Logo
শিরোনাম

ডেমরা থানার ওসি প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image
সাংবাদিক লাঞ্চিত করার ঘটনায়

নিজস্ব প্রতিনিধি:  ডিএমপি ডেমরা থানার ওসি মোঃ শফিকুর রহমানকে প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ডেমরা এলাকায় কর্মরত সাংবাদিকরা। 

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক সমাজ ব্যানারে এই মানব বন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক এসএম মোর্শেদ, যাত্রাবাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি, দৈনিক দিন প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাদ্দাম, পূর্বাঞ্চল সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমস পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ওমর ফারুক জালাল, সাধারণ সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী,দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক সম্পাদক, আনোয়ার হোসেন আকাশ, জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য ফোরাম সভাপতি সাহেল আহম্মেদ সোহেল, জুরাইন প্রেসক্লাব সভাপতি শাহ্ মোয়াজ্জেম সহ-সভাপতি রাসেল কবির, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পএিকার মোজামেল হক, কবির শাহ্ ৭১ বাংলা বার্তা,ইমরান হোসেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ কর্মীগণ।

ডেমরা থানা এলাকার পুর্ববক্সনগরে একটি অনুমোদন বিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিএমডিসির ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যাবহার করে চিকিৎসা সেবার নামে মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছিলেন কামরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি। এমন সংবাদের ভিত্তিতে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার হৃদয় ইসলাম ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন বাংলা টিভির ক্যামেরাপারসন সারোয়ার হোসেনসহ অপর দুই সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন।

এ সময় ভুয়া ডাক্তার ও তার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার রিপোর্টার হৃদয়। লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

ডেমরা থানার ওসি শফিকুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি এসআই সায়মুম কে ঘটনা স্থলে পাঠালে তিনি ভুয়া ডাক্তার ও তার সন্ত্রাসীদের আটক না করে ২ জন সাংবাদিককে পুলিশের গাড়িতে তুলে থানায় এনে আটক করে মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে।

এ সময় তাদের ব্যাবহৃত একটি ক্যামেরা হামলাকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় আরোএকটি ক্যামেরা এসআই সায়মুম নিজ হেফাজতে নিয়ে হামলার গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও ডিলেট করে দেয়। পরবর্তীতে প্রায় ২০ জন বিভিন্ন গনমাধ্যমের সাংবাদিক থানায় গিয়ে আটক সাংবাদিকদের ছারিয়ে নিয়ে আসেন।

ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনায় অভিযোগ দিলে ডেমরা থানার ওসি শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ওসি সকল সাংবাদিকদের সামনে ভুক্তভোগীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এবং সাংবাদিক সমাজ কে কটাক্ষ করে কথা বলেন। 


আরও খবর



দামের উত্তাপে পুড়ছে মাংস-সবজির বাজার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

উৎসব এলেই ভারি হয় ব্যবসায়ীদের পকেট। পণ্যের দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নেয়া হয় কোটি কোটি টাকা। ব্যতিক্রম হয়নি ঈদুল ফিতরেও।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একদিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়ে পটল ও করলা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। ঈদের সালাদের অন্যতম অনুষঙ্গ গাজরের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।

শসায় বেড়েছে ২০ টাকা আর কাঁচামরিচে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে হয়েছে সেঞ্চুরি। বাড়তি দরের তালিকায় আছে টমেটো এবং লেবুও। ক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটিতে সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ বাজার শাক-সবজিতে ভরপুর।

শুধু সবজি আর সালাদের অনুষঙ্গ নয়, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে আলুর কেজি ঠেকেছে ৫০-৫৫ টাকায়। আড়ৎদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুদামজাত করে মজুতের ফলে বাজারে দেখা দিয়েছে পণ্যের সংকট। পাশপাশি ঈদের কারণে পণ্যও আসছে কম। তাতেই চড়েছে বাজার।

এদিকে, একদিনের ব্যবধানে গরুর মাংসের কেজিতে ৫০-৭০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও।

আর গত ২৫ মার্চ গরুর মাংস বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয়া মাংস বিক্রেতা খলিলের দোকানেও কেজিতে বেড়েছে ৫৫ টাকা। দাম বাড়িয়ে কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।


আরও খবর



হাতীবান্ধায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ; সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর- আহত ১০

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

লালমনিরহাট,প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে দুই চেয়ারম্যান প্রাার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও করতে গেলে কালের কন্ঠের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি হাসান মাহমুদের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাংচুর করে। সংঘর্ষে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমাসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। আহতরা হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধী আছেন।

শুক্রবার (৩ মে) রাত ১টার দিকে উপজেলা মেডিকেল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে প্রচারণা নিয়ে দিনভর উত্তেজনা ছিল দুপক্ষের মধ্যে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, কাপ পিরিচ প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থক হাফিজুল অপর আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌস সীমাকে নিয়ে নির্বাচন প্রচারণার সময় অশ্লীল মন্তব্য করেন। বিষয়টি জানতে পেরে শাহানা ফেরদৌসী সীমার স্বামী ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাত প্রতিবাদ করেন। এর প্রেক্ষিতে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লাগে। এক পর্যায় পুলিশে উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সাহানা ফেরদৌসী সীমা তার সমর্থকদের নিয়ে মেডিকেল মোড় ত্যাগ করার সময় লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় লিয়াকত হোসেন বাচ্চু সমর্থকরা শাহানা ফিরদৌসী সীমার গাড়ী ভাংচুর করে। সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনার ভিডিও করতে গেলে কালের কন্ঠের সাংবাদিক হাসান মাহামুদের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাংচুর করে বাচ্চুর সমর্থকরা। এতে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা হাতে ও শরীরে আঘাত পান। পরে আহতরা হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমার স্বামী মজিবুল আলম সাদাত বলেন, মেডিকেল মোড় এলাকায় হ্যান্ড মাইক দিয়ে আমার স্ত্রীকে নিয়ে নানা কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করেছে এবং আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিল লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর লোকজন। বিষয়টি অনেকেই সাক্ষী দিয়েছে। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। এ ধরনের ঘটনায় আমরা সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শঙ্কিত।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী (কাপ-পিরিচ) লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের সাথে কোন কথা নাই। আপনারা অন্য প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছেন বলেই রেগে যান।

এ বিষয়ে দৈনিক কালের কন্ঠের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থক চিহিৃত মাদক কারবারি মোতাহার আমার উপর হামলা করে। এ সময় আমার ক্যামেরা কেড়ে নেয় ও ভাংচুর করে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষই কোন অভিযোগ দেয়নি। পুলিশ বিষয়টি অবগত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।


আরও খবর



দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

ভেস্তে গেল বিদ্যুৎ বিভাগের সব পরিকল্পনাই। গ্রাম থেকে নগর- সবখানেই লোডশেডিং চরমে। গরমে সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াতে পারে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, এমন পূর্বাভাস থাকলেও ১৫ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা মেটাতেই হিমশিম অবস্থা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামনে দিনগুলোতে আরও তীব্র হতে পারে পরিস্থিতি।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দিনে কয়েকবার লোডশেডিং সইতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তবে শহরের পরিস্থিতি যাই হোক, গ্রামের চিত্র আরও নাজুক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে অনেক এলাকার মানুষকে।

চলতি মৌসুমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, কিন্তু এখন পর্যন্ত চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াটের ঘরে উঠতেই ঘাটতি ছাড়িয়েছে দুই হাজার মেগাওয়াট।

এবারের গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ বিভাগের বড় নির্ভরতার জায়গায় রাখা হয়েছিল, গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোকে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে দৈনিক ন্যূনতম ১৫৪ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও মিলছে মাত্র এর দুই-তৃতীয়াংশ। আবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ৪ হাজার মেগাওয়াট বেশি রাখার লক্ষ্য থাকলেও এখনো আটকে আছে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটের নিচে।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, জ্বালানি সংকটে ধুঁকছে ৬০টির বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র, আর কারিগরি ত্রুটি ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ আছে ৩০টির বেশি কেন্দ্র। এতে সক্ষমতা থাকার পরও উৎপাদন করা যাচ্ছে না সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমদানি নির্ভর পরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবেই প্রকট হচ্ছে লোডশেডিং। শঙ্কা রয়েছে সংকট আরও তীব্র হওয়ার।

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে বিদ্যুতের যে পরিস্থিতি, সেটা কদিনে আসেনি। নানা ধরনের ভুল, বিভ্রান্তি, অপরিকল্পনা, অদূরদর্শিতা থেকে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমদানি করার মতো ডলারও নেই। কাজেই যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা আরও প্রকট হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের কথা বলছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ১২ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে তারা যেতে পারছে না। এই যে বিরাট একটা গ্যাপ, এই গ্যাপটা তো সহজে তারা কভার করতে পারবে না। ডলারের যে সংকট, এ অবস্থায় আমরা একেবারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবো না।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানাচ্ছে, দিনকয়েকের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ শেষে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আবারও সচল হলে বাড়বে গ্যাস সরবরাহ, আর তাতে স্বস্তি মিলবে বিদ্যুতেও।


আরও খবর



যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানালো ইসরায়েলি সেনারা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ৬ মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েল বলেছিল, গাজা থেকে তারা হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করবে। তবে ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তারা এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি।

এরমধ্যে গাজার সর্বশেষ নিরাপদস্থান রাফাহতে হামলার পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েল। তবে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চলায় এতে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ রোববার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩০ জন সেনা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্যারাট্রপার রিজার্ভ ইউনিটের এসব বলেছেন, রাফাহতে অভিযান চালানোর সময় তাদের ডাকা হলে এতে সাড়া দেবেন না।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমান্ডাররা এসব রিজার্ভ সেনাকে দায়িত্বে যোগ দিতে জোর করবেন না। তবে এই সেনাদের যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি করার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে ৬ মাস ধরে যুদ্ধ করে তারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।

এদিকে কাল সোমবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে যাবে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। তারা দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন।

হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে ইসরায়েল নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে হামাস। কাল কায়রোতে গিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। ফলে আগামীকাল জানা যাবে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি হবে কি না।

ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে, যদি হামাস জিম্মি চুক্তিতে রাজি না হয় তাহলে তারা রাফাহতে হামলা চালাবে। এজন্য নিজেদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে তারা।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল


আরও খবর



প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে দেশ, বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীসহ সারাদেশই প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে পুড়ছে। প্রখর রোদের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি মিলেছে না কোথাও। ছোট-বড় সবাই গরমে কাবু হচ্ছে। অনেক সময় আমাদের নিজেদের অজান্তেই দূষিত পানি ঢুকে যাচ্ছে পেটে, আর দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া।

হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধারণ সময়ের তুলনায় এখন হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের অধিকাংশই শিশু। এমনকি ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে জনসমাগম বাড়লে হাসপাতালেও রোগী সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের অন্যতম ভরসা কেন্দ্র আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধারণ সময়ে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি থাকে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ পর্যন্ত। তবে বর্তমানে হাসপাতালটিতে দৈনিক ৫শ থেকে ৬শ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।

হাসপাতালটির পরিসংখ্যান বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, গরমের কারণে স্বাভাবিকভাবেই সবার তৃষ্ণা বেশি থাকে, যার ফলে যেখানেই সে পানি পায় সেটিই খেতে চায়। যে কারণে গরম এলেই ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়।

জানা গেছে, রোববার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত একটা থেকে আজ (সোমবার) দুপুর পর্যন্ত আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে আড়াইশো জনের মতো ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এর আগে গত রোববার ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৩৪ জন, শনিবার ৫২৫, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রোগী ভর্তি হয়েছিল ৫৯৫ জন।

গত ১৫ দিন আগে পাতলা পায়খানার সঙ্গে জ্বর দেখা দেয় রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকার সায়মা ভুঁইয়া নামে তিন বছরের এক শিশুকন্যার। এর একদিন পর স্থানীয় ফার্মেসি থেকে জ্বরের ওষুধ এনে খাওয়ানো হয়ে তাকে। এরপর সামান্য জ্বর কমলেও কমছিল না পাতলা পায়খানা। এরপর পাতলা পায়খানা কমার পর আবারও জ্বর আসে তার। সঙ্গে আবারও শুরু হয় পাতলা পায়খানা। এভাবে থেমে থেমে চলতে থাকে। এরমধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিলেও অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে শিশু সায়মার। নিরুপায় হয়ে অবশেষে চিকিৎসা নিতে আসে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক শুরুতেই স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেন। চিকিৎসক জানান, এরইমধ্যে অনেকটা সংকটাপন্ন অবস্থার মুখোমুখি হয়ে পড়েছে সায়মা। শরীরে রক্তের পাশাপাশি সোডিয়াম, পটাশিয়ামও আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। তবে সপ্তাহ খানেক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠার ব্যাপারেও আশাবাদী কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

এদিকে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে শিশু সায়মার মা বলেন, শুরুতে মেয়ের ডায়রিয়া দেখা দেয়। সঙ্গে শুরু হয় জ্বর এবং প্রচণ্ড বমি। ১৫ দিন আগে যখন ডায়রিয়া দেখা দেয়, তখন থেকেই তার জ্বর। তবে মাঝখানে জ্বর ছাড়ে, আবার আসে। এরকম কয়েকদিন হয়েছে। প্রথমে ফার্মেসি থেকে ওষুধ এনে খাওয়ানো হয়েছে। এরপর স্থানীয় বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসক দেখিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। সবশেষে যখন দেখছি তার অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না, বরং দিন দিন খারাপ হচ্ছে, তখনই আত্মীয় স্বজনদের পরামর্শে এই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, গতকালের তুলনায় আজকে অবস্থা কিছুটা ভালো। ডাক্তার বলেছেন অন্তত ৭ থেকে ১০ দিন এখানে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে। আমার সন্তান যদি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়, তাহলে আরও ১৫-২০ দিন থাকলেও কোনো সমস্যা নেই।

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে দেড় বছর বয়সী শিশু রিফাত হোসেনকে নিয়ে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন বাবা রাশেদুল ইসলাম। তিনি আশঙ্কা করছেন, তীব্র গরমের কারণেই তার সন্তান ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে।

রাশেদুল ইসলাম বলেন, গতকালও আমার বাচ্চা ভালো। রাতে তাকে সুস্থ নিয়েই ঘুমায়েছি। পরে আনুমানিক রাত ১টার দিকে হঠাৎ করে বাচ্চাটা কেঁপে উঠে কান্নাকাটি শুরু করে। তখন তাড়াহুড়া পরে ঘুম থেকে উঠে দেখি সে কান্নাকাটি করছে আর বারবার মোচড় দিচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় পাতলা পায়খানা। সারারাতই আমাদের এভাবে যায়। এরপর সকালে তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাই, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াই। এরপরও কোনোভাবে পাতলা পায়খানা কমছিল না, তাই দুপুরের দিকে এই হাসপাতালে নিয়ে আসি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যে পানি খাই যতটুকু জানি পিউর, কোন ঝামেলা নাই। আমার আরও ছোট বাচ্চা আছে, তারাও সেই পানি খায়, কখনও তাদের এরকম সমস্যা হতে দেখিনি। আমার কাছে মনে হয়েছে গরমের কারণেই এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। এক জায়গায় যাতায়াত করতে গিয়ে গাড়িতে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মতো গরমে ছিল। এতে করেই সে অসুস্থ হয়ে যায়।

শিশু সায়মা-রিফাতের মতো এরকম শতাধিক শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে যে পরিমাণ রোগী হাসপাতালটিতে ভর্তি আছেন, ঈদের ছুটি শেষে ঘরমুখো সব মানুষ রাজধানীতে ফিরলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। দূষিত পানি পান করার মাধ্যমে এ রোগ হয়। সাধারণত দিনে তিন বা এর চেয়ে বেশি বার পাতলা পায়খানা হতে শুরু করলে তার ডায়রিয়া হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। গরম এলেই ডায়রিয়ার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশু-কিশোররা এই রোগে বেশি ভুক্তভোগী হয়।

তাদের মতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শহরে টেপের পানি সেপটিক ট্যাংক বা সুয়ারেজ লাইনের সংস্পর্শে দূষিত হয়। অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন, যেখানে-সেখানে ও পানির উৎসের কাছে মলত্যাগ, সঠিক উপায়ে হাত না ধোয়া, অপরিচ্ছন্ন উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ এবং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে এ সময় দোকান, রেস্তোরাঁ বা বাসায় পচন ধরা ফ্রিজের খাবার গ্রহণ ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

আইসিডিডিআর,বির অ্যাসিস্ট্যান্ট সাইন্টিস্ট (নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস ডিভিশন) ডা. সারিকা নুজহাত বলেন, এখনো আমাদের হাসপাতালে রোগীর পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে আছে। কিছুদিন যাবত কেবল গরম পড়েছে, আবার ঈদের ছুটিটাও এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। হয়তো আগামী ১/২ সপ্তাহের মধ্যেই রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়ে যাবে।

তিনি বলেন, যেহেতু গরমটা বেশি, স্বাভাবিকভাবে মানুষ বেশি তৃষ্ণার্ত ও পিপাসার্ত থাকে। আমাদের পরামর্শ হলো যেসব ছোট বাচ্চা বুকের দুধ খায়, তাদের অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এটি বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া বাইরের খাবারদাবারে বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার খুবই কম হয়, যার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বড়দের মধ্যে যারা বাইরে কাজ করেন তাদের বেশিরভাগই গরমে পিপাসা মেটাতে বাইরের বিভিন্ন শরবত ও খোলা পানি পান করেন। তাদের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, বাইরের এসব খোলা পানীয় শরবত কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। বাইরে কাজ করতে হলে অবশ্যই বাসা থেকে বিশুদ্ধ পানি বোতলে করে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

সারিকা নুজহাত আরও বলেন, এখন যেহেতু গরমের সিজন, বাসায় খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। এক্ষেত্রে খাবার সংরক্ষণের দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে। এই গরম নষ্ট, পচা-বাঁশি খাবার কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। এমনকি বাইরের খোলা খাবার পরিহার করতে হবে।


আরও খবর