Logo
শিরোনাম

সাধনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৩৮১জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

মানুষ প্রধানতঃ দুটি আত্মার অধিকারী। একটি জীবাত্মা বা নফস যা মানব সৃষ্টির চার উপাদান আগুন, পানি, মাটি ও বায়ুর সমন্বয়ে সৃষ্ট এবং অপরটি পরমাত্মা বা রূহ যা মহান আল্লাহ্ হযরত আদম (আঃ)-এর মাঝে তাঁর রূহ থেকে ফুঁকে দিয়েছেন। আমরা সবাই হযরত আদম (আঃ)-এর সন্তান হিসেবে আমাদের মাঝেও রূহ বিদ্যমান। জীবাত্মা অত্যন্ত শক্তিশালী। এই জীবাত্মাই মহান আল্লাহ্ তায়ালার সত্তা রূহ্কে ধারণ করেছে। আর রূহই হচ্ছে মানুষের কাছে আল্লাহ্ পাকের আমানত। জীবাত্মা মূলত সচ্ছ ও পরিশুদ্ধ। কিন্তু এর কিছু শত্রু আছে যেগুলো নফসকে আক্রান্ত করে। কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য এই ষড় রিপু নফসকে কলুষিত করে। যেমন জীবানুমুক্ত পানি পান করে জীবের জীবন রক্ষা পায়। যদি পানিতে বিষ মিশ্রিত হয় তখন পানি হয় বিষাক্ত। আর এই বিষাক্ত পানি পান করলে জীবের প্রাণনাশ হয়। তেমনি পরিশুদ্ধ জীবাত্মা যখন ষড়রিপু দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন তা কলুষিত হয়ে যায় এবং দুনিয়ার লোভ আর ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অশান্তি সৃষ্টি হয় ব্যক্তি জীবন থেকে সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় জীবন পর্যন্ত। কলুষিত নফস ধারী ব্যক্তি শান্তি ও ন্যায়ের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে অশান্তির পথে ধাবিত হয়। কাজেই জীবাত্মা যাতে ষড়রিপু দ্বারা আক্রান্ত হতে না পারে সেজন্যই আত্মশুদ্ধি লাভ করা প্রয়োজন। পরিশুদ্ধ জীবাত্মা হলো বাহন আর রূহ সোয়ারী। এই দুয়ে মিলে আত্মিক জগত ভ্রমণ করতে পারে এবং আত্মিক জগতের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়। তাহলে প্রশ্ন জাগে, কি করে ষড়রিপুর আক্রমণ প্রতিরোধ করে জীবাত্মাকে পরিশুদ্ধ রাখা যায়। জীবাত্মাকে নফস নামেও অভিহিত করা হয়। হযরত রাসূল (সঃ) বলেছেন, “নফসের সাথে যুদ্ধ করাই প্রকৃত জেহাদতিনি আরো বলেন, “যে নিজকে (নিজের নফসকে) চিনতে পেরেছে, সে তার প্রভুকে চিনতে পেরেছেতাহলে আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে, হযরত রাসূলে পাক (সঃ)-এর শিক্ষা পদ্ধতি কি ছিল? তিনি কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না। সুদীর্ঘ ১৫ বছর হেরা পর্বতের নির্জন গুহায় ধ্যান সাধনা তথা মোরাকাবা করেছেন। মক্কা থেকে ৩ মাইল দূরে যে হেরা পর্বতের গুহা প্রায় পৌণে দুইশবছর পরও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে, যেখানে উঠতে রাসূল (সঃ) প্রেমিকদের আজো হিমসিম খেতে হয়, সেই নির্জন মরু পাহাড়ের গুহায় তিনি যৌবনের ১৫ টি বছর ধ্যান সাধনায় কাটিয়েছেন। এই ধ্যান সাধনার বিদ্যার মাধ্যমেই তিনি তাঁর প্রভুর সন্ধান পেয়ে পবিত্র বাণী প্রাপ্ত হয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি তাঁর অনুসারী তথা মুসলিমদেরকে সেই ধ্যান সাধনার বিদ্যাই শিক্ষা দিয়েছেন। আর ওই বিদ্যায় বিদ্বান হয়ে নিজেদের জীবাত্মা তথা নফসকে পরিশুদ্ধ করে (আত্মশুদ্ধি লাভ করে) মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর প্রেমে দেওয়ানা হয়ে গিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরাম কাফেরদের শত অত্যচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন হাসিমুখে। তাঁরা নিজেদের ধন-সম্পদ, আত্মিয়-স্বজনের মায়া পরিত্যাগ করে রাসূল (সঃ)-এর প্রেমে জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে তাঁর সাথে মদিনায় হিযরত করেছেন। অসংখ্য সাহাবায়ে কেরাম রাসূল (সঃ)-এর নির্দেশে কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করে হাসিমুখে শহীদের মর্যাদা লাভ করেছেন। আমরা সেই সে জাতি, উম্মতে মোহাম্মদী, মোহাম্মদী ইসলামের অনুসারী। পরম সৌভাগ্য যে, আল্লাহ্ পাক আমাদেরকে দয়া করে উম্মতে মোহাম্মদীর মর্যাদা দান করেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, যে শিক্ষায় নিজের জীবাত্মা বা নফসকে পরিশুদ্ধ করা যায়, যে শিক্ষায় আত্মশুদ্ধি লাভ করা যায়, সেই মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা, ধ্যান সাধনার শিক্ষা, মোরাকাবার শিক্ষা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। ফলে নফসের খায়েসে, শয়তানের ধোঁকায় পড়ে দুনিয়া লোভী হয়ে পাপাচারের মাধ্যমে যেমন নিজেদেরকে (জীবাত্মা বা নফসকে) কলুষিত করে অশান্তিতে ভুগছি, তেমনি আমাদের এমন কার্যাদিতে সমাজেও অশান্তি বাড়ছে। ধর্ম পালন করেও ধর্মের প্রকৃত স্বাদ বা ফল আমরা ভোগ করতে পারছিনা।

হযরত রাসূল (সঃ)-এর যুগে তাঁর কাছ থেকে সাহাবায়েকেরাম ধ্যান সাধনার বিদ্যার মাধ্যমে আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জন করে ধর্ম পালন করতঃ শান্তির পধে চলার ক্ষমতা অর্জন করেছেন। এমনকি তাঁরা আত্মিক জগতের সাথে যোগাযোগ করতেও সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা ছিলেন উজ্জল নক্ষত্র। আর তাঁরা তা করতে পেরেছেন, হযরত রাসূল (সঃ)-কে অনুকরণ ও অণুসরণ করে। পবিত্র হাদিসে হযরত রাসূল(সঃ) বলেছেন, “শরীয়ত আমার বাক্য(কথা), তরীকত আমার কাজ, হাকীকত আমার অবস্থা এবং মারেফাত আমার নিগুঢ় রহস্য।হযরত রাসূল (সঃ) তাঁর অনুসারীগণকে শরীয়ত, তরীকত, হাকীকত ও মারেফাতের বিদ্যা শিক্ষা দিয়েছেন। শরীয়ত যেমন দেহ পরিষ্কার করে তেমনি মারেফাত আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জনে সহায়তা করে। হযরত রাসূল (সঃ)-এর ওফাত লাভের পর চার খলিফার যুগ পর্যন্ত হযরত রাসূল (সঃ)-এর মৌলিক শিক্ষা চালু ছিল। এজন্য ওই যুগকে ইসলামের স্বর্ণ যুগ বলা হতো। পরবর্তীতে বিশেষ করে কারবালা যুদ্ধের পর দুরাচার এজিদ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইসলাম হয়ে পড়ে শুধু শরীয়ত সর্বস্ব। বেলায়েতের যুগে যাঁরা এজিদের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন, এজিদকে সমর্থন করেননি, তাঁরা ছিলেন মোহাম্মদী ইসলামের প্রকৃত ধারক ও বাহক। আর তাঁদের মাধ্যমেই দুনিয়াতে টিকে আছে প্রকৃত মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা-এলমে শরীয়ত ও এলমে মারেফাত যা মানুষের বাহ্যিক ও আত্মিক পরিশুদ্ধতা আনয়ন করে। বেলায়েতের যুগে অসংখ্য অলী-আল্লাহ্, মোর্শেদ তথা পথপ্রদর্শক জগতে আগমন করেছেন, যাঁরা হযরত রাসূল (সঃ)-এর শিক্ষায় মানুষকে শিক্ষিত করেছেন। যাঁরা শরীয়ত, তরীকত, হাকীকত ও মারেফতের বিদ্যা শিক্ষা লাভ করে ধর্ম পালন করেছেন তাঁরাই সফলকাম হয়েছেন।


আরও খবর

রুহ এবং মানুষ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




ধামরাই সুয়াপুর ইউনিয়নে ছয়শতাধিক পরিবারের মাঝে টিসিবির পণ্য বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে ১৫ ই মার্চ বুধবার সকাল ১১ টায় ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন তিনিই বলেন সামনে রমজান উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে সারাদেশে এই টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় গরীব অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে বলেই স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে কিভাবে অল্প টাকায় মানুষকে ভালো খাওয়ানো যায় সে চিন্তা করে বলেই ২ লিটার সয়াবিন তেলে,১ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুরের ডালও ২ কেজি করে ছোলা দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় দেশের উন্নয়নে কাজ করে সুয়াপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।যা অন্য কোন সরকারের আমলে হয়নি, তারপর ও একটা দল আছে তাদের চোখে এই উন্নয়ন চোখে পড়ে না। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে আপনারা অবশ্যই নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও দেশের উন্নয়নের অংশীদার হন।তিনি সকলের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চান বলেন নেত্রী যদি ভালো থাকে ভালো থাকবে দেশ, নেত্রী যদি ভালো থাকে ভালো থাকবো আমরা সাধারণ মানুষ। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লা প্রিন্স,আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ হোসেন সহ উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার গণ।


আরও খবর



৩ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি তল্লাশি চৌকিতে হামলা চেষ্টার সময়, রবিবার তিন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সৈন্যরা।

এই ঘটনায় চতুর্থ এক ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীকে আটক করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের নাবলুস শহরের কাছের এই ঘটনায় নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের গুলিতে নাবলুসে নিহতরা হলেন জিহাদ মোহাম্মদ আল-শামি, উদয় ওসমান ও রাঈদ দাবিক । ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, পশ্চিম তীরের নাবলুসের কাছে সেনাবাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে বন্দুকধারীরা। এর জবাবে সৈন্যরা গুলিবর্ষণ করেছে। নিহত ফিলিস্তিনিরা প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের রাজনৈতিক দল ফাতাহর সশস্ত্র শাখা আল-আকসা শহীদ ব্রিগেডের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে। 


আরও খবর



হত্যার পর লাশ পুতে রাখার অভিযোগ, স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

মির্জা হৃদয় সাগর,জেলা প্রতিনিধি,

নেত্রকোনা :

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আবুল হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর বাড়ির পাশে খালে পুতে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রীসহ মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে সকালে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের বড় বেতাম গ্রামের সাপমরা খাল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, আবুলের স্ত্রী রূপবাহার (৪২), মেয়ে চিন্তা মনি (১৩) ও তাদের সহযোগী আশিকুর রহমান আবির (১৯)। এদিকে ছেলে আরমান মিয়া (২৪) মিয়া ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে গেছে।

মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মোহনগঞ্জ থানার উপ—পরিদর্শক (এসআই) কানাই লাল চক্রবর্তী মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার বলেন, গত শনিবার বিকেলে থেকে নিখোঁজ হন আবুল হোসেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সূত্র খুঁজতে গিয়ে সন্দেহজনকভাবে আবুল হোসেনের ছেলে আরমানের সহযোগী আশিকুর রহমান আবিরকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। কৌশলী প্রশ্নের এক পর্যায়ে আবির স্বীকার করে—শনিবার রাতে আবুল হোসেনকে নিজ বাসায় গলা কেটে হত্যা করে তার ছেলে আরমান। এ কাজে মেয়ে চিন্তা মনি ও স্ত্রী রূপবাহার তাকে সহযোগীতা করে। লাশ গুম করার জন্য বন্ধুকে ডেকে নেয় আরমান।

গভীর রাত পর্যন্ত লাশ কিভাবে গুম করা হবে এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে ভোর হয়ে যায়। একবার পুড়িয়ে ফেলারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে লোকজন দেখে ফেলবে সেই ভয়ে বাড়ির পাশের সাপমরা খালে কোদাল দিয়ে গর্ত করে গলা পর্যন্ত মাটির নিচে পুতে রাখা হয়। পরে উপরের জমিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি খালে ছেড়ে দেওয়া হয়। যেন লাশ পানিতে তলিয়ে যায়।  

কানাইলাল আরও জানান, এই তথ্যের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে সকালে লাশ উদ্ধার করা হয়। গলা পর্যন্ত লাশ মাটির নিচে পুতে রাখায় তুলতে গিয়ে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। পরে অভিযুক্ত মেয়ে চিন্তা মনি ও স্ত্রী রূপবাহারকে আটক করা হয়। এদিকে হত্যার প্রধান অভিযুক্ত ছেলে আরমান মিয়া পালিয়ে গেছে।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাবাদ করে আরও তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এখনো কোন মামলা হয়নি।  এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে। এদিকে পালিয়ে যাওয়া আরমানকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।


আরও খবর



নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচনে স্থগিতাদেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

মির্জা হৃদয় সাগর, জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোনা):

নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিতাদেশের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে নেত্রকোনার সাংবাদিকরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া পৌরসভার সামনের সড়কে এই অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।


প্রেসক্লাবের বাইরে থাকা নানা অপকর্মে অভিযুক্ত নামধারী সংবাদকর্মীরা মামলা করায়। আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে।এই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে প্রথম দিন অনিদির্ষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করা হয়। প্রথম দিনের ন্যায় আজ দ্বিতীয় দিনেও সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা পালন করছেন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা।


জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পালের সভাপতিত্বে প্রহসনের রায় দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বিচারকের অপসারণ দাবী করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তারা বলেন, আদালত থেকে রায় ঘোষণা হবার আগে থেকেই নির্বাচন স্থগিতাদেশ হবার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায় এতে পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় এটা ষড়যন্ত্রমূলক ও পূর্ব পরিকল্পিত। যে কারণে সাংবাদিকরা এই রায়কে প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করেন।


কাজেই এই প্রহসনের রায়কে অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করে দ্রুত সময়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবী জানানো হয়। তারা আরও বলেন প্রেসক্লাবের সদস্যও নয় এমন ব্যক্তি আবার সামাজিক গ্রহণ যোগ্যতাহীন ব্যক্তির মামলা করার এখতিয়ার বহির্ভূত মামলায় কি করে এমন রায় দেন এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাংবাদিকসহ সূধী সমাজে। এতে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ বক্তব্য রাখার পাশাপাশি আগামী দিনে পুরো শহর অচল করে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন।


উল্লেখ্য, মামলা দায়ের কারি ব্যক্তি নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলেও গঠনতন্ত্র মোতাবেক যোগ্যতা না থাকায় তার সদস্যপদ প্রদান করা হয়নি। প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের বাহিরে কখন কোনো সদস্য পদ দেওয়া হয়নি, সেই নিয়ম অনুসারে ওই ব্যক্তি সদস্য পায়নি।


যে কারণে প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে এবং নির্বাচন বানচালের জন্য ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করলে ২২ মার্চ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. আরিফুল ইসলাম নির্বাচনের আগেরদিন ২১ মার্চ বিকাল সাড়ে চারটায় এই প্রহসনের রায় প্রদান করেন।


আরও খবর



লালমনিরহাটে এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি কার্ডে ভিন্ন নাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে একই ব্যক্তির একাধিক নাম, ভিন্ন ভিন্ন আইডি কার্ড তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে  আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন এলাকার মানুষের। 

জেলা প্রশাসক, লালমনিহাট জেলা বরাবর এক লিখিত অভিযোগে জানাব গেছে । দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি তুলছেন মো: আলী হোসেন বড়বাড়ী ঠিকানার একজন শান্তি প্রিয় মানুষ।  

অভিযোগ কপিটি হুবহু অংশ তুলে ধরা হলো। 

যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে জনাব, মো: আসাদুর রহমান, পিতা: আনছার আলী, গ্রাম: শিবরার, ডাকঘর: বড়বাড়ী, উপজেলা ও জেলা: লালমনিরহাট। বহুদিন পূর্বে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ধোপা পদে কর্মরত ছিল। তিনি যোগসাজসিক ভাবে নৈশ্য প্রহরী মমতাজ আলী নিখোঁজ হলে মমতাজ আলী নামে উক্ত পদের বেতন ভাতা উত্তোলন করেন এবং ০৪/১০/২০০১ তারিখে মমতাজ আলী নামে অবসর ভাতা উত্তোলন করেন যাহার স্মারক নং CS/লাল/০৮০১ হিসাব/পেনশন/১৯০৭। কিন্তু তার প্রকৃত নাম ভোটার তালিকা অনুযায়ী মো: আসাদুর রহমান, পিতা: আনছার আলী, ভোটার নং ৫২০৪৯০২৫২১৯৮, তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে উক্তরুপ দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেছেন এবং সরকারের বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সম্প্রতি বিষয়টি স্থানীয় অফিসে এবং তার এলাকায় জানাজানি হওয়ায় অতি তরিৎভাবে তার জাতীয় পরিচয় পত্র পরিবর্তন করেন এবং নতুন নামে মো: মনতাজ আলী জাতীয় পরিচয় পত্র উত্তোলন করেন। উল্লেখ যে, তিনি বিভিন্ন সরকারি কাজে নাম পরিবর্তন করে যেমন জমির দলিল, ছেলে-মেয়ের বিবাহের কাবিন নামায় আলাদা আলাদা নাম ব্যবহার করে প্রতারনার আশ্রয় নেন।

উপরোক্ত অবস্থার প্রেক্ষিতে এই জালিয়াত ও দুর্নীতি বাজকে অনতি বিলম্বে অবসর ভাতা উত্তোলন করা হতে বিরত রেখে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানানো হলো। এতদ বিষয়ে তার নাম সম্বলিত ভোটার তালিকা, আসাদুর রহমান এর পুরাতন জাতীয় পরিচয় পত্র, মমতাজ এর আইডি কার্ডের ডুপ্লিকেট কপি, বসতবাড়ীর বিদ্যুৎ বিল, ছেলে-মেয়ের বিবাহের কাবিন নামা, সংযুক্ত করা হলো এবং আসাদুর রহমানের ক্রয়কৃত জমির দলিল সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান আছে।

এ সংক্রান্ত ঘটনার বিষয়ে মমতাজ আলী ওরফে আসাদুর রহমানের সাথে   যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া না গেলে উক্ত বিষয়ে তার নিজস্ব মতামত পাওয়া যায়নি।


আরও খবর