Logo
শিরোনাম

মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

মোবাইল আসক্তিকে কিছু গবেষক সেল ফোনের উপর মনস্তাত্ত্বিক বা আচরণগত নির্ভরতার একটি রূপ হিসেবে প্রস্তাব করেছেন। এটি সবার জন্যই ক্ষতিকর। এতে ছোটদের মধ্যে বাড়ছে চোখের সমস্যা। বড়দেরও জীবনযাত্রায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার কারণে পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। অনেকে চেষ্টা করছেন স্ক্রিন টাইম কমাতে কিন্তু পারছেন না। সেক্ষেত্রে থেরাপিস্টদের কিছু পরামর্শ মাথায় রাখতে পারেন।

১. মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। জীবনধারার যে কোন পরিবর্তন আনতে এটাই হল চাবিকাঠি। অনেকেরই রাত জেগে সিরিজ দেখা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করা অনেকটা নেশার মতো। একাকীত্ব কাটাতেও অনেকে রাত জেগে সময় কাটান সোশ্যাল মিডিয়ার। সেক্ষেত্রে নিজেকে কাছেই নিজে প্রশ্ন করুন- যা করছেন সেটা আপনার শরীরের জন্য ঠিক কিনা। তাহলে নিজেকেই অনুপ্রাণিত করতে পারবেন এই অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য।

২, স্মার্টফোনের গ্রে-স্কেল সেটিংস পরিবর্তন করুন। থেরাপিস্টরা মনে করছেন ফোনের রঙিন আলো অনেক সময় অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে।

৩. ফোনের নোটিফিকেশন, দিনের নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ করে রাখুন। এতে মেসেজ এলেই ফোন দেখার অভ্যাসটা কমে যাবে।

৪. অফিসের কাজের ফাঁকে, পড়ার ফাঁকে, এমনকি ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকের ফোন দেখার অভ্যাস আছে। নিজের সীমানা নিজেই ঠিক করুন। অল্প সময়ের বিরতিতে বরং চেষ্টা করুন কিছু এক্সারসাইজ করতে। এতে উপকার পাবেন।

৫. ঘুমাতে যাওয়ার সময় নিজের কাছ থেকে মোবাইল বা অন্যান্য গ্যাজেট দূরে রাখুন। ঘুম থেকে উঠেই মোবাইলে চোখ রাখবেন না। সে সময়টা ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে মানসিকভাবে ভালো থাকবেন।

৬. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলুন। ওই সময়টা বই পড়া, গান শোনা বা কোনও সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখুন।


আরও খবর

দাম কমেছে সব ধরনের ইন্টারনেট

রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫




ত্বক ভালো রাখতে ঘুমানোর আগে কী কী করবেন?

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

ঠান্ডা তাপমাত্রা এবং বাতাস আপনার ত্বকে বিশেষ করে কঠোর হতে পারে। শীতের এই সময়ে আপনার ত্বককে নরম এবং কোমল রাখার জন্য এখানে কিছু সহজ টিপস রয়েছে। বিউটি এক্সপার্টরা বলছেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাত্র পাঁচ মিনিট ব্যয় করলেই উপকার মিলবে ত্বকের। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই পাঁচ মিনিটে কী কী করবেন?

প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

তারপর ত্বকের ধরন বুঝে মেখে ফেলুন টোনার।

ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং, অর্থাৎ সিটিএম-এর নিয়ম মেনে সবশেষে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হয়। রূপচর্চা শিল্পীরা বলেছেন, এই পর্যায়ে ময়েশ্চারাইজারের বদলে মাখতে পারেন নারকেল তেল।

নারকেল তেল দিয়ে মিনিট দুয়েক মুখে ম্যাসাজ করুন। ত্বক যদি শুষ্ক হয়, তাহলে সারারাত ওইভাবে মুখে তেল রেখে দিতে পারেন।

ত্বক তৈলাক্ত ভাব হলে ম্যাসাজ করার পর ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন।

নারকেল তেলের মধ্যে কী এমন আছে?

নারকেল তেল সাধারণত চুলেই মাখা হয়। তবে এর মধ্যে যে পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ফলে বলিরেখা তো পড়েই না, উল্টে মুখের টান টান ভাব বজায় থাকে। এ ছাড়া ত্বকের প্রয়োজনীয় নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে নারকেল তেলে। এগুলো নিষ্প্রাণ ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে দিতে পারে।

মুখে নারকেল তেল ম্যাসাজ করলে কী হবে?

