Logo
শিরোনাম

শিক্ষকরা জুতা পায়ে ক্লাস নিলেও জুতা খুলে ক্লাস রুমে ঢুকতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুতা খুলে রেখে ক্লাস রুমে ঢুকতে হয় শিশু শিক্ষার্থীদের, আর জুতা পায়ে ক্লাস নেয় শিক্ষকরা। 

একই বিদ্যালয়ে জুতা ব্যাহারে দুই নিয়ম চলে আসছে বহু বছর ধরে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ৬৪নং কার্তিকাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

জুতা-স্যান্ডেল- কক্ষের বাহিরে খুলে রেখে শ্রেণি কক্ষে ঢুকে পাঠ গ্রহণ করতে হয় সকল শিক্ষার্থীদের। আর ঐ বিদ্যালয় এর শিক্ষকরা সবাই জুতা পায়ে পড়েই ক্লাস রুমে ঢুকে নিচ্ছেন ক্লাস।

পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে শিক্ষা দানের জন্যই এ নিয়ম শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রেজাউন নবী।

বুধবার দুপুরে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের বারান্দায় ওঠার সিঁড়ি সহ পাশে জুতা-স্যান্ডেল খুলে রেখে যার যার শ্রেণি কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীরা পাঠ গ্রহণ করছেন। 

এমনকি টয়লেটেও খালি পায়ে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অপরদিকে শিক্ষকরা সবাই পায়ে জুতা পড়েই শ্রেণি কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয় অফিস কক্ষ সহ টয়লেটেও শিক্ষকরা জুতা পায়ে চলাফেরা করছেন।

একই শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষার্থীদের জন্য এক নিয়ম আর শিক্ষকদের জন্য আরেক নিয়ম চালু করা হয়েছে শ্রেণি কক্ষ ও বিদ্যালয়ের অভ্যন্তর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এমনটাই জানান সরকারী ঐ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউন নবী জানান, ছোট শিশুরা পায়ে জুতা-স্যান্ডের পড়ে শ্রেণি কক্ষে এলে কক্ষ গুলো নোংরা হয়ে যায়, এছাড়াও বাচ্চাদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং ছোট বেলা থেকেই পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে জ্ঞান আহরোনের জন্যই মূলত এমন নিয়ম চালু করেছি। আর আমরা শিক্ষকরা যেহেতু বড় তাই আমরা খালি পায়ে না চলাফেরা করে পায়ে জুতা পড়ে চলাফেরা করছি। একই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আর শিক্ষকদের জন্য আলাদা নিয়ম কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন বিদ্যালয় অ-পরিস্কার হলে তা পরিস্কার করা খুবই কঠিন। আর শিক্ষার্থীদের হাতেও শ্রেণি কক্ষ গুলো ঝাড়দিয়ে পরিস্কার করে নেওয়া সম্ভব নয় বলেই এমন নিয়ম চালু করা হয়। 

এব্যাপারে নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইউসুফ মোঃ সিদ্দিক রেজা মুঠোফোনে বলেন, একই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা খালি পায়ে চলাফেরা করবে আর শিক্ষকরা জুতা পায়ে চলাফেরা করবে এমন হতে পারে না। বিষয়টি খুবই দৃষ্টিকটুর দেখায় জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমি দ্রুত বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।


আরও খবর



ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন জানিয়েছে, দ্রুতই নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ইউক্রেনকে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এজন্য প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। তবে এ প্যাকেজে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারি থাকবে না।

প্রতিটি প্যাট্রিয়ট ব্যাটারির (পূর্ণাঙ্গ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম) দাম প্রায় এক বিলিয়ন ডলার আর প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় চল্লিশ লাখ ডলার।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা মোকাবিলায় প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র জরুরি প্রয়োজন যা এখনই জীবন রক্ষা করতে পারে ও করা উচিত

বিবিসিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজে স্বাক্ষর করেছেন তারই অংশ হিসেবে এই ছয় বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনকে।

শিগগিরই আরও এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে।

অস্টিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সবচেয়ে বৃহৎ নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং খুব শিগগিরই এগুলো ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হবে।

এর মধ্যে আছে বিমান প্রতিরক্ষা যুদ্ধাস্ত্র, কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম এবং গোলাবারুদ (তবে প্যাট্রিয়ট নয়)।

এটা এমন নয় যে শুধু প্যাট্রিয়ট তাদের (ইউক্রেনের) দরকার। তাদের অন্য ধরনের সিস্টেম ও ইন্টারসেপ্টর (ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা বা আকাশেই ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়), বলছিলেন অস্টিন। আমি প্যাট্রিয়ট তৈরির বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক করবো

তিনি জানান, আরও ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভকে শিগগিরই দেওয়া হবে এবং এ নিয়ে ইউরোপীয় অন্য অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

ইউএস জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল চার্লস ব্রাউন বলেছেন, রণাঙ্গনে গোলার যথাযথ ব্যবহারের যে প্রয়োজনীয়তা ইউক্রেনের সেটি মেটাতে পারবে এবারের এই সহায়তা।

তবে এবারের যে সহায়তা প্যাকেজ তার কিছু অংশ ব্যবহার হবে ইউক্রেনের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প তৈরির জন্য যাতে তারা নিজেরাই প্রয়োজনমতো গোলাবারুদ উৎপাদন করতে পারে।

অস্টিন আরও বলেছেন, রাশিয়া ইতোমধ্যেই তাদের গোলাবারুদ ও অন্য অস্ত্রের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে তারা ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সরবরাহ সহায়তাও পাচ্ছে।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করুন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

দেশের সকলের জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১০ এপ্রিল) তিনি এক ভিডিও বার্তায় এই শুভেচ্ছা জানান।

ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতর আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক সীমাহীন আনন্দ, সুখ ও শান্তি।

আপনারা সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন। ঈদ মোবারক। এ কথা বলে শেখ হাসিনা তার ঈদের বার্তা শেষ করেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাওয়ালের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বাংলাদেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৩০ রোজা পূর্ণ করে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় নেতা-কর্মী, বিচারক ও বিদেশি কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর স্পীচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনা আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে প্রথমে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে এবং পরে বিচারক ও বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।


আরও খবর



সারাদেশে হিট স্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র থেকে তীব্রতর দাবদাহে পুড়ছে সারাদেশ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই তীব্র দাবদাহে সারাদেশে হিট স্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদের মধ্যে চট্টগ্রামে ২ জন, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও গাজীপুরে একজন করে মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে ভ্যাপসা গরমে হাসফাঁস করছে মানুষ। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে মারা গেছে শিশুসহ দুজন। গরমের তীব্রতায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে।

তবে নগরীর হাসপাতালগুলোতে জ্বর, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত মানুষ ভর্তি হচ্ছে। যাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বহির্বিভাগের রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান (আরপি) ডা. মো. শাহেদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে ছয় মাস বয়সী এক শিশুসহ ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহত বৃদ্ধের নাম ছালেহ আহমদ শাহ (৭০)। ছালেহ আহমদের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়া এলাকায়।

ছালেহ আহমদের ছেলে নজরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁর বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে আনোয়ারা হলি হেলথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আনোয়ারা হলি হেলথের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শামীম বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই ছালেহ আহমদের মৃত্যু হয়েছে। তিনি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

এদিকে একই জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় সাফা নামের ছয় মাস বয়সী এক কন্যা শিশুর মৃত্যু ঘটে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পশ্চিম শাকপুরা ২নং ওয়ার্ড আনজিরমারটেক সৈয়দ আলমের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তার বাবার নাম মো. নিজাম উদ্দীন।

নিহতের বাবা নিজাম উদ্দীন বলেন, ভোরে মায়ের বুকের দুধ পান করার কিছুক্ষণ পর সাফা ঘুমিয়ে যায়। সে সময় ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। সকাল সাতটায় মেয়েকে কোলে নেওয়ার পর তার শরীর ঠান্ডা অনুভব হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাবরিনা আকতার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের ধারণা বিদ্যুৎ না থাকায় সে হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।

পাবনা : তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ পাবনার জনজীবন। শনিবার (২০ এপ্রিল) পাবনার ঈশ্বরদীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও তাপদাহে পাবনা শহরে সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুকুমার দাস শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ওই ব্যাক্তি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। পাবনা শহর থেকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। আমরা উনাকে চিকিৎসা চিকিৎসা দিতে পারিনি। নাম-পরিচয় জানার পর আত্মীয়-স্বজন আসছিল। মরদেহ তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা : চু্য়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপদাহ। টানা চার দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের জনজীবন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও দাবি করছে দপ্তরটি।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ তা অতি তীব্র তাপদাহে রূপ নিয়েছে। আজ এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অঞ্চলে আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।

এদিকে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

গাজীপুর : গাজীপু‌র সিটি করপোরেশনের কোনাবা‌ড়ি‌র জেলখানা রোডে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে। শ‌নিবার (২০ এপ্রিল) বি‌কে‌লে তার মর‌দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতালের ম‌র্গে পা‌ঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আশরাফ উদ্দিন।

সোহেল রানা গাজীপুর সি‌টি কর‌পো‌রেশ‌নের এনা‌য়েতপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। খবর পেয়ে পু‌লিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ক‌রে হাসপাতালের ম‌র্গে পাঠায়।


আরও খবর



নওগাঁয় ইটভাঙ্গা মেশিনের চাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙ্গা মেশিনের চাপায়  সিএনজির যাত্রী সঞ্জয় কুমার (২৬) নামে এক এনজিও কর্মী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সাহাগোলা-শিমুলিয়া রাস্তার রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত সঞ্জয় আত্রাইয়ের আইডিএফ এনজিওতে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী বাঘা এলাকায় বলে জানা যায়। নিহত সঞ্জয় কুমারের সহকর্মী শামীম বলেন, সঞ্জয় কুমার আইডিএফ এনজিও'র আত্রাই শাখায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। সকালে বাড়ি থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে অফিসে যাচ্ছিলেন। এসময় ওভারটেক করার সময় একই দিক থেকে আসা ইট ভাঙ্গার মেশিনটি সিএনজিটিকে চাপা দেয। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। আহত হয় আরো কয়েকজন।

আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারের করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। নিহতের পরিবারকে জানানোর চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শুনছে না ইসরায়েল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে ইসরায়েলকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই চাপকে উপেক্ষা করেছে দখলদার ইসরায়েল।

শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোয় হামাসের একটি প্রতিনিধিদল যায়। সেখানে তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করে। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, কোনো ফলাফল ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভেস্তে যায়নি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

আরববিশ্ব ও ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছেযদি তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয়, তাহলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে।

এমন খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি নয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য শনিবার মিসরের কায়রোয় ইসরায়েলকে প্রতিনিধিদল পাঠাতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু তাদের কথা শোনেননি। তিনি কায়রোয় প্রতিনিধিদল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান।

এদিন হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপর যখন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তারা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে রাজি না, তখন হামাস জানায়, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তিতে তারা রাজি হবে না।

ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করতে হুমকি দিয়েছেন। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, রাফাহতে হামলা ছাড়া যদি যুদ্ধবিরতি করা হয়, তাহলে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে।


আরও খবর