আহত হয়েছেন সকাল ৯টার দিকে কাঠায়িলা বিজ্রের পাশে দুর্ঘটনা ঘটে নিহতরা হলেন হোসেন মুন্সী এবং ধলু হাওলাদার । স্থানীয়রা জানান, নিহতরা ইজিবাইকে করে রাজৈর যাচ্ছিলেন এসময় উল্টোদিক থেকে আসা গাছ বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়


আরও খবর



মাঠে মাঠে আগাম ধান কাটার উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

শস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলের তাড়াশে আগাম জাতের ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কৃষকেরা। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে তাড়াশে বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ২২হাজার ৪৯৩ হেক্টর। আর চাষ হয়েছে হয়েছে ২২ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে নতুন ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। আবার উপজেলার নওগাঁ, বারুহাস, তালম, দেশীগ্রাম, কাটাগাড়ী, বিনসাড়া, মান্নান নগর ও রানী হাট সহ বিভিন্ন হাট- বাজারে শুরু হয়েছে ধান ক্রয়-বিক্রয় ।

তাড়াশ উপজেলার কয়েকটি হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন হাট-বাজারে নতুন ধান কাটারি, প্রতি মণ ১২৫০ থেকে ১৩২০ ও মিনিকেট ১০৫০থেকে ১১৩০ টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন ধান কাটা শুরু হলেও হাট-বাজারগুলোতে চালের বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই।

উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ধানকুন্টি গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে আগাম জাতে ধান কাটা শুরু করেছি। প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর ধানের ফলন বেশি হওয়ায় আমরা লাভের আশা করছি। হাট-বাজারে ধানের দামও ভালো। এ বছর ধান বিক্রি করে শুধু খরচই না, বেশ লাভও হবে। এছাড়া খড়ের দামও অনেক। খড় বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছি।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধানের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আগামী ১-২ সপ্তাহের মধ্যে কৃষকেরা আগাম জাতের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা। আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিন ছুটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শুরু আগামী ৫ জুন থেকে। টানা ১০ দিন ছুটি থাকবে। অর্থাৎ ছুটি শেষ হবে ১৪ জুন। ৬ মে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ছুটির এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত দায়িত্বশীল একজন উপদেষ্টা ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই উপদেষ্টা আরো জানান, ঈদের ছুটি শুরুর আগে ১৭ মে ও ২৪ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার সব সরকারি অফিস খোলা থাকবে।

এর আগে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণার কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরেও ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি ছিল। ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সেখানে নির্বাহী আদেশে আরো এক দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।


আরও খবর



চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দরে উন্নীত করতে অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বের খ্যাতিসম্পন্ন বন্দর ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার চট্টগ্রাম সফরের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বন্দরের সক্ষমতা সম্পর্কে তার কাছে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যদি সরকারের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের আশা। এটি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। কিন্তু যদি হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়, কোনো ডাক্তারই তা আর ভালো করতে পারে না। তাই একে বিশ্বমানের করতে হবে।

বন্দর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত বৈশ্বিক পর্যায়ের শীর্ষ সংস্থাগুলোকে আগেও ডাকা হয়েছিল, কিন্তু কার্যকর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এই হৃৎপিণ্ডকে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। এজন্য আমি নেপাল ও ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যের (সেভেন সিস্টার্স) কথা বলেছি। যদি তারা এতে যুক্ত হয়, তারা উপকৃত হবে, আমরাও হবো। যারা যুক্ত হবে না, তারা পিছিয়ে পড়বে।

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে নিজের শৈশবস্মৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সফরের জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। চট্টগ্রাম বন্দর আমার জন্য নতুন কিছু নয়। আমি শৈশব থেকেই এর সঙ্গে পরিচিত। এটি অনেক বদলেছে, তবে দুঃখের বিষয় হলো পরিবর্তন ধীর গতির। আমি যখন সুযোগ পেলাম, তখন থেকেই ভেবেছি কী করা যায়।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে, আর আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি। কেউ গুরুত্ব দেয় না। এজন্য আমি পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছি। আমি বলেছি বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব বিশ্বের শীর্ষ অপারেটরদের হাতে তুলে দিতে। আশা করি সবাই একদিন বুঝবে।


আরও খবর



কখন কীভাবে দই খাবেন

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। এই গরমে পানিশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। পানিশূন্যতা থেকে ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব হয়। আমরা বিভিন্ন পানীয় খেয়ে সেই পানিশূন্যতা দূর করার চেষ্টা করি। এর মধ্যে রয়েছে তরমুজ, শসা, ডাবের পানি, কমলা, পানিসমৃদ্ধ সবজি ইত্যাদি। এগুলো শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তবে এগুলো ছাড়াও গরমের সময় দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে।

দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই ভাল, তবে গরমে এটি খাওয়ার সঠিক উপায় জানাটাও কিন্তু জরুরি। তবে দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য, অভ্যাস এবং খাওয়ার উদ্দেশ্যের ওপর। তবে সাধারণভাবে কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে দই থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ পাওয়া সম্ভব।

কীভাবে দই খাবেন?

– দই খাওয়ার আগে এতে সামান্য পানি মেশাতে হবে, কারণ দইয়ের প্রকৃতি গরম, এমন অবস্থায় পানি যোগ করলে ভারসাম্য তৈরি হয় এবং দই ক্ষতিকর না হয়ে উপকারী হয়।

– চিনি বা জিরার গুঁড়া ইত্যাদি মিশিয়ে অনেকে দই খেতে পছন্দ করলেও বেশিরভাগ মানুষ শুধু লবণ দিয়ে দই খাওয়া পছন্দ করেন। কিন্তু, লবণ দিয়ে দই খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

– কেউ যদি দই খেতে পছন্দ করেন, তাহলে দইয়ের সঙ্গে চিনি, আমলকির গুঁড়ো, মধু ইত্যাদি মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি শরীরকে বিভিন্ন পুষ্টি সরবরাহ করে।

– দই কখনোই গরম খাওয়া উচিত নয়। এটি শরীরের জন্য বেশ বিপজ্জনক হতে পারে। দই গরম খাবারের সঙ্গে খেলেও এর প্রোবায়োটিক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

– সরাসরি দই খাওয়া উচিত নয়। এতে অনেক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এতে ত্বকের সমস্যা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা এবং শরীরে তাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই যখনই দই খাবেন, তাতে হালকা পানি মেশাতে হবে। মনে রাখবেন দইয়ে একেবারেই লবণ দেওয়া যাবে না।

কখন দই খাবেন?

ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. নেহা গয়াল বলেন, শুধুমাত্র দিনের বেলা দই খাওয়া উচিত। কারণ রাতে দই খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

দই খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। দই খেলে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি থেকে পুষ্টি পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্ককে শক্তি দেয়। এটি শরীরের পেশিকে শক্তি দেয় এবং হাড়কে শক্তিশালী করে।


আরও খবর



বিসিবির নেতৃত্বে কাদের থাকা উচিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মতে, ক্রিকেট বোঝেন এমন ও জেলার ক্রিকেট উন্নয়নে সক্ষম প্রতিনিধিরাই বিসিবির নেতৃত্বে আসা উচিত।

জুলাই- আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ক্রীড়াঙ্গনেও আমূল পরিবর্তন আসে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনয়াতনে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে চমক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান কালে তামিম ভবিষ্যতে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে যারা আগ্রহী, তাদের প্রতি দিয়েছেন কঠোর বার্তা।

তামিমের বক্তব্যে উঠে আসে জেলার কাউন্সিলরদের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও স্পষ্ট মত। তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে একটা বিনীত অনুরোধ করবযারা ক্রিকেট বোঝেন, যাদের স্বপ্ন আছে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার, তাদেরকেই জেলা বা বিভাগ থেকে নির্বাচিত করা হোক। আমি অতীতে অনেকবার দেখেছি, কেউ একজন জেলা বা বিভাগ থেকে বোর্ডে আসেন, তারপর বোর্ডের পরিচালক হয়ে নিজের অঞ্চলকে ভুলে যান। এটা হতে দেওয়া যায় না।

সম্প্রতি বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ক্রিকেটের অব্যবস্থাপনা ও লিগ কাঠামোর দুর্বলতা নিজের চোখে দেখেছেন তামিম। সে অভিজ্ঞতা থেকেই বলেন, অনেক জেলায় তো মানসম্মত একটা লিগই হয় না। অথচ আমরা ক্রিকেটকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা বলে দাবি করি।

তামিম মনে করেন, জেলা বা বিভাগীয় ক্রিকেটের উন্নয়নে যারা ব্যর্থ, তাদের ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপদে আসার যোগ্যতা নেই। তার ভাষায়, যদি কেউ নিজের জেলার ক্রিকেটেও উন্নয়ন না করতে পারে, তাহলে তার বোর্ডে আসা উচিত নয়।


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