ত্বকের জেল্লা বজায় রাখবে নারকেল তেল। নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সঠিক পদ্ধতিতে মুখে এই তেল ম্যাসাজ করতে পারলে জেল্লা বৃদ্ধি পাবে। লিম্ফ্যাটিক নিষ্কাশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুখের জমে থাকা ফ্লুইড বের করে দেওয়া যায়।

যেহেতু নারকেল তেলে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়। ত্বকের যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি পূরণ হয় রাতে। তাই হালকা গরম তেল মুখে ম্যাসাজ করলে উপকার মিলবে।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে নারকেল তেলে, যার মাধ্যমে ত্বকে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়ে যায়। ওপেন পোরসের সমস্যাও ধীরে ধীরে কমে আসে।


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




গেন্ডারিয়া থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা:  

মামলার ঘটনা অত্র থানাধীন ফজলুল হক মহিলা কলেজে রেলওয়ে নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থী কর্তৃক ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষায়  অসৎ উপায় অবলম্বন করা দুজনকে গ্রেফতার করেছে গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ ।

এই মামলার এজাহারভুক্ত গ্রেপ্তারকৃত আসামী ১জন। আসামীর নিকট থেকে একটি ইলেকট্রনিকস ডিভাইস উদ্ধার করা হয় এবং আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী আরেকজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই আসামির নিকট থেকেও আরেকটি সেইম ডিভাইস উদ্ধার করা হয় এবং তার মোবাইল থেকে  AAAA নামে একটি whatsapp group এর সন্ধান পাওয়া যায়। যার মেম্বার সংখ্যা ৭ জন। উক্ত AAAA নামের Whatsapp group এর  Admin রাশিদুল আলম পিং জাফর সরকার, সাং তাম্বুলপুর, পীরগাছা, রংপুর| 

গেন্ডারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মনজুরুল হাসান মাসুদ, এসআই/মোঃ তৌফিক আনাম, এএসআই/মাসুদুর রহমান সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় মতিঝিল দিলকুশা এলাকা হইতে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা ধৃত আসামী  মোঃ রাশেদুল আলম (৪০), পিতা- মোঃ আবু জাফর সরকার, মাতা- মোছাঃ রোকেয়া বেগম, স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম- অজ্ঞাত । (সাং-তাব্বুলপুর) , উপজেলা/থানা- পীরগাছা, জেলা -রংপুর, বাংলাদেশ, বর্তমান ঠিকানা-(সাং- ৩৭/১ সাইকি ভবন বসুন্ধরাগলি, মিরপুর রোড) , উপজেলা/থানা- নিউমার্কেট, জেলা -ঢাকা, বাংলাদেশ এবং তার সহযোগী ও মোস্তাফিজুর রহমান (২৬), পিতা- মোঃ সাইদুর রহমান, মাতা- মোছাঃ লিপি বেগম, স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম- ভরত খালী, উপজেলা/থানা- সাঘাটা, জেলা –গাইবান্ধাকে ইং-২৮/০২/২০২৫ তারিখ আটক করেন এবং উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে গেন্ডারিয়া থানার ,এফআইআর নং-১৯, তারিখ- ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪; জি আর নং-৪১, তারিখ- ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪; সময়- ১৬.৩০ ঘটিকা ধারা- ২৩ সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩; তৎসহ 9(b) The Public Examinations (Offences) Act, 1980 বিবাদীদ্বয়কে ইং-২৮/০২/২০২৫খ্রিঃ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।


আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




রমজানে সিএনজি স্টেশন বন্ধ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ |

Image

পবিত্র রমজান মাসজুড়ে সিএনজি স্টেশনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাসের চাহিদা পূরণে স্টেশনগুলো সাড়ে চার ঘণ্টা বন্ধ থাকবে।

আজ বুধবার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মাদ রুবায়েত খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, রমজান মাসে বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

প্রসঙ্গত, গত রমজানে সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ ছিল বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।


আরও খবর



ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যেও জিকার সংক্রমণ পাওয়া গেছে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি) বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের ক্লাস্টার শনাক্ত করেছে। আইসিডিডিআর,বি’র বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি প্রচলিত জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য একটি ছোট আকারে স্ক্রিনিং করেছেন। তারা ২০২৩ সালে সংগৃহীত রোগীদের নমুনার মধ্যে পাঁচটি কেস শনাক্ত করেছেন, যা ঢাকায় জিকা সংক্রামিত রোগীদের একটি ক্লাস্টার হিসেবে প্রথমবারের মতো চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ছিলেন।

সোমবার (৩ মার্চ) আইসিডিডিআরবি তাদের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

