Logo
শিরোনাম

রবিবার ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

অতিরিক্ত অপারেশন চার্জ প্রত্যাহারের দাবিতে ইন্টারনেট সেবা সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বাংলাদেশ (আইএসপিবি)।

ঘোষণা অনুযায়ী, রবিবার (২১ মে) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইন্টারনেট, ডেটাসহ সেবাদানকারী সব আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আইএসপিএবির প্রধান নির্বাহী মেজর (অব) মো. এনামুল হকের স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় স্থানীয় ইন্টারনেট সেবা পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্যাবল টিভি অপারেটর প্রতিষ্ঠান বাম্বেল-বি চলতি মাস থেকে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের জন্য মাসিক পপ অপারেশন সার্ভিস চার্জ নামে বাড়তি চাঁদা দাবি করছে।

আবাসিক এলাকার অপারেশন চার্জ ২ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা এবং করপোরেট গ্রাহক সংযোগের ক্ষেত্রে ৬০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নির্ধারণ করেছে। বর্ধিত চাঁদা সংক্রান্ত বাম্বেল-বির চিঠিটি আইএসপি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাকক্ষে উক্ত এলাকায় সেবা দেয়া আইএসপি প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্ণধার ও নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নিয়ে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অপারেশনের সার্ভিস চার্জ হিসেবে ধার্য করা চাঁদা প্রত্যাহারের প্রতিবাদে রবিবার (২১ মে) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য বসুন্ধরা আবাসিক ইন্টারনেট, ডেটাসহ আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া সব ধরনের সেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

 


আরও খবর

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ গরমে নাকাল জনজীবন মাঝেমধ্যে গায়ে বাতাস লাগলেও তা যেন আগুনের হলকা অনেক বেশি উত্তাপ অনুভূত হওয়ায় হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে তাপমাত্রার এমন অবস্থা সহসাই পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরো এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ভোগাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কায় সারাদেশে জারি করা হয়েছে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। একইসঙ্গে সমুদ্রের লঘুচাপটি পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করার গরম প্রভাব দেখা যাচ্ছে ভূপৃষ্ঠে। এর আগে দেশে ১৫ থেকে ১৩ দিন পর্যন্ত লাগাতার তাপপ্রবাহ থাকার রেকর্ড থাকলেও এবার চলতি মাসের ১৯ দিনই টানা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ওঠা-নামা করবে ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় গরম অনুভূত হবে এর চেয়েও বেশি। এসময় কোথাও কোথাও বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি দিলেও দাবদাহ থেকে যাবে মে মাস পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, হিট অ্যালার্ট তিনদিনের জন্য জারি করা হয়েছে। এই সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে। তবে সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

টানা চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা গতকাল পর্যন্ত এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এসময়ে রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




রেলওয়ের আখাউড়া-সিলেট প্রকল্প বাতিলের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ রেলওয়ের আখাউড়া-সিলেট সেকশনের মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনে উন্নীতকরণের প্রকল্পটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালে প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছিল একনেক। চীনের অর্থায়নে জিটুজি পদ্ধতিতে এটি বাস্তবায়নের কথা। দর চূড়ান্তকরণের পর তা কমানোর নির্দেশের পর সরে যায় চীন। পরে ভারতের অর্থায়নে বাস্তবায়নের চিন্তা করা হয়। তাতেও লাভ হয়নি। কোনোভাবেই অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় প্রকল্পটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সম্প্রতি রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বলা হয়, প্রকল্পের অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় কাজ শুরু হয়নি। তাই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি থেকে এটি বাদ দেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।

প্রকল্প থেকে চীন সরে যাওয়ার পর ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের (ইরকন) মাধ্যমে কাজ পাওয়াসাপেক্ষে অর্থায়ন নিশ্চিত করার প্রস্তাব পেয়েছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়। সেই প্রস্তাবও বেশি দূর অগ্রসর হয়নি। এরপর অন্য উৎস থেকেও অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পারেনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী বলেন, প্রকল্পটির অর্থায়নে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে এডিপি তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার।

জানা গেছে, ঢাকার সঙ্গে সিলেটের যোগাযোগ আরও সহজ করার লক্ষ্যে নেওয়া এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের জুনে। প্রকল্পে ৬৬ দশমিক ১৬ শতাংশ অর্থায়ন করার কথা ছিল চীন সরকারের। এমনকি ঠিকাদার নির্বাচনসহ প্রায় সব প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছিল। চীনা অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৬ সালে। চীনের রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যৌথ সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর প্রকল্পটির দরকষাকষি সম্পন্ন করে ২০১৯ সালের এপ্রিলে অনুমোদন দেয় একনেক। পরবর্তী সময়ে এটি অত্যধিক ব্যয়বহুল মনে হলে খরচ কমানোর নির্দেশনা আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। তাতে রাজি হয়নি নিযুক্ত চীনের ঠিকাদার।

বলা হয়েছে, নির্ধারণকৃত দর থেকে ৩ হাজার ৩৫৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা (২০.৮%) কমে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ অনুশাসনের পর ব্যয় যুক্তিযুক্তকরণ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়। খরচ কমানোর জন্য প্রস্তাব তৈরি করে এ সংক্রান্ত কমিটি। তাদের প্রতিবেদনে দর নির্ধারণের জন্য চলমান অন্য প্রকল্পের আইটেমের দরের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এর পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মতামত চাইলে তারা বেশ কয়েকটি যুক্তি দেখিয়ে প্রকল্পের মূল্য পুনর্নির্ধারণে একমত পোষণ না করে জবাব পাঠিয়েছে। সেখানে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি) অনুমোদিত দরমূল্য বহাল রাখার কথা বলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এসব চিঠি চালাচালি শেষে প্রকল্প থেকে সরে যায় চীন।

আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ২৩৯ দশমিক ১৪ কিলোমিটার মিটারগেজ রেলপথ ডুয়েলগেজে রূপান্তরে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ১০৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এ প্রকল্পে নির্মাণব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২ হাজার ৭৫০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে মাটির কাজে ৩৪৬ কোটি ২৮ লাখ, ট্র্যাকের কাজে ১৯২ কোটি ৫৭ লাখ, সিগন্যাল ও টেলিকম খাতে ২১ কোটি ৬১ লাখ, সেতু ও কালভার্ট খাতে ১৪৬ কোটি ৪৬ লাখ, স্টেশন ও বিল্ডিং খাতে ২০ কোটি ৩৩ লাখ এবং প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট খাতে এক হাজার ৩৮২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু রাজি হয়নি ঠিকাদার সিআরবিসি।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটি নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তি ছিল। আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ডুয়েলগেজ লাইন হলে ট্রেন চলাচলের হার (ফ্রিকোয়েন্সি) বাড়বে না। এ রুটে ডাবল লাইন এবং ডুয়েলগেজ নির্মাণ করা হলে এ প্রকল্প থেকে সুবিধা পাওয়া যাবে। অন্যথায় সরকারের এ বিশাল বিনিয়োগে জনগণের তেমন কোনো সুবিধা হবে না। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও এ প্রকল্পে আপত্তি তুলে এক চিঠিতে বলেছিলেন, এটা ডাবল লাইন ও ডুয়েলগেজ হওয়া উচিত। শুধু ডুয়েলগেজ করে কোনো লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমাগ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে নিহতদের একজনের নাম পাওয়া গেছে, তিনি আলম মিয়া। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গুটমা বাজারের নিকট আহাদ মিয়ার একটি ভবনে কাজ করতেন তারা। রোববার সকালে নির্মাণাধীন একটি বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংকের কাঠের মাচা খুলতে ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করেন তারা তিনজন। পরে তাদের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা দেখতে পান ভেতরে সবাই মারা গেছেন।

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার হিমাংশু রঞ্জন সিংহ বলেন, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে বিভিন্ন গ্যাসের কারণে এমন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা।

তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা পরবর্তীতে বলা যাবে।


আরও খবর



তরমুজ বয়কটে কপাল পুড়ছে ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বাজারে কমতে শুরু করেছে ফলের দাম। ক্রেতাদের বয়কটের কারণে কয়েকদিন আগে চোখ রাঙানো তরমুজের দামও এখন নেমে এসেছে অর্ধেকের কমে। তবুও ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ও রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ইফতারে রোজাদারদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম একটি অনুসঙ্গ ফল। তবে এবার রোজার আগে থেকেই অস্থির ছিল দেশের ফলের বাজার। খেজুর, তরমুজ পেয়ারা, বেলের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। কিন্তু সেই অস্থিরতা কিছুটা কমতে শুরু করেছে।

এতোদিন ১০০ টাকার কাছাকাছি কেজি দরে বিক্রি হওয়া তরমুজের বেচা-বিক্রি এখন নেই বললেই চলে। মূলত অতিরিক্ত দামের কারণে তরমুজ বয়কট করায় দাম কমছে বলে মনে করেন ভোক্তারা।

তাদের দাবি, বয়কট করায় কমতে শুরু করেছে তরমুজের দাম। ক্রেতারা জোটবদ্ধ হয়ে পচনশীল এ পণ্য কেনা সাময়িক বন্ধ করতে পারলেই দাম নেমে আসবে ৩০ টাকার নিচে। পাশাপাশি কেজির বদলে পিস হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হবেন ব্যবসায়ীরা।

হাকিম নামে এক ক্রেতা বলেন, ভোক্তারা তরমুজ কেনা বয়কট করলে দাম এমনিতেই কমে যাবে। না কিনলে ব্যবসায়ীরা কার কাছে বিক্রি করবে! তখন বাধ্য হবে দাম কমাতে।

বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা। আর চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছিল ৯০ টাকার ওপরে।

বিক্রেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরমুজ আসছে রাজধানীর বাজারে। এতে বেড়েছে তরমুজের সরবরাহ। কমেছে দামও। তবে বাজারে দেখা নেই পর্যাপ্ত ক্রেতার।

কারওয়ানবাজারে তরমুজ বিক্রেতা রাজ্জাক বলেন, তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে। তবে রোজা শেষ দিকে হওয়ায় কমেছে চাহিদাও। তাছাড়া ক্রেতারা এখন কম কিনছেন ফলটি। এতে লোকসানে আছেন ব্যবসায়ীরা।

তিনি আরও বলেন, তরমুজের মৌসুম আছে আর মাত্র এক মাসের মতো। রোজার কারণে এখন কিছুটা হলেও বেচাকেনা আছে। ঈদের পর সেটিও থাকবে না হয়তো।

এদিকে, বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৩০ থেকে ৪৫০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বরই খেজুর ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বিলাসী পণ্যের মতো শুল্ক আরোপ করা হয়েছে খেজুরে। এক বছরের ব্যবধানে খেজুর আমদানি খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। পাশপাশি রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে এর চাহিদা। এতে দাম আরও বাড়ছে।

তবে দাম কমছে অন্যান্য দেশি ও বিদেশি ফলের। প্রতি কেজি মাল্টা ৩০০ টাকা, কমলা মানভেদে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, সবুজ আপেল ৩২০ টাকা, রয়েল গালা আপেল ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা, ফুজি আপেল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, নাশপাতি ২৬০ টাকা, আনার ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি পিস বাঙ্গি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, বরই ৭০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৯০ থেকে ১০০ টাকা ও মানভেদে প্রতি পিস আনারস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়।

বিক্রেতাদের দাবি, আমাদনি বাড়ায় কমছে ফলের দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মায়ের দোয়া ফল বিতানের বিক্রেতারা জানান, ফলের চাহিদা আগের মতোই আছে। তবে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মাভাবিপ্রবিতে অংশ নিবে ৭৩৮৮ পরিক্ষার্থী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবিতে) কেন্দ্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ৭৩৮৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় এ ইউনিটে ৪৫৬০ জন, বি ইউনিটে ২১২৯ জন ও সি ইউনিটে ৬০০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। এছাড়াও আর্কিটেকচার ব্যহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষায়  ৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ একাডেমিক ভবনগুলোতে সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাভাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে ইউজিসি এবছর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রথমবারের মতো ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়ায়, বিভাগটির জন্য ৩০ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ৮৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ৫৫ জন, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) ৫৫ জন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (টিই) ৬০ জন, ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) ৩০ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে। লাইফ সায়েন্স অনুষদের অনুকূলে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (ইএসআরএম) বিভাগে ৫৫ জন, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগে ৬০ জন, ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স (এফটিএনএস)  বিভাগে ৫৫ জন, বায়োটেকনোলজি এন্ড 

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগে ৪০ জন, ফার্মেসী বিভাগে ৩৫ জন, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগে ৩৫ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে।  সায়েন্স অনুষদের রসায়ন বিভাগে ৫৫ জন, গণিত বিভাগে ৬০ জন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ৫৫ জন, পরিসংখ্যান বিভাগে ৬০ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে। সোস্যাল সায়েন্স অনুষদের অর্থনীতি বিভাগে ৬৫ জন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের  হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ৫০ জন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৫০ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে। 

আরও জানা যায় যে, গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় এবছর ৩ টি ইউনিটে সর্বমোট আবেদন পড়েছে ৩,০৫,৩৪৬ জন পরিক্ষার্থীর। এর মধ্যে এ ইউনিটে মোট ১,৭০,৫৯৯ জন, বি ইউনিটে মোট ৯৪,৬৩১ জন এবং সি ইউনিটে মোট ৪০,১১৬  জন । গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ২০,৬৬৮ টি। আবেদন জমার হিসেবে এবছর প্রতি আসনে লড়বে  প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী। এবছর নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত হয়েছে। নতুন এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনটি পৃথক পৃথক  দিনে তিনটি গ্রুপের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ এপ্রিল শনিবার সকাল ১২.০০ টা থেকে ১.০০ টা পর্যন্ত ও আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা বিকাল ৩ টা হতে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।  বি ইউনিটের পরীক্ষা ৩ মে শুক্রবার  সকাল ১১.০০ টা থেকে ১২.০০ টা পর্যন্ত ও  সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১০ মে শুক্রবার  সকাল ১১.০০ টা থেকে ১২.০০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর