Logo
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রী অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। তিনি মঙ্গলবার সকালে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ঠাকুরমান্দা রঘুনাথ জিঁউ মন্দীর এর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এক সময় এ দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ নির্বিঘ্নে পূজা-অর্চনা করতে পারেনি। প্রতিমা সহ মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বহু হিন্দুপল্লী। বর্তমান সরকারের আমলে পূজার উৎসবে তাদের আর আতঙ্কে থাকতে হয় না।

মন্ত্রী আরো বলেন, এ সরকারের আমলে সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুতে রেলযোগাযোগ চালু করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সহ সকল ক্ষেত্রে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনার আহবান জানান তিনি।

এ সময় মান্দা (সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান, মান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মোল্লা, মান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির মুন্সী, মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী, মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ মোর্শেদ বাবু, রঘুনাথ জিঁউ মন্দির কমিটির সভাপতি চন্দন কুমার মৈত্র, সহ-সভাপতি মনোজিৎ কুমার সরকার, ভারশোঁ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন সহ এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



৬৩ বছরের ইতিহাসে লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

চলতি মৌসুমে দেশে গত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিক জানায়, চলতি মৌসুমে (২৮ এপ্রিল পর্যন্ত) ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। যা বিগত বছরের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এখনো লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত বছর (২০২২-২৩ অর্থবছর) ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয়েছিল। সে সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন।

সংস্থাটি জানায়, চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষকৃত মোট জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর। গত বছর ছিল ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ একর।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছর ছিল ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ২২৮ জন। বর্তমানে লবণ মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি ক্রুড লবণের গড় মূল্য ৩১২ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে, যা মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ও চাহিদা অনুযায়ী লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।


আরও খবর

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

সোমবার ০৬ মে ২০২৪




এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১২ মে প্রকাশিত হবে। শুক্রবার (৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানান, আগামী ১২ মে রোববার সকাল ১০টায় গণভবনে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল এবং পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে আগামী ৯-১১ মের মধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ১২ মে ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) একটি চিঠি এসেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার জানান, তিনি মৌখিকভাবে শুনেছেন যে ১২ মে ফল প্রকাশের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে।

রেওয়াজ অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রী বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হয়ে থাকে।

এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসএসসিতে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন, দাখিলে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। আর বিদেশের আট কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসমূহ: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২০ মার্চ শেষ হয়।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হয়েছে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হয়।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের বাজারে অসহায় মধ্য আয়ের মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর শনির আখরা বাজারের মাছের দোকানে ঘুরছেন এক মধ্যবয়সী পুরুষ। ৫ থেকে ৬টি দোকানে জিজ্ঞেস করেছেন মাছের দাম। এরপরের দোকানে গিয়ে তিনি কিনলেন পাঙ্গাস মাছ। মাছের দোকানের সামনে কথা হয় এই ক্রেতার সঙ্গে। তার নাম মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। চার সদস্য নিয়ে থাকেন রেলওয়ে কলোনি এলাকায়। পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা এ ব্যক্তি বলেন, বিগত পাঁচ বছর আগে ব্যাংকে যে বেতন ছিল, বর্তমানেও একই বেতন। দিন দিন খরচ বাড়লেও বাড়েনি কোন আয়। খরচ বাড়ায় বাসার একটি রুম তিনি এখন সাবলেট দিয়েছেন। মাসে যে বেতন পায়, তার অর্ধেক চলে যায় ঘরভাড়ায়। বাকি অর্ধেক গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল, বাচ্চাদের স্কুলের বেতন দিয়ে বাজার থেকে যে ভালো খাবার কিনবো তার কোন উপায় থাকে না। সব মিলিয়ে মাসের শেষ সপ্তাহে হতাশা বেড়ে যায়।

একই বাজারে কথা হয় ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা ব্যাংক কলোনি এলাকার শিক্ষিকা ইয়াছমিন আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে স্বামীর আয় দিয়ে মোটামুটি পরিবার চালানো যেত। এখন ঐ আয়ে কোন ভাবে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে একটি প্রাইভেট স্কুলে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করি। কিন্তু দুইজনের আয়েও এখন পাঁচ সদস্য নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবারে ঈদে বাচ্চাদের পোষাক কিনে দিলেও আমরা পুরোনো কাপড় দিয়েই কোনমতে ঈদ পালন করছি। আমাদের মতো মধ্য আয়ের মানুষের অবস্থা খুবি অসহায়। মাসের শেষে আর্থিক টানাপোড়েনে থাকি।

এ শিক্ষক আরও বলেন, মাসের বাজার চাল, ডাল, মরিচ কেনার পর, সাপ্তাহিক কাঁচাবাজার করতে শনির আখরা বাজারে আসি। মাছ ও গরুর মাংস দূরের কথা, এখন ব্রয়লার মুরগীও আমাদের মতো মধ্য আয়ের মানুষদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

একই বাজারে মাংসের দোকানে কথা হয়, আতিকুর রহমান নামে এক এনজিও কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, সামান্য বেতনের চাকরি করি। যা বেতন পায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ, বাড়ি ভাড়াসহ সংসারের অন্যান্য খরচ মেটাতে নাভিশ্বাস উঠছে। স্ত্রীকে ছেলেমেয়েদের স্কুলে আনা-নেয়াসহ সাংসারিক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। কোনো চাকরি করতে পারে না। তবে সে অনলাইনে কিছু ব্যবসা শুরু করেছে। সেখান থেকে অল্পকিছু আয় হয়। এভাবেই কোনমতে টেনেটুনে সংসার নিয়ে চলছি।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বর্তমান নিত্যপণ্যের বাজারের অবস্থা দিন দিন এমন হলে স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে হবে। অসৎপথে তো আয় করতে পারছি না। নিজেরও তেমন জমা নেই। এখন মাসের শেষে এসে দেখি কয়েকটা দোকানে ঋণের বোঝা! নিজেকে বর্তমান অবস্থায় বেশ অসহায় মনে হচ্ছে।

শনির আখরা বাজারের গলির মুখে কথা হয় রিকশা চালক মো. হোসেন এর সঙ্গে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসে  একটি বস্তিতে থাকেন। তিনি বলেন, এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করছিলাম। এখন কাজ নেই, তাই ঢা্কা মুখী হয়েছি। বস্তিতে একটা রুমে ব্যাচেলর থাকি। মেয়ের বিয়ের জন্য ঋণ হয়েছে ২ লাখ টাকা। প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে কিস্তির টাকা পাঠাতে হয়। এখানে এখন এক প্লেট ভাত ১৫ টাকা। হোটেলে সামান্য সবজি দিয়ে খাবার খেলে বিল আসে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কিন্তু রিকশা ভাড়া বাড়েনি। এ গরমে কারও থেকে ১০ টাকা বাড়তি চাইলেও দেয় না। রিকশা ভাড়া, ঘর ভাড়া দিয়ে হাতে তেমন টাকা থাকে না।

শুধু ব্যাংক কর্মকর্তা নয়, আরো অনেকের সাথে কথা হলে তারা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে হুতাশা প্রকাশ করেছেন। নিজেদের মধ্য আয়ের মানুষ হিসেবে দাবি করে তারা জানিয়েছেন, খরচের সঙ্গে আয়ের ভারসাম্য না থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, চাল, ডাল, মাছ, মাংস, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকের সংসার সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন। অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চাল কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা, আটা-ময়দার দামও বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা। তার মধ্যে পর্যাপ্ত যোগান থাকার পরও ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। এছাড়া আদা, রসুন, পেঁয়াজের বাজার রয়েছে স্থিতিতে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, নাজির ও মিনিকেট মানের সরু চালে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৭৬ টাকা, পাইজাম ও লতা মানের মাঝারি চাল ৫৩ থেকে ৫৮ টাকা আর স্বর্ণা, চায়না ও ইরি মানের মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। যা গত সপ্তাহে কম ছিল প্রায় ৫ টাকার নিচে।

চালের দাম বাড়ার বিষয়ে মো. আলী সওদাগর বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মৌসুমের ধান বের না হওয়ায় উত্তরবঙ্গের চালের উপর বাজার নির্ভরশীল। পরিবহন ও বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায় মিলার পর্যায়ে চালের দাম সাময়িক বেড়েছে। নতুন ধান বের হলে দাম কমে যাবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

তাছাড়া চালের পাশাপাশি খোলা ময়দা ও আটার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা। গত সপ্তাহে যে খোলা ময়দা বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় তা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। আর যে মানের খোলা আটা বিক্রি হয়েছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় তা এখন ৪৭ থেকে ৪৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলেন, গম আমদানি খরচ বাড়ার কারণে ময়দা ও আটার দাম বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে চাল, ময়দা ও আটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সপ্তাহের ব্যবধানে সকল ধরনের ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা। বাজারে ডালের মধ্যে মাঝারি দানার মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা যা গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। আর বড় দানার মশুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা। আর ছোট দানার মসুর ডাল ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৫০ টাকা ।


আরও খবর

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

সোমবার ০৬ মে ২০২৪




দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। শুক্রবার নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার বার্তায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ফেনী ও বান্দরবানসহ বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এতে আরও বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় রাঙ্গামাটিতে এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে।


আরও খবর



২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলছে। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপদাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক মোতাবেক ঘোষিত ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হলো

১) আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

২) তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

৩) শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

৪) তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশে এমন তাপমাত্রা এটাই প্রথম নয়। এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নয়। সে কারণে এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থীদেরই পড়াশোনার ক্ষতি হবে। তাই আমরা রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি।

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। আর ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার। তবে ছুটি না বাড়ায় রোববার থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে।


আরও খবর