জিকা ভাইরাসকে একটি প্রধান উদীয়মান রোগজীবাণু হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৫৪ সালে নাইজেরিয়ায় প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্ত হলেও পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এশিয়া ও আফ্রিকায় নীরবে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০৭ সালে ফেডারেটেড স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়ার ইয়াপ দ্বীপে প্রথম বড় জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া যায়। ২০১৫ সালে, ব্রাজিলে একটি বড় প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল এবং পরবর্তীকালে দক্ষিণ আমেরিকার বাকি অংশ, ক্যারিবিয়ান এবং অবশেষে বিশ্বের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং ভারতে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গেছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) রেট্রোস্পেকটিভ সার্ভিল্যান্স স্টাডিতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একজন জিকা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। ২০১৪ সালে বিদেশ ভ্রমণের পূর্ব ইতিহাস নেই এমন এক রোগীর কাছ থেকে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে, ব্রাজিলে ২০১৫ সালের প্রাদুর্ভাবের আগে থেকেই বাংলাদেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল।

আইসিডিডিআরবি জানায়, এই গবেষণায় ২০২৩ সালে মহাখালীতে আইসিডিডিআর,বি’র ডায়াগনস্টিক ফ্যাসিলিটিতে আসা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করেন এবং জ্বর ও জিকা ভাইরাসের অন্য কোনও লক্ষণ নিয়ে ১৫২ জন রোগীর নমুনায় জিকা ভাইরাসের জন্য পিসিআর পরীক্ষা করেন। এর মধ্যে পাঁচটি নমুনায় জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে, বাংলাদেশে রোগের প্রকৃত বোঝা পরিমাপের জন্য দেশব্যাপী আরও বড় পরীক্ষার প্রয়োজন। পাঁচ জন রোগীই একে অপরের থেকে এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবাস করতেন এবং গত দুই বছরে দেশের বাইরেও ভ্রমণ করেনি তারা। সব রোগীকে প্রায় এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা একই সংক্রমণের শৃঙ্খলের অংশ ছিল। জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের পাঁচ জনের মধ্যে একজন ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন- বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই সহ-সংক্রমণ শনাক্ত হলো বলে জানায় আইসিডিডিআরবি।

আইসিডিডিআর,বি’র জিনোম সেন্টারে গবেষকরা তিন জনের নমুনার পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং করেন। বিশ্বজুড়ে সংগৃহীত অন্যান্য জিকা ভাইরাসের ধরনের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণে তারা দেখেছেন যে বাংলাদেশি ধরনগুলো আফ্রিকান বংশের বিপরীতে জিকা ভাইরাসের এশীয় বংশের অন্তর্গত। ২০১৯ সালে কম্বোডিয়া ও চীনের স্ট্রেইনের সঙ্গে বাংলাদেশের স্ট্রেইনের সবচেয়ে বেশি মিল পাওয়া গেছে। জিকা-আক্রান্ত দেশগুলো থেকে ভ্রমণকারীদের জন্য রুটিন জিকা ভাইরাস, পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে আরও ডায়াগনস্টিক ক্ষমতা এবং পদ্ধতিগত নজরদারি ভবিষ্যতে বড় প্রাদুর্ভাবের চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করে আইসিডিডিআর,বি।


আরও খবর



ইউরোপের বাজারে কদর বাড়ছে তৈরি পোশাকের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কদর ক্রমশই বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ধারাবাহিকভাবে। এবার ইউরোপের বাজারেও চমক সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারিতে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫২.৫৬ শতাংশ। গতকাল ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট ও বিজিএমইএর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ৬ হাজার ৮৫৪ মিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৫৭৬ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ চলতি বছর জানুয়ারিতে ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে ২৫ শতাংশের বেশি।

এদিকে জানুয়ারিতে ইউরোপে শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীনের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে ৩৩ শতাংশের বেশি। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যেখানে চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানি ছিল ১ হাজার ৮৪১ মিলিয়ন ডলার, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৪৫৯ মিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫২.৫৬ শতাংশ। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ১ হাজার ২৯৬ মিলিয়ন ডলার; সেদিক থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৭৭ মিলিয়ন ডলার।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্যমতে, জানুয়ারি মাসে ইউরোপে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৭ শতাংশ, কলোম্বিয়ার ৬৩ শতাংশ, ভিয়েতনামের ২৭ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৫ শতাংশ, মরক্কোর সাড়ে ৩ শতাংশ, শ্রীলংকার ৪৩ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ার ১৬ শতাংশ। তবে ইউরোপে জানুয়ারিতে একমাত্র তুর্কির পোশাক রপ্তানি কমেছে, যা মাত্র দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশের পোশাক রপ্তানিতে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে দেশটিতে সাকল্যে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে আগের তুলনায় বেশি। গত ১১ মার্চ ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) এক পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, চলতি বছরজুড়ে কাজের অর্ডার বাড়ার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রেতারা বাংলাদেশে সোর্সিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রবৃদ্ধির গতিপথ অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির জন্য কৌশলগত পরিবর্তন আরও জরুরি। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির মুখে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলকতা বজায় রাখা এবং মুনাফার মার্জিন রক্ষা করার জন্য মূল্য সংযোজন এবং বাজার বৈচিত্র্য এখনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।


আরও খবর