Logo
শিরোনাম

রহস্য খুলছে না তথ্য ফাঁসের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

গাজী শাহনেওয়াজ : কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় নীতি-নির্ধারণী সব কর্তৃপক্ষই মুখে কুলুপ এঁটেছে। দায় এড়াতে সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করছে। ফলে রহস্য খুলছে না তথ্য ফাঁসের। দেশের ১২ কোটি জাতীয় ভোটার পরিচয়পত্রে থাকা গোপনীয় তথ্য ফাঁস হলেও তারা বলছে, তাদের তথ্য ভান্ডার বা সার্ভার সুরক্ষিত। এই তথ্য শুধু ইসির তত্ত্বাবধানে আছে বলা যায় না। কারণ আইসিটি বিভাগও ডুপ্লিকেট কপি করে তাদের তত্ত্বাবধানে রাখে।

ইসির মতো এই বিভাগও তথ্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করে সেবা দিচ্ছে। অন্যের কাছ থেকে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হতে শুধু ইসি কিংবা আইসিটি বিভাগের কাছ থেকে কেনা সেবা সীমাবদ্ধ রাখার কথা থাকলেও তারা অন্যের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অঙ্কের মুনাফা। ফলে কোন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে নাগরিকের গোপন তথ্য পাচার হচ্ছে বা হয়েছে এ নিয়ে এক ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রের নাগরিকের তথ্য ফাঁস ইস্যুতে বিব্রত সরকারও।

এ কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির ইনফরমেশন সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট ভিক্টর একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সরকারকে ছয় বার ই-মেইল দিয়েও তারা কোনো সাড়া পায়নি।

মারকোপোলোস বলেন, অন্য সব দিনের মতোই গত ২৭ জুন তিনি গুগলে কিছু খুঁজছিলেন। হঠাৎ তার মনে হয়, কোথাও একটা ঘাপলা হচ্ছে। নেহাত কৌতূহল থেকে ইউআরএলে একটা শব্দ বদলে দেন ভিক্টর। প্রথমে একজন বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য তার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। পরে স্রোতের মতো ব্যক্তিগত তথ্য এসে জমা হতে থাকে। ভিক্টর আরো বলেন, আমি কখনো এত বড় তথ্য ফাঁসের ঘটনার মুখোমুখি হইনি। আমার পর্যালোচনা বলে, প্রায় ৫ কোটি মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে। এই মানুষগুলো নানাভাবে ক্ষতির শিকার হলেন।

এদিকে ইসি ও আইসিটি বিভাগ এ নিয়ে দফায় দফায় সভা করেও নিশ্চিত হতে পারেনি কীভাবে এতো নাগরিকের তথ্য পাচার হলো। মূল সেবা কর্তৃপক্ষের গাফলতির সুযোগে এক শ্রেণির কুচক্রী মহল বড় বাণিজ্যের সুযোগ পেয়েছে।

এনআইডির তথ্য সংবলিত সার্ভার অরক্ষিত : কারও তথ্যই গোপন নেই। এর জন্য দায়ী করা হয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের সঙ্গে এনআইডির সার্ভার যুক্ত থাকায় নাগরিকদের সব তথ্যই বাইরে চলে গেছে। ওয়েবসাইটটি এনআইডির তথ্য ভান্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনো নিরাপত্তাবলয় ছিল না। ওই ওয়েবসাইটে ঢুকে পাবলিক সার্চ টুল ব্যবহার করলে সরাসরি এনআইডির তথ্য ভান্ডার থেকে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সামনে চলে আসত।

জানা গেছে, বিষয়টি শনাক্ত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওআরজিবিডিআরের ওয়েবসাইট থেকে এনআইডির তথ্য ভান্ডারে ঢোকার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয় গঠন করা বিশেষজ্ঞ দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে নাগরিকদের ফাঁস হওয়া তথ্যের অপব্যবহার ঠেকানো এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, তা এখনো জানায়নি সরকার। জানা গেছে, দেশের প্রায় ১৩ কোটি নাগরিকের এনআইডি আছে।

প্রযুক্তিবিদরা বলেছেন, এনআইডিতে কোনো ব্যক্তির ঠিকানা, জন্ম-নিবন্ধন, ফোন ও পাসপোর্ট নম্বর, আঙুলের ছাপসহ এমন সব তথ্য থাকে, যা দিয়ে তাকে শনাক্ত করা যায়। ফাঁস হওয়া এসব তথ্য একাধিক ডার্ক ওয়েবে বা চোরাগোপ্তা সাইটে বিক্রি করা হয়ে থাকতে পারে। এতে ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম-পরিচয় ব্যবহার করে তার আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালানো হতে পারে। এর পরিণতি হতে পারে ভয়ংকর।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানায়, সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকেই নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে একটি সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান প্রমাণ পেয়েছে। সেই সাইট থেকে দেশের কয়েক কোটি মানুষের নাম, ফোন নম্বর, ই- মেইল ঠিকানা, এনআইডি নম্বরসহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া তথ্য নিয়ে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে হলে এনআইডির নম্বর পরিবর্তন করা জরুরি। প্রযুক্তির সহায়তায় তাতে ডিজিট সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারলে, পুরোনো এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে কেউ আর কোনো অপকর্ম করার সুযোগ পাবে না।

এখন করণীয় কী জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের সাইবার ইউনিটগুলো কাজ শুরু করেছে। যদি কেউ এ কাজ করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ত্রুটিপূর্ণ ওয়েব সাইটের সঙ্গে চুক্তি বাতিল : জানা যায়, দেশের সরকারি-বেসরকারি ১৭১টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার থেকে তথ্য পায়। সেই সুবাদে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়সহ ইউটিলিটি বিল পরিশোধের সাইটগুলোয় কয়েক কোটি নাগরিকের তথ্য থাকে।

এদিকে, সরকারি তথ্য বাতায়ণের আওতায় প্রায় ৩৪ হাজার ওয়েবসাইট আছে। এগুলোর বাইরে আরো প্রায় ৫ হাজার সরকারি ওয়েবসাইট আছে। এসব ওয়েবসাইটের অধিকাংশই আইসিটি বিভাগের অধীনে এটুআই প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কোথাও ত্রুটি হলে সরকার ও দেশের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। আর এনআইডি বলেছে, তাদের সার্ভার সুরক্ষিত। তবে প্রকৃত অপরাধী কে সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। অতি গোপনীয়তা রক্ষা করে চলছে প্রতিষ্ঠানগুলো। নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় নীতি-নির্ধারণী সব কর্তৃপক্ষই মুখে কুলুপ এঁটেছে। দায় এড়াতে সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করছে। ফলে রহস্য খুলছে না তথ্য ফাঁসের। দেশের ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত জাতীয় ভোটার পরিচয়পত্রে থাকা গোপনীয় তথ্য ফাঁস হলেও তারা বলছে, তাদের তথ্য ভান্ডার বা সার্ভার সুরক্ষিত। এই তথ্য শুধু ইসির তত্ত্বাবধানে আছে বলা যায় না। কারণ আইসিটি বিভাগও ডুপ্লিকেট কপি করে তাদের তত্ত্বাবধানে রাখে।

ইসির মতো এই বিভাগও তথ্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করে সেবা দিচ্ছে। অন্যের কাছ থেকে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হতে শুধু ইসি কিংবা আইসিটি বিভাগের কাছ থেকে কেনা সেবা সীমাবদ্ধ রাখার কথা থাকলেও তারা অন্যের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অঙ্কের মুনাফা। ফলে কোন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে নাগরিকের গোপন তথ্য পাচার হচ্ছে বা হয়েছে এ নিয়ে এক ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রের নাগরিকের তথ্য ফাঁস ইস্যুতে বিব্রত সরকারও।

এ কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির ইনফরমেশন সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট ভিক্টর একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সরকারকে ছয় বার ই-মেইল দিয়েও তারা কোনো সাড়া পায়নি।

মারকোপোলোস বলেন, অন্য সব দিনের মতোই গত ২৭ জুন তিনি গুগলে কিছু খুঁজছিলেন। হঠাৎ তার মনে হয়, কোথাও একটা ঘাপলা হচ্ছে। নেহাত কৌতূহল থেকে ইউআরএলে একটা শব্দ বদলে দেন ভিক্টর। প্রথমে একজন বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য তার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। পরে স্রোতের মতো ব্যক্তিগত তথ্য এসে জমা হতে থাকে। ভিক্টর আরো বলেন, আমি কখনো এত বড় তথ্য ফাঁসের ঘটনার মুখোমুখি হইনি। আমার পর্যালোচনা বলে, প্রায় ৫ কোটি মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে। এই মানুষগুলো নানাভাবে ক্ষতির শিকার হলেন।

এদিকে ইসি ও আইসিটি বিভাগ এ নিয়ে দফায় দফায় সভা করেও নিশ্চিত হতে পারেনি কীভাবে এতো নাগরিকের তথ্য পাচার হলো। মূল সেবা কর্তৃপক্ষের গাফলতির সুযোগে এক শ্রেণির কুচক্রী মহল বড় বাণিজ্যের সুযোগ পেয়েছে।

এনআইডির তথ্য সংবলিত সার্ভার অরক্ষিত : কারও তথ্যই গোপন নেই। এর জন্য দায়ী করা হয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের সঙ্গে এনআইডির সার্ভার যুক্ত থাকায় নাগরিকদের সব তথ্যই বাইরে চলে গেছে। ওয়েবসাইটটি এনআইডির তথ্য ভান্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনো নিরাপত্তাবলয় ছিল না। ওই ওয়েবসাইটে ঢুকে পাবলিক সার্চ টুল ব্যবহার করলে সরাসরি এনআইডির তথ্য ভান্ডার থেকে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সামনে চলে আসত।

জানা গেছে, বিষয়টি শনাক্ত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওআরজিবিডিআরের ওয়েবসাইট থেকে এনআইডির তথ্য ভান্ডারে ঢোকার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয় গঠন করা বিশেষজ্ঞ দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে নাগরিকদের ফাঁস হওয়া তথ্যের অপব্যবহার ঠেকানো এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, তা এখনো জানায়নি সরকার। জানা গেছে, দেশের প্রায় ১৩ কোটি নাগরিকের এনআইডি আছে।

প্রযুক্তিবিদরা বলেছেন, এনআইডিতে কোনো ব্যক্তির ঠিকানা, জন্ম-নিবন্ধন, ফোন ও পাসপোর্ট নম্বর, আঙুলের ছাপসহ এমন সব তথ্য থাকে, যা দিয়ে তাকে শনাক্ত করা যায়। ফাঁস হওয়া এসব তথ্য একাধিক ডার্ক ওয়েবে বা চোরাগোপ্তা সাইটে বিক্রি করা হয়ে থাকতে পারে। এতে ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম-পরিচয় ব্যবহার করে তার আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালানো হতে পারে। এর পরিণতি হতে পারে ভয়ংকর।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানায়, সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকেই নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে একটি সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান প্রমাণ পেয়েছে। সেই সাইট থেকে দেশের কয়েক কোটি মানুষের নাম, ফোন নম্বর, ই- মেইল ঠিকানা, এনআইডি নম্বরসহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া তথ্য নিয়ে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে হলে এনআইডির নম্বর পরিবর্তন করা জরুরি। প্রযুক্তির সহায়তায় তাতে ডিজিট সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারলে, পুরোনো এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে কেউ আর কোনো অপকর্ম করার সুযোগ পাবে না।

এখন করণীয় কী জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের সাইবার ইউনিটগুলো কাজ শুরু করেছে। যদি কেউ এ কাজ করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।



আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




ফতুল্লায় আলামিন শেখ হত্যা মামলার

প্রধান আসামি হাফিজ মাস্টারকে গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল :

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কবিরাজ আলামিন শেখ হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ মাস্টারকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই। রবিবার রাতে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার নিজ ভাড়া বাসা থেকে হাফিজ মাস্টারকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারও উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআইয়ের কার্যালয়ে  সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই’র নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। 

পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি প্রথমে ক্লুলেছ হলেও পরবর্তীতে আমাদের লোকাল সোর্স এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার প্রধান আসামী হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ মাস্টার (৩৮) কে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার নিজ ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারও উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত হাফিজ মাস্টার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে জানায়, হাফিজুর রহমান ও নিহত কবিরাজ আলামিন শেখ পূর্ব পরিচিত। দু’জনে একসাথে লাইটার জাহাজে কাজ করতেন। 

হাফিজুর ধারনা করে আলামিনের কবিরাজি ঝাড় ফুকের দ্বারা সমাজের অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। আসামী হাফিজুর কিছুতেই তাকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে না পেরে আদর্শগত দিক থেকে তার পূণ্য হবে এই ধারনায় কবিরাজ আলামিন শেখ কে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। 

হত্যার দিন হাফিজ ভিকটিমের সাথে মোবাইলে কথা বলে রাতে কবিরাজি রুমে আসে। রাতে ঘুমিয়ে পড়লে ভোর রাতে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী হাফিজ তার বন্ধু আলামিন শেখ কে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে। হত্যাকান্ড শেষে হাফিজুর ফতুল্লা পাগলা মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোররাতে (৮ সেপ্টেম্বর) ফতুল্লায় ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকার এক কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।


আরও খবর



বিশ্বম্ভরপুরে আইন শৃঙ্খলা ও বিট পুলিশিং বিষয়ক মতবিনিময়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শফিউল আলম,স্টাফ রিপোর্টার: 

বিশ্বম্ভরপুরে আইন শৃঙ্খলা ও বিট পুলিশিং বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার  (৩ অক্টোবর) সকালে বিশ্বম্ভরপুর পুলিশ প্রশাসনের আয়োজনে থানা মিলনায়তনে আইন-শৃঙ্খলা ও বিট পুলিশিং বিষয়ক মতবিনিময় সভা  অনুষ্টিত হয়। 

 এসআই আমিমুল এহসান'র সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক।সূত্রে জানযায় সাম্প্রতিক সময়ে থানায় যোগদানের পর থেকে মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে  উপজেলার সর্বত্র জনসচেতনতা বৃদ্ধি  করে যাচ্ছেন অফিসার ইনচার্জ শিমুল বণিক। তাঁকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে শোনা যায়"মাদক ও জুয়া  যেখান থাকবে সেখানে শ্যামল বণিক থাকবে না। অথবা শ্যামল বণিক যেখানে থাকবে সেখানে মাদক ও জুয়া থাকবে না"।

 বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাদাঘাট দক্ষিণ  ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছবাব মিয়া, সলুকাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী তপন,ধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিলন মিয়া,পলাশ ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল আহমদ,ফতেপুর ইউপি  চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ,ওসি তদন্ত মোহাম্মদ কিবরিয়া, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি স্বপন কুমার বর্মন, ফতেপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফুর রহমান,সলুকাবাদ ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন,উপজেলা শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মতি মিয়া,গণমাধ্যমকর্মী হাসান বশির ও শফিউল আলম। এছাড়াও মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য আবুল কালাম সহ আবু বক্কর সিদ্দিক,আব্দুল বাসিত প্রমূখ। অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক বলেন আপনাদের সকলের সহযোগিতায় বিশ্বম্ভরপুর কে মাদক মুক্ত সন্ত্রাসমুক্ত করে সুন্দর শান্তিপূর্ণ উপজেলায় পরিণত করতে চাই। তিনি আরোও বলেন এরই মধ্যে আপনারা জেনে থাকবেন আমি যোগদানের পর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে সকল মহলের প্রতি আহবান জানিয়ে আসছি এবং এবং কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। 

সভায় ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দ সহ বক্তাগণ মাদক মুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত  আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শান্তিপূর্ণ উপজেলা গড়ে তুলতে ঐক্যমত পোষণ করেন। অফিসার ইনচার্জের বক্তব্য কে সমর্থন করে  উপস্থিত সকলেই সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। উক্ত মত বিনিময় সভায় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ,বিভিন্ন হাট বাজারের সভাপতি সম্পাদক বৃন্দ,উপজেলার পরিবহন সেক্টরের সংগঠন/সমিতির নেত্রী বৃন্দ গণমাধ্যম প্রতিনিধি বৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



লিবিয়ায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, নিখোঁজ ১০ হাজার

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে দ্রুত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দেশটিতে রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র তৌফিক আল-শুকরি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে তিন হাজার ৮৪ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। তবে নিখোঁজ রয়েছে দশ হাজার। তাছাড়া এ ঘটনায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩০ হাজার।

তবে বেনগাজিতে অবস্থিত লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন ধারণা করছে ভয়াবহ এই বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

সেখানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমান আবদুল জালিল বলেছেন, এই অঞ্চলের পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। অনেক জায়গায় এখনো মরদেহ পড়ে রয়েছে। হাসপাতালগুলো মরদেহে পূর্ণ হয়ে গেছে। এমন অনেক জায়গায় আছে যেখানে এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

এর আগে পূর্ব লিবিয়া অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে থাকা লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মুখপাত্র আহমেদ মিসমারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেরনার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণেই এই বিপর্যয় ঘটেছে।

এদিকে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দল ও বিভিন্ন উপকরণ বহনকারী একটি প্লেন বন্যাকবলিত দেশটিতে পৌঁছেছে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ লিবিয়াতে আমাদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলসহ সাহায্য সামগ্রী সরবরাহ অব্যাহত রাখছি।

সূত্র: আল-জাজিরা


আরও খবর



প্রতারণা মামলায় নুসরাতকে ইডির তলব, কী বলছেন যশ?

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিনোদন ডেস্ক : বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ইডির অফিসে তলব করা হয়েছে তাকে। ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার মামলায় দেশটির বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

একদিকে যখন এ খবরে রাজ্য রাজনীতি সরগরম, অন্যদিকে তখন শহর জুড়ে অভিনেত্রী দিব্যা খোসলা কুমারের সঙ্গে আসন্ন নতুন হিন্দি সিনেমা ‘ইয়ারিয়া ২’-এর প্রচার চালাচ্ছেন স্বামী যশ দাশগুপ্ত।

নুসরাত প্রসঙ্গে যশকে ভারতীয় এক গণমাধ্যমে প্রশ্ন করা হলে কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমি এখন নতুন সিনেমার কাজে ব্যস্ত। আমার মনে হয় না, এটা সঠিক সময় এ বিষয়ে কথা বলার। সঠিক সময় এলে নিশ্চয়ই সব উত্তর দেব।

নুসরাতের সঙ্গে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে যাবেন কী যশ? সে কথাও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, আজ শনিবারই সিনেমার প্রচারের জন্য মুম্বাই চলে যাবেন তিনি।

উল্লেখ্য, নুসরাতসহ সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিংহ এবং ‘স্লিপিং ডিরেক্টর’ রূপলেখা মিত্রকেও ইডির তরফে তলব করা হয়েছে।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র  রিপোর্টার :

নওগাঁয় মা ও ১০ বছর বয়সি মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। 

মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার এর ঘটনাটি ঘটে শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জামগ্রাম (বাঁধপাড়া) গ্রামে।

নিহত মা ও মেয়ে হলেন, ঐ গ্রামের ভ্যান চালক আরিফুল ইসলাম এর স্ত্রী মোসাঃ ছাবিনা আক্তার (২৮) ও মেয়ে মোসাঃ আফরোজা আক্তার (১০)। মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ এর খবর মহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় এক নজর দেখার জন্য ঘটনাস্থলে লোকজন ভীড় জমান এবং মা ও মেয়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রাম তথা এলাকা জুড়ে লোকজনের মাঝে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। থানা পুলিশ ও স্থানিয় সুত্র জানান, ঐ গ্রামের আরিফুল ইসলাম ভ্যান চালিয়ে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। 

প্রতি দিনের ন্যায় শনিবার সকালেই ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে ভাড়া মারার উদ্দ্যশ্যে বের হয়ে যান আরিফুল ইসলাম এবং ভাড়া মারার এক পর্যায়ে খাবারের জন্য আনুঃ সকাল সারে ৮ টার দিকে বাড়িতে গিয়ে ডাক দিয়ে স্ত্রী ও মেয়ের কোন সারা-শব্দ না পেয়ে শয়ন ঘড়ে গিয়ে স্ত্রী ও মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে কান্নাকাটি শুরু করায় সাথে সাথে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌছে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। মহূর্তের মধ্যেই মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে লোকজন ভীড় জমান। ঘটনাটি থানা পুলিশ কে জানানোর পরই আত্রাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।

মা ও মেয়ের দুটি মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার জানান, মা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়ে অফিসার ইনচার্জ বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারন যানাযাবে। তারপরও ঘটনাটি উদর্ঘাটনে পুলিশ তৎপর রয়েছে।  


আরও খবর