Logo
শিরোনাম

সাধনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

মানুষ প্রধানতঃ দুটি আত্মার অধিকারী। একটি জীবাত্মা বা নফস যা মানব সৃষ্টির চার উপাদান আগুন, পানি, মাটি ও বায়ুর সমন্বয়ে সৃষ্ট এবং অপরটি পরমাত্মা বা রূহ যা মহান আল্লাহ্ হযরত আদম (আঃ)-এর মাঝে তাঁর রূহ থেকে ফুঁকে দিয়েছেন। আমরা সবাই হযরত আদম (আঃ)-এর সন্তান হিসেবে আমাদের মাঝেও রূহ বিদ্যমান। জীবাত্মা অত্যন্ত শক্তিশালী। এই জীবাত্মাই মহান আল্লাহ্ তায়ালার সত্তা রূহ্কে ধারণ করেছে। আর রূহই হচ্ছে মানুষের কাছে আল্লাহ্ পাকের আমানত। জীবাত্মা মূলত সচ্ছ ও পরিশুদ্ধ। কিন্তু এর কিছু শত্রু আছে যেগুলো নফসকে আক্রান্ত করে। কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য এই ষড় রিপু নফসকে কলুষিত করে। যেমন জীবানুমুক্ত পানি পান করে জীবের জীবন রক্ষা পায়। যদি পানিতে বিষ মিশ্রিত হয় তখন পানি হয় বিষাক্ত। আর এই বিষাক্ত পানি পান করলে জীবের প্রাণনাশ হয়। তেমনি পরিশুদ্ধ জীবাত্মা যখন ষড়রিপু দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন তা কলুষিত হয়ে যায় এবং দুনিয়ার লোভ আর ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অশান্তি সৃষ্টি হয় ব্যক্তি জীবন থেকে সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় জীবন পর্যন্ত। কলুষিত নফস ধারী ব্যক্তি শান্তি ও ন্যায়ের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে অশান্তির পথে ধাবিত হয়। কাজেই জীবাত্মা যাতে ষড়রিপু দ্বারা আক্রান্ত হতে না পারে সেজন্যই আত্মশুদ্ধি লাভ করা প্রয়োজন। পরিশুদ্ধ জীবাত্মা হলো বাহন আর রূহ সোয়ারী। এই দুয়ে মিলে আত্মিক জগত ভ্রমণ করতে পারে এবং আত্মিক জগতের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়। তাহলে প্রশ্ন জাগে, কি করে ষড়রিপুর আক্রমণ প্রতিরোধ করে জীবাত্মাকে পরিশুদ্ধ রাখা যায়। জীবাত্মাকে নফস নামেও অভিহিত করা হয়। হযরত রাসূল (সঃ) বলেছেন, “নফসের সাথে যুদ্ধ করাই প্রকৃত জেহাদতিনি আরো বলেন, “যে নিজকে (নিজের নফসকে) চিনতে পেরেছে, সে তার প্রভুকে চিনতে পেরেছেতাহলে আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে, হযরত রাসূলে পাক (সঃ)-এর শিক্ষা পদ্ধতি কি ছিল? তিনি কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না। সুদীর্ঘ ১৫ বছর হেরা পর্বতের নির্জন গুহায় ধ্যান সাধনা তথা মোরাকাবা করেছেন। মক্কা থেকে ৩ মাইল দূরে যে হেরা পর্বতের গুহা প্রায় পৌণে দুইশবছর পরও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে, যেখানে উঠতে রাসূল (সঃ) প্রেমিকদের আজো হিমসিম খেতে হয়, সেই নির্জন মরু পাহাড়ের গুহায় তিনি যৌবনের ১৫ টি বছর ধ্যান সাধনায় কাটিয়েছেন। এই ধ্যান সাধনার বিদ্যার মাধ্যমেই তিনি তাঁর প্রভুর সন্ধান পেয়ে পবিত্র বাণী প্রাপ্ত হয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি তাঁর অনুসারী তথা মুসলিমদেরকে সেই ধ্যান সাধনার বিদ্যাই শিক্ষা দিয়েছেন। আর ওই বিদ্যায় বিদ্বান হয়ে নিজেদের জীবাত্মা তথা নফসকে পরিশুদ্ধ করে (আত্মশুদ্ধি লাভ করে) মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর প্রেমে দেওয়ানা হয়ে গিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরাম কাফেরদের শত অত্যচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন হাসিমুখে। তাঁরা নিজেদের ধন-সম্পদ, আত্মিয়-স্বজনের মায়া পরিত্যাগ করে রাসূল (সঃ)-এর প্রেমে জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে তাঁর সাথে মদিনায় হিযরত করেছেন। অসংখ্য সাহাবায়ে কেরাম রাসূল (সঃ)-এর নির্দেশে কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করে হাসিমুখে শহীদের মর্যাদা লাভ করেছেন। আমরা সেই সে জাতি, উম্মতে মোহাম্মদী, মোহাম্মদী ইসলামের অনুসারী। পরম সৌভাগ্য যে, আল্লাহ্ পাক আমাদেরকে দয়া করে উম্মতে মোহাম্মদীর মর্যাদা দান করেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, যে শিক্ষায় নিজের জীবাত্মা বা নফসকে পরিশুদ্ধ করা যায়, যে শিক্ষায় আত্মশুদ্ধি লাভ করা যায়, সেই মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা, ধ্যান সাধনার শিক্ষা, মোরাকাবার শিক্ষা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। ফলে নফসের খায়েসে, শয়তানের ধোঁকায় পড়ে দুনিয়া লোভী হয়ে পাপাচারের মাধ্যমে যেমন নিজেদেরকে (জীবাত্মা বা নফসকে) কলুষিত করে অশান্তিতে ভুগছি, তেমনি আমাদের এমন কার্যাদিতে সমাজেও অশান্তি বাড়ছে। ধর্ম পালন করেও ধর্মের প্রকৃত স্বাদ বা ফল আমরা ভোগ করতে পারছিনা।

হযরত রাসূল (সঃ)-এর যুগে তাঁর কাছ থেকে সাহাবায়েকেরাম ধ্যান সাধনার বিদ্যার মাধ্যমে আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জন করে ধর্ম পালন করতঃ শান্তির পধে চলার ক্ষমতা অর্জন করেছেন। এমনকি তাঁরা আত্মিক জগতের সাথে যোগাযোগ করতেও সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা ছিলেন উজ্জল নক্ষত্র। আর তাঁরা তা করতে পেরেছেন, হযরত রাসূল (সঃ)-কে অনুকরণ ও অণুসরণ করে। পবিত্র হাদিসে হযরত রাসূল(সঃ) বলেছেন, “শরীয়ত আমার বাক্য(কথা), তরীকত আমার কাজ, হাকীকত আমার অবস্থা এবং মারেফাত আমার নিগুঢ় রহস্য।হযরত রাসূল (সঃ) তাঁর অনুসারীগণকে শরীয়ত, তরীকত, হাকীকত ও মারেফাতের বিদ্যা শিক্ষা দিয়েছেন। শরীয়ত যেমন দেহ পরিষ্কার করে তেমনি মারেফাত আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জনে সহায়তা করে। হযরত রাসূল (সঃ)-এর ওফাত লাভের পর চার খলিফার যুগ পর্যন্ত হযরত রাসূল (সঃ)-এর মৌলিক শিক্ষা চালু ছিল। এজন্য ওই যুগকে ইসলামের স্বর্ণ যুগ বলা হতো। পরবর্তীতে বিশেষ করে কারবালা যুদ্ধের পর দুরাচার এজিদ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইসলাম হয়ে পড়ে শুধু শরীয়ত সর্বস্ব। বেলায়েতের যুগে যাঁরা এজিদের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন, এজিদকে সমর্থন করেননি, তাঁরা ছিলেন মোহাম্মদী ইসলামের প্রকৃত ধারক ও বাহক। আর তাঁদের মাধ্যমেই দুনিয়াতে টিকে আছে প্রকৃত মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা-এলমে শরীয়ত ও এলমে মারেফাত যা মানুষের বাহ্যিক ও আত্মিক পরিশুদ্ধতা আনয়ন করে। বেলায়েতের যুগে অসংখ্য অলী-আল্লাহ্, মোর্শেদ তথা পথপ্রদর্শক জগতে আগমন করেছেন, যাঁরা হযরত রাসূল (সঃ)-এর শিক্ষায় মানুষকে শিক্ষিত করেছেন। যাঁরা শরীয়ত, তরীকত, হাকীকত ও মারেফতের বিদ্যা শিক্ষা লাভ করে ধর্ম পালন করেছেন তাঁরাই সফলকাম হয়েছেন।


আরও খবর



ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনিশ্চিত!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের আগে উত্তাপ বাড়াচ্ছে মহাদেশীয় ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপ। গতকাল (বুধবার) পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিকদের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠেছে হাইব্রিড মডেলের এই টুর্নামেন্টের। এই মুহূর্তে সবার নজরে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান লড়াই। শনিবার দল দুটির মহারণ হওয়ার কথা রয়েছে।

দেশ দুটির লড়াই নিয়ে বরাবরই উত্তেজনার বাতাবরণ তৈরি হয়। এবারও তার কমতি নেই। কিন্তু সব উত্তেজনায় বাধ সাধতে পারে বৃষ্টি।
জানা গেছে, শনিবার শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ পুরো সময় না হলেও ম্যাচের কোনো না কোনো সময় বৃষ্টি হতেই পারে। যদিও বৃষ্টির কথা মাথা রেখেই প্রস্তুতির কমতি রাখছে না সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কা। মাঠ প্রস্তুত রাখা হচ্ছে, যাতে বৃষ্টি হলেও তাড়াতাড়ি খেলা শুরু করা যায়। মাঠের ধারেই রাখা হচ্ছে কভার।

ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছে ভারতীয় দল। কিন্তু পাল্লেকেলেতে আসার পথে তাঁরা দেখেছেন ঘন কালো মেঘ। রাজধানী কলম্বো ছেড়ে তা ক্রমশই এগিয়ে চলেছে ক্যান্ডির দিকে। বুধবার ক্যান্ডিতে সূর্যের আলো প্রায় দেখাই যায়নি।

সাধারণত বৃষ্টির কারণে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কায় খেলা হয় না। কিন্তু ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যেতে রাজি না হওয়ায় শ্রীলঙ্কাকেই কয়েকটি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি সব ভেস্তে দিতে পারে। এমনকী কলম্বোতে যে ম্যাচগুলো রয়েছে, সেখানেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের বেশ কিছু ম্যাচ ভেস্তে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।এমনিতে পাল্লেকেলে স্টেডিয়াম বেশ দর্শনীয়। শ্রীলঙ্কার পাহাড়ি অঞ্চলে এই একটিই স্টেডিয়াম রয়েছে। ২০০৯ সালে উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে নিয়মিত এখানে ম্যাচ হয়। কিন্তু পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ার কারণেই এখানে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। আপাতত মাঠের পাশাপাশি দলগুলোর নজরও আকাশের দিকে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রাণীনগরে যুবদল নেতার উপর মূখোশধারীদের হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা :

নওগাঁর রাণীনগরে আনোয়ার হোসেন (৩২) নামে এক যুবদল নেতার উপর হামলাা চালিয়েছে মূখোশধারীরা। হামলায় আহত আনোয়ারকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত অনুমান সাড়ে সাতটায় রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কের আমগ্রামের মোড় নামকস্থানে। আনোয়ার আমগ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে এবং কালীগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের অন্যতম সদস্য।

হামলার শিকার আনোয়ার হোসেন বলেন,রবিবার রাতে নওগাঁ থেকে কাজ শেষে আবাদপুকুর বাজারে যান। সেখানে কাজ শেষ করে মোটরসাইকেল যোগে রাত অনুমান সাড়ে সাতটা নাগাদ বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ী ফিরছিলেন।এসময় রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কের আমগ্রামের  মোড় থেকে গ্রামের রাস্তার একটু অদুরে পৌছলে সাথে সাথেই ১৫/২০জন মূখোশধারী তার উপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা এ্যালোপাথারী মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাতেই নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। তবে কারা কি কারনে এ হামলা চালিয়েছে তা বলতে পারেননি তিনি। 

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন,হামলার খবর পেয়েছি। তবে এব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি।তার পরেও বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও খবর



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক ডা. আধানম গ্যাব্রিয়াসুসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের সদরদপ্তরে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুজনের মধ্যে সাক্ষাৎ ও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে বিশ্বাস, পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনরুদ্ধার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। সোমবার নিউইয়র্কে সংস্থাটির সদর দপ্তরে এই অধিবেশন শুরু হয়।

এ বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু ইস্যুর পাশাপাশি প্রাধান্য পাবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে সাধারণ সভার আলোচনা।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্ক শুরু হবে। এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের দেড় শতাধিক রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দিচ্ছেন।

এর আগে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে স্থানীয় সময় ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে নিউইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সফরকালে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের প্রথম দিনের বিতর্কে যোগ দেবেন।

অধিবেশনের ফাঁকে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শেখ হাসিনাকে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ডেনমার্ক ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে পারেন।

পাশাপাশি সফরকালে জাতিসংঘের প্রধানের আমন্ত্রণে ক্লাইমেট অ্যাম্বিশন সামিটশীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনাসহ বেশ কিছু ইভেন্টে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।


আরও খবর



পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে সঠিক তথ্য জরুরি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

অনে‌ক প্র‌তিষ্ঠান তথ্য ‌গোপন করে। আবার অ‌নেকে ভুল তথ্যও দিয়ে দেয়। এসব ত‌থ্যের ন‌য়ছয়ে সুযোগ নেয় কারসা‌জিকা‌রীরা। তাই পুঁ‌জিবাজারে অনিয়ম রোধে স‌ঠিক তথ্য সরবরাহ নি‌শ্চিত করতে হবে।

ডিএসইর নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. এটিএম তারিকুজ্জামান। বলেন, পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বিনিয়োগকারীদের একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার উপহার দিতেই কাজ করছে ডিএসই।

ডিএসইর এমডি বলেন, এ ধরনের আয়োজন আমাদের সব সময় করা উচিত। পুঁজিবাজারের বিভিন্ন আইনকানুন, বিধিবিধান সম্পর্কে পারস্পরিক আলোচনা আরও বৃদ্ধি করা জরুরি। এমন যেন না হয়, একটি অনুষ্ঠান করে তিন মাস আর হলো না। এ বিষয়গুলো নিয়ে যত বেশি আলোচনা হবে সাংবাদিকদের লেখনীর দক্ষতা তত বাড়বে। সমস্যাগুলো আরও বেশি উপস্থাপিত হবে, যা আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পুঁজিবাজার একটি মূলধনি বাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে অনেকগুলো স্টেকহোল্ডার কাজ করছে, আমি মনে করি সবগুলো স্টেকহোল্ডারের মধ্যে সিএমজেএফ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিএমজেএফ সদস্যদের মাধ্যমে যেসব তথ্য পুঁজিবাজারে উপস্থাপিত হবে সেগুলো আমাদের এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

কর্মশালায় সিএমজেএফ সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের সময় তিনি বলেন, একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার তৈরির জন্য কাজ করছে ডিএসই।

সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, পুঁজিবাজারে খারাপ কোম্পানির শেয়ার যখন কারসাজিকারীদের দখলে চলে যায়, তখন বাজার তার স্বাভাবিক অবস্থা হারিয়ে ফেলে। নষ্ট হয় বিনিয়োগকারীদের আস্থা। তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ফ্লোর প্রাইসের মতো নানা ব্যবস্থার সহায়তায় বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ফ্লোর প্রাইস দিতে হয়নি, শ্রীলঙ্কার যেখানে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ছিল তাদেরও তা দিতে হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা সাংবাদিকরা যদি এসব কারসাজি সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারি এবং লেখনীর মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারি, তাহলে পুঁজিবাজারে রেগুলেটর, ডিএসইর সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যদি কোনো ঘাটতি থাকে সেটি দূর করা সম্ভব হবে।

এসকে মোগল জান রহমান মিঠু বলেন, সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের একটি আয়োজন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। পাশাপাশি কুয়াকাটার সৌন্দর্য লেখনীর মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন ও বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম ও ডিএসইর সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক আসাদুর রহমান।

এছাড়াও ডিএসইর সিনিয়র জিএম সামিউল ইসলাম, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, ডিএসইর ডিজিএম শফিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ধামরাইয়ে স্কুল শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির ফুটবল ফাইনাল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার): 

ঢাকার ধামরাইয়ে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির ধামরাই উপজেলার আয়োজনে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ফুটবল ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর -২৩) সকাল দশটার দিকে ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ফুটবল ফাইনাল খেলার শুভ উদ্বোধন ও খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,ঢাকা -২০ ধামরাই আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।

এ’সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এনামুল হক আইয়ুব, ধামরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজ উদ্দিন সিরাজ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা,ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শ্রী নির্মল কুমার দাস , উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহীন আশরাফী প্রমূখ।


উপজেলার ৩২ দল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল দল টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করেন এর মধ্যে ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন দুটি দল। ফাইনালে অংশগ্রহণ কারী দুটি দল হচ্ছে কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় বনাম বান্নল লাক্ষু হাজী উচ্চ বিদ্যালয়।


খেলায় কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় ১ -০ গোলে বান্নল লাক্ষু হাজী উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে

জয়লাভ করে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