Logo
শিরোনাম

পোশাক কারখানায় নিয়োগ বন্ধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশের সব পোশাক কারখানায় সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজিএমইএ বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সদস্যদের কারখানার গেটে নিয়োগ বন্ধ নোটিশ টাঙানোর নির্দেশনা দিয়েছে বিজিএমইএ

বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে পোশাক শিল্প মালিকদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে সভায় আরও তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এসব সিদ্ধান্তের কথা বিজিএমইএ চিঠি দিয়ে জানিয়েছে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে

সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেসব কারখানায় আগুন দেওয়া, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা ঘটেছে, সেসব কারখানা কর্তৃপক্ষকে প্রমাণ হিসেবে ছবি ভিডিও ফুটেজ নিয়ে নিকটস্থ থানায় মামলা করতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম জানা না থাকলে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা যাবে। মামলার পর এর একটি কপি তাদের সিনিয়র অতিরিক্ত সচিবকে পাঠাতে বলা হয়েছে

সমন্বয় সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, যেসব কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় গিয়েও কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন বা কারখানা ছেড়ে বেড়িয়ে যাবেন, সেসব কারখানার মালিকরা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩ () ধারা অনুযায়ী, কারখানা বন্ধ করে দেবেন

সভায় অন্যদের মধ্যে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এবং সহসভাপতি পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর



ইউরোপের বাজারে কদর বাড়ছে তৈরি পোশাকের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কদর ক্রমশই বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ধারাবাহিকভাবে। এবার ইউরোপের বাজারেও চমক সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারিতে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫২.৫৬ শতাংশ। গতকাল ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট ও বিজিএমইএর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ৬ হাজার ৮৫৪ মিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৫৭৬ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ চলতি বছর জানুয়ারিতে ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে ২৫ শতাংশের বেশি।

এদিকে জানুয়ারিতে ইউরোপে শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীনের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে ৩৩ শতাংশের বেশি। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যেখানে চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানি ছিল ১ হাজার ৮৪১ মিলিয়ন ডলার, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৪৫৯ মিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫২.৫৬ শতাংশ। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ১ হাজার ২৯৬ মিলিয়ন ডলার; সেদিক থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৭৭ মিলিয়ন ডলার।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্যমতে, জানুয়ারি মাসে ইউরোপে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৭ শতাংশ, কলোম্বিয়ার ৬৩ শতাংশ, ভিয়েতনামের ২৭ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৫ শতাংশ, মরক্কোর সাড়ে ৩ শতাংশ, শ্রীলংকার ৪৩ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ার ১৬ শতাংশ। তবে ইউরোপে জানুয়ারিতে একমাত্র তুর্কির পোশাক রপ্তানি কমেছে, যা মাত্র দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশের পোশাক রপ্তানিতে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে দেশটিতে সাকল্যে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে আগের তুলনায় বেশি। গত ১১ মার্চ ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) এক পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, চলতি বছরজুড়ে কাজের অর্ডার বাড়ার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রেতারা বাংলাদেশে সোর্সিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রবৃদ্ধির গতিপথ অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির জন্য কৌশলগত পরিবর্তন আরও জরুরি। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির মুখে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলকতা বজায় রাখা এবং মুনাফার মার্জিন রক্ষা করার জন্য মূল্য সংযোজন এবং বাজার বৈচিত্র্য এখনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।


আরও খবর



ঝালকাঠি জেলা জুড়ে ফিলিস্তানে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বর্বরতা ও ভারতের নাগরপুরে হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠি জেলাজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা, নলছিটি উপজেলা, রাজাপুর উপজেলা ও কাঠালিয়া উপজেলায় বিভিন্ন ব্যানারে গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বর্বরতা ও ভারতের নাগরপুরে হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠি জেলাজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সদর উপজেলায় প্রতিবাদী জনতার ব্যানারে ফায়ার সার্ভিস রোড থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র নেতা মুস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আসিফ , বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা আতিকসহ ,এতে সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া কাঁঠালিয়া উপজেলার বীনপানি বাজারে সর্বস্তরের মানুষের ব্যানারে ঘন্টা ব্যপী বিক্ষোভ করে, পরে কাঁঠালিয়া - ভান্ডারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে মিছিল করে স্থানীয়রা।

এছাড়াও নলছিটিতে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

এছাড়াও রাজাপুরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ- রাজাপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি মাহমুদুল হাসান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হাফসীর সঞ্চালনায়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে ছোট ছোট শিশু ও সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। এই নির্মমতা আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়, কিন্তু বিশ্ব বিবেক যেন নির্বিকার। সভ্যতার নামে যারা আমাদের নীতিকথা শোনায়, তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে কেন কথা বলে না—এ প্রশ্ন আজও রয়ে গেছে। দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল ক্রমাগত ফিলিস্তিনকে কোণঠাসা করছে। যদি এই নিপীড়ন চলতে থাকে, তবে কয়েক দশকের মধ্যেই ফিলিস্তিন বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে। আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং ন্যায়সংগত অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবে। বক্তারা আরো বলেন, ভারতের হিন্দু মৌলবাদী বিজেপি দাঙ্গাবাজ সরকার গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে মুসলমানদের ওপর নানামুখী অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের শ্রেষ্ঠ সুশাসক সম্রাট আওরঙ্গজেবের মাজার ভাঙার চক্রান্ত চলছে। মন্দির অনুসন্ধানে মসজিদ, মাদ্রাসা, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙছে। বিশ্বের মানবতাবাদীদের ভারতীয় উগ্রবাদীদের মুসলিম নিদর্শনসমূহ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।


আরও খবর



বাম্পার ফলনেও মুখে হাসি নেই আলুচাষীদের

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে দাম কমে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক। এক একর জমিতে আলু চাষে কৃষকের খরচ হয় প্রায় দুই লাখ টাকা। আলুর বাজারদর অনুসারে কৃষক এখন দেড় লাখ টাকাও উঠাতে পারছেন না। ফলে বর্তমান সময়ে প্রতি একর জমিতে কৃষকের ক্ষতির মুখে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৭-৮ টাকা।

কৃষকরা বলছেন, চলতি মৌসুমে আলুর উৎপাদনে আলুবীজের তীব্র সংকট ছিল। সেই সংকটের কারণে বেশি দামে বীজ কিনতে হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে।

এ ছাড়া হিমাগারের খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু আলুর দাম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার রায়গঞ্জের কৃষক আব্দুল করিম বলেন, এবার সাড়ে ছয় একর জমিতে আলু আবাদ করেছি। ফলনও হয়েছে ভালো। তবে তার কপালে চিন্তার ভাঁজ। লাভ তো দূরের কথা, কীভাবে লোকসান কমানো যায় তা নিয়ে ভাবছি। প্রতি কেজিতে লোকসান সাত-আট টাকা।

এবারে বীজের খরচ বেশি হয়েছে জানিয়ে একই অঞ্চলের কৃষক সুকারু চন্দ্র দাস বলেন, ‘প্রতি কেজি আলুর বীজ কিনছি ১১০-১১৫ টাকায়। গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। এক একর জমি ৪০ হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে আলু আবাদ করছি। বেশি দাম দিয়ে সার কেনা লাগছে। কেজির হিসাবে আলু রাখতে বস্তাপ্রতি আমাদের খরচ বেড়েছে ১০০ টাকা করে। কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখার জায়গা নেই। সব দিক দিয়েই কৃষকের বিপদ। সরকার কোল্ড স্টোরের দর ঠিক করি দেয়। আলুর দরও ঠিক করি দেউক। আমরা আলুর ন্যায্যমূল্য চাই।’

ঠাকুরগাঁওয়ের আলু চাষি আহসানুর রহমান হাবিব বলেন, ‘ফলন ভালো হওয়ায় আমাদের খুশি হওয়ার কথা ছিল, অথচ তার বদলে এখন আহাজারি করতে হচ্ছে। আলু চাষ করে এমন লসের মুখে পড়ছি।’ তিনি বলেন, ‘বীজ, সার, লেবার কস্টিং মিলায়ে বিঘাপ্রতি আমার খরচ পড়েছে লাখের ওপরে। আর এখন আলু বিক্রি করে পাচ্ছি গড়ে ৬৫ হাজার। বিঘায় ৩৫ হাজার টাকা লস।’

বাম্পার ফলন হওয়ার পরও হাবিবের মতো হাজারো মানুষ এ বছর আলু চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন। অথচ মাত্র কয়েক মাস আগেই দেশের বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হতে দেখা গেছে। দাম নিয়ন্ত্রণে রীতিমতো হিমসিম খাওয়ার একপর্যায়ে ভারত থেকে আলু আমদানির সিদ্ধান্তও নিতে হয়েছে সরকারকে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতিবছর পর্যাপ্ত উৎপাদন হওয়ার পরও সংরক্ষণের অভাবে দেশের আলুর বাজারে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।

গত মৌসুমে প্রতি কেজি আলুর দাম উঠেছিল ৬০-৮০ টাকার মধ্যে। এতে লাভবান হওয়ায় এবার বেশি জমিতে আবাদ করেছেন তারা। এবার মৌসুমের শুরুতেই প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৭০-৮০ টাকায়। সেই আলু এখন মাঠে বিক্রি হচ্ছে ১৩-১৪ টাকায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, চাষিরা যদি ন্যায্যমূল্য না পান, তাহলে লোকসান গুনতে হবে। সে ক্ষেত্রে আলু চাষে আগ্রহ হারাবেন তারা।

২০২২-২৩ অর্থবছরে আলুর উৎপাদন ছিল এক কোটি চার লাখ ৩২ হাজার টন, যা গত অর্থবছরে ছিল এক কোটি ছয় লাখ এক হাজার ১৮২ টন। ফলে এক বছরের ব্যবধানে আলুর উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ১.৬২ শতাংশ। চলতি বছরে আলুর ফলন এখনো পর্যন্ত বেশ ভালো। তবে গত বছরের তুলনায় দাম কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। এখন রপ্তানি বাজারে সম্ভাবনা থাকলেও রোগবালাইয়ের কারণে সেখানেও উপেক্ষিত বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। আলুতে ব্রাউনরট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানিতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আলু ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ২০২২ সালের মার্চে রাশিয়া এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।

এদিকে কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাবর কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ম্যানেজার শামীম আল মাসুদ বলেন, ‘আমাদের কোল্ড স্টোরেজের ধারণক্ষমতা ১১ হাজার টন, যা পুরোপুরি বুকড। গত বছর এই সময়ে আমাদের কাছে আলু এসেছিল ৩০ হাজার টন। এ বছর এসেছে ৮০ হাজার টন। গতবারের তুলনায় এ বছর আলুর চাপ অনেক বেশি।

হিমাগার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও সম্প্রতি একই দাবি করা হয়।

সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটির সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, হিমাগারের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের খরচ দিতেই তো সাত টাকা চলে যায়। এ পরিস্থিতিতে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান হিমাগার মালিকরা।

বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মো. আবু আব্দুল্লাহ বলেন, প্রতিবছর আমরা লস দিবো, সেটা তো হয় না। যাদের কথা ভেবে আমরা এতদিন লস দিয়েছি, তারাই তো কয়েক মাস আগে ৮০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করে মোটা টাকা আয় করেছে। তাহলে কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া দিতে অসুবিধিা কোথায়?

তবে কৃষকদের দাবির মুখে সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি হিমাগারের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ঘোষিত মূল্য অনুযায়ী, এখন থেকে হিমাগারে আলু রাখতে প্রতি কেজিতে চাষিদের ছয় টাকা ৭৫ পয়সা করে গুনতে হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম বলেন, এবার আলুর ভালো ফলন হয়েছে। এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আলুর উৎপাদন বেশি হবে। উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে। তবে দাম কম থাকায় কৃষকের মধ্যে উদ্বেগ আছে। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫৮৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলায় ৫৮৫ সদস্যের কমিটি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে আল তৌফিক লিখনকে আহ্বায়ক ও রাইয়ান বিন কামালকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। রোববার (২ মার্চ) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কমিটি প্রকাশ করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল কমিটির অনুমোদন দেন। আগামী ছয় মাসের জন্য এ কমিটি দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে খালেদ সাইফুল্লাহকে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক, ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতিকে সিনিয়র যুগ্ম-সদস্যসচিব, শাহরিয়ার দিপুকে মুখ্য সংগঠক ও সাকিবুল ইসলাম রায়হানকে মুখপাত্র করা হয়েছে । এ ছাড়া যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়েছে, গোলাম রাব্বি রিশব ,মিরাজ আহমেদ রনি ,সামির আব্দুস সালাম ,পিয়াল মাহমুদ অনিক ,ইমামুল হক মেশকাত ,তানজিলা আক্তার অরভি ,মাইশা মেহজাবিন ,তাসনিয়া তানহা ,তাসফিয়া আকন ,মাহাদি সাকিব ,অর্না ,আজিজুল হক ,মোঃ মেহেরাব হোসেন ,সাব্বির আহমেদ ,মেহেদী হাসান ,নাঈম হোসেন সংগ্রাম ,নাইম মাহমুদ ,বাইজিদুর রহমান শান্ত ,শাহিনুর রহমান রাজু ,তাসকিন তাবাসসুম মাইশা ,শফিউল আলম নাহিদ ,আব্দুল্লাহ আল হাদি গোলাম রাব্বি রিশব, অনুম ,সাকিবুল ইসলাম ,নওশীম আঞ্জুম রোহান ,আল শাহরিয়ার নিবির ,মুক্তা ,মুনায়েম ,পলাশ ,সিনথিয়া রিধি। 


আরও খবর



ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

ধর্ষক নামের যত নিকৃষ্ট প্রাণী আছে, তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

৯ মার্চ সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে জামায়াত আমির বলেন, মাগুরার সেই আট বছরের মেয়ে শিশুর ধর্ষক ও ধর্ষণের সহযোগিতাকারীদের অপরাধ এক ও অভিন্ন। এদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত চাই।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এরকম ধর্ষক নামের আরও যত নিকৃষ্ট প্রাণী আছে, যে যেখানেই থাকুক তাদেরকে পাকড়াও করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

এ সময় ধর্ষকদেরকে বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদেরকে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। ধর্ষকদেরকে ঘৃণা করুন ও সামাজিকভাবে বয়কট করুন।


আরও খবর