Logo
শিরোনাম

র‌্যাবের অভিযানে ৪৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ দু'জন আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছীতে র‌্যাবের অভিযান, ৪৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ দু'জন আটক। সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্পের চৌকস অপারেশনাল দল রবিবার বিকেলে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ বদলগাছী উপজেলার

মথুরাপুর গ্রামের জহির উদ্দিন সোনার এর ছেলে আব্দুল গাফফার (৫২) ও নওগাঁ সদর উপজেলার রাইঝুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে রাজু আহমেদ (২৫) কে আটক করেন। র‌্যাব আরো জানান, আটককৃত গাফফার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে রাজু'র মাধ্যমে জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েক দিন ধরে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করেন এবং রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সময় নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানাধীন মথুরাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের ফেন্সিডিল সহ আটক করেন। র‌্যাব আরো জানায়,

মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

আটককৃত দু' জনকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব।


আরও খবর



বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৪৯

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আরও ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৭টি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রুমার পাহাড়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এই অভিযানে আরও ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে রোববার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার ও কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৫ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে খামারের শত শত মুরগি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

বছর ১৭ আগে মুরগির খামার শুরুর পর ভালোই চলছিল বরিশালের আমানতগঞ্জের সেলিনা হোসেনের। কিন্তু ব্যবসায় বিপত্তি শুরু হয় করোনা মহামারীকালে। এরপর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ান। সম্প্রতি বয়ে চলা তাপপ্রবাহ ও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে হিটস্ট্রোকে মারা গেছে তার প্রায় ৭০০ মুরগি। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্বামীহারা এ খামারি। 

সেলিনা হোসেন বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনের উৎস আমার এ মুরগির খামার। করোনার সময় একবার বড় লোকসান হয়। অনেক মুরগি মারা গিয়েছিল তখন। অনেক কষ্টে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। ৮০০ ব্রয়লার মুরগি তুলেছিলাম। কিন্তু এবার সব শেষ। বিদ্যুৎ যায় আসে। যে গরম পড়ছে তাতে ফ্যান চালিয়ে রাখতে হয়। টিনে পানি দিতে হয়। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে আরো বেশি স্ট্রোক বেড়েছে। ওষুধ খাইয়েছি, তবু মুরগিগুলোকে রক্ষা করা যায়নি। আবার মুরগি ওঠানোর ক্ষমতা আমার নেই।

সেলিনার মতো অন্য খামারিদের একই হাল। অতিরিক্ত গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি খামারেই দেখা দিয়েছে মড়ক। প্রায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে শত শত মুরগি। অনেক খামারি লোকসান গুনে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে হিটস্ট্রোকে মুরগি মারা গেলেও প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে তাদের কাছে কেউ যাচ্ছে না বলে অভিযোগ খামারিদের। 

খামারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনার পর থেকে পোলট্রি খাতে দুর্ভোগ যেন কাটছেই না। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পোলট্রিখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামার গুটিয়ে নেন বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের প্রায় ৪০ শতাংশ খামারি। এছাড়া খাদ্য ও মুরগির বাচ্চার অতিরিক্ত দামের পাশাপাশি এখন পোল্ট্রি খাতের অন্যতম নীরব ঘাতক হয়ে উঠছে জলবায়ু পরিবর্তন। গত কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র তাপপ্রবাহে খামারগুলোয় ব্যাপক হারে ব্রয়লার মুরগি হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে ডিম উৎপাদনও। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য খামারিরা বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল থাকলেও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে সেটিও ব্যাহত হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পাঁচদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়াচ্ছে, আবহাওয়ার পরিভাষায় যাকে বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। গতকালও চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বাগেরহাট ও কুষ্টিয়ায়ও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। এ তাপপ্রবাহ আরো বেড়ে সামনে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এতে ভবিষ্যৎ নিয়ে আরো বেশি শঙ্কায় রয়েছেন পোলট্রি খামারিরা।

বরিশালে গত কয়েক দিনে ৬১৭টি খামারে প্রায় পাঁচ হাজার ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন জেলার পোলট্রি মুরগির খামার মালিকদের সংগঠনের নেতা কালাম শিকদার। তিনি জানান, জেলায় ১ হাজার ৬০৮টি মুরগির খামার রয়েছে। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির ৬১৭টি, লেয়ার ৫৩৫টি ও সোনালি মুরগির ৪৫৬টি। মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে পোলট্রি খামারে দেখা দিয়েছে হিটস্ট্রোক। তাপপ্রবাহ থেকে মুরগি বাঁচাতে অনেক খামারে বৈদ্যুতিক পাখা সংযুক্ত করলেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সেটিও কাজে আসছে না। ফলে পোলট্রি খামারে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন খামারিরা।

তীব্র গরমে খামারে মড়ক লাগলেও কোনো তথ্য দিতে পারেনি জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আবু সুফিয়ান বলেন, গরমের সময় খামারে বারবার পানি স্প্রে ও টিনের চালে ছালার চট ভিজিয়ে রাখার পরামর্শসহ একাধিক গাইডলাইন দেয়া হয়েছে বিভাগের প্রত্যেক মাঠ কর্মকর্তাকে। তারা খামারিদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে গরমে মুরগির মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের অবহিত করা হয়নি এখনো। 

চট্টগ্রামের খামারিরা জানিয়েছেন, ওষুধ ও পানি স্প্রের মাধ্যমে হিটস্ট্রোক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও প্রতিনিয়ত ব্রয়লার মুরগি মারা যাচ্ছে। আবার লেয়ার মুরগির ডিম উৎপাদন কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। 

বৃহত্তর চট্টগ্রাম পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটনের খামারে দেড় কেজির বেশি মুরগি ছিল প্রায় চার হাজার। কিন্তু গত দুদিনের গরমে প্রায় এক হাজার মুরগি মারা গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ছোট মুরগি মারা যায় কম। কিন্তু এক কেজি ওজনের বেশি মুরগি প্রচুর মারা যাচ্ছে। আমার বড় মুরগির খামারে গত দুদিনে ২৫ শতাংশই মারা গেছে। আশপাশের সবার ক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে। যত ভালো খামার ব্যবস্থাপনাই থাকুক এ গরমে মুরগি মারা যাবেই। তবে এ বছর মৃত্যুটা বেশি। 

একই কথা জানান রাউজান উপজেলার অর্ণব পোলট্রি ফার্মের স্বাত্বাধিকারী দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহে আমার খামারের বেশকিছু মুরগি মারা গেছে। আরো কিছু মুরগির অবস্থা সংকটাপন্ন। লেয়ার মুরগির ডিম উৎপাদন কমে গেছে। স্যালইন, ভিটামিন সি খাওয়ানোর পাশাপাশি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে স্প্রে করে খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। অন্যদিকে গরমের কারণে ভূগর্ভস্থ পানিও তোলা যাচ্ছে না। এ কারণে পানিরও সংকট আছে। এভাবে গরম পড়তে থাকলে খামার রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হবে না। কম দামে তখন বিক্রি করে দিতে হতে পারে।

চট্টগ্রাম প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় প্রায় চার হাজার ব্রয়লার ও পাঁচ শতাধিক লেয়ার মুরগির খামার আছে। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মুরগি খামারের উপপরিচালক মো. আলমগীর বণিক বার্তাকে বলেন, অনেক বেসরকারি পর্যায়ের খামারে গরমের কারণে মুরগি মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। তবে সরকারি খামারগুলোয় এখন কোনো মুরগি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। খামারগুলোয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।

যশোরে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বোচ্চ। আগের দিন ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে ১০ হাজারের মতো মুরগি মারা গেছে। শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার খামারি সানজিদা বেগম বলেন, প্রচণ্ড গরমে মুরগি মারা যাচ্ছে। আমার খামারে ৭০০ মুরগি ছিল। এখন আছে ২৫০টি। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরে মুরগি খামার রয়েছে ১ হাজার ৫৩৪টি। সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপু কুমার জানান, তার অধীনে ২৪৯টি ব্রয়লার ও ২৫টি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। কয়েক দিন ধরে যশোরে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এতে মুরগির হিটস্ট্রোক বেড়ে গেছে। খাওয়া কমে গেছে। তবে কী পরিমাণ মুরগি মারা গেছে তার হিসাব নেই।

তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় রংপুরের খামারিরাও দুশ্চিন্তায় আছেন। লোডশেডিং তাদের আতঙ্ক আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। জেলায় লেয়ার মুরগির খামার আছে দেড় শতাধিক এবং ব্রয়লার চার শতাধিক। 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গরমে সাধারণত ৩৪ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে সহনীয় ধরা হয়। এর ওপরে গেলে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বলা হয়, যা সব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। হিটস্ট্রোকসহ নানা অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এ মুহূর্তে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ আরো বেড়েছে খামারিদের। এ গরম চলতে থাকলে মুরগির মৃত্যু আরো যে কত বাড়বে তা নিয়েই আতঙ্কিত তারা।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেশি ছিল। কিছু স্থানে হালকা বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমেনি। আগামী দুদিন তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোয় বেশি গরম পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া বিরূপ আচরণ করছে। এর সঙ্গে নগরায়ন ও গাছপালা কেটে ফেলার কারণে খারাপ হচ্ছে বাংলাদেশের আবহাওয়া।

পোলট্রি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুরগির বাচ্চার তাপমাত্রা সহ্যক্ষমতা বেশি থাকে। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে। এ কারণে বড় আকারের মুরগি হিটস্ট্রোকে বেশি মারা যায়। 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী বলেন, অতিরিক্ত গরমে তুলনামূলক ব্রয়লার মুরগি বেশি মারা যায়। কারণ তাদের সহ্যক্ষমতা কম। গরমে ব্রয়লার মুরগি খাবার কমিয়ে দেয়। সে কারণে তার খাবারে এনার্জির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। টিনের চালে পানি বা ভেজা বস্তা দিতে হবে যেন শেড ঠাণ্ডা থাকে।


আরও খবর



২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলছে। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপদাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক মোতাবেক ঘোষিত ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হলো

১) আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

২) তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

৩) শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

৪) তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশে এমন তাপমাত্রা এটাই প্রথম নয়। এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নয়। সে কারণে এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থীদেরই পড়াশোনার ক্ষতি হবে। তাই আমরা রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি।

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। আর ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার। তবে ছুটি না বাড়ায় রোববার থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

এপ্রিল মাস জুড়ে টানা তাপপ্রবাহের পর আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশবাসীকে দিয়েছে স্বস্তির বার্তা। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বুধবারও (১ মে) দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। ১৯৮৯ এর পর গত ৩৫ বছরে এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

দেশের পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগে আজও তাপমাত্রা এমনই থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দিনগুলোতে এই বৃষ্টি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। একই সঙ্গে ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও আওতা কমবে।

বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এতে বিরাজমান তাপপ্রবাহ দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। এদিন দেশের পূর্বাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

টানা তাপপ্রবাহ ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এই অসহনীয় উত্তাপ ও প্রচণ্ড গরমে কষ্টে আছে প্রায় সারা দেশের মানুষ। হিট স্ট্রোকে ঘটেছে অনেক মৃত্যুর ঘটনা।


আরও খবর



চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত চিকিৎসকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলায় আহত চিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে তিনি মারা যান।

জানা গেছে, নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজশাহ কলোনি ঈদগাঁও মাঠসংলগ্ন জে লাইনে গত ৫ এপ্রিল কিশোরগ্যাংয়ের হামলার মুখে পড়েন চিকিৎসক কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা। ছেলেকে মারধর করতে দেখে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান কোরবান আলী। এ সময় কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় আহত হন তিনি। তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল।

এদিকে হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী বলে অভিযোগ করেছেন ওই চিকিৎসকের ছেলে আলী রেজা।

তিনি বলেন, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাবাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ রাখা হয়। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আইসিইউতে বাবার মৃত্যু হয়েছে।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রব্বানী জানান, এ ঘটনায় গত রবিবার ওই চিকিৎসকের ছেলে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এরপর মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর